সাঈদী ভক্তের বামালে এলিজাবেথ কাঁইত।

লিখেছেন লিখেছেন মানিক ২৫ মার্চ, ২০১৩, ০২:১৮:২৩ দুপুর

[একজন (এলিজাবেথ) ব্যতীত এই প্যচালের সকল চরিত্রই কাল্পনিক ও ছাগু মস্তিষ্ক প্রসুত। জীবিত, মৃত্‌ বা অর্ধমৃত; দৃশ্যমান বা ভার্চুয়াল, ভদ্র সমাজের বা চটি সম্রাজ্যের কাহারো সহিত মিল খুজিরে চাহিলে নিজ দায়ীত্বে খুজিবেন]

২০১৫ সালের বসন্ত কাল। MS এলিজাবেথের প্রিয় চাঁইদী সাহেব চাঁন্দের দ্যাশ হইতে ধরা ধামে অবতণ করিয়াছেন। তাহার সদলবলে প্রাণান্তকড় প্রচেষ্টা চলাইয়াও চাইদী সাহেবকে চাঁন্দে আটকাইয়া রাখিতে পারে নাই। চারিদিকে ছগুদের দাপাদাপী। বিরস বদনে MS এলিজাবেথ রমনা লেকের পাড়ে কংক্রিটের বেঞ্চিতে বসিয়া পা দুলাইতেছেন আর কিছুক্ষণ পর পর উদাস মনে ইটের কুচি সজোরে ছুঁড়িয়া মারিতেছেন রমনা লেকের আধা দূষিত পানিতে। মন তাহার বেজায় খারাপ।

অকসাৎ চমৎকার বাসন্তি সকালে জগিংরত সুদর্শন এক সাঈদী ভক্তকে দেখিয়া স্বভাবজাত ভাবে তাহার চিত্ত্বে সবিশেষ চাঞ্চল্য দেখা দিল। তিনি বসা হইতে তড়াশ খাড়াইয়া গেলেন। দশ আঙ্গুলকে চিরুনী বানাইয়া দ্রুত কেশবিন্যাস করিতে লাগিলেন। সানগ্লাসটা নাকের উপর আটিয়া হাই কমিশন হইতে প্রাপ্ত ল্যপ্টপসহ হ্যাপারস্যাকটা কাঁধে চাপাইতে চাপাইতে নানান রকম রঙ ঢং করিয়া আগন্তকের দৃষ্টি আকর্শণের প্রাণান্ত চেষ্টা চালাইয়া গেলেন। সাঈদী ভক্ত যুবক জগিং করিয়া চলিল। সে অনেক ব্যস্ত, রঙ ঢং দেখিবার টাইম নাই। MS এলিজাবেথের পেরেম বাধা মানিল না। তিনি একটি বিশেষ প্রাণীর ন্যয় হ্যাংলা হইয়া যুবকের পিছু পিছু জগিং করিতে লাগিল। অল্পক্ষনেই যুবকের সমান্তরালে পৌছাইয়া চশমাটা সামান্য সামনে টানিয়া চোখ পিটপিটাইয়া হাত নাড়িয়া কহিলঃ হাই। সাঈদী ভক্ত জগিং করিয়া চলিল। তার কাম আছে। বিৎলামীর টাইম নাই।

জগিং শেষে বেঞ্চিতে বসিয়া যুবক টাওয়েল বাহির করিয়া ঘাম মুছিয়া বিশুদ্ধ পানি পান করিতে লাগিল। MS এলিজাবেথ সবিশেষ বিগলিত হইয়া তাহার পাশে আসিয়া বসিল। মধুর সুরে বলিতে লাগিলঃ আপনাকে একটা কথা বলি। এতোক্ষনে সাঈদী ভক্ত মুখ খুলিলঃ হ্যাঁ বলেন। শর্টে। চান্স পাইয়া MS এলিজাবেথ আরো একটু কাছাইয়া আসিল। গলিয়া যাইতে যাইতে ভ্রু নাচাইয়া চোখ দুলাইয়া বলিতে লাগিলেনঃ ইয়ে মানে, আপনি না খুবই হ্যান্ডসাম। সাঈদী ভক্ত কহিলঃ বিটলামী ছাড়েন। লাইনে আসেন। আমি আপনারে ঠিকই চিনছি। আপনি MS এলিজাবেথ। আপনেরা সবাই মিলে মওলানা সাঈদী সাহেবরে চাঁন্দে পাঠাইতে যা যা করার সবই করছিলেন। আমরা ঘাম ঝরাইয়া, রক্ত দিয়া, জান দিয়া বহু কষ্টে উনারে আবার ফিরাইয়া আনছি। কী কইতে চান খোলসা কইরা কন। ইতোমধ্যে সাঈদী ভক্তের সুদর্শন চেহারা, আনকোরা মেশিনের সাইজ আর কার্যক্ষমতা আন্দাজ করিতে পারিয়া MS এলিজাবেথের ভেতরে, গাঙ্গে জোয়ার আসিয়াছে। ভিতরে ভিতরে তিনি টাপুর টুপুর ভিজিয়া উঠিয়াছেন। তিনি অধিকতর বিগলিত হইয়া কহিলেনঃ ইয়ে মানে, আপনাকে আমার দারুন পছন্দ হইছে। সাঈদী ভক্ত ঝট পট উত্তর দিলঃ আমাকে আপনার পছন্দ হইছে ভাল কথা। আমিও খালি আছি। তবে, আপনার অতীত কৃতকর্মের জন্য তওবা তাহলিল কইরা, ফের কালেমা পইড়া তার পরে আসেন। চিন্তা ভাবনা নিয়া দেখি কী করণ যায়।

MS এলিজাবেথঃ কোন সমস্যা নাই। কোন সমস্যা ...।

কহিতে কহিতে সে তাহার ছোট্ট ওড়নাটাকে টানিয়া টুনিয়া নিজেকে আচ্ছাদিত করিবার প্রণান্তকর চেষ্টা করিয়া গেল।

সাঈদী ভক্তঃ ও! আর একটা কথা। ইবনে সিনায় গিয়ে HIV টেস্টটা করাইয়া আইসেন।

MS এলিজাবেথঃ ইয়ে মানে, ইয়ে মানে , এইটা বাদ দেওন যায় না।

সাঈদী ভক্তঃ না । এইটা বাদ দেওন যায় না। সিফিলিস, গনোরিয়া তো বাদ দিলামই।

অতঃপর তওবা হইল, HIV টেস্ট হইল, সবই হইল আসিল বাসর রাত। সাঈদী ভক্তের আনকোরা ম্যাশিন স্থাপিত হইল যথাস্থানে। অল্পক্ষনেই তাহা এলিজাবেথের বাকযন্ত্র পর্যন্ত গিয়া পৌছাইল। সে এক আজিব ব্যপার! বাকপটু এলিজাবেথ বাকরুদ্ধ হইল চিরতরে! পরের দিন সবখানে কালো ব্যনারে শোকবার্তাঃ “সাঈদী ভক্তের বামালে এলিজাবেথ কাঁইত”।

বিষয়: রাজনীতি

১১৪৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File