হলুদ, জঘন্য মিডিয়াগুলির কাপড় খুইল্যা দেয়ার সময় হয়েছে। ওদের ভারত প্রীতির গুল্লি মারি ।
লিখেছেন লিখেছেন এম আর সুমন ২৪ এপ্রিল, ২০১৩, ০৭:০০:০১ সন্ধ্যা
ঘটনা হলো , ইদানিং প্রায় সব মিডিয়াই কোনো না কোনো ভাবে জনকন্ঠ হয়ে গেছে। অবাক করার মত বিষয়।
সাভারে যখন দুর্ঘটনাটি ঘটলো , বিএনপি তখন সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে হরতাল শিথিল করা হলো। সাভারের দুর্ঘটনা সংক্রান্ত সব কর্মকান্ড হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।
এরপরে যখন তারা দেখলো ঘটনা আরো ভয়াবহ, লাশের পরে লাশ আসতেছে, তখন তারা বললো, ঢাকা ও সাভারের হরতাল প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আর যখন দেখা গেল ঘটনা আরো বেশি খারাপ, সেনাবাহিনী বলছে তিন দিনের আগে উদ্ধার কাজ শেষ হবে না। তখন বিএনপি বিবেচনায় নিলো যে অনেকে গ্রামের বাড়ি থেকে তাদের মৃত ও আহত স্বজনদের দেখতে রওয়ানা হবেন। তাই দেশব্যাপী পুরোপুরি হরতাল প্রত্যাহার করা হয়।
ঘটনা এতটুকুই। বিএনপি যখন পুরোপুরি হরতাল প্রত্যাহার করে, তখনও দেশব্যাপী আরো তিন ঘন্টা হরতাল হওয়ার কথা। সুতরাং বিষয়টি খুবই প্রশংসার দাবি রাখে। এর আগেও বিএনপি রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে হরতাল প্রত্যাহার করেছিলো।
বিএনপি যখনই পজেটিভ রাজনীতি করতে চায় , হলুদ মিডিয়াগুলো তখনই তাদের নোংরা দাত বের করে বিষাক্ত কামড় বসায়। বিএনপির এই পজেটিভ রাজনীতিকে জনকন্ঠ নিউজ ২৪ লিখেছে , হরতাল প্রত্যাহার নিয়ে বিএনপির তামাশা'...এই শিরোনামে। নেগেটিভ নিউজিং কাকে বলে ও কত প্রকার হতে পারে।
জনকন্ঠের আলো লিখেছে, শেষ বেলায় সারা দেশে হরতাল প্রত্যাহার...'
দেখেন অবস্থা, যেখানে খোদ শেখ হাসিনা হরতাল প্রত্যাহারের জন্য বিরোধী দলকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, সেখানে এই মিডিয়াগুলো তো দেখা যায় হাসিনার থেকেও বেশি আওয়ামী লীগ !!!
ভবনের মালিক , আসল অপরাধী যুবলীগ নেতা রানার বিষয়ে জনকন্ঠের আলো একটি নিউজ দিয়েছে। তাতে মনে হয় তিনি না জানি কত ভাল মানুষ !!
দৈনিক কালের জনকন্ঠ ও জনকন্ঠ প্রতিদিন ( বসুন্ধরা) তো এ বিষয়ে কোনো নিউজই দেয় নি।
এবারে আমার শিরোনামের বিষয়টি খোলাসা করি।
আমি আর সামুতে ঢুকি না। বাকশালী এই প্রচারযন্ত্র অনেক আগেই ছেড়েছি। তারপরেও সাভারের এই ঘটনায় কিছু সময় অভিমান ভুলে একবার দেখলাম সামুতে কি হচ্ছে। সেখানে দেখলাম তাদের প্রমোশন হয়েছে।
বাকশালী চামচামীর সাথে সাথে তারা ভারতের চামচামীও স্টিকী করেছে। খুব সূক্ষ্ণভাবে এটা করা হচ্ছে। তারা আজ যে পোষ্টটি স্টিকী করেছে তা হলো তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র সুন্দরবন থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।
এগুলো করে আসলে তারা ইন্ডিয়ার এই কেন্দ্রটি দেশে স্থাপন করে ছাড়বে। মূল বিষয়টি হলো, সুন্দরবন থেকে সরিয়ে সেটা অন্য কোথাও স্থাপন করা হবে। যতি তাই হয় , তবে ষড়যন্ত্রটি কি বুঝতে পারছেন? সরকার দেখাবে যে আমরা দাবি মেনে অন্যত্র সরিয়ে দিলাম। কিন্তু তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রটি যেখানেই হবে, সেখানেই তো পরিবেশ মারাত্মকভাবে দুষিত হবে। আর ইন্ডিয়া তো চাইবেই যে এদেশের যে কোনো স্থানে এটি হোক। ওদের তো আর সুন্দরবনের পাশে দরকার নাই, একটা হলেই হয়।
সুতরাং আমার মনে হয় এসব বাকশালী প্রচারযন্ত্র অ্যাভয়েড করা উচিত।
আর বাড়তি হিসেবে চ্যানেল ৭১, সময়, মাছরাঙা , ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইত্যাদি দেখার সময় সেলফ সেন্সরশিপ এর ব্যবস্থা রাখবেন। ওদের ২০ শতাংশ কথা বিশ্বাস করবেন। বাকি সব মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
বিষয়: বিবিধ
১২৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন