রনি গ্রেপ্তারের হিসেব নিকেশ
লিখেছেন লিখেছেন এম আর সুমন ২৫ জুলাই, ২০১৩, ০৭:৩৪:৩১ সন্ধ্যা
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনিকে গ্রেফতার ও জেলহাজতে প্রেরনের ঘটনায় লাভ ক্ষতির হিসেব চলছে বিভিন্ন মহলে। ঘটনাটির সুফল বা কুফল নিয়ে চলছে নানান জল্পনা কল্পনা। রনির গ্রেফতারের ঘটনাটিকেও এক একজন এক একভাবে মূল্যায়ন করছেন। বিশেষ করে গোলাম মাওলা রনি কেবলমাত্র একজন সংসদ সদস্যই নন, তিনি একজন টকশো তারকাও বটে। টকশো তারকার ইমেজের কারনে এক শ্রেণীর নিরপেক্ষ জনসমর্থন তার দিকে রয়েছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
সরকারী দল থেকে রনিকে গ্রেফতারের ঘটনাটিকে বিভিন্ন ইতিবাচক মোড়কে পরিবেশন করা হচ্ছে। সরকারী দল এটিকে আইনের শাসন বলে দেখাতে চাইছে। তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই ঘটনায় প্রমান হয় যে কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আশরাফও একই রকম বক্তব্য রেখেছেন। কিন্তু এ ঘটনার ফলাফল সরকারী দলের জন্য ইতিবাচক নাও হতে পারে বলে ধারনা করছেন কেউ কেউ। বিশেষ করে গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি তার ফেসবুক স্টাটাসে সরকারী দলের উচ্চ মহলের সাথে দুর্নীতিবাজদের সখ্যতার ইংগিত দিয়েছেন ।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছেই। বিশেষ করে বিরোধী দলের এক্টিভিস্টরা মনে করেন, রনিকে বিশেষ স্বার্থে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সংসদ সদস্য শাওন এর গাড়িতে তার ড্রাইভার নিহত হওয়ার ঘটনায় অথবা এমপি কামাল মজুমদার কতৃক নারী সাংবাদিক লাঞ্জিত হওয়ার ঘটনায়ও এমন ভাবে সরকারের সক্রিয়তা দেখা যায়নি। সরকারী দলের একটি অংশের স্বার্থ সংরক্ষনের উদ্দেশ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে বলেও কেউ কেউ মনে করেন।
রনির গ্রেফতারে যেভাবে তড়িঘড়ি করা হয়েছে তাতে গতানুগতিক আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবিদের নেতা শ ম রেজাউল করিম। তিনি গতকাল একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলে বলেন, এই ঘটনায় সঠিক আইনি প্রক্রিয়া মানা হয় নি। তার ( রনির) জামিন বাতিলের পূর্বে অবশ্যই ডিফেন্স করতে দিতে হতো। কিন্তু তাকে সেই সুযোগ দেয়া হয়নি। সাংসদ রনি সরকারী দলে থেকেও বিভিন্ন সময়ে সরকারী অনেক কর্মকান্ডের সমালোচনা করতেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের মধ্যে বাম রাজনীতিবিদদের প্রাধান্য পাওয়ার বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখতেন না তিনি। তাই এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরের বাম ঘরানার নেতারা তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলেই ধারনা করা হচ্ছে। একই সাথে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে যেসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে রনির এই অবস্থ হয়েছে সেইসব ঘটনার বিচার নিয়েও। বিশেষ করে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারী নিয়ে এই ঘটনার সূত্রপাত বলে দাবি করেছেন এমপি রনি। সেক্ষেত্রে শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারীর সাথে যুক্তদের নতুন করে বিচারের দাবি উঠছে।
এদিকে রনিকে গ্রেফতারে সাংবাদিক নেতাদের দেয়া সাতদিনের আল্টিমেটামের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় আশাবাদী সাংবাদিক নেতারা নতুন উদ্যোমে সাগর রুনী হত্যাকান্ডের বিচার চাইছেন। পাশাপাশি এই সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনারও বিচার চাইছেন।
http://fastbdnews.com/?p=91
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন