হাম্বা বি ও সি টিমের বিএনপি প্রীতি ও একটি অতিশয় গোপন কথা

লিখেছেন লিখেছেন এম আর সুমন ২০ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:৫১:২৪ বিকাল

একের পর এক বিএনপির বান্ধব জালাইতেছে। ইহাদের সকলেরই বিএনপিকে লইয়া বড়ই দুশ্চিন্তা। ইহারা বিএনপি হেফাজত আর জামাতের মধ্যে বিলীন হইয়া যাইবে, সেই আশংকায় বিগত চারটি বছর নাওয়া , খাওয়া , ঘুম ইত্যাদি অতি জরুরী কর্মকান্ড হইতে বিরত রহিয়াছে। ভাবখানা এমন যে বিএনপি ইহাদের বড়ই প্রানের দল। কত দিনের আত্মার আত্মীয়! বিএনপির কিছু হইলে তাহা ইহারা কি করিয়া যে সহ্য করিবে ভাবিয়া কোনো কূল কিনারা পাওয়া যাইতেছে না।

বিএনপির এহেন শুভাকাংখির বৃদ্ধিতে অবাক হইবার ফুরসতটুকুও পাইলাম না। যখন দেখিলাম ক্লীন শেভড শাহদীন মালিক কিংবা সদ্য গজানো এক নেতা তাহার সদ্য গজানো দাড়ি লইয়া বিএনপির এহেন অধঃপতনে নিতান্তই কষ্টে কান্নাকাটি করিতেছে। এই ছোকরা নেতার নাম ইমরান সরকার। বিভিন্ন সময়ে খবরে আসিয়াছে , রাজাকারের এই নাতিটি আরেক রাজাকার মুরগী কবিরের সহিত মিলিত হইয়া ইসলামের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান লইয়াছে।

তাহাদের অতি বিএনপি প্রীতি যেমন জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি করিয়াছে তেমনি অনেককে অবাকও করিয়াছে।

ইহারা হাম্বালীগের বি টিম, সি কিংবা ডি টিমও হইতে পারে। এইসব পরিচয়েও ইহারা ধন্য। শ'তিনেক লোক লইয়া ইহারা জাতীয় সম্মেলন করিয়া বিএনপিকে বাঁচাইয়া তোলার তাগিদে তাহাদের যে আন্তরীকতা তাহা দেখাইয়া আমাকে নির্লজ্জ , বেহায়া ইত্যাদি শব্দ মনে করাইয়া দিল। ছেলেবেলায় আব্বা ( সুশিলতার এলার্জি থাকিলে আব্বু কিংবা ড্যাডিও পড়িতে পারেন) উপদেশ দিয়াছিলেন , এই সকল শব্দ যেন মুখে উচ্চারন না করি, তাই আমি সংবাদ সংগ্রহের নিমিত্তে উহাদের কর্মকান্ডে উপস্থিত থাকিলেও মুখে কিছুই উচ্চারন করিতে পারি নাই।

ইদানিং অনেকেই বলিয়া বেড়াইতেছেন যে হাম্বা বি, সি, ও ডি মুলত ইসলামের শত্রুদের রক্ষা করিবার নিমিত্তে কাজ করিতেছে। ইহারা জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়া , মাহমুদুর কে জেলে পাঠানো লইয়া কোনো কথা উচ্চারনও করিলো না। উহারা যতই বিএনপির প্রতি আলগা দরদ দেখাইতে চাহে ততই আমার মনে পড়িতেছিলো বিএনপির তো প্রায় সকল নেতাই এখন জেলে রহিয়াছেন। তাহা আমার মত নাদানের মনে আসিলেও এ বিষয়ে এই নাগরীক সমাজ ও তাহাদের জাতীয় (!!) ঐক্যের কোনো দুশ্চিন্তা দেখিতে পাইলাম না।

উহাদের ভাবখানা এমন যে, বিরোধী দলের সব নেতা জেলে, তাহাতে কি হইয়াছে, ইহাই গনতন্ত্র।

সংবাদপত্রগুলি স্বাধীন নহে, দেশের এক সাহসী সম্পাদককে কাপুরুষের মত ধরিয়া লইয়া গিয়া নির্যাতন করিতেছে, তাহাতে কি , ইহাই গনতন্ত্র।

মাহমুদুরকে শুধু নির্যাতনই নহে, উহার অনশনের খবরটি পর্যন্ত যথাসম্ভব চাপাইয়া রাখিতেছে, তাহার জন্য যাহারা গত দুইদিন প্রেসক্লাবে অনশন করিলো তাহাদের কথা তো মুখেই লইতেছে না, তাহাতে কি হইয়াছে , উহাই গনতন্ত্র !!



ইহা গনতন্ত্র কারন, গনত্রন্ত্রের মানসকন্যা , বিশ্বের শান্তির মডেল দাত্রী , বঙ্গবন্ধুর কন্যা ইহা বলিয়াছেণ। তিনি বলিয়াছেন গনতন্ত্র, সুতরাং গনতন্ত্র।


তাহা ছাড়া মাহমুদুরের চৌদ্দ গুষ্টি না খাইয়া থাকিলে তাহাদের কি যায় আসে। তাহাদের দেখিতে হইবে, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক মহামতি ইমরান সরকার না খাইয়া রহিয়াছেন কি না। অথবা সেই সরকারের কোনো বিলাসদ্রব্যে টান পড়িতেছে কি না। কিংবা জাতির শ্লোগানকন্যার চরিত্র কোথাও উম্মোচিত হইয়া গেল কিনা।

অথবা বিশ্বজিতের হত্যাকারীগনের হোন্ডা পোড়াইয়া ও উহাদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়া কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন করিতেছে কি না।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রচার সংখ্যার দৈনিকটির কি হাল হইলো, বা কি হইতে পারে, বা তাহার সম্পাদকের কি হইলো তাহা ভাবিবার মত সময় উহাদের নাই।

ইহাদের একমাত্র কাজ হেফাজতের দাবির ভুল ব্যাখ্যা দিয়া , ১২ ও ১৩ নম্বর দাবি যে কত খারাপ তাহা বোঝানো। ইহাদের দাবি যে কোনো মূল্যে হউক প্রথম দাবিখানা , সংবিধানে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস ও ২য় দাবি, ইসলাম বিদ্বেষীদে শাস্তি , তাহার উল্টা ব্যাখ্যা করিয়া প্রানের হাম্বাদিগকে পুনরায় ক্ষমতায় বসাইতে হইবে।

এইবারে সেই গোপন কথা....

আর তাহাদের প্রানের দাবি আর গোপন রাখিতে পারিতেছি না, আসিফ মহিউদ্দিনকে সসম্মানে মুক্তি দিয়া জাতিয় বীর খেতাব দিয়া , দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বীরোত্তম উপাধী প্রদান করা হউক। এই সকল দাবি এখন জানাইলে তো লোকে হাসিবে। তাই গোপনে কহিলাম।

বিষয়: বিবিধ

১৪৪৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File