ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের অগ্রযাত্রা ঃ চাই সময়োপযগী পদক্ষেপ ( নিবন্ধ সংকলন)

লিখেছেন লিখেছেন অজানা পথিক ১৪ আগস্ট, ২০১৪, ১০:২৯:২২ রাত



ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের অগ্রযাত্রা ঃ চাই সময়োপযগী পদক্ষেপ

বৃহৎ অর্থে যদি বলা হয় ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের এক নম্বর শর্ত কি? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে হলে আমদের ফিরে যেতে হবে রাসুল (সা) এর নেতৃত্বে মদীনায় সর্বপ্রথম খতমে নবুয়্যাতের যুগে) যে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার দিকে। রাসুলের (সা) দাওয়াতে সাড়া দেওয়া মুষ্টিমেয় সংখ্যক মানুষকে তিনি যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তুলেছিলেন, সে প্রশিক্ষণটাকে বলা যেতে পারে সে সময়ের শিক্ষা ব্যবস্থা। দারুল আকরাম ছিল সর্বপ্রথম শিক্ষাকেন্দ্র যার আধুনিক পরিভাষা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় । পরবর্তীতে মদীনায় আসহাবে সুফফা ছিল আরেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের একদল মানুষ তৈরি হয়েছিল। যার প্রেক্ষাপটে মুসলিম উম্মাহ পেয়োছিল হযরত উমরের মত যোগ্য প্রশাসক (Public Administratator), হযরত মুগীরা ইবনে শোবার মত প্রখ্যাত কূটনীতিক , হযরত আলীর (রা) মত একজন সুসাহিত্যিক, হযরত আবু উবাইদা ইবনুল যাররাহ (রা) এর মত সমরবাদী । এভাবে জ্ঞানের প্রত্যেকটা স্তরকে যদি আমরা তখনকার প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করি তাহলে সর্বক্ষেত্রেই পাওয়া যাবে পরিপূর্ণ মুসলমানদের। কারন তাদের বিশেষায়িত জ্ঞানের সাথে যোগ হয়েছিল ওহির জ্ঞান। ফলে তারা হয়ে উঠেছিলেন সবচেয়ে যোগ্য মানুষ। পরস্য, রোমান সাম্রাজ্য, ইহুদী শক্তি ও মক্কার মুশরিক সমাজসহ বাতিল শক্তির সব চ্যালেঞ্জ সমূলে উৎপাটিত করে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিপূর্ণতা লাভ করেছিল।

দেশের সব মানুষ বা ছাত্রকে ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। কিন্তু সকল মানুষকে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান করা সম্ভব। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার আদলে পরিচালিত হয় তাহলে সব শ্রেণীর মানুষের মাঝে ইসলাম সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারনা তৈরি হবে। আজকের অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন, বিচারপতি আবদুর রউফ, সাবক সচিব আসাফ উদ্দৌলাহ, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ যারা ইসলামের পক্ষে কথো বলে থাকেন তারা কেউই ইসলামী আন্দোলনের প্রোডাকশন নয়। তারা নিজ পরিবার ও পরিবেশ থেকেই ইসলাম সম্পর্কে ধারণা লাভ করেছিলেন। কোরআন, হাদিস, ইসলামী সাহিত্য তাদেরকে ইসলামের পক্ষে কথা বলার সাহস যুগিয়েছে। এগুলো ইসালামী শিক্ষা আন্দোলনেরই একটি অংশ। ইসলামী শিক্ষা আন্দেলনের অগ্রযাত্রা আমাদের সামর্থের আলোকে যথেষ্ট নয়। সময় ও চাহিদার আলোকে আরো গতিশীল কর্মপন্থা নির্ধারণ করা জরুরী। নিচে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হল, যা ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনকে আরো বেগবান করবে।

নতুন বিষয় চালু করা

ইসলামী অথনীতি :

বর্তমানে “ইসলামী অর্থনীতি” একটি পরীক্ষিত ও বাস্তব সত্য। বারাকাত সাহেবের গোত্রদাহ যত বেশিই হোকনা কেন দেশের ৭টি পরিপূর্ণ ইসালামী ব্যংক ও অন্যান্য সুদযুক্ত ব্যংকগুলোতে ইসলামী শাখা খোলার মাধ্যমে এদেশ ইসলামী অর্থনীতির শক্ত ভিত ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর সাথে ইসলামী জীবন বীমাসহ বিভিন্ন কো-অপারেটিব সোসাইটি, ব্যবসায়িক গ্রুপ, যাকাত বোর্ড, ওয়াকফ্ এস্টেট ইত্যাদির সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসলামী অর্থনীতির এত বিশাল বাজার থাকা সত্তেও দেশে শুধুমাত্র ইসলামী অর্থনীতির উপর প্রাতিষ্ঠানিক কোন বিষয় কিংবা কোর্স চালু নেই। ফলে প্রত্যক্ষ ভাবে আমরা কোন স্কলার পাচ্ছি না। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্রগ্রাম (IIUC) ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যলয়সমূহে এ বিষয়টি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা যেতে পারে। যুগের চাহিদার আলোকে উপযুক্ত প্রচারের ভিত্তিতে ‘ইসলামী অর্থনীতি’ হতে পারেু দেশের বেশি চাহিদা সম্পন্ন (highly demandable) সাবজেক্টের একটি।

শিক্ষা ও গবেষণা :

এ সাবজেক্টটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু আছে। কিন্তু দেহ, মন ও আত্মার পরিপূর্ণ উন্নয়ন যে শুধুমাত্র ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থাতেই সম্ভব এ বোধ থেকে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি পড়ানো হয় না। তাছাড়া ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার সামগ্রিক দিকগুলোতে ব্যুৎপত্তিসম্পন্ন লোক তৈরিতে কোন প্রতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেই্ । আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্রগ্রামে (IIUC) শিক্ষা ও গবেষণা সাবজেক্টটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চালু করা জরুরী।

ইসলামী আঈন ও মানবাধিকার :

ইসলামী শরিয়াহ আইনেক মানবাধিকার বিরোধী হিসাবে উপস্থাপন করার অপপ্রয়াস সেই শুরু থেকে। ফতোয়া, ব্লাসফেমিসহ ইভটিজিং, দুর্নীতি ও অন্যান্য অপরাধ দমনে ইসলামী শরিয়ার কার্যকারিতা আধুনিক সমস্যার আলোকে তুলে ধরা অপরিহার্য। এজন্য এ সাবজেক্টটি চালু করা সময়ের দাবি। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মালোশিয়াসহ (IIUM) কিছু বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি চালু আছে।

উইমেন সায়েন্স:

বিজ্ঞানের চরম উৎকর্যতার যুগে নারীসত্তা ও নারী অধিকার নি:সন্দেহ ইসলামের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। নারীর অধিকার যে ইসলামই সবচেয়ে বেশি দিয়েছে তা পৃথীবির সামনে তুলে ধরতে ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী স্কলার তৈরি করা চাই। ইসলামী মুল্যবোধে বিশ্বাসী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়টি চালু করা যেতে পারে। এছাড়াও সময়ের চাহিদার কথা মনে রেখে নতুন নতুন বিষয় খুলতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা:

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ব্যয়বহুল হলেও এ মুহুর্তে কমপক্ষে আরো ৫ টি আন্তোর্জাতিক মানের মডেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার বিকল্প নাই। এক্ষেত্রে রাবেতা, ওয়ামী, মুসলিম এইড, ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনসহ ইসলামী মূল্যবোধের বিশ্বাসী এনজিও এবং ব্যাবসায়িদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। এসব প্রাইভেট মডেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোকে বাছাই করে উপযুক্ত অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।

মডেল স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা স্থাপনঃ

ইতিমধ্যে সারা দেশে ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও সংস্থা দ্বারা অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান ভাল ফলাফল করা সহ বিভিন্ন দিক দিয়ে প্রথম সারিতে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম হওয়ায় প্রত্যেক উপজেলাতে কমপক্ষে একটি করে মডেল স্কুল স্থাপনে এগিয়ে আসেতে হবে। ৬৪ জেলায় একটি করে মডেল কলেজ স্থাপন করতে হবে যাতে ঐ জেলার সর্ব শির্ষে অবস্থান করতে পারে। একটি জেলা ও একেটি উপজেলার প্রথম সারির মেধাবীরা যাতে এসব কলেজ ও স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয় সে মানে নিয়ে যেতে হবে। যদি এরকম মডেল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় তাহলে ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতির মাঝেও আমরা এমন একটি প্রজন্ম তৈরি করতে সক্ষম হবো যার চিন্তা , বিশ্বাস ও কর্মে মুসলমানিত্বকে লালন করবে। এক্ষেত্রে তুরস্কের কর্মপন্থা আমদের জন্য বড় ধরণের প্রেরণার উৎস হতে পারে।

পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন :

ইসলামী মূল্যবোধের শিক্ষাবিদদের মাধ্যমে প্রথম শ্রেণী থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সব বিষয়ের পাঠ্যপুস্তুক প্রণয়নের উদ্দ্যেগ এখনই নিতে হবে। ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ তথা ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা পরিপূর্ণতা লাভের আগেই এ ধরণের উদ্দ্যেগে অনেকের খটকা লাগতে পারে। কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, কাজ না শেষ করে কখনোই লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব নয়। তাছাড়া দেশের প্রচলিত শিক্ষার বাইরে এ ধরণের উদ্দ্যেগ প্রশ্নের সৃষ্টি করতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটির সাবজেক্টে ফটোকপির তৈরি করে সময়ের আলোকে পরিমার্জন করার ব্যবস্থা করতে হবে। অনুক‚ল সময়ে এসব পুস্তকের কোন কোনটি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক হিসেবে প্রণয়নের প্রচেষ্টা অব্যহত রাখতে হবে।

ইতিহাস ও ধর্ম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করাঃ

আমাদের দেশের বর্তমান সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার আলোকে ইতিহাস ও ধর্ম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা খুব কঠিন কাজ নয়। ইতিহাস ও ধর্ম শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা দেশপ্রেমিক যে কোন শিক্ষাবিদ কিংবা নাগরিক কেউই অস্বীকার করবেনা। অনুকূল সরকার ক্ষমতায় আসলে তীব্র মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধকে কাজে লাগিয়ে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ইতিহাস ও ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করে নিতে হবে। আর এটি সম্ভব হলে তা হবে ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের পতে একটি বিশাল অর্জন।

লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠাঃ

আমদের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহে সমৃদ্ধ পাঠাগর তৈরি হবে। যেখানে কুরআন ,হাদিস ইসলামী সাহিত্য সৃজনশীল সাহিত্য, উপন্যাস, সাইন্স ফিকশন ইত্যাদি থাকেব। ব্রাক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলগুলোতে পাঠাগার তৈরি করে দিচ্ছে। যার উদ্দ্যেশই হল ধর্মহীন বেহেয়া প্রজন্ম তৈরি। এর বিপরীতে আমাদের কর্মপন্থা কি হবে তা এখনই ঠিক করতে হবে। ব্রাকের ন্যায় দেশের প্রত্যেকটি স্কুলে পাঠাগার করে দেওয়ার মত বিশাল অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আমাদেও না থাকলেও ক্ষুদ্র কোন না কোন প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসা ছাড়া কোন বিকল্প নেই।

ইসলামী শিক্ষা সমন্বয় পরিষদঃ

ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার পক্ষে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তার মধ্যে অন্যতম হল ইসলামীক এডুকেশন সোসাইটি, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক পরিষদ, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক থ্রট (BIIT) ইত্যাদি। ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের বিশাল কর্মযজ্ঞে যে সব সংগঠন নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখছে সব কাজের গতিশীলতার জন্য এসব সংগঠনের সমন্বয়ে একটি শিক্ষা সমন্বয় পরিষদ গঠন করা যেতে পারে। অথবা আলাদা একটি মনিটরিং বোর্ড গঠন করা যেতে পারে যারা সামগ্রিক বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে বোর্ডের অধিভুক্ত সংগঠনগুলোর ব্যপারে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করবে। এই সমন্বয় পরিষদে রিসার্চ স্কলার নিয়োগ করতে হবে যারা সার্বক্ষণিক নানান বিষয় নিয়ে গবেষণা করবেন।

সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধনঃ

দেশে ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী অসংখ্য স্কুল, কিন্ডারগার্ডেন, কলেজ. মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে । এগুলো মধ্যে যতটুকু সমন্বয় রয়েছে তা যথেষ্ট নয় বলেই মনে হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় প্রতিষ্ঠিত হলে তা বিশাল এক শক্তি রুপে আবির্ভূত হবে। তখন প্রচলিত সিলেবাসের বাইরে সাধ্যমত ইসলামী সিলেবাস অনুসরণের কার্যকর করা সম্ভব। উদাহারণ হিসাবে বলা যায় প্রতিদিন পাঠ্য পুস্তকের বাইরে একটি করে হাদীস পাঠ করা।

মিডিয়া ট্রায়ালঃ

ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার পক্ষে ডান পন্তি মিডিয়াগুলোকে ব্যপক ভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে। এসব মিডিয়ার শিক্ষা বীটে আমদের যেসব সাংবাদিক কর্মরত আছেন তাদেরকে নিয়ে সমন্বিতভাবে পরিকল্পিতভাবে কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।তবে সব ধরণের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালনের জন্য “ইসলামী শিক্ষা সমন্বয় পরিষদ” তথা মনিটরিং বোর্ড গঠন সর্বাগ্রে সম্পন্ন করা চাই।

“তারা আল্লার আয়াত বা নিদর্শন বা সত্য মিথ্যার পার্থক্যে মানদন্ড সম্পর্কে মানুষকে পড়ে শুনান। আত্মাকে পরি শুদ্ধ করেন আর শিক্ষা দেন জীবন যাপনের কৌশল। ” (সূরা জুম-আ :০২)

আল কুরআনের এই শাশ্বত বানীর মধ্যে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্পষ্ট ভাবে প্রতিভাত হয়ে উঠে। ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার এই সুমহান লক্ষ্য বাস্তবায়নে চাই গতিশীল ও সময়য়োপযগী কর্মপন্থা। বর্তমান জালিম সরকারের প্রথমদিকে ইসলামী আন্দোলনের কারারুদ্ধ নেতা বলেছিলেন-“শত প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও আমাদেও গঠনমূলক কাজগুলো অব্যহত রাখতে হবে”। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমদেও জন্য এর চেয়ে উত্তম হেদায়েত আর কি হতে পারে ? তাই যেকোন পরিস্থিতিতে যদি আমাদেও গঠনমূলক কাজগুলো এগিয়ে নিতে পারি তাহলে বাতিলের শত ষড়যন্ত্রেও মধ্যে আল্লাহর সেই ঘোষণাই সত্যে পরিণত হবে।

“ওরা চাই তাদের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে কিন্তু তাআহর ঘোষনা তিনি তার নূরকে প্রজ্জলিত রাখবেনই।”



ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা আজ এদেশের লক্ষ-কটি মানুষের স্বপ্ন। ১৯৬৯ সালের ১৫ই আগষ্ট দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আব্দুল মালেক ভাইযের মধ্য দিয়ে যে স্বপ্নের বীজ অঙ্কুরিত হয়েছিল তা আজ পরিণত হয়েছে বিশাল মহিরূহে। মালেক ভায়ের শাহাদতের চুয়াল্লিশ বছর পেরিয়ে আজকের বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় প্রজন্মকে নিয়ে একটি পরিপূর্ণ ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার স্বপ্ন আমরা দেখতেই পারি।

লেখকঃ এম আরিফুর রহমান

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী।

বিষয়: বিবিধ

৩১৬৬ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

254355
১৪ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:২৯
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৫ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৫:৫০
198172
অজানা পথিক লিখেছেন : শুকরিয়া...
লেখাটি পরে সময় করে আরেকবার পড়ার অনুরোধ রইলো
254385
১৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ০১:১৬
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : সুন্দর শেয়ার ধন্যবাদ।
১৫ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৫:৫৩
198173
অজানা পথিক লিখেছেন : আপনাকেও......

সাথে অনুরোধ রইলো সময় করে অঅবার পড়ারHappy
254425
১৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৪:৫৪
কাহাফ লিখেছেন : এর বাস্তবায়নে এক হতে হবে,নেক হতে হবে সবাই কে............।
১৫ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৭:০০
198180
অজানা পথিক লিখেছেন : সুন্দর বলেছেন... ব্যপারটা অনেকটাই তাই।
নিবন্ধকার এখানে ইসলামী শিক্ষার অগ্রযাত্রার জন্যে কি কি সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে তার একটা চিত্র তুলে ধরেছেন। এর জন্যে তরুন প্রজন্মের একটা অংশ এগিয়ে আসলেই তা বাস্তবায়ন খুব বেশী অসাধ্য নয়..
254444
১৫ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৭:৪৫
শেখের পোলা লিখেছেন : প্রস্তবনা সুন্দর কিন্তু বর্তমান পিস্থিতিতে এর কোনটাই বাস্তবায়ন সহজ নয়৷ ধন্যবাদ৷
১৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:২০
198516
অজানা পথিক লিখেছেন : শেখের পোলা ভাই!
হুমম, ঠিকই বলেছেন, তবে কয়েকটি কাজ সহজ করে নিলেই বহুলাংশে সাকসেজ হওয়া যাবে.... আপনি যদি আপনের গ্রামের স্কুলে লাইবেরী করার উদ্যেগ নেন আর আমি যদি অঅমার গ্রামের স্কুলে উদ্যেগ নেই , তা কি খুব কঠিন? অবশ্যই না... কিন্তু যতটুকু না কঠিন তার চাইতেও বড় ব্যপার হলো আমরা ব্যপারগুলোকে এইভাবে ভেবে দেখিনা, এইভাবে অন্যগুলোও.. দ্বিমত থাকলে বইলেন। এবং কোন জায়গায় সেটা সহ বইলেন। মনেযোগ দিয়ে পড়ার জন্যে হাজারো মাল্য
১৬ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৭
198666
শেখের পোলা লিখেছেন : যে লাইব্রেরী করব তাতে মহাভারত, রামায়ন, গীতা, বাইবেল রাখা সহজ কিন্তু ইসলামী জীবন ব্যবস্থার বই, কোরান হাদীশ রাখা ঝুঁকির বিষয়৷কারণ বর্তমানে ও গুলো টেরোরিজমের লিষ্টেে৷ আশাকরি সহজ নয় কেন বুঝেচেন৷ আজ ও সা কিতাব বাড়িতে রাখাও বিপদ৷
১৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:০৪
198709
অজানা পথিক লিখেছেন : হ্য... তা বূঝতে পেরেছি।
১৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:০৭
198717
অজানা পথিক লিখেছেন : ঠিকই বলেছেন ঝুকি আছে

আবার
রাজধানীর উত্তরাতে ওয়ামী যেমন করে লাইবেরী+ ইভিনিং স্কুল প্রতীষ্ঠা করেছে, এ ধরনের কাজগুলো পরিস্হিতি ও সুযোগের আলোকে আরো ব্যপকভাবে করার সুযোগ যে একদম নেই, তা কিন্ত না।
254613
১৫ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৭
আফরা লিখেছেন : আপনার লেখাটা অনেক ভাল হয়েছে ।আপনার প্রস্তাব গুলো সঠিক ।এগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকার নিলে খুব সহজেই বাস্তবায়ন সম্ভব কিন্ত আমাদের দেশে তো সেই সরকার নেই । তবে তরুন সমাজ ও এটা করতে পারে হয়ত সময় লাগবে তবে চেষ্টা করলে সম্বব ও হবে ইনশা আল্লাহ ।

১৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:২৩
198517
অজানা পথিক লিখেছেন : মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্যে অজস্র অভিনন্দন ! লেখাটি পড়ে অাপনি আপনার জায়গা থেকে, আমি আমার জায়গা থেকে এবং অনেকেই স্ব স্ব বলয়ে চিন্তা করার অবকাশ পাবে। এর ভেতর থেকে সচেনতাবোধ তৈরী হবে। সেজন্যেই শেয়ার করা। এটিই বিরাট একটি ব্যপার
254623
১৫ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১০
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : শহীদ আব্দুল মালেকর স্বপ্ন ছিল আপনার উপরুক্ত লিখা। তখন যেমন এর বিরুধী ছিল এখন ও আছে বরং আগের চেয়ে অনেক বেশি। তবে আপনার পোস্টার প্রস্তাব বাস্থবায়ন করতে হলে আগে দেশে ইসলাম কায়েম করতে হবে।
১৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:৩৪
198518
অজানা পথিক লিখেছেন : প্রবাসী ভাই!
একটু খেয়াল করুন। ইসলাম কায়েম করে শিক্ষা ব্যবস্হার ইসলামীকরন করতে হবে ধরানা টা কতটুকু যৌক্তিক? বরং ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্হা মানুষের রন্ধে রন্ধে যখন পৌছে যাবে তখনই তো ইসলাম প্রতীষি্ঠা র পর্যায়ে রাষ্ট্রটি ধীরে ধীরে পৌছবে।

প্রথম পেরাতেই সে বিষয়টি খোলােসা করা হয়েছে যে,
////বৃহৎ অর্থে যদি বলা হয় ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের এক নম্বর শর্ত কি? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে হলে আমদের ফিরে যেতে হবে রাসুল (সাHappy এর নেতৃত্বে মদীনায় সর্বপ্রথম ( খতমে নবুয়্যাতের যুগে) যে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার দিকে। রাসুলের (সাWinking দাওয়াতে সাড়া দেওয়া মুষ্টিমেয় সংখ্যক মানুষকে তিনি যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তুলেছিলেন, সে প্রশিক্ষণটাকে বলা যেতে পারে সে সময়ের শিক্ষা ব্যবস্থা। দারুল আকরাম ছিল সর্বপ্রথম শিক্ষাকেন্দ্র যার আধুনিক পরিভাষা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় । পরবর্তীতে মদীনায় আসহাবে সুফফা ছিল আরেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের একদল মানুষ তৈরি হয়েছিল। যার প্রেক্ষাপটে মুসলিম উম্মাহ পেয়োছিল হযরত উমরের মত যোগ্য প্রশাসক (Public Administratator), হযরত মুগীরা ইবনে শোবার মত প্রখ্যাত কূটনীতিক (), হযরত আলীর (রা) মত একজন সুসাহিত্যিক, হযরত আবু উবাইদা ইবনুল যাররাহ (রাHappy এর মত সমরবাদী ()। এভাবে জ্ঞানের প্রত্যেকটা স্তরকে যদি আমরা তখনকার প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করি তাহলে সর্বক্ষেত্রেই পাওয়া যাবে পরিপূর্ণ মুসলমানদের। কারন তাদের বিশেষায়িত জ্ঞানের সাথে যোগ হয়েছিল ওহির জ্ঞান। ফলে তারা হয়ে উঠেছিলেন সবচেয়ে যোগ্য মানুষ। /////

so, islami education is the per-conditon of islami huQumat
১৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:৩৫
198519
অজানা পথিক লিখেছেন : পার্টিসিপেট করার জণ্যে অজস্য ভালোবাসা রইলো
255095
১৭ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৪:৫৬
বাজলবী লিখেছেন : সুন্দর প্রস্তাবনা তবে কাজ করে যেতে ।মালেক ভাইয়ের রেখে যাওয়া কাজ।ইসলামী অান্দোলনের কর্মীদের মাধ্যমে।জাযাকাল্লাহ খাইর।
১৭ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:০০
198861
অজানা পথিক লিখেছেন : শুকরিয়া....

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File