অধ্যাপক গোলাম আযম সম্পর্কে কবি আল মাহমুদ
লিখেছেন লিখেছেন অজানা পথিক ০৪ মে, ২০১৩, ০৫:৫৫:২০ বিকাল
অধ্যাপক গোলাম আযম সম্পর্কে বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং বর্তমান বাংলা সাহিত্যের প্রধান কবি আল মাহমুদ এর অভিমত (জুন,২০০২)
অধ্যাপক গোলাম আযম এর মত প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ এই উপমহাদেশে ক্রমাগত বিরল হয়ে এসেছে। তাঁর জীবনের খুটিনাটি বিষয় এবং রাজনৈতিক বিনিময়ের কৌতুহল উদ্দিপক ঘটনা অনেকেরই অজানা। তিনি সাহসী মানুষ এবং সুদৃড় মনবলের অধিকারী। তার বয়স আশির কোঠায়। কিন্তু তিনি অটুট স্বাস্হ্য এবং রাজনৈতিক ধীশক্তি সম্পন্ন। গত ৮০-র দশকে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে কেয়ারটেকার সরকারের ফর্মুলা দিয়ে জাতিকে এক ঘনায়মান রাজনৈতিক দুর্যোগ থেকে উদ্ধার করেছেন। এতে বুঝা য়ায়, তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এই ৮০ বছর বয়সেও সতেজ এবং উদ্ভাবনাময়।
তার ব্যাপারে আমার নিজেরও কৌতুহলের কোন সীমা নেই। তার অনেক রাজনৈতিক সীদ্ধান্ত আমাদের মত ব্যক্তিদের বোধগম্য নয়। যেমন তিনি সহসা আমীরে জামায়াতের পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহন করেছেন। কেন করেছেন এর কোন ব্যাখ্যা নেই। অমি একজন অল্প বুদ্ধি কবি এবং সাংবাদিক মাত্র। তাঁর এই অবসর গ্রহনের তাৎপর্য উপলদ্ধি করতে পারছিনা। হতে পারে যে,তিনি এর মধ্যে কোন বৃহৎ কল্যাণ দেখতে পেয়েছেন।
তিনি ইতিহাস নির্মাতা পুরুষ,অদম্য এবং অকুতোভয়। তাঁর দূরদৃষ্টি নিশ্চয় আমার মত কবির চেয়ে প্রখর,দিগন্ত বিস্তৃত এবং অনাগত কালের দিকে নিবদ্ধ। তবু একথা বলতে দ্বিধা নেই, বাংলাদেশের তথা এই উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত খুবই দুর্লভ। যিনি জেল-জুলুম,ফাসি ইত্যাদি তুচ্ছজ্ঞান করে সুদৃড় মনোবলের পরিচয় দিয়ে এসেছেন এবং বিপুল রাজনৈতিক শত্রুতা মোকাবেলা করে নিজের নাগরিক অধিকার আইনগত ভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, যিনি আগুন ও গন্ধকের নদী পাড়ী দিয়ে একটি বিক্ষিপ্ত রাজনৈতিক দলকে সংঘটিত এবং সুদৃড় করে বিজয়ের তোড়নের সন্নিকটে এনে উপস্থিত করেছেন।
সর্বদিক দিয়েই তিনি সতেজ মানুষ,আমি মাঝে মধ্যে তাঁর সান্নিধ্য পাই বলে একথা বিলক্ষণ জানি। তাঁর “জীবনে যা দেখলাম” বইটি অচিরেই এদেশের জ্ঞান সন্ধানী মানুষের হ্রদয়কে স্পর্শ করবে, আমি এ আশা নিয়ে বসে থাকব।
(সংক্ষেপিত)
বিস্তারিত দেখুন : বিশিষ্টজনের অভিমতClick this link
বিষয়: রাজনীতি
২২০৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন