ঢাকার রাজপথ নিরীহ জনগণের রক্তে রঞ্জিত, বৃটিশ এমপির বক্তব্য এবং আমাদের হলুদ মিডিয়া
লিখেছেন লিখেছেন এম আর সুমন ১৩ মে, ২০১৩, ০৫:৫২:০০ বিকাল
এতক্ষনে সম্ভবত সবাই দেখেছেন বৃটিশ এমপি জর্জ গ্যালওয়ে গতকাল লন্ডনে কি বলেছেন। তারপরেও যারা এটি পড়েননি তাদের জন্য হুবহু তুলে দিচ্ছি।
ঢাকার রাজপথ নিরীহ জনগণের রক্তে রঞ্জিত। আওয়ামী লীগ আজ জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এই রক্ত এক সাগর পানি দিয়ে ধৌত করা যাবে না। তিনি বলেন, হাসিনার বর্বরতা ইসরাইলি বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। ব্রিটিশ এমপি এ মির্মম জুলুমের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকারের কাছে শক্ত আওয়াজ উত্থাপনের জন্য অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি এ ঘৃণ্য গণহত্যার আন্তর্জাতিক তদন্ত ও সঠিক বিচারকার্য দাবি করেন। মিস্টার গ্যালওয়ে শাপলা চত্বর ও সাভারের হত্যাকা-ের কারণে হাসিনার কমনওয়েলথের সদস্যপদ বাতিলের জোর দাবিও জানান। জর্জ গ্যালওয়ে হেফাজতে ইসলাম ইউরোপের আহ্বায়ক মুফতি শাহ সদর উদ্দিনের নেতৃত্বে হেফাজতে আন্দোলনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সহযোগিতার ওয়াদা ব্যক্ত করেন।
সরকারী দলের পক্ষে বিদেশের কোনো এমপি একটু কাশি দিলেও তা আমাদের দেশের তথাকথিত সুশিল মিডিয়াগুলো খুব যত্ন করে ছাপে। কিন্তু আফসোস, উপরোক্ত বক্তব্য বৃটিশ একজন জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ন এমপির। যিনি কথা বললে বৃটিশ পত্রপত্রিকায় তা বেশ ফলাও করে ছাপানো হয়।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশের এই মিডিয়াগুলো চুপ থেকে আসলে কি করতে চাচ্ছে? এই যে ঘুর্নিঝড় মহাসেন আসছে, এখন আমি চোখ বুজে থাকলে কি আর ঝড় আসবে না? আমাদের দেশের মিডিয়াগুলো চুপ করে থাকলে কি বিশ্বব্যাপী এই সরকারের কর্মকান্ডের যে নিন্দা তা কি বন্ধ হয়ে যাবে?
সিএনএন এর সাংবাদিক ক্রিশ্চিয়ান আমানপৌর যখন আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীকে এক রকম অপমান করেছেন, তখন অনেকেই গেল গেল রব তুলেছিলো।
সত্যি বলতে কি, সেই অপমানের দায় একা হাসিনার না। সেই দায় জনগণেরও না। সেই দায় মূলত এদেশের এই হলুদ মিডিয়াগুলির। তারা এদেশের সরকারকে মিথ্যা বলায় উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। তাদের নখ দন্তহীন ও বিরামহীন চামচামীর কারনেই এদেশের সরকারের কর্তাব্যাক্তিরা জনগনের ইস্যুগুলো নিয়ে পাগলামো কথাবার্তা বলতে সাহস পায়।
একটি দেশের নিরীহ জনগনের শেষ আশ্রয় থাকে মিডিয়া। সেই মিডিয়াই যদি এত দুবৃত্তায়িত হয়, তবে মানুষ কোথায় যাবে?
একমাত্র সাধারণ জনগণের প্রতিরোধেই এই হলুদ সাংবাদিকতা থেকে জাতি রক্ষা পেতে পারে। সচেতন সবাইকে বলবো, আপনারা দেখেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্রিটিশ এমপির এই বক্তব্যটি কোন কোন মিডিয়া প্রচার করেনি।
তাদেরকে স্রেফ বয়কট করুন................
আর এদেরকে চেনা খুবই সহজ। এরা সব উল্টাপাল্টা যুক্তি দিবে। সেদিন দেখলাম বাকলালী প্রচারযন্ত্র ৭১ চ্যানেলে শ্যামল দত্ত বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে ৬ তারিখের গনহত্যার সাথে দুটি চ্যানেল বন্ধ হওয়ার কোনো সম্পর্ক নাই।
বোঝেন অবস্থা। এই রকম চামচা শ্রেনীর দলকানারা যে পত্রিকায় আছে, তাদের পত্রিকা বয়কট করুন। স্রেফ বয়কট করুন................
বিদ্রঃ অনেকে লিংক চাইতে পারেন , তাই দিয়ে দিচ্ছি..
http://www.dailyinqilab.com/details_news.php?id=107950&&%20page_id=%205
বিষয়: বিবিধ
১৮২০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন