খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ, একই প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার অবস্থান ( কঠিন তুলনামুলক পোষ্ট)

লিখেছেন লিখেছেন এম আর সুমন ২৫ মার্চ, ২০১৩, ০৭:৫১:৫২ সন্ধ্যা



অনেকের খালেদা সংক্রান্ত ভাবনা অত্যন্ত একপেশে। সম্প্রতি খালেদা জিয়ার বক্তব্য বিবৃতিগুলোর মিথ্যা ব্যাখ্যা দিয়ে অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগের পাহাড় গড়ছেন অনেকে। জামাত প্রসঙ্গ থেকে হালের সেনাবাহিনী প্রশ্নে খালেদা যে দেশটাকে একেবারে রসাতলে নিয়ে ফেলেছেন এতে অনেকেরই কোনো সন্দেহ নাই দেখলাম। আমি একটু খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেছি যে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এদের করা অভিযোগগুলি কি।

মজার বিষয় হল সেসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা গেল অভিযোগ গুলো খালেদা জিয়ার চাইতে হাসিনার বিরুদ্ধেই বরং বেশি করে করা যায়।

প্রথমেই অভিযোগগুলোর প্রাপ্তির জন্য আমি বিভিন্ন ব্লগ , ফেসবুক ও পত্রপত্রিকায় যারা খালেদার সমালোচনা করতে করতে মুখে ইতিমধ্যেই ঘা বানিয়ে ফেলেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমাকে অভিযোগ গুলো খুঁজতে বেশি কষ্ট করতে হয় নি।

আমি এইখানে শুধু অভিযোগ গুলি পাল্টা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা যায় কিনা তাই দেখার চেষ্টা করেছি।

সুতরাং এই পোষ্ট ডিফেন্ডিং খালেদা পোষ্ট না। তাই খালেদার বিরুদ্ধে ওনাদের করা প্রত্যেকটি অভিযোগই আলোচনায় আনবো।

আমি আবারো বলছি , একটা মজার বিষয় হচ্ছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আপনি যে সব অভিযোগ করলেন তার প্রত্যেকটিই খালেদা জিয়ার চাইতে আরো বেশি বেশি হাসিনার বিরুদ্ধে করা যায়।

দেখা যাক একে একে,

১। প্রসঙ্গ যখন জামাতঃ খালেদাকে নিয়ে ওনাদের অভিযোগ-- খালেদা জিয়া জামাতের আমীর। তার কথায়ই জামাত চলে, আবার কেউ কেউ দশ ডিগ্রী উপরে গিয়ে বরেছেন জামাতের কথায়ই খালেদা চলেন। জামাত এর সাথে তাদের সম্পৃক্ততায় দেশের সকল সুশীল সমাজ অনেক অনেক ঘুমের ওষুধ খেয়েও ঠিকমত ঘুমাতে পারছেন না। মোটামুটি এগুলোই অভিযোগ।

শেখ হাসিনার অবস্থানঃ শহীর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় জামাত নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন পায়নি। তখন দেশে দুইটা নির্বাচন হয়েছে। যাতে আওয়ামী লীগ অংশ নিয়েছে, কিন্তু জামাত নিতে পারে নি। এই জামাত হাসিনার হাত ধরে, তার প্রত্যক্ষ মদদে প্রথম নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পায় ১৯৮৬ সালে। সেই জাতীয় বেঈমানীর ইতিহাসে জামাতও শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিল।

সেই থেকে হাসিনার সাথে জামাতের সখ্যতা।

শেখ হাসিনা ১৯৯৫ তে মিন্টু রোডের বিরোধী দলীয় নেত্রীর বাস ভবনে নিউইয়র্কের বাংলা চ্যানেল "রূপসী বাংলা"র পরিচালক আনিসুজ্জামান খোকন কে বলেন -

"আমি বিরোধী দলের নেত্রী , জামাত - জাতীয় পার্টিও বিরোধী দলের অন্তর্ভুক্ত। সেদিক থেকে আমি সংসদে তাদেরও নেত্রী"..

তাও কিন্তু এক দুই দিন নয় , জামাতের সাথে শেখ হাসিনার দলের দীর্ঘ পথ চলার ইতিহাস। আবার এই তত্বাবধায়ক আন্দোলনই তখন ইস্যু ছিল।

দেখা যাচ্ছে এই প্রসঙ্গে হাসিনা খালেদার চেয়ে কম নন। হঠাৎ করে সাধু সাজলেই তো আর হয় না।

২।খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ ঃ নারী নির্যাতনের সুপরিবেশ নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী দমন।,

শেখ হাসিনার অবস্থানঃ .এতগুলো ইস্যু একত্রিক করলাম । শেখ হাসিনার দুই আমলে নারী নির্যাতন কমে গিয়েছিল বলে তো কোনো পরিসংখ্যান নাই। এখোনো দেশে প্রতিদিন গড়ে ৬ জনের বেশি ধর্ষিতা হয়। যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এগুলো যে এককভাবে রাষ্ট্রপ্রধানের দায় তাও না। এমনকি সিমিন হোসেন রিমির পিএস , আওয়ামী লীগ নেতা কতৃক গৃহকর্মীকে নির্যাতন তো এ সময়ের বহুল আলোচিত ঘটনা।

আর তার চেয়েও বেশি হচ্ছে সেই অপরাধীকে শাস্তি না দেয়ার যে প্রচেষ্টা।

রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বীদের এই সরকারের চেয়ে বেশি কেউ নির্যাতন করেছে এটা এখন আর কোনো সুস্থ্য মানুষ বিশ্বাস করে না। অন্তত বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রকাশ্যে পুলিশ দিয়ে গুলি তো আর করানো হয়নি কখোনো। হাসিনা সরকারের আমলে গত চার বছরে আসলে কোনো ভিন্ন মতাবলম্বীকেই রাস্তায় নামতে দেয়া হয় নি।

৩। খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগঃ সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে আগুন দেয়া, ব্যপক নির্যাতন ইত্যাদি।

শেখ হাসিনার অবস্থানঃ সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে প্রতিদিনই কথা হচ্ছে। এই ইস্যুটি আওয়ামী লীগই কাজে লাগাতে চায়। আর এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে তারাই এ ঘটনা ঘটাচ্ছে। আর সেই অভিযোগ মুক্ত হওয়ার জন্য বিরোধী দলের আহ্বান সত্ত্বেও তারা কোনো বিচার বিভাগীয় তদন্ত করছে না। সুতরাং নিরপেক্ষ মানুষ তো যা বোঝার বুঝেই নিচ্ছে।

৪। খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগঃ বর্তমান সময়ে প্রকাশ্যেই সহিংসতায় উস্কানি দেয়া।

শেখ হাসিনার অবস্থানঃ প্রকাশ্যে সহিংসতায় উস্কানী দেয়াতেও খালেদা আরো দশ বছর চেষ্টা করলেও হাসিনার ধারে কাছে যেতে পারবেন না। কারন এখন পর্যন্ত একটা লাশের বদলে দশটা লাশ ফেলতে কিন্তু খালেদা বলেননি।

৫। খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগঃ সেনাবাহিনীতে বিশৃংখলা সৃষ্টির উস্কানি প্রদান ...

শেখ হাসিনার অবস্থানঃ একটি অভ্যুত্থান চেষ্টা , যেটা রহমান বিশ্বাস এর প্রেসিডেন্ট থাকা কালীন অবস্থায় ব্যর্থ করে দেয়া হয়, সেখানে শেখ হাসিনার মদদের অভিযোগ সবাই জানে। এরশাদ সামরীক শাসন নিয়ে আসলেও আওয়ামী লীগ পরবর্তী দুই বছরেও একটি বিবৃতি পর্যন্ত দেয়নি। বরং ৮৬ নির্বাচনে গিয়ে তাদের বৈধতা দিয়েছে। আর সামরীক মইনুদ্দিন সরকার তো তাদের ইনডিমিনিটি পেয়েছে, তাদের মহান আন্দোলনের ফসল।

৬ । খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগঃ একুশে আগষ্ট প্রসঙ্গঃ খালেদা জিয়ার মদদ, নিহত হয়েছিলেন ২২ জন। জজ মিযা সৃষ্টি ইত্যাদি।

শেখ হাসিনার অবস্থানঃ সরাসরি কোনো একুশে আগষ্ট শেখ হাসিনার আমলে ঘটেনি। সেটা একটা জঘন্য দিন ছিল। কিন্তু মদদের প্রশ্নে তার চেয়ে বর্তমান সরকার কমও করছে না। তারা তো প্রকাশ্যে পুলিশকে দিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের উপরে গুলি করাচ্ছে। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী , কয়েকজন কমিশনার সহ এ পর্যন্ত গুপ্ত হত্যার সংখ্যা প্রায় ২৩০ জন।

বিচারের নামে নাটক তো ভাই অনেক কথাই মনে করিয়ে দিল। সাগর রুনী থেকে শুরু করে ইলিয়াস আলী পর্যন্ত , ভ্যানিটি ব্যাগ চুরির নাটক থেকে ময়লার গাড়ি পোড়ানো , কত শত উদাহরন এদিকেও আছে। আর বিডিআর বিদ্রোহের গোঁজামিল তো আছেই।

৭। খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগঃ হরতাল আর সহিংসতায় মদদ।

শেখ হাসিনার অবস্থানঃ এখোনো হাসিনার হরতালের মত এক সাথে ১১ জনকে পুড়িয়ে মারে নি কেউ।

খালেদা জিয়ার শেখ হাসিনার চেয়ে বেশি হরতাল দিতে এখোনো দশ বছর চেষ্টা করতে হবে। এ পর্যন্ত তত্বাবধায়ক প্রশ্নে মোট প্রদত্ত হরতালের সংখ্যা ২৭ টি। যে প্রশ্নে শেখ হাসিনা দিয়েছিলেন ১৭৬ দিন হরতাল।

৮। খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগঃ সাম্প্রদায়িকতা

শেখ হাসিনার অবস্থানঃ খেলাফত মজলিশের সাথে চরম সাম্প্রদায়িক চুক্তি , রাজনৈতিক কারনে খানজাহান আলীর নাম ব্যবহার করে বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন , ইলেকশন আসলে হিজাব আর তজবিহ্ পরিধান। একটি দরবার থেকে নির্বাচনী কার্যকলাপ শুরু , সৌদি আরব থেকে নির্বাচনের ঘোষনা, মসজিদের দেয়াল ভাঙা , সংবিধানে বিসমিল্লাহ রেখে ডাবল স্টান্ডার্ড খেলা, জামাতের আমীরের কাছে নিজেদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে দোয়া চাইতে পাঠানো ।

আমি এখানে কাউকেই ডিফেন্ড করিনি। যে কাউকে যে কোনো অভিযোগ থেকে ডিফেন্ড করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে। আমি শুধু অভিযোগ গুলি তুলে দিয়েছি।[/bঅনেকের খালেদা সংক্রান্ত ভাবনা অত্যন্ত একপেশে। সম্প্রতি খালেদা জিয়ার বক্তব্য বিবৃতিগুলোর মিথ্যা ব্যাখ্যা দিয়ে অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগের পাহাড় গড়ছেন অনেকে। জামাত প্রসঙ্গ থেকে হালের সেনাবাহিনী প্রশ্নে খালেদা যে দেশটাকে একেবারে রসাতলে নিয়ে ফেলেছেন এতে অনেকেরই কোনো সন্দেহ নাই দেখলাম। আমি একটু খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেছি যে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এদের করা অভিযোগগুলি কি।

মজার বিষয় হল সেসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা গেল অভিযোগ গুলো খালেদা জিয়ার চাইতে হাসিনার বিরুদ্ধেই বরং বেশি করে করা যায়।

প্রথমেই অভিযোগগুলোর প্রাপ্তির জন্য আমি বিভিন্ন ব্লগ , ফেসবুক ও পত্রপত্রিকায় যারা খালেদার সমালোচনা করতে করতে মুখে ইতিমধ্যেই ঘা বানিয়ে ফেলেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমাকে অভিযোগ গুলো খুঁজতে বেশি কষ্ট করতে হয় নি।

আমি এইখানে শুধু অভিযোগ গুলি পাল্টা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা যায় কিনা তাই দেখার চেষ্টা করেছি।

সুতরাং এই পোষ্ট ডিফেন্ডিং খালেদা পোষ্ট না। তাই খালেদার বিরুদ্ধে ওনাদের করা প্রত্যেকটি অভিযোগই আলোচনায় আনবো।

[b]আমি আবারো বলছি , একটা মজার বিষয় হচ্ছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আপনি যে সব অভিযোগ করলেন তার প্রত্যেকটিই খালেদা জিয়ার চাইতে আরো বেশি বেশি হাসিনার বিরুদ্ধে করা যায়।


দেখা যাক একে একে,

১। প্রসঙ্গ যখন জামাতঃ খালেদাকে নিয়ে ওনাদের অভিযোগ-- খালেদা জিয়া জামাতের আমীর। তার কথায়ই জামাত চলে, আবার কেউ কেউ দশ ডিগ্রী উপরে গিয়ে বরেছেন জামাতের কথায়ই খালেদা চলেন। জামাত এর সাথে তাদের সম্পৃক্ততায় দেশের সকল সুশীল সমাজ অনেক অনেক ঘুমের ওষুধ খেয়েও ঠিকমত ঘুমাতে পারছেন না। মোটামুটি এগুলোই অভিযোগ।

শেখ হাসিনার অবস্থানঃ শহীর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় জামাত নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন পায়নি। তখন দেশে দুইটা নির্বাচন হয়েছে। যাতে আওয়ামী লীগ অংশ নিয়েছে, কিন্তু জামাত নিতে পারে নি। এই জামাত হাসিনার হাত ধরে, তার প্রত্যক্ষ মদদে প্রথম নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পায় ১৯৮৬ সালে। সেই জাতীয় বেঈমানীর ইতিহাসে জামাতও শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিল।

সেই থেকে হাসিনার সাথে জামাতের সখ্যতা।

শেখ হাসিনা ১৯৯৫ তে মিন্টু রোডের বিরোধী দলীয় নেত্রীর বাস ভবনে নিউইয়র্কের বাংলা চ্যানেল "রূপসী বাংলা"র পরিচালক আনিসুজ্জামান খোকন কে বলেন -

"আমি বিরোধী দলের নেত্রী , জামাত - জাতীয় পার্টিও বিরোধী দলের অন্তর্ভুক্ত। সেদিক থেকে আমি সংসদে তাদেরও নেত্রী"..

তাও কিন্তু এক দুই দিন নয় , জামাতের সাথে শেখ হাসিনার দলের দীর্ঘ পথ চলার ইতিহাস। আবার এই তত্বাবধায়ক আন্দোলনই তখন ইস্যু ছিল।

দেখা যাচ্ছে এই প্রসঙ্গে হাসিনা খালেদার চেয়ে কম নন। হঠাৎ করে সাধু সাজলেই তো আর হয় না।

২।খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ ঃ নারী নির্যাতনের সুপরিবেশ নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী দমন।,

শেখ হাসিনার অবস্থানঃ .এতগুলো ইস্যু একত্রিক করলাম । শেখ হাসিনার দুই আমলে নারী নির্যাতন কমে গিয়েছিল বলে তো কোনো পরিসংখ্যান নাই। এখোনো দেশে প্রতিদিন গড়ে ৬ জনের বেশি ধর্ষিতা হয়। যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এগুলো যে এককভাবে রাষ্ট্রপ্রধানের দায় তাও না। এমনকি সিমিন হোসেন রিমির পিএস , আওয়ামী লীগ নেতা কতৃক গৃহকর্মীকে নির্যাতন তো এ সময়ের বহুল আলোচিত ঘটনা।

আর তার চেয়েও বেশি হচ্ছে সেই অপরাধীকে শাস্তি না দেয়ার যে প্রচেষ্টা।

রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বীদের এই সরকারের চেয়ে বেশি কেউ নির্যাতন করেছে এটা এখন আর কোনো সুস্থ্য মানুষ বিশ্বাস করে না। অন্তত বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রকাশ্যে পুলিশ দিয়ে গুলি তো আর করানো হয়নি কখোনো। হাসিনা সরকারের আমলে গত চার বছরে আসলে কোনো ভিন্ন মতাবলম্বীকেই রাস্তায় নামতে দেয়া হয় নি।

৩। খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগঃ সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে আগুন দেয়া, ব্যপক নির্যাতন ইত্যাদি।

শেখ হাসিনার অবস্থানঃ সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে প্রতিদিনই কথা হচ্ছে। এই ইস্যুটি আওয়ামী লীগই কাজে লাগাতে চায়। আর এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে তারাই এ ঘটনা ঘটাচ্ছে। আর সেই অভিযোগ মুক্ত হওয়ার জন্য বিরোধী দলের আহ্বান সত্ত্বেও তারা কোনো বিচার বিভাগীয় তদন্ত করছে না। সুতরাং নিরপেক্ষ মানুষ তো যা বোঝার বুঝেই নিচ্ছে।

৪। খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগঃ বর্তমান সময়ে প্রকাশ্যেই সহিংসতায় উস্কানি দেয়া।

শেখ হাসিনার অবস্থানঃ প্রকাশ্যে সহিংসতায় উস্কানী দেয়াতেও খালেদা আরো দশ বছর চেষ্টা করলেও হাসিনার ধারে কাছে যেতে পারবেন না। কারন এখন পর্যন্ত একটা লাশের বদলে দশটা লাশ ফেলতে কিন্তু খালেদা বলেননি।

৫। খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগঃ সেনাবাহিনীতে বিশৃংখলা সৃষ্টির উস্কানি প্রদান ...

শেখ হাসিনার অবস্থানঃ একটি অভ্যুত্থান চেষ্টা , যেটা রহমান বিশ্বাস এর প্রেসিডেন্ট থাকা কালীন অবস্থায় ব্যর্থ করে দেয়া হয়, সেখানে শেখ হাসিনার মদদের অভিযোগ সবাই জানে। এরশাদ সামরীক শাসন নিয়ে আসলেও আওয়ামী লীগ পরবর্তী দুই বছরেও একটি বিবৃতি পর্যন্ত দেয়নি। বরং ৮৬ নির্বাচনে গিয়ে তাদের বৈধতা দিয়েছে। আর সামরীক মইনুদ্দিন সরকার তো তাদের ইনডিমিনিটি পেয়েছে, তাদের মহান আন্দোলনের ফসল।

৬ । খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগঃ একুশে আগষ্ট প্রসঙ্গঃ খালেদা জিয়ার মদদ, নিহত হয়েছিলেন ২২ জন। জজ মিযা সৃষ্টি ইত্যাদি।

শেখ হাসিনার অবস্থানঃ সরাসরি কোনো একুশে আগষ্ট শেখ হাসিনার আমলে ঘটেনি। সেটা একটা জঘন্য দিন ছিল। কিন্তু মদদের প্রশ্নে তার চেয়ে বর্তমান সরকার কমও করছে না। তারা তো প্রকাশ্যে পুলিশকে দিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের উপরে গুলি করাচ্ছে। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী , কয়েকজন কমিশনার সহ এ পর্যন্ত গুপ্ত হত্যার সংখ্যা প্রায় ২৩০ জন।

বিচারের নামে নাটক তো ভাই অনেক কথাই মনে করিয়ে দিল। সাগর রুনী থেকে শুরু করে ইলিয়াস আলী পর্যন্ত , ভ্যানিটি ব্যাগ চুরির নাটক থেকে ময়লার গাড়ি পোড়ানো , কত শত উদাহরন এদিকেও আছে। আর বিডিআর বিদ্রোহের গোঁজামিল তো আছেই।

৭। খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগঃ হরতাল আর সহিংসতায় মদদ।

শেখ হাসিনার অবস্থানঃ এখোনো হাসিনার হরতালের মত এক সাথে ১১ জনকে পুড়িয়ে মারে নি কেউ।

খালেদা জিয়ার শেখ হাসিনার চেয়ে বেশি হরতাল দিতে এখোনো দশ বছর চেষ্টা করতে হবে। এ পর্যন্ত তত্বাবধায়ক প্রশ্নে মোট প্রদত্ত হরতালের সংখ্যা ২৭ টি। যে প্রশ্নে শেখ হাসিনা দিয়েছিলেন ১৭৬ দিন হরতাল।

৮। খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগঃ সাম্প্রদায়িকতা

শেখ হাসিনার অবস্থানঃ খেলাফত মজলিশের সাথে চরম সাম্প্রদায়িক চুক্তি , রাজনৈতিক কারনে খানজাহান আলীর নাম ব্যবহার করে বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন , ইলেকশন আসলে হিজাব আর তজবিহ্ পরিধান। একটি দরবার থেকে নির্বাচনী কার্যকলাপ শুরু , সৌদি আরব থেকে নির্বাচনের ঘোষনা, মসজিদের দেয়াল ভাঙা , সংবিধানে বিসমিল্লাহ রেখে ডাবল স্টান্ডার্ড খেলা, জামাতের আমীরের কাছে নিজেদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে দোয়া চাইতে পাঠানো ।

আমি এখানে কাউকেই ডিফেন্ড করিনি। যে কাউকে যে কোনো অভিযোগ থেকে ডিফেন্ড করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে। আমি শুধু অভিযোগ গুলি তুলে দিয়েছি।

বিষয়: বিবিধ

১১১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File