৬ই এপ্রিল ২০১৩ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন
লিখেছেন লিখেছেন হিমেল তানভীর ০৫ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:৫৫:২৮ সকাল
আগামীকালের লংমার্চের দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশের ৩৩ কোটি চোখ। প্রতিটি ধর্মপ্রান মুসলমান অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কালকের দিনটির জন্য। কালকের দিনটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রাখছে সরকারী দল ও বিরোধী দল। আসলে ৬ই এপ্রিল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি স্মরণীয় দিন। লংমার্চের পক্ষে বিপক্ষে সভা সমাবেশে ব্যস্ত সবাই। ইতিমধ্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট ও এরাশাদ চাচার জাতীয় পার্টি লংমার্চকে সমর্থন করে এ আন্দোলনকে করেছে আরও উজ্জীবিত। সবদিক বিবেচনা করে চলতে হচ্ছে সরকারকে, তারা দুকুলই রক্ষা করার প্রানন্ত চেষ্টা করছে। সরকার আসলে বুঝে গেছে গণজাগরণ মঞ্চের উপর অতিমাত্রায় নির্ভর করা তাদের বড় ভুল হয়েছে। এর জন্য সরকারবিরোধী কিছু নাস্তিক ব্লগারকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে ইসলামকে খুশী করার চেষ্টা করছে কিন্তু দুঃখের বিষয় হল সরকারের এই নাটক উনারা ধরে ফেলেছে। এদিকে ব্লগার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ এবং একের পর এক তারা সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়ে যাচ্ছে। সরকার এখন আর তাদের পাত্তা দিচ্ছেনা, সরকার আসলে দেরীতে হলেও জনগণের পালস ধরতে পেরেছে। শেখ হাসিনার বুঝতে দেরি হলেও বেগম জিয়ার জনগণের আবেগ বুঝতে দেরি হয়নি।
পরশু রাতে কি মনে করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সহ ২৭টি সংগঠন আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতালের ডাক দিয়েছে। গতকাল আবার গণজাগরণ মঞ্চ আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল বিকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে অবরোধের ডাক দিয়েছে।কথাই আছে সুখে থাকলে ভূতে কিলায়, এরা আসলে পাগল হয়ে প্রলাপ বকছে। আরে ভাই লংমার্চের মুসল্লিরা যদি পেছাব করে তাহলেতো তোরা এমনিতেই ডুবে যাবি।তোমরা বুঝনাই হরতাল ডাকার পরও লংমার্চ করার জন্য পুলিশ কেন অনমুতি দেই!!
এসবের মধ্যেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মতিঝিলে আগামীকালের লংমার্চ পরবর্তী সমাবেশের অনুমতি প্রদান করেন। সরকার আসলে বুঝতে পেড়েছে বাংলাদেশের তৌহিদি জনতা যখন রাস্তায় নেমেছে তখন তাদের বাঁধা দিয়ে লাভ নেই, বাঁধা দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সরকার এমনিতেই আছে চরম সঙ্কটে,প্রশাসনে নেই চেইন অব কমান্ড। রাস্তায় মানুষকে পাখির মত গুলি করে মারছে পুলিশ, এইকয়দিনে ১৮০ জনের মত মানুষ পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায়।এই গণহত্যার কারণে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আজ জনগণ হতে বিচ্ছিন্ন।গণহত্যা এবং গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিরোধীদলের একের পর এক হরতালে সরকার একেবারে বিপর্যস্ত। এরমাঝে শিবির এবং কোথাও কোথাও সাধারণ মানুষের তোপের মুখে পুলিশ মার খাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সরকার এখন শুধুমাত্র ঢাকা নির্ভর হয়ে পরেছে। এসব চাপের মধ্যেই হেফাজতে ইসলামের ঢাকামুখী লংমার্চ সরকারকে আরও বেশী চাপে ফেলেছে। তাই সরকার চাচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে যেন এ কর্মসূচি পালিত হয় যাতে এরা আর মাঠে না থাকে; কারন এরা যদি ঢাকা এসে সরকারকে চেপে ধরে তবে সরকার এ চাপ সহ্য করতে পারবেনা। আশা করা যাচ্ছে আল্লামা শাহ আহমদ শফির আহাব্বনে ৫০ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমান এ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করবে।
আওয়ামীলীগ নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছে এ কর্মসূচীকে, অনেকে প্রশ্ন রাখছে এটা হেফাজতে জামায়েতে ইসলাম। হেফাজতে ইসলামের অনেক সমাবেশে দেখা গেছে শিবির কর্মীদের হাতে আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদির মুক্তি চাই প্ল্যকার্ড। এতে করে অনেকই প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়েছে। ঢাকাতেও হয়ত তারা এ ধরণের প্ল্যকার্ড নিয়ে আসবে এবং এত বড় কর্মসূচী হয়ত আবার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এক্ষেত্রে আমার কথা হল এসব প্ল্যকার্ড হাতে আর যায় হোক কারো মুক্তি আসবেনা। আওয়ামীলীগ এসব ছোটখাটো ভুল ধরেই এটাকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করবে। খেয়াল রাখতে হবে এসব ছোটখাটো ভুলের কারনেই আজ গণজাগরণ মঞ্চ আজ ব্যর্থ।
আগামীকাল আসলে অনেক কিছু ঘোটতে পারে। তবে কাল যাই ঘটুক না কেন এই কয়দিনে আমাদের অনেক কিছু প্রাপ্তি হয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হল- এখন আর কেউ ইসলাম, আল্লাহ্ তায়ালা এবং নবী করিম (সাঃ)কে নিয়ে কুটুক্তি করার সাহস পায় না। আগামীকালের পর থেকে হয়ত ইসলামের অবমাননা কারীদের কাছ থেকে আমরা চিরমুক্তি পাবো। বাংলাদেশের তৌহিদি জনতা বারবার প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের মাটিতে ধর্মদ্রোহীদের স্থান নাই।
বিষয়: বিবিধ
১১৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন