নারি অধিকার ধ্বংস কারি হেফাজত
লিখেছেন লিখেছেন লাগারেকাডিরা ১৯ মে, ২০১৩, ০৫:১১:৩১ বিকাল
একটি বাস্তব ঘটনা। “আমার বন্ধু নাজমুল পড়াশোনা করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ, তবে পড়ার চেয়ে বাবার প্রতিষ্ঠিত রিয়েলস্টেট কম্পানি দেখাশোনা করে বেশি। ও আবার ফেসবুকে আরলি মেরিজ কেম্পেইং এর মেম্বার। তো ফেসবুকে এক প্রবাসী বন্ধুর সাথে পরিচয়, বাড়ি কুমিল্লা, নাম বিজয়। বিজয় ফেসবুকে বলে ও দেশে আসবে এসে বিয়ে করবে, নাজমুল এতে খুব উৎসাহ দেয়। বিজয় বলে তোমাকে থাকতে হবে। নাজমুল বলে অবশ্যই থাকব। কয়েকমাস পর বিজয় দেশে আসে এবং বিয়ে করে ,দিন তারিখ নাজমুলকে জানানো ছিল। অফিস থেকে বের হয়ে নাজমুল কোর্ট টাই পরা অবস্থায় বিজয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যায়। নাজমুল বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে পড়ে এক সমস্যায় তা হলো বিজয়ের বাবা নাজমুলকে স্যার বলে সম্বোধন করে। এখানে বিজয়ের বাবা নাজমুলকে তুমি করে বলা দরকার ছিল।”
হাঁসপাতালে রোগি সেবা গ্রহিতা এবং ডাক্তার সেবা দাতা। সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেন মা, দুধ ও পান করান মা এর কোনটাই বাবা করান না। এখনও বাংলাদেশে বাস, সিএনজি, রিক্সা, চালক মায়ে পাওয়া খুবই কঠিন হবে পাওয়া যাবেনা বললেই চলে। সবাই পুরুষ চালক।
অর্থাৎ সকল মানুষেরই মর্যাদা আছে তবে সব জায়গায় সমান নয়। নাজমুল তাঁর আফিসে স্যার কিন্তু বন্ধুর বাবার কাছে পুত্র সমতুল্য, হাঁসপাতালে ডাক্তারের মর্যাদাই বেশি, আবার ডাক্তার যখন বাসে উঠেন তখন তাঁকে ড্রাইভারের সিটে বসতে দেওয়া হয় না, কারণ সেখানে ড্রাইভারকে বলা হয় উস্তাদ, কে মুজুর কে হুজুর দেখা হয় না।
হেফাজতে ইসলাম কিছু দাবি তোলেছিলো, তাঁর মধ্যে একটি ছিলো নারি পুরুষের অবাধ মেলামেশা বন্ধ করণ। এই দাবির মানে ছিলো এই, যে নারি পুরুষ গার্মেন্টস এ কাজ করবে কিন্তু , নারির পর্দার ব্যবস্থা থাকবে, নারি সাংবাদিক থাকবে কিন্তু তারা সংবাদ পরিবেশন করবেন পর্দার মধ্যে থেকে শরীর প্রদর্শন নয়, নারিরা ব্যাংকার হবে পর্দা রক্ষা করে। চন্দ্রিমা উদ্যানে, রমনা পার্কে, ধানমন্ডি লেকে সন্ধার পর মেয়েরা তাঁদের ইজ্জৎ বয়ফ্রেন্ডের হাতে বিলিয়ে দিবে না।
যারা বিভিন্ন সুপার স্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে, নারি প্রগতির নামে, নারি মঞ্চের নামে। বিভিন্ন মিডিয়া কন্ট্রোলারদের হাতে, পুলিশের হাতে , ছেলে মেয়ের অবাধ মেলামেশায় উৎসাহ দেয়ার মাধ্যমে বন্ধুর হাতে, এদেশের নারিদের ইজ্জৎ বিলিয়েদেয়ার ব্যবস্থা করেছে, তারা বলছে এ দাবি মধ্যযোগিয় নারি অধিকার বিধ্বংসী। বাস্তব কথা হল তারা যা করছে তা মধ্যযোগীয় বর্বরতার আধুনিকায়ন ছাড়া আরকিছুই না।
৫ই মে রক্ত ঝরেছে ঝরেছিলো কালো ২৫শে ও , ২৫শের বদলা হয়েছে বদলা হবে ৫ই মে রাতের কোরআনে হাফেজদের রক্তের ও ।
আমি কাডিরা সাধারণ মানুষ সাধারণ ভাষা।
বিষয়: বিবিধ
২৩০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন