শাহাবাগের জাগরণ এবং অদৃশ্য যাদুর কাঠি

লিখেছেন লিখেছেন মানিক ২৩ মার্চ, ২০১৩, ০৪:৩১:০২ বিকাল

বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল তরুণ সমাজ অবষেশে তাহাদের সুদীর্ঘ নিদ্রা ভাঙ্গিয়া জাগিয়া উঠিয়াছে। ঐতিহাসিক তাহাদের এ জাগরণ। তাহারা জাগ্রত হইয়াছে বাংলাদেশের সম্প্রসারিত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হইবার মহান ব্রত লইয়া। লক্ষ্য তাহাদের একটা ই ‘ফাঁসি’। অপরাধ থাকুক আর না থাকুক, আইন আদালত যাহাই সাব্যস্ত করুক, স্বাক্ষী-সাবুদ পাওয়া যাক আর না যাক। দাবী তাহাদের একটা ই ‘রাজাকারের ফাঁসি’। তারুন্যের এ নব জাগরণের দোলা লাগিয়াছে সর্বত্র। বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সুশিল নাগরীকগণ তারুন্যের এ মহা জাগরণে সবিশেষ আনন্দিত ও উদ্বেলিত। কারণ ইহা তাহাদের সুদীর্ঘ সাধনার ফসল। তাহাদের শিবিরে নবান্নের আনন্দ এবং কর্মব্যস্ততা। তাহাদের আনন্দাকাশে এক ফালি কালো মেঘ হইয়া অকস্যাৎ তাহাদের উদ্বেগের কারণ হইয়া দাড়াইল জনাব মাহমুদুর রহমান। কালো মেঘের উৎপাতের সাময়িক বিপত্তি কাটাইয়া বিবিধ প্রকার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া আবারো দুর্বার গতিতে ছুটিয়া চলিল তাহাদের বিজয় রথ। শাহাবাগ জাগরণের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্রে ওপার বাংলা হইতে ভাসিয়া আসিতে লাগিল সংহতির সুর। শুধুই ওপার বাংলা নয়, বাংলা-বিহার-উড়িশ্যা ছাড়াইয়া দিল্লির দরবার অবদী পৌছাইয়া গেল সুমহান শাহাবাগ জাগরণের বারতা। জাগিয়াছে শাহাবাগ, জাগিয়াছে তরুণ প্রজন্ম। জাগিয়াই রহিয়াছে। যেমনই বিচিত্র তাহাদের ঘুম, ততোধিক বিচিত্র তাহাদের জাগরণ।

১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর লক্ষ লক্ষ বাঙ্গালীর রক্তে ভেজা মাটি মাড়াইয়া হাজার হাজার হানাদার সৈন্য দুপ দাপ করিয়া পাকিস্তানে পাড়ি জমাইল। তাহাদের সোরগোল দাপাদাপীতে তারুন্যের ঘুম ভাঙ্গিল না। ১৯৭১ এর যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ১৯৫ জন সেনাপতিকে বহণকারী বিমান যখন বাংলার নরম মাটি প্রকম্পিত করিয়া পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে উড়াল দিল। পাপীষ্টদের বহণকারী বিমানের গগণ বিদারী গোঙ্গানীতে তাহাদের ঘুম ভাঙ্গিল না। তরুণ প্রজন্ম ঘুমাইয়া রহিল। জাতীর পিতার সাধারণ ক্ষমা পাইয়া হাজারে হাজারে দালাল রাজাকার যখন সোরগোল করিয়া কারাগার হইতে বাহির হইয়া সারা বাংলায় ছড়াইয়া পড়িল। দালাল রাজাকারগণের সোরগোলে প্রজন্মের নিদ্রা ভাঙ্গা তো দুরের কথা, মরণ ঘুম একটু পাতলাও হইল না।

শাসকের বুলেট যখন প্রতিবাদী সিরাজ শিকদারকে ক্ষত বিক্ষত করিল, তাহার তপ্ত রক্ত জমিনে পড়িয়া গড়াইতে লাগিল। তাহার গোঙ্গানীর আওয়াজ বাংলার আকাশ বাতাস ভারী করিয়া তুলিলেও তাহাদের ঘুম ভাঙ্গিল না। গণতান্ত্রীক জবাবদিহিতামূলক জনগনের কাঙ্খিত সুশাসন প্রতিষ্ঠায় মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে পদদলিত করেয়া যখন একদলীয় বাকশালী দানবের আগমন ঘটিল। নির্মম ভাবে কন্ঠরোধ করা হইল ভিন্ন মত আর মুক্ত চিন্তার। দেশ জুড়িয়া তখন অস্বস্তিকর বোবা কান্না। এতো অস্বস্তির মধ্যেও প্রজন্মের ঘুমে এতোটুকু ব্যঘাত ঘটিল না।

জাতীর পিতা তাহার ভাগের কম্বল না পাইয়া যখন চিৎকার চেঁচামেচি করিতে লাগিলেন। তাঁহার চেচামেচিতে সুচতুর চোরের দল এদিক ওদিক লুকাইতে লাগিল। পিতার চেঁচামেচি আর চোরবৃন্দের ছুটাছুটির হট্টোগোলেও তাহাদের ঘুম ভাঙ্গিল না। আসিল পঁচাত্তরের আগস্ট মাস! ৩২ নম্বরে ফুটিতে লাগিল গুলি। গুলির আওয়াজ, কাকের আর্ত চিৎকার, ধানমন্ডির বাতাসকে ভারী করিয়া তুলিল। স্বজনদের আহাজারী-আর্তনাদ, জাতীর পিতার শেষ মুহুর্তের ছটফটানী, সারা বিশ্বকে স্পর্শ করিলেও ভাঙ্গাইতে পারিল না প্রজন্মের মরণ ঘুম। তাহারা ঘুমাইয়াই রহিল। জাগ্রত হইল না। আরম্ভ করিল না সম্প্রসারিত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ। তাহার পর পদ্মা মেঘনায় অনেক জল গড়াইল। খন্দকার মোস্তাক সাহেবেরা বেশ কিছুদিন হাউ কাউ করিলেন। বঙ্গবন্ধু ঘুমাইয়া রহিলেন মায়ের কোলে, টুঙ্গীপাড়ায়। তরুণ প্রজন্মও ঘুমাইয়া রহিল নিশ্চিন্তে।

বীর চট্টলার ললাটে কলঙ্ক তিলক অঙ্কন করিয়া ঘাতকের নির্মম বুলেট স্তব্ধ করিয়া দিল স্বাধীনতার মহান ঘোষোক বীর সৈনিকের বর্জ কন্ঠ। বাংলার আকাশ বাতাস ভারী হইয়া উঠিল। কিন্তু তাহাদের ঘুম ভাঙ্গিল না। সামরিক সৈরাচারের বুটের তলায় পিষ্ট হইয়া বেয়নেটের নির্মম খোচায় ক্ষত বিক্ষত হইল গণতন্ত্র আর কাঙ্খিত সুশাসন। গণতন্ত্রের মৃত্যু যন্ত্রনার আর্তনাদ বাংলার আকাশ বাতাস কাপাইয়া তুলিল। জিহাদ-নূর হোসেন-ডাঃ মিলন এক ফোটা পানির জন্য ছটফট করিতে করিতে কাতর গলায় কত শত বার ডাকিয়া গেল। তরুণ প্রজন্ম জাগিল না। ঘুমাইয়াই রহিল। ডিসেম্বরের এক শুভ সন্ধায় সৈরাচারের বিদায় ঘন্টা বাজিল। আনন্দে আত্মহারা জাতি ঘর ছাড়িয়া বাঁধভাঙ্গা আনন্দে নামিয়া আসিল রাজপথে। আনন্দ উল্লাসে মাতোয়ারা চারদিক। এতো উচ্ছাস আনন্দের মধ্যেও তাহাদিগকে ঘুমাইতেই দেখা গেল।

তারপর অনেক দিন কাটিয়া যাইতে লাগিল। নদীতে বান ডাকিল, লাগিল ভাটার টান। একঘেয়েমী কাটাইতে নৌকার মাঝি-মাল্লারা লগি-বৈঠা লইয়া উঠিয়া আসিল রাজপথে। রাজপথে সর্পকুলের দেখা না পাইয়া তাহারা হামলাইয়া পড়িল মানব সন্তানের উপর। চৌকশ পুলিশ কর্তারা নিরাপদ দুরত্বে দাড়াইয়া তামাশা দেখিলেন। ঘুমকাতুরে তরুনেরা ঘুমাইল অঘোরে। মাইনুদ্দিনের সাজোয়া যান নামিল রাজপথে। ফখরুদ্দিন নড়িয়া চড়িয়া বসিল আসন পাতিয়া। ন্যয় নিষ্ঠার মুর্তীমান দেবদূত হইয়া সরাসরী আসমান হইতে নাজেল হইলেন হাসান মশহুদ চৌধুরী। শক্ত সমর্থ জাল লইয়া তিনি ঝাপাইয়া পড়িলেন রুই কাতলা শিকারে। তাহাদের জালে একটি বিশেষ বর্ণ ও গোত্রের রুই কাতলা একটু বেশী ধরা পড়িতে লাগিল। জনগণ একই জাতের রুই-কাতলা আস্বাদনে যাহাতে একঘেয়ে বোধ না করেন তাই ব্যলেন্স করিবার নিমিত্তে অন্য জাতের দু’একটি রুই কাতলাও আটকানো হইল তাহাদের জালে। চলিল প্লাস- মাইনাসের জটিল কাটাকুটি খেলা। মাইনাস টু, প্লাস টু সমান সমান শূন্য (-২ + ২ = ০) সরল বীজ গণিত। দুই নেত্রীও পাইতে লাগিলেন জীবনের নতুন এক তেতো আস্বাদ। চারদিকে এতো ডামাডোল, অস্থির গোটা দেশ। তরুণ প্রজন্ম ঘুমাইয়া রহিল। জাগ্রত হইল না । আরম্ভ করিল না কাঙ্খিত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ।

শান্ত পিলখানা সময় সুযোগ বুঝিয়া জ্বলিয়া উঠিল। নরমাংশের পোড়া গন্ধ, ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। নর্দমায় প্রবাহিত হইয়া দেশের সূর্য সন্তানদের লাশ ধপাশ করিয়া গিয়া পড়িল বুড়িগঙ্গায়। মুছিয়া গেল ঐতিহ্যবাহী এক বাহিনীর নাম। নিন্দুকেরা কহিল, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ গ্রহণ করা হইল! অত্যন্ত চতুরতায় মাটিচাপা দেওয়া হইল সকল লাশ এবং আগুনের ফুলকী। ছাই চাপা আগুন আর গলিত লাশের চাপ খাওয়া গন্ধে দম বন্ধ হইয়া আসিতে চাহিল। তরুণ প্রজন্ম ঘুমাইয়া রহিল। জাগ্রত হইল না। জানিতে চাহিল না সত্য।

সীমান্তের কাঁটাতারে লটকাইয়া রহিল গুলিবিদ্ধ অপমানিত বাংলাদেশ। ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের বুকের মধ্যে সাদা রক্তক্ষরণ। লজ্জায় অপমানে তাহাকে হাটিতে হইল আদালতের বারান্দায়। রক্ত আর চোখের জলে ভেজা দীর্ঘ দিনের স্মৃতি ধন্য ভিটে হইতে চরম নিষ্ঠুরতায় উচ্ছেদ করা হইল কোটি কোটি মানুষের অধীকার রক্ষায় আপোষহীন নেত্রীকে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেশ প্রেমিক আবুলেরা মচার মচার শব্দে চাবাইয়া গলধকরণ করিয়া ফেলিল। সীমাহীন টেন্ডার আর চাঁদাবাজী, চলিল তদবির আর নিয়োগের রমরমা বাণিজ্য। হলমার্ক, ডেস্টিনি, শেয়ার বাজার ইহার মধ্যে বাবু সুরঞ্জিতের প্রিয় কালো বিড়াল থলের মধ্য হইতে বাহির হইয়া মিয়াঁও শব্দে ডাকিয়া চলিল অবিশ্রাম। চারিদিকে এতো আওয়াজ কিন্তু কুম্ভকর্ণের ঘুমে এতোটুকু ব্যঘাত ঘটিল না। তাহারা নিশ্চিন্তে ঘুমাইল। প্রজন্মের সাহসী সন্তানেরা নিজ শয়ন কক্ষে হাত পা বাঁধা অবস্থায় ছুরিকাহত হইয়া দাপাইতে লাগিল। নিজের শরীর নির্গত রক্তে পিছলাইয়া গেল মেঘের জন্য বাঁচিয়া থাকিবার তাহাদের সকল আকুতি। চলিল তাহাদের ব্যক্তি জীবন লিইয়া কুৎসিত নিষ্ঠুর রসিকতা। শীতল রক্তের খুনীরা রহিল অক্ষত, আমাদেরই আশে পাশে, ধরা ছোঁয়ার অনেক বাইরে। চলিল ক্ষমতাবান সাংবাদিকগণের মিছে আস্ফালন। প্রকৃত ক্ষমতাবানের উঁচু তলায় বসিয়া সকল কিছু প্রত্যক্ষ করিলেন আর মুচকী হাসিলেন। প্রতিটা দিনের শেষে বাবা মায়ের বাসায় ফেরার অপেক্ষায় থাকিতে থাকিতে হতাশ হইয়া মেঘের একটা ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস মিলাইয়া গেল ষীশাযুক্ত ঢাকার বাতাসে। এতো ভারী বাতাস গ্রহণ করিয়াও নিশ্চিন্তে ঘুমাইল তরুণ প্রজন্ম। জাগ্রত হইল না। প্রকাশ্য দিবালোকে টগবগে শ্রমজীবী কিশোর বিশ্বজিত দাশকে পুলিশের সামনে চাপাতির উপর্যুপরী আঘাতে কচুকাটা করা হইল। রক্তাক্ত বিশ্বজিত একাই লড়িল এবং পরাস্ত হইল জীবনের কাছে। তরুণ প্রজন্ম কিছুই দেখিল না। তাহারা ঘুমাইয়া রহিল।

অবশেষে ফাগুনের আগুন লাগিতে শুরু করিল প্রকৃতিতে । আগুনের উত্তাপে চারদিক উজ্জল আভায় উদ্ভাসিত হইতে শুরু করিল। অদৃশ্য এক যাদুর কাঠির স্পর্শে অসামান্য এক শিহরণ লাগিতে শুরু করিল চারি দিকে। বাংলার অখ্যাত সাঈদখালী গ্রামের আরো অখ্যাত এক যুবক দেল্যা চোরা ওরফে দেলু শিকদার ওরফে দেল্যা রাজাকারের ফাঁসির দাবীতে অদৃশ্য যাদুর কাঠির ইশারায় অবশেষে আমাদের তরুণ প্রজন্ম জাগিয়া উঠিল। পরেরহাট বাজারের পাঁচ সের ময়লা লবনের খুচরা কারবারী দেলু শিকদারের ফাঁসির দাবীতে প্রজন্মের এ মহা জাগরণের বারতা বিদ্যুৎ গতীতে ছড়াইয়া পড়িতে লাগিল চারিদিকে। দেলু মিয়ার এইবার আর রক্ষা নাই। ফাঁসি তাহার সুনিশ্চিত। আমাদের তরুণ প্রজন্ম সুদীর্ঘ ৪২ বছরের নিদ্রা ভাঙ্গিয়া অবশেষে জাগিয়া উঠিয়াছে। দেলু মিয়াদের বিরুদ্ধে ঘোষিত সম্প্রসারিত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ। সারা দুনিয়ার প্রগতীশীল মানুষ যখন যে কোন প্রকার মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার বাংলাদেশের জাগ্রত তরুণ সমাজ তখন প্রতিপক্ষকে জবাই আর ফাঁসির দাবীতে মাতাইয়া চলিয়াছে শাহাবাগ চত্ত্বর। গণতন্ত্রের মানসকন্যা, মমতাময়ী সদাসয় জননেত্রী, জাগ্রত জনতার সুরে সুর মিলাইয়া গাহিলেন জাগরণের গান, জ্বালাইলেন মঙ্গল প্রদীপ, ঘষিয়া মাজিয়া পরিমার্জিত করিলেন রাজাকারদিগের ফাঁসির রাস্তা। বেচারা ইব্রাহিম কুট্টি আর বিশাবালী হত্যায় কথিত দেলু শিকদারের দায় চাপাইয়া দিয়া ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হইল মওলানা সাঈদী’র। তরুণ প্রজন্মের একটা দুইটা শিবির ধরিয়া জবাই আর নাস্তা করিবার আবদারও অপূর্ণ রাখিলেন না মমতাময়ী জননী। তিনি জনগনের ট্যাক্সের পয়সায় কেনা বুলেট ব্যবহার করিয়া ডজনে ডজনে জামাত শিবির আর নিরিহ মানুষ শিকার করিলেন। সোনার বাংলায় সংগ্রামী জনতার রক্তে রক্তগঙ্গা প্রবাহমান করিলেন। ইহাতেও তরুণ প্রজন্মের ক্ষুধা তৃষ্ণা তেমন একটা মিটিল না । তাহারা ঘুমাইবার নাম পর্যন্ত করিল না বরং দ্বিগুন উৎসাহে ঝাপাইয়া পড়িল স্বপ্নের সম্প্রসারিত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে। আম জনতা বলাবলি করিতে লাগিল, দেল্যা রাজাকারের ফাঁসি একটা উপলক্ষ্য মাত্র। ঘুমকাতুরে তরুণ প্রজন্ম এতো সাধের ঘুম ছাড়িয়া নিজের ইচ্ছায় জাগ্রত হয় নাই। দাদার ইচ্ছায়, যাদুর কাঠির স্পর্শে তাহারা জাগ্রত হইয়াছে। অদৃশ্য সেই যাদুর কাঠির ইশারায় তাহাদের দিকে ছুটিয়া আসিয়াছে শয়ে শয়ে টিভি ক্যামেরা। নিশ্চিত হইয়াছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আসিয়াছে গরম বিরিয়ানীর প্যাকেট, ঠান্ডা মিনারেল ওয়াটার, হালুয়া-রুটি অফুরান। আসিয়াছে আরো আনেক পদের চিজ নেয়ামত। সেই একই যাদুর কাঠির ইশারায় আইয়ামে জাহেলিয়াতের চাইতেও কুৎসিত ভাষায় আক্রমন করা হইল প্রিয় নবী আর দেশের ৯০ ভাগ মানুষের ধর্ম বিশ্বাসের উপর। গণ মানুষের এখন একটাই প্রশ্ন, কাহার স্বার্থে ৪২ বছরের ঘুম ভাঙ্গাইয়া আমাদের তরুণ প্রজন্মকে জাগাইয়া তোলা হইল, কাহার বিরুদ্ধে তাহারা ঘোষণা করিল সম্প্রসারিত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ।

বিষয়: রাজনীতি

৩১৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File