অবৈধ ট্রাইবুনালের রায় যাই হোকনা কেন! আমি আগাম প্রত্যাখ্যান করছি। দেখি কে কি বলে?
লিখেছেন লিখেছেন অজানা পথিক ০৮ অক্টোবর, ২০১৩, ০৮:৪২:৫১ রাত
যে ট্রাইবুনালের রায় লেখা হয় আইন মন্ত্রনালয়ে,
যে ট্রাইবুনালের রায়ের কপি অনলাইনে ঘোষনার আগেই ফাঁস হয়ে যায়,
যে ট্রাইবুনালের রায় লেখা শুরু হয় বিচার শুরুর আগে,
সে ট্রাইবুনালের কোন রায়ই গ্রহনযোগ্য হতে পারেনা
যে ট্রাইবুনালের প্রধান প্রসিকিউশন একজন প্রবাসী আইনজীবির সাথে বসে স্কাইপে যুদ্ধপরাধ নাটকের বিভিন্ন পর্ব ঠিক করে,ভীন দেশীদের কাছে নিজ দেশের বিচার ব্যাবস্হাকে কলঙ্কিত করে,
সে ট্রাইবুনালের সকল কার্যক্রমকে ধিক্কার জানাই।
যে ট্রাইবুনালের একজন আসামীপক্ষের স্বাক্ষীকে আদালত পাড়া থেকে গুম করা হয়, কিছুদিন পর প্রতিবেশী দেশের কারাগারে যার সন্ধান পাওয়া যায় ,
সে ট্রাইবুনালের বুকে লাথি মারি।
যে ট্রাইবুনালের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে রায় প্রকাশের আগেই
কথিত গনজাগরন মঞ্চ থেকে মৃত্যদন্ডের ঘোষনা দেওয়া হয়,
সে ট্রাইবুনাল নিপাত যাক।
যে ট্রইবুনাল কোন মৌলিক ডকুমেন্ট ছাড়া স্বাধীন দেশে দীর্ঘদিন রাজনীতি করা একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে শুধু পত্রিকার অনির্ভরযোগ্য নিউজের উপর ভিত্তি করে গুরুদন্ডে দন্ডিত করার স্পর্ধা দেখায়,
সে ট্রাইবুনাল নব্যবাকশালের উপমা ধারন করে।
যে ট্রাইবুনালের নিরপেক্ষতা দেশে বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ ,
সে ট্রাইবুনালের বিচারের প্রতি দেশের মানুষের বিন্দুমাত্র আস্হা থাকতে পারে না।
যে ট্রাইবুনাল জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে স্বাধীন দেশের বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠিকে ঘায়েল করতে চায়, শহীদের রক্ত আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কে পূজি করে ব্যাবসা করতে চায়,
সে ট্রাইবুনাল একটি বিশ্বাসঘাতক শ্রেনীর প্রতিনিধিত্ব করে, যারা জাতীয় বেঈমান।
সে ট্রাইবুনাল জঘন্য মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে আবদুল আলীমের আইনজীবী এডভোকেট তাজুল ইসলাম তার আসামী খালাস পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন গনমাধ্যমের কাছে।
খালাস পাক আর না পাক অথবা যাই হোক না কেন বিচারের নামে প্রহসনের এ নাটককে আগাম প্রত্যাখ্যান করছি।পুরো ব্যবস্হাটাই যেহেতু প্রশ্নবিদ্ধ সেখানে এর কোন কার্যক্রমকেই সমর্থন করা যায়না।
*
*
এরপরে ও যারা এ বিচারকে সমর্থন করেন তাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম...
এক.
আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা কি চেতনা নিয়ে ব্যাবসা করার জন্য এ যুদ্ধ করেছিলো?
দুই.
সত্যিই কি এ ট্রাইবুনাল পবিত্র মক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে?
তিন.
ট্রাইবুনাল যেভাবে বিচার কার্য সম্পাদন করছে, গনজাগরনের নামে শাহবাগে যা হচ্ছে, শাষকদল যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের বুলি আওড়িয়ে জনগনকে ধোকা দিচ্ছে,
এভাবেই কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করতে হয়?
আর যারা এ বিচারব্যবস্হাকে সমর্থন করেন না, আপনাদের মূল্যবান বক্তব্যগুলোও জাতিকে জানানো উচিত...........
একমত হলে আসুন একই সূরে কথা বলি।
বিষয়: রাজনীতি
১৭৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন