প্রিয় বাংলাদেশে তুমি ভালো থেকো
লিখেছেন লিখেছেন সুহৃদ আকবর ২৫ মার্চ, ২০১৩, ০২:০১:১৭ রাত
কী সুন্দর আমাদের দেশ! চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। নদীর চ্ছলাৎ চ্ছলাৎ ঢেউ। মাঝির কন্ঠে পল্লীগীতি-ভাটিয়ালী গানের সুর। উদাস দুপুরে রাখালের বাঁশির সুর। লাল-সবুজের পতাকা! যে দেশে পাটিপাতার বনে সাপ আর বেজী খেলা করে। পুকুরে শাপলা ফোটে। পল্লীর দুলালীরা আলপথে হেঁটে যায়। ফুলের উপর প্রজাপতি পাখা নাড়ে। এমন দেশ কী পৃথিবীতে আর একটা আছে? এদেশের রয়েছে হাজারো আন্দোলন সংগ্রাম আর গৌরবোজ্জলের সমৃদ্ধ ইতিহাস। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, একানব্বই’য়ের অনেক বাঁক পেরিয়ে বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছি। এই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এত বছর পরে এসে যখন আমি বায়ান্ন’র আতœত্যাগের কথা স্বরণ করি তখন সত্যিই গর্বে আমাদের বুকটা ভরে যায়। একাত্তর’য়ের কথা উঠলে চোখের সামনে ভেসে উঠে লাখো লাখো মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি লিখছি। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে।
আমার বুকের ভেতর একটা নদী বইছে নিরবধি। ক্ষোভের আগুণে দগ্ধিভূত হচ্ছে আমার শরীরের রক্ত মাংশ। ঘৃণায় লজ্জায়, অপমানে, অভিমানে মাথা হেট হয়ে যায় যখন দেখি এই দেশকে নিয়ে সরকারী দল কামড়াকামড়ি করছে। খাবলে-ছিবড়ে খাচ্ছে তার সবুজ শরীর। অন্যদিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে আমাদের বিরোধীদলের চেলাচামুন্ডারা। একবার এক সরকার আসে তো অন্যবার আরেক সরকার আসে। তারা দুই দলই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও হচ্ছে। তারা দু’দলই হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিতে সেয়ানে সেয়ানে। মানে সমানে সমান। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সাধারণ জনগণ। বর্তমানে রাজনৈতিকদলগুলোর রাজনীতি দেখে একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, তারা দেশপ্রেম ও উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তবে তাদের মধ্যে দু’চারজন এমন মহৎ ব্যক্তি আছেন যে তাদের দেশপ্রেম, মানবসেবা, মানবিকা দেখে অভিভূত হয়ে যেতে হয়। তাদের পবিত্র চরণে কদমবুচি করতে মনে স্বাদ জাগে। বর্তমানে আমাদের দেশে কত সমস্যা! স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পরও এখনো শতকরা চল্লিশ পার্সেন্ট লোক দরিদ্রসীমার নীচে বাস করে। এছাড়া প্রতি বছর বন্যা, খরা, ঘূণিঝড়ে লাখো লাখো কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি তুপানে উড়ে যায়। নদীর বুকে বিলীন হয় হাজার হাজার মানুষের বসত ভিটা। এসব সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পারলেও দেয়নি কারণ, তারা সাধারণ হত দরিদ্র মানুষদেরকে নিয়ে রাজনীতি করে। তাদেরকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়। এভাবে যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক আমাদের দেশের আশানুরূপ উন্নয়ণ ঘটেনি। অপরদিকে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়ে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর ধর্ষণের খবর। আমরা তো এমন দেশ চাইনি! যে দেশে ২৮ অক্টোবর দেখতে হবে। লগি-বৈঠার আঘাতে জীবন্ত মানুষকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হবে! যে দেশে বিশ্বজিতের মত নিরীহ শ্রমিককে চাপাতির আঘাতে খুন হতে হবে। যে দেশে ময়না নামের একজন মেয়েকে দশদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হবে! যে দেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেড় হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশূণ্যে করার ফায়তারা করা হবে। গুড়িয়ে দেয়া হবে রাজনৈতিক মঞ্চ। যে দেশের শ্রমিকদের দু’বেলা খাবার জুটবে না। যে দেশে দাঁড়ি টুপি ইসলাম মুহাম্মাদ (স), সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে অশ্লীল কদর্য ভাষায় যেমন খুশি তেমন লিখা হবে! আবার মুখ বড় করে বলা হবে এটা নাকি হচ্ছে মুক্তবুদ্ধি-মুক্তচিন্তার প্রকাশ। যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ীতে পতাকা উড়বে! সত্যি আমরা এমন দেশ চাইনি। আপনারা কি চেয়েছেন? আমরা চেয়েছিলাম সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ। যে দেশে সকল ধর্মের সকল মতের সকল বর্ণের মানুষেরা শান্তিতে সৌহাদ্রপূর্ণ পরিবেশে বাস করবে। বাংলাদেশ নাম লেখাবে উন্নত দেশের তালিকায়। সে জন্য দেশপ্রেমিক, সৎ, যোগ্য, মেধাবী তরুণদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আর শিক্ষিত সমাজকে গা বাঁচিয়ে চলার নীতি পরিত্যাগ করতে হবে। সবকিছুর উপরে দেশকে ভালবাসতে হবে। ভাবতে হবে সাধারণ মানুষের কল্যানের কথা। দেশের উন্নয়নের কথা। দেশকে নিয়েই আবর্তিত হোক আমাদের সকল কর্মকান্ড।
কী সুন্দর আমাদের দেশ! চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। নদীর চ্ছলাৎ চ্ছলাৎ ঢেউ। মাঝির কন্ঠে পল্লীগীতি-ভাটিয়ালী গানের সুর। উদাস দুপুরে রাখালের বাঁশির সুর। লাল-সবুজের পতাকা! যে দেশে পাটিপাতার বনে সাপ আর বেজী খেলা করে। পুকুরে শাপলা ফোটে। পল্লীর দুলালীরা আলপথে হেঁটে যায়। ফুলের উপর প্রজাপতি পাখা নাড়ে। এমন দেশ কী পৃথিবীতে আর একটা আছে? এদেশের রয়েছে হাজারো আন্দোলন সংগ্রাম আর গৌরবোজ্জলের সমৃদ্ধ ইতিহাস। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, একানব্বই’য়ের অনেক বাঁক পেরিয়ে বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছি। এই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এত বছর পরে এসে যখন আমি বায়ান্ন’র আতœত্যাগের কথা স্বরণ করি তখন সত্যিই গর্বে আমাদের বুকটা ভরে যায়। একাত্তর’য়ের কথা উঠলে চোখের সামনে ভেসে উঠে লাখো লাখো মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি লিখছি। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে।
আমার বুকের ভেতর একটা নদী বইছে নিরবধি। ক্ষোভের আগুণে দগ্ধিভূত হচ্ছে আমার শরীরের রক্ত মাংশ। ঘৃণায় লজ্জায়, অপমানে, অভিমানে মাথা হেট হয়ে যায় যখন দেখি এই দেশকে নিয়ে সরকারী দল কামড়াকামড়ি করছে। খাবলে-ছিবড়ে খাচ্ছে তার সবুজ শরীর। অন্যদিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে আমাদের বিরোধীদলের চেলাচামুন্ডারা। একবার এক সরকার আসে তো অন্যবার আরেক সরকার আসে। তারা দুই দলই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও হচ্ছে। তারা দু’দলই হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিতে সেয়ানে সেয়ানে। মানে সমানে সমান। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সাধারণ জনগণ। বর্তমানে রাজনৈতিকদলগুলোর রাজনীতি দেখে একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, তারা দেশপ্রেম ও উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তবে তাদের মধ্যে দু’চারজন এমন মহৎ ব্যক্তি আছেন যে তাদের দেশপ্রেম, মানবসেবা, মানবিকা দেখে অভিভূত হয়ে যেতে হয়। তাদের পবিত্র চরণে কদমবুচি করতে মনে স্বাদ জাগে। বর্তমানে আমাদের দেশে কত সমস্যা! স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পরও এখনো শতকরা চল্লিশ পার্সেন্ট লোক দরিদ্রসীমার নীচে বাস করে। এছাড়া প্রতি বছর বন্যা, খরা, ঘূণিঝড়ে লাখো লাখো কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি তুপানে উড়ে যায়। নদীর বুকে বিলীন হয় হাজার হাজার মানুষের বসত ভিটা। এসব সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পারলেও দেয়নি কারণ, তারা সাধারণ হত দরিদ্র মানুষদেরকে নিয়ে রাজনীতি করে। তাদেরকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়। এভাবে যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক আমাদের দেশের আশানুরূপ উন্নয়ণ ঘটেনি। অপরদিকে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়ে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর ধর্ষণের খবর। আমরা তো এমন দেশ চাইনি! যে দেশে ২৮ অক্টোবর দেখতে হবে। লগি-বৈঠার আঘাতে জীবন্ত মানুষকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হবে! যে দেশে বিশ্বজিতের মত নিরীহ শ্রমিককে চাপাতির আঘাতে খুন হতে হবে। যে দেশে ময়না নামের একজন মেয়েকে দশদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হবে! যে দেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেড় হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশূণ্যে করার ফায়তারা করা হবে। গুড়িয়ে দেয়া হবে রাজনৈতিক মঞ্চ। যে দেশের শ্রমিকদের দু’বেলা খাবার জুটবে না। যে দেশে দাঁড়ি টুপি ইসলাম মুহাম্মাদ (স), সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে অশ্লীল কদর্য ভাষায় যেমন খুশি তেমন লিখা হবে! আবার মুখ বড় করে বলা হবে এটা নাকি হচ্ছে মুক্তবুদ্ধি-মুক্তচিন্তার প্রকাশ। যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ীতে পতাকা উড়বে! সত্যি আমরা এমন দেশ চাইনি। আপনারা কি চেয়েছেন? আমরা চেয়েছিলাম সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ। যে দেশে সকল ধর্মের সকল মতের সকল বর্ণের মানুষেরা শান্তিতে সৌহাদ্রপূর্ণ পরিবেশে বাস করবে। বাংলাদেশ নাম লেখাবে উন্নত দেশের তালিকায়। সে জন্য দেশপ্রেমিক, সৎ, যোগ্য, মেধাবী তরুণদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আর শিক্ষিত সমাজকে গা বাঁচিয়ে চলার নীতি পরিত্যাগ করতে হবে। সবকিছুর উপরে দেশকে ভালবাসতে হবে। ভাবতে হবে সাধারণ মানুষের কল্যানের কথা। দেশের উন্নয়নের কথা। দেশকে নিয়েই আবর্তিত হোক আমাদের সকল কর্মকান্ড।
কী সুন্দর আমাদের দেশ! চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। নদীর চ্ছলাৎ চ্ছলাৎ ঢেউ। মাঝির কন্ঠে পল্লীগীতি-ভাটিয়ালী গানের সুর। উদাস দুপুরে রাখালের বাঁশির সুর। লাল-সবুজের পতাকা! যে দেশে পাটিপাতার বনে সাপ আর বেজী খেলা করে। পুকুরে শাপলা ফোটে। পল্লীর দুলালীরা আলপথে হেঁটে যায়। ফুলের উপর প্রজাপতি পাখা নাড়ে। এমন দেশ কী পৃথিবীতে আর একটা আছে? এদেশের রয়েছে হাজারো আন্দোলন সংগ্রাম আর গৌরবোজ্জলের সমৃদ্ধ ইতিহাস। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, একানব্বই’য়ের অনেক বাঁক পেরিয়ে বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছি। এই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এত বছর পরে এসে যখন আমি বায়ান্ন’র আতœত্যাগের কথা স্বরণ করি তখন সত্যিই গর্বে আমাদের বুকটা ভরে যায়। একাত্তর’য়ের কথা উঠলে চোখের সামনে ভেসে উঠে লাখো লাখো মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি লিখছি। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে।
আমার বুকের ভেতর একটা নদী বইছে নিরবধি। ক্ষোভের আগুণে দগ্ধিভূত হচ্ছে আমার শরীরের রক্ত মাংশ। ঘৃণায় লজ্জায়, অপমানে, অভিমানে মাথা হেট হয়ে যায় যখন দেখি এই দেশকে নিয়ে সরকারী দল কামড়াকামড়ি করছে। খাবলে-ছিবড়ে খাচ্ছে তার সবুজ শরীর। অন্যদিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে আমাদের বিরোধীদলের চেলাচামুন্ডারা। একবার এক সরকার আসে তো অন্যবার আরেক সরকার আসে। তারা দুই দলই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও হচ্ছে। তারা দু’দলই হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিতে সেয়ানে সেয়ানে। মানে সমানে সমান। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সাধারণ জনগণ। বর্তমানে রাজনৈতিকদলগুলোর রাজনীতি দেখে একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, তারা দেশপ্রেম ও উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তবে তাদের মধ্যে দু’চারজন এমন মহৎ ব্যক্তি আছেন যে তাদের দেশপ্রেম, মানবসেবা, মানবিকা দেখে অভিভূত হয়ে যেতে হয়। তাদের পবিত্র চরণে কদমবুচি করতে মনে স্বাদ জাগে। বর্তমানে আমাদের দেশে কত সমস্যা! স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পরও এখনো শতকরা চল্লিশ পার্সেন্ট লোক দরিদ্রসীমার নীচে বাস করে। এছাড়া প্রতি বছর বন্যা, খরা, ঘূণিঝড়ে লাখো লাখো কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি তুপানে উড়ে যায়। নদীর বুকে বিলীন হয় হাজার হাজার মানুষের বসত ভিটা। এসব সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পারলেও দেয়নি কারণ, তারা সাধারণ হত দরিদ্র মানুষদেরকে নিয়ে রাজনীতি করে। তাদেরকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়। এভাবে যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক আমাদের দেশের আশানুরূপ উন্নয়ণ ঘটেনি। অপরদিকে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়ে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর ধর্ষণের খবর। আমরা তো এমন দেশ চাইনি! যে দেশে ২৮ অক্টোবর দেখতে হবে। লগি-বৈঠার আঘাতে জীবন্ত মানুষকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হবে! যে দেশে বিশ্বজিতের মত নিরীহ শ্রমিককে চাপাতির আঘাতে খুন হতে হবে। যে দেশে ময়না নামের একজন মেয়েকে দশদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হবে! যে দেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেড় হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশূণ্যে করার ফায়তারা করা হবে। গুড়িয়ে দেয়া হবে রাজনৈতিক মঞ্চ। যে দেশের শ্রমিকদের দু’বেলা খাবার জুটবে না। যে দেশে দাঁড়ি টুপি ইসলাম মুহাম্মাদ (স), সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে অশ্লীল কদর্য ভাষায় যেমন খুশি তেমন লিখা হবে! আবার মুখ বড় করে বলা হবে এটা নাকি হচ্ছে মুক্তবুদ্ধি-মুক্তচিন্তার প্রকাশ। যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ীতে পতাকা উড়বে! সত্যি আমরা এমন দেশ চাইনি। আপনারা কি চেয়েছেন? আমরা চেয়েছিলাম সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ। যে দেশে সকল ধর্মের সকল মতের সকল বর্ণের মানুষেরা শান্তিতে সৌহাদ্রপূর্ণ পরিবেশে বাস করবে। বাংলাদেশ নাম লেখাবে উন্নত দেশের তালিকায়। সে জন্য দেশপ্রেমিক, সৎ, যোগ্য, মেধাবী তরুণদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আর শিক্ষিত সমাজকে গা বাঁচিয়ে চলার নীতি পরিত্যাগ করতে হবে। সবকিছুর উপরে দেশকে ভালবাসতে হবে। ভাবতে হবে সাধারণ মানুষের কল্যানের কথা। দেশের উন্নয়নের কথা। দেশকে নিয়েই আবর্তিত হোক আমাদের সকল কর্মকান্ড।
কী সুন্দর আমাদের দেশ! চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। নদীর চ্ছলাৎ চ্ছলাৎ ঢেউ। মাঝির কন্ঠে পল্লীগীতি-ভাটিয়ালী গানের সুর। উদাস দুপুরে রাখালের বাঁশির সুর। লাল-সবুজের পতাকা! যে দেশে পাটিপাতার বনে সাপ আর বেজী খেলা করে। পুকুরে শাপলা ফোটে। পল্লীর দুলালীরা আলপথে হেঁটে যায়। ফুলের উপর প্রজাপতি পাখা নাড়ে। এমন দেশ কী পৃথিবীতে আর একটা আছে? এদেশের রয়েছে হাজারো আন্দোলন সংগ্রাম আর গৌরবোজ্জলের সমৃদ্ধ ইতিহাস। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, একানব্বই’য়ের অনেক বাঁক পেরিয়ে বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছি। এই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এত বছর পরে এসে যখন আমি বায়ান্ন’র আতœত্যাগের কথা স্বরণ করি তখন সত্যিই গর্বে আমাদের বুকটা ভরে যায়। একাত্তর’য়ের কথা উঠলে চোখের সামনে ভেসে উঠে লাখো লাখো মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি লিখছি। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে।
আমার বুকের ভেতর একটা নদী বইছে নিরবধি। ক্ষোভের আগুণে দগ্ধিভূত হচ্ছে আমার শরীরের রক্ত মাংশ। ঘৃণায় লজ্জায়, অপমানে, অভিমানে মাথা হেট হয়ে যায় যখন দেখি এই দেশকে নিয়ে সরকারী দল কামড়াকামড়ি করছে। খাবলে-ছিবড়ে খাচ্ছে তার সবুজ শরীর। অন্যদিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে আমাদের বিরোধীদলের চেলাচামুন্ডারা। একবার এক সরকার আসে তো অন্যবার আরেক সরকার আসে। তারা দুই দলই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও হচ্ছে। তারা দু’দলই হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিতে সেয়ানে সেয়ানে। মানে সমানে সমান। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সাধারণ জনগণ। বর্তমানে রাজনৈতিকদলগুলোর রাজনীতি দেখে একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, তারা দেশপ্রেম ও উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তবে তাদের মধ্যে দু’চারজন এমন মহৎ ব্যক্তি আছেন যে তাদের দেশপ্রেম, মানবসেবা, মানবিকা দেখে অভিভূত হয়ে যেতে হয়। তাদের পবিত্র চরণে কদমবুচি করতে মনে স্বাদ জাগে। বর্তমানে আমাদের দেশে কত সমস্যা! স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পরও এখনো শতকরা চল্লিশ পার্সেন্ট লোক দরিদ্রসীমার নীচে বাস করে। এছাড়া প্রতি বছর বন্যা, খরা, ঘূণিঝড়ে লাখো লাখো কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি তুপানে উড়ে যায়। নদীর বুকে বিলীন হয় হাজার হাজার মানুষের বসত ভিটা। এসব সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পারলেও দেয়নি কারণ, তারা সাধারণ হত দরিদ্র মানুষদেরকে নিয়ে রাজনীতি করে। তাদেরকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়। এভাবে যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক আমাদের দেশের আশানুরূপ উন্নয়ণ ঘটেনি। অপরদিকে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়ে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর ধর্ষণের খবর। আমরা তো এমন দেশ চাইনি! যে দেশে ২৮ অক্টোবর দেখতে হবে। লগি-বৈঠার আঘাতে জীবন্ত মানুষকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হবে! যে দেশে বিশ্বজিতের মত নিরীহ শ্রমিককে চাপাতির আঘাতে খুন হতে হবে। যে দেশে ময়না নামের একজন মেয়েকে দশদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হবে! যে দেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেড় হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশূণ্যে করার ফায়তারা করা হবে। গুড়িয়ে দেয়া হবে রাজনৈতিক মঞ্চ। যে দেশের শ্রমিকদের দু’বেলা খাবার জুটবে না। যে দেশে দাঁড়ি টুপি ইসলাম মুহাম্মাদ (স), সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে অশ্লীল কদর্য ভাষায় যেমন খুশি তেমন লিখা হবে! আবার মুখ বড় করে বলা হবে এটা নাকি হচ্ছে মুক্তবুদ্ধি-মুক্তচিন্তার প্রকাশ। যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ীতে পতাকা উড়বে! সত্যি আমরা এমন দেশ চাইনি। আপনারা কি চেয়েছেন? আমরা চেয়েছিলাম সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ। যে দেশে সকল ধর্মের সকল মতের সকল বর্ণের মানুষেরা শান্তিতে সৌহাদ্রপূর্ণ পরিবেশে বাস করবে। বাংলাদেশ নাম লেখাবে উন্নত দেশের তালিকায়। সে জন্য দেশপ্রেমিক, সৎ, যোগ্য, মেধাবী তরুণদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আর শিক্ষিত সমাজকে গা বাঁচিয়ে চলার নীতি পরিত্যাগ করতে হবে। সবকিছুর উপরে দেশকে ভালবাসতে হবে। ভাবতে হবে সাধারণ মানুষের কল্যানের কথা। দেশের উন্নয়নের কথা। দেশকে নিয়েই আবর্তিত হোক আমাদের সকল কর্মকান্ড।
কী সুন্দর আমাদের দেশ! চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। নদীর চ্ছলাৎ চ্ছলাৎ ঢেউ। মাঝির কন্ঠে পল্লীগীতি-ভাটিয়ালী গানের সুর। উদাস দুপুরে রাখালের বাঁশির সুর। লাল-সবুজের পতাকা! যে দেশে পাটিপাতার বনে সাপ আর বেজী খেলা করে। পুকুরে শাপলা ফোটে। পল্লীর দুলালীরা আলপথে হেঁটে যায়। ফুলের উপর প্রজাপতি পাখা নাড়ে। এমন দেশ কী পৃথিবীতে আর একটা আছে? এদেশের রয়েছে হাজারো আন্দোলন সংগ্রাম আর গৌরবোজ্জলের সমৃদ্ধ ইতিহাস। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, একানব্বই’য়ের অনেক বাঁক পেরিয়ে বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছি। এই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এত বছর পরে এসে যখন আমি বায়ান্ন’র আতœত্যাগের কথা স্বরণ করি তখন সত্যিই গর্বে আমাদের বুকটা ভরে যায়। একাত্তর’য়ের কথা উঠলে চোখের সামনে ভেসে উঠে লাখো লাখো মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি লিখছি। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে।
আমার বুকের ভেতর একটা নদী বইছে নিরবধি। ক্ষোভের আগুণে দগ্ধিভূত হচ্ছে আমার শরীরের রক্ত মাংশ। ঘৃণায় লজ্জায়, অপমানে, অভিমানে মাথা হেট হয়ে যায় যখন দেখি এই দেশকে নিয়ে সরকারী দল কামড়াকামড়ি করছে। খাবলে-ছিবড়ে খাচ্ছে তার সবুজ শরীর। অন্যদিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে আমাদের বিরোধীদলের চেলাচামুন্ডারা। একবার এক সরকার আসে তো অন্যবার আরেক সরকার আসে। তারা দুই দলই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও হচ্ছে। তারা দু’দলই হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিতে সেয়ানে সেয়ানে। মানে সমানে সমান। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সাধারণ জনগণ। বর্তমানে রাজনৈতিকদলগুলোর রাজনীতি দেখে একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, তারা দেশপ্রেম ও উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তবে তাদের মধ্যে দু’চারজন এমন মহৎ ব্যক্তি আছেন যে তাদের দেশপ্রেম, মানবসেবা, মানবিকা দেখে অভিভূত হয়ে যেতে হয়। তাদের পবিত্র চরণে কদমবুচি করতে মনে স্বাদ জাগে। বর্তমানে আমাদের দেশে কত সমস্যা! স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পরও এখনো শতকরা চল্লিশ পার্সেন্ট লোক দরিদ্রসীমার নীচে বাস করে। এছাড়া প্রতি বছর বন্যা, খরা, ঘূণিঝড়ে লাখো লাখো কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি তুপানে উড়ে যায়। নদীর বুকে বিলীন হয় হাজার হাজার মানুষের বসত ভিটা। এসব সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পারলেও দেয়নি কারণ, তারা সাধারণ হত দরিদ্র মানুষদেরকে নিয়ে রাজনীতি করে। তাদেরকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়। এভাবে যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক আমাদের দেশের আশানুরূপ উন্নয়ণ ঘটেনি। অপরদিকে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়ে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর ধর্ষণের খবর। আমরা তো এমন দেশ চাইনি! যে দেশে ২৮ অক্টোবর দেখতে হবে। লগি-বৈঠার আঘাতে জীবন্ত মানুষকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হবে! যে দেশে বিশ্বজিতের মত নিরীহ শ্রমিককে চাপাতির আঘাতে খুন হতে হবে। যে দেশে ময়না নামের একজন মেয়েকে দশদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হবে! যে দেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেড় হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশূণ্যে করার ফায়তারা করা হবে। গুড়িয়ে দেয়া হবে রাজনৈতিক মঞ্চ। যে দেশের শ্রমিকদের দু’বেলা খাবার জুটবে না। যে দেশে দাঁড়ি টুপি ইসলাম মুহাম্মাদ (স), সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে অশ্লীল কদর্য ভাষায় যেমন খুশি তেমন লিখা হবে! আবার মুখ বড় করে বলা হবে এটা নাকি হচ্ছে মুক্তবুদ্ধি-মুক্তচিন্তার প্রকাশ। যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ীতে পতাকা উড়বে! সত্যি আমরা এমন দেশ চাইনি। আপনারা কি চেয়েছেন? আমরা চেয়েছিলাম সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ। যে দেশে সকল ধর্মের সকল মতের সকল বর্ণের মানুষেরা শান্তিতে সৌহাদ্রপূর্ণ পরিবেশে বাস করবে। বাংলাদেশ নাম লেখাবে উন্নত দেশের তালিকায়। সে জন্য দেশপ্রেমিক, সৎ, যোগ্য, মেধাবী তরুণদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আর শিক্ষিত সমাজকে গা বাঁচিয়ে চলার নীতি পরিত্যাগ করতে হবে। সবকিছুর উপরে দেশকে ভালবাসতে হবে। ভাবতে হবে সাধারণ মানুষের কল্যানের কথা। দেশের উন্নয়নের কথা। দেশকে নিয়েই আবর্তিত হোক আমাদের সকল কর্মকান্ড।
কী সুন্দর আমাদের দেশ! চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। নদীর চ্ছলাৎ চ্ছলাৎ ঢেউ। মাঝির কন্ঠে পল্লীগীতি-ভাটিয়ালী গানের সুর। উদাস দুপুরে রাখালের বাঁশির সুর। লাল-সবুজের পতাকা! যে দেশে পাটিপাতার বনে সাপ আর বেজী খেলা করে। পুকুরে শাপলা ফোটে। পল্লীর দুলালীরা আলপথে হেঁটে যায়। ফুলের উপর প্রজাপতি পাখা নাড়ে। এমন দেশ কী পৃথিবীতে আর একটা আছে? এদেশের রয়েছে হাজারো আন্দোলন সংগ্রাম আর গৌরবোজ্জলের সমৃদ্ধ ইতিহাস। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, একানব্বই’য়ের অনেক বাঁক পেরিয়ে বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছি। এই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এত বছর পরে এসে যখন আমি বায়ান্ন’র আতœত্যাগের কথা স্বরণ করি তখন সত্যিই গর্বে আমাদের বুকটা ভরে যায়। একাত্তর’য়ের কথা উঠলে চোখের সামনে ভেসে উঠে লাখো লাখো মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি লিখছি। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে।
আমার বুকের ভেতর একটা নদী বইছে নিরবধি। ক্ষোভের আগুণে দগ্ধিভূত হচ্ছে আমার শরীরের রক্ত মাংশ। ঘৃণায় লজ্জায়, অপমানে, অভিমানে মাথা হেট হয়ে যায় যখন দেখি এই দেশকে নিয়ে সরকারী দল কামড়াকামড়ি করছে। খাবলে-ছিবড়ে খাচ্ছে তার সবুজ শরীর। অন্যদিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে আমাদের বিরোধীদলের চেলাচামুন্ডারা। একবার এক সরকার আসে তো অন্যবার আরেক সরকার আসে। তারা দুই দলই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও হচ্ছে। তারা দু’দলই হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিতে সেয়ানে সেয়ানে। মানে সমানে সমান। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সাধারণ জনগণ। বর্তমানে রাজনৈতিকদলগুলোর রাজনীতি দেখে একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, তারা দেশপ্রেম ও উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তবে তাদের মধ্যে দু’চারজন এমন মহৎ ব্যক্তি আছেন যে তাদের দেশপ্রেম, মানবসেবা, মানবিকা দেখে অভিভূত হয়ে যেতে হয়। তাদের পবিত্র চরণে কদমবুচি করতে মনে স্বাদ জাগে। বর্তমানে আমাদের দেশে কত সমস্যা! স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পরও এখনো শতকরা চল্লিশ পার্সেন্ট লোক দরিদ্রসীমার নীচে বাস করে। এছাড়া প্রতি বছর বন্যা, খরা, ঘূণিঝড়ে লাখো লাখো কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি তুপানে উড়ে যায়। নদীর বুকে বিলীন হয় হাজার হাজার মানুষের বসত ভিটা। এসব সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পারলেও দেয়নি কারণ, তারা সাধারণ হত দরিদ্র মানুষদেরকে নিয়ে রাজনীতি করে। তাদেরকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়। এভাবে যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক আমাদের দেশের আশানুরূপ উন্নয়ণ ঘটেনি। অপরদিকে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়ে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর ধর্ষণের খবর। আমরা তো এমন দেশ চাইনি! যে দেশে ২৮ অক্টোবর দেখতে হবে। লগি-বৈঠার আঘাতে জীবন্ত মানুষকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হবে! যে দেশে বিশ্বজিতের মত নিরীহ শ্রমিককে চাপাতির আঘাতে খুন হতে হবে। যে দেশে ময়না নামের একজন মেয়েকে দশদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হবে! যে দেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেড় হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশূণ্যে করার ফায়তারা করা হবে। গুড়িয়ে দেয়া হবে রাজনৈতিক মঞ্চ। যে দেশের শ্রমিকদের দু’বেলা খাবার জুটবে না। যে দেশে দাঁড়ি টুপি ইসলাম মুহাম্মাদ (স), সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে অশ্লীল কদর্য ভাষায় যেমন খুশি তেমন লিখা হবে! আবার মুখ বড় করে বলা হবে এটা নাকি হচ্ছে মুক্তবুদ্ধি-মুক্তচিন্তার প্রকাশ। যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ীতে পতাকা উড়বে! সত্যি আমরা এমন দেশ চাইনি। আপনারা কি চেয়েছেন? আমরা চেয়েছিলাম সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ। যে দেশে সকল ধর্মের সকল মতের সকল বর্ণের মানুষেরা শান্তিতে সৌহাদ্রপূর্ণ পরিবেশে বাস করবে। বাংলাদেশ নাম লেখাবে উন্নত দেশের তালিকায়। সে জন্য দেশপ্রেমিক, সৎ, যোগ্য, মেধাবী তরুণদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আর শিক্ষিত সমাজকে গা বাঁচিয়ে চলার নীতি পরিত্যাগ করতে হবে। সবকিছুর উপরে দেশকে ভালবাসতে হবে। ভাবতে হবে সাধারণ মানুষের কল্যানের কথা। দেশের উন্নয়নের কথা। দেশকে নিয়েই আবর্তিত হোক আমাদের সকল কর্মকান্ড।
কী সুন্দর আমাদের দেশ! চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। নদীর চ্ছলাৎ চ্ছলাৎ ঢেউ। মাঝির কন্ঠে পল্লীগীতি-ভাটিয়ালী গানের সুর। উদাস দুপুরে রাখালের বাঁশির সুর। লাল-সবুজের পতাকা! যে দেশে পাটিপাতার বনে সাপ আর বেজী খেলা করে। পুকুরে শাপলা ফোটে। পল্লীর দুলালীরা আলপথে হেঁটে যায়। ফুলের উপর প্রজাপতি পাখা নাড়ে। এমন দেশ কী পৃথিবীতে আর একটা আছে? এদেশের রয়েছে হাজারো আন্দোলন সংগ্রাম আর গৌরবোজ্জলের সমৃদ্ধ ইতিহাস। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, একানব্বই’য়ের অনেক বাঁক পেরিয়ে বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছি। এই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এত বছর পরে এসে যখন আমি বায়ান্ন’র আতœত্যাগের কথা স্বরণ করি তখন সত্যিই গর্বে আমাদের বুকটা ভরে যায়। একাত্তর’য়ের কথা উঠলে চোখের সামনে ভেসে উঠে লাখো লাখো মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি লিখছি। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে।
আমার বুকের ভেতর একটা নদী বইছে নিরবধি। ক্ষোভের আগুণে দগ্ধিভূত হচ্ছে আমার শরীরের রক্ত মাংশ। ঘৃণায় লজ্জায়, অপমানে, অভিমানে মাথা হেট হয়ে যায় যখন দেখি এই দেশকে নিয়ে সরকারী দল কামড়াকামড়ি করছে। খাবলে-ছিবড়ে খাচ্ছে তার সবুজ শরীর। অন্যদিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে আমাদের বিরোধীদলের চেলাচামুন্ডারা। একবার এক সরকার আসে তো অন্যবার আরেক সরকার আসে। তারা দুই দলই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও হচ্ছে। তারা দু’দলই হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিতে সেয়ানে সেয়ানে। মানে সমানে সমান। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সাধারণ জনগণ। বর্তমানে রাজনৈতিকদলগুলোর রাজনীতি দেখে একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, তারা দেশপ্রেম ও উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তবে তাদের মধ্যে দু’চারজন এমন মহৎ ব্যক্তি আছেন যে তাদের দেশপ্রেম, মানবসেবা, মানবিকা দেখে অভিভূত হয়ে যেতে হয়। তাদের পবিত্র চরণে কদমবুচি করতে মনে স্বাদ জাগে। বর্তমানে আমাদের দেশে কত সমস্যা! স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পরও এখনো শতকরা চল্লিশ পার্সেন্ট লোক দরিদ্রসীমার নীচে বাস করে। এছাড়া প্রতি বছর বন্যা, খরা, ঘূণিঝড়ে লাখো লাখো কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি তুপানে উড়ে যায়। নদীর বুকে বিলীন হয় হাজার হাজার মানুষের বসত ভিটা। এসব সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পারলেও দেয়নি কারণ, তারা সাধারণ হত দরিদ্র মানুষদেরকে নিয়ে রাজনীতি করে। তাদেরকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়। এভাবে যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক আমাদের দেশের আশানুরূপ উন্নয়ণ ঘটেনি। অপরদিকে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়ে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর ধর্ষণের খবর। আমরা তো এমন দেশ চাইনি! যে দেশে ২৮ অক্টোবর দেখতে হবে। লগি-বৈঠার আঘাতে জীবন্ত মানুষকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হবে! যে দেশে বিশ্বজিতের মত নিরীহ শ্রমিককে চাপাতির আঘাতে খুন হতে হবে। যে দেশে ময়না নামের একজন মেয়েকে দশদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হবে! যে দেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেড় হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশূণ্যে করার ফায়তারা করা হবে। গুড়িয়ে দেয়া হবে রাজনৈতিক মঞ্চ। যে দেশের শ্রমিকদের দু’বেলা খাবার জুটবে না। যে দেশে দাঁড়ি টুপি ইসলাম মুহাম্মাদ (স), সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে অশ্লীল কদর্য ভাষায় যেমন খুশি তেমন লিখা হবে! আবার মুখ বড় করে বলা হবে এটা নাকি হচ্ছে মুক্তবুদ্ধি-মুক্তচিন্তার প্রকাশ। যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ীতে পতাকা উড়বে! সত্যি আমরা এমন দেশ চাইনি। আপনারা কি চেয়েছেন? আমরা চেয়েছিলাম সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ। যে দেশে সকল ধর্মের সকল মতের সকল বর্ণের মানুষেরা শান্তিতে সৌহাদ্রপূর্ণ পরিবেশে বাস করবে। বাংলাদেশ নাম লেখাবে উন্নত দেশের তালিকায়। সে জন্য দেশপ্রেমিক, সৎ, যোগ্য, মেধাবী তরুণদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আর শিক্ষিত সমাজকে গা বাঁচিয়ে চলার নীতি পরিত্যাগ করতে হবে। সবকিছুর উপরে দেশকে ভালবাসতে হবে। ভাবতে হবে সাধারণ মানুষের কল্যানের কথা। দেশের উন্নয়নের কথা। দেশকে নিয়েই আবর্তিত হোক আমাদের সকল কর্মকান্ড।
কী সুন্দর আমাদের দেশ! চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। নদীর চ্ছলাৎ চ্ছলাৎ ঢেউ। মাঝির কন্ঠে পল্লীগীতি-ভাটিয়ালী গানের সুর। উদাস দুপুরে রাখালের বাঁশির সুর। লাল-সবুজের পতাকা! যে দেশে পাটিপাতার বনে সাপ আর বেজী খেলা করে। পুকুরে শাপলা ফোটে। পল্লীর দুলালীরা আলপথে হেঁটে যায়। ফুলের উপর প্রজাপতি পাখা নাড়ে। এমন দেশ কী পৃথিবীতে আর একটা আছে? এদেশের রয়েছে হাজারো আন্দোলন সংগ্রাম আর গৌরবোজ্জলের সমৃদ্ধ ইতিহাস। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, একানব্বই’য়ের অনেক বাঁক পেরিয়ে বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছি। এই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এত বছর পরে এসে যখন আমি বায়ান্ন’র আতœত্যাগের কথা স্বরণ করি তখন সত্যিই গর্বে আমাদের বুকটা ভরে যায়। একাত্তর’য়ের কথা উঠলে চোখের সামনে ভেসে উঠে লাখো লাখো মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি লিখছি। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে।
আমার বুকের ভেতর একটা নদী বইছে নিরবধি। ক্ষোভের আগুণে দগ্ধিভূত হচ্ছে আমার শরীরের রক্ত মাংশ। ঘৃণায় লজ্জায়, অপমানে, অভিমানে মাথা হেট হয়ে যায় যখন দেখি এই দেশকে নিয়ে সরকারী দল কামড়াকামড়ি করছে। খাবলে-ছিবড়ে খাচ্ছে তার সবুজ শরীর। অন্যদিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে আমাদের বিরোধীদলের চেলাচামুন্ডারা। একবার এক সরকার আসে তো অন্যবার আরেক সরকার আসে। তারা দুই দলই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও হচ্ছে। তারা দু’দলই হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিতে সেয়ানে সেয়ানে। মানে সমানে সমান। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সাধারণ জনগণ। বর্তমানে রাজনৈতিকদলগুলোর রাজনীতি দেখে একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, তারা দেশপ্রেম ও উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তবে তাদের মধ্যে দু’চারজন এমন মহৎ ব্যক্তি আছেন যে তাদের দেশপ্রেম, মানবসেবা, মানবিকা দেখে অভিভূত হয়ে যেতে হয়। তাদের পবিত্র চরণে কদমবুচি করতে মনে স্বাদ জাগে। বর্তমানে আমাদের দেশে কত সমস্যা! স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পরও এখনো শতকরা চল্লিশ পার্সেন্ট লোক দরিদ্রসীমার নীচে বাস করে। এছাড়া প্রতি বছর বন্যা, খরা, ঘূণিঝড়ে লাখো লাখো কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি তুপানে উড়ে যায়। নদীর বুকে বিলীন হয় হাজার হাজার মানুষের বসত ভিটা। এসব সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পারলেও দেয়নি কারণ, তারা সাধারণ হত দরিদ্র মানুষদেরকে নিয়ে রাজনীতি করে। তাদেরকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়। এভাবে যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক আমাদের দেশের আশানুরূপ উন্নয়ণ ঘটেনি। অপরদিকে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়ে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর ধর্ষণের খবর। আমরা তো এমন দেশ চাইনি! যে দেশে ২৮ অক্টোবর দেখতে হবে। লগি-বৈঠার আঘাতে জীবন্ত মানুষকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হবে! যে দেশে বিশ্বজিতের মত নিরীহ শ্রমিককে চাপাতির আঘাতে খুন হতে হবে। যে দেশে ময়না নামের একজন মেয়েকে দশদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হবে! যে দেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেড় হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশূণ্যে করার ফায়তারা করা হবে। গুড়িয়ে দেয়া হবে রাজনৈতিক মঞ্চ। যে দেশের শ্রমিকদের দু’বেলা খাবার জুটবে না। যে দেশে দাঁড়ি টুপি ইসলাম মুহাম্মাদ (স), সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে অশ্লীল কদর্য ভাষায় যেমন খুশি তেমন লিখা হবে! আবার মুখ বড় করে বলা হবে এটা নাকি হচ্ছে মুক্তবুদ্ধি-মুক্তচিন্তার প্রকাশ। যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ীতে পতাকা উড়বে! সত্যি আমরা এমন দেশ চাইনি। আপনারা কি চেয়েছেন? আমরা চেয়েছিলাম সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ। যে দেশে সকল ধর্মের সকল মতের সকল বর্ণের মানুষেরা শান্তিতে সৌহাদ্রপূর্ণ পরিবেশে বাস করবে। বাংলাদেশ নাম লেখাবে উন্নত দেশের তালিকায়। সে জন্য দেশপ্রেমিক, সৎ, যোগ্য, মেধাবী তরুণদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আর শিক্ষিত সমাজকে গা বাঁচিয়ে চলার নীতি পরিত্যাগ করতে হবে। সবকিছুর উপরে দেশকে ভালবাসতে হবে। ভাবতে হবে সাধারণ মানুষের কল্যানের কথা। দেশের উন্নয়নের কথা। দেশকে নিয়েই আবর্তিত হোক আমাদের সকল কর্মকান্ড।
কী সুন্দর আমাদের দেশ! চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। নদীর চ্ছলাৎ চ্ছলাৎ ঢেউ। মাঝির কন্ঠে পল্লীগীতি-ভাটিয়ালী গানের সুর। উদাস দুপুরে রাখালের বাঁশির সুর। লাল-সবুজের পতাকা! যে দেশে পাটিপাতার বনে সাপ আর বেজী খেলা করে। পুকুরে শাপলা ফোটে। পল্লীর দুলালীরা আলপথে হেঁটে যায়। ফুলের উপর প্রজাপতি পাখা নাড়ে। এমন দেশ কী পৃথিবীতে আর একটা আছে? এদেশের রয়েছে হাজারো আন্দোলন সংগ্রাম আর গৌরবোজ্জলের সমৃদ্ধ ইতিহাস। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, একানব্বই’য়ের অনেক বাঁক পেরিয়ে বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছি। এই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এত বছর পরে এসে যখন আমি বায়ান্ন’র আতœত্যাগের কথা স্বরণ করি তখন সত্যিই গর্বে আমাদের বুকটা ভরে যায়। একাত্তর’য়ের কথা উঠলে চোখের সামনে ভেসে উঠে লাখো লাখো মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি লিখছি। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে।
আমার বুকের ভেতর একটা নদী বইছে নিরবধি। ক্ষোভের আগুণে দগ্ধিভূত হচ্ছে আমার শরীরের রক্ত মাংশ। ঘৃণায় লজ্জায়, অপমানে, অভিমানে মাথা হেট হয়ে যায় যখন দেখি এই দেশকে নিয়ে সরকারী দল কামড়াকামড়ি করছে। খাবলে-ছিবড়ে খাচ্ছে তার সবুজ শরীর। অন্যদিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে আমাদের বিরোধীদলের চেলাচামুন্ডারা। একবার এক সরকার আসে তো অন্যবার আরেক সরকার আসে। তারা দুই দলই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও হচ্ছে। তারা দু’দলই হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিতে সেয়ানে সেয়ানে। মানে সমানে সমান। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সাধারণ জনগণ। বর্তমানে রাজনৈতিকদলগুলোর রাজনীতি দেখে একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, তারা দেশপ্রেম ও উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তবে তাদের মধ্যে দু’চারজন এমন মহৎ ব্যক্তি আছেন যে তাদের দেশপ্রেম, মানবসেবা, মানবিকা দেখে অভিভূত হয়ে যেতে হয়। তাদের পবিত্র চরণে কদমবুচি করতে মনে স্বাদ জাগে। বর্তমানে আমাদের দেশে কত সমস্যা! স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পরও এখনো শতকরা চল্লিশ পার্সেন্ট লোক দরিদ্রসীমার নীচে বাস করে। এছাড়া প্রতি বছর বন্যা, খরা, ঘূণিঝড়ে লাখো লাখো কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি তুপানে উড়ে যায়। নদীর বুকে বিলীন হয় হাজার হাজার মানুষের বসত ভিটা। এসব সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পারলেও দেয়নি কারণ, তারা সাধারণ হত দরিদ্র মানুষদেরকে নিয়ে রাজনীতি করে। তাদেরকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়। এভাবে যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক আমাদের দেশের আশানুরূপ উন্নয়ণ ঘটেনি। অপরদিকে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়ে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর ধর্ষণের খবর। আমরা তো এমন দেশ চাইনি! যে দেশে ২৮ অক্টোবর দেখতে হবে। লগি-বৈঠার আঘাতে জীবন্ত মানুষকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হবে! যে দেশে বিশ্বজিতের মত নিরীহ শ্রমিককে চাপাতির আঘাতে খুন হতে হবে। যে দেশে ময়না নামের একজন মেয়েকে দশদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হবে! যে দেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেড় হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশূণ্যে করার ফায়তারা করা হবে। গুড়িয়ে দেয়া হবে রাজনৈতিক মঞ্চ। যে দেশের শ্রমিকদের দু’বেলা খাবার জুটবে না। যে দেশে দাঁড়ি টুপি ইসলাম মুহাম্মাদ (স), সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে অশ্লীল কদর্য ভাষায় যেমন খুশি তেমন লিখা হবে! আবার মুখ বড় করে বলা হবে এটা নাকি হচ্ছে মুক্তবুদ্ধি-মুক্তচিন্তার প্রকাশ। যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ীতে পতাকা উড়বে! সত্যি আমরা এমন দেশ চাইনি। আপনারা কি চেয়েছেন? আমরা চেয়েছিলাম সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ। যে দেশে সকল ধর্মের সকল মতের সকল বর্ণের মানুষেরা শান্তিতে সৌহাদ্রপূর্ণ পরিবেশে বাস করবে। বাংলাদেশ নাম লেখাবে উন্নত দেশের তালিকায়। সে জন্য দেশপ্রেমিক, সৎ, যোগ্য, মেধাবী তরুণদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আর শিক্ষিত সমাজকে গা বাঁচিয়ে চলার নীতি পরিত্যাগ করতে হবে। সবকিছুর উপরে দেশকে ভালবাসতে হবে। ভাবতে হবে সাধারণ মানুষের কল্যানের কথা। দেশের উন্নয়নের কথা। দেশকে নিয়েই আবর্তিত হোক আমাদের সকল কর্মকান্ড।
কী সুন্দর আমাদের দেশ! চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। নদীর চ্ছলাৎ চ্ছলাৎ ঢেউ। মাঝির কন্ঠে পল্লীগীতি-ভাটিয়ালী গানের সুর। উদাস দুপুরে রাখালের বাঁশির সুর। লাল-সবুজের পতাকা! যে দেশে পাটিপাতার বনে সাপ আর বেজী খেলা করে। পুকুরে শাপলা ফোটে। পল্লীর দুলালীরা আলপথে হেঁটে যায়। ফুলের উপর প্রজাপতি পাখা নাড়ে। এমন দেশ কী পৃথিবীতে আর একটা আছে? এদেশের রয়েছে হাজারো আন্দোলন সংগ্রাম আর গৌরবোজ্জলের সমৃদ্ধ ইতিহাস। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, একানব্বই’য়ের অনেক বাঁক পেরিয়ে বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছি। এই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এত বছর পরে এসে যখন আমি বায়ান্ন’র আতœত্যাগের কথা স্বরণ করি তখন সত্যিই গর্বে আমাদের বুকটা ভরে যায়। একাত্তর’য়ের কথা উঠলে চোখের সামনে ভেসে উঠে লাখো লাখো মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি লিখছি। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে।
আমার বুকের ভেতর একটা নদী বইছে নিরবধি। ক্ষোভের আগুণে দগ্ধিভূত হচ্ছে আমার শরীরের রক্ত মাংশ। ঘৃণায় লজ্জায়, অপমানে, অভিমানে মাথা হেট হয়ে যায় যখন দেখি এই দেশকে নিয়ে সরকারী দল কামড়াকামড়ি করছে। খাবলে-ছিবড়ে খাচ্ছে তার সবুজ শরীর। অন্যদিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে আমাদের বিরোধীদলের চেলাচামুন্ডারা। একবার এক সরকার আসে তো অন্যবার আরেক সরকার আসে। তারা দুই দলই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও হচ্ছে। তারা দু’দলই হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিতে সেয়ানে সেয়ানে। মানে সমানে সমান। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সাধারণ জনগণ। বর্তমানে রাজনৈতিকদলগুলোর রাজনীতি দেখে একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, তারা দেশপ্রেম ও উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তবে তাদের মধ্যে দু’চারজন এমন মহৎ ব্যক্তি আছেন যে তাদের দেশপ্রেম, মানবসেবা, মানবিকা দেখে অভিভূত হয়ে যেতে হয়। তাদের পবিত্র চরণে কদমবুচি করতে মনে স্বাদ জাগে। বর্তমানে আমাদের দেশে কত সমস্যা! স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পরও এখনো শতকরা চল্লিশ পার্সেন্ট লোক দরিদ্রসীমার নীচে বাস করে। এছাড়া প্রতি বছর বন্যা, খরা, ঘূণিঝড়ে লাখো লাখো কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি তুপানে উড়ে যায়। নদীর বুকে বিলীন হয় হাজার হাজার মানুষের বসত ভিটা। এসব সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পারলেও দেয়নি কারণ, তারা সাধারণ হত দরিদ্র মানুষদেরকে নিয়ে রাজনীতি করে। তাদেরকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়। এভাবে যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক আমাদের দেশের আশানুরূপ উন্নয়ণ ঘটেনি। অপরদিকে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়ে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর ধর্ষণের খবর। আমরা তো এমন দেশ চাইনি! যে দেশে ২৮ অক্টোবর দেখতে হবে। লগি-বৈঠার আঘাতে জীবন্ত মানুষকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হবে! যে দেশে বিশ্বজিতের মত নিরীহ শ্রমিককে চাপাতির আঘাতে খুন হতে হবে। যে দেশে ময়না নামের একজন মেয়েকে দশদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হবে! যে দেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেড় হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশূণ্যে করার ফায়তারা করা হবে। গুড়িয়ে দেয়া হবে রাজনৈতিক মঞ্চ। যে দেশের শ্রমিকদের দু’বেলা খাবার জুটবে না। যে দেশে দাঁড়ি টুপি ইসলাম মুহাম্মাদ (স), সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে অশ্লীল কদর্য ভাষায় যেমন খুশি তেমন লিখা হবে! আবার মুখ বড় করে বলা হবে এটা নাকি হচ্ছে মুক্তবুদ্ধি-মুক্তচিন্তার প্রকাশ। যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ীতে পতাকা উড়বে! সত্যি আমরা এমন দেশ চাইনি। আপনারা কি চেয়েছেন? আমরা চেয়েছিলাম সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ। যে দেশে সকল ধর্মের সকল মতের সকল বর্ণের মানুষেরা শান্তিতে সৌহাদ্রপূর্ণ পরিবেশে বাস করবে। বাংলাদেশ নাম লেখাবে উন্নত দেশের তালিকায়। সে জন্য দেশপ্রেমিক, সৎ, যোগ্য, মেধাবী তরুণদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আর শিক্ষিত সমাজকে গা বাঁচিয়ে চলার নীতি পরিত্যাগ করতে হবে। সবকিছুর উপরে দেশকে ভালবাসতে হবে। ভাবতে হবে সাধারণ মানুষের কল্যানের কথা। দেশের উন্নয়নের কথা। দেশকে নিয়েই আবর্তিত হোক আমাদের সকল কর্মকান্ড।
কী সুন্দর আমাদের দেশ! চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। নদীর চ্ছলাৎ চ্ছলাৎ ঢেউ। মাঝির কন্ঠে পল্লীগীতি-ভাটিয়ালী গানের সুর। উদাস দুপুরে রাখালের বাঁশির সুর। লাল-সবুজের পতাকা! যে দেশে পাটিপাতার বনে সাপ আর বেজী খেলা করে। পুকুরে শাপলা ফোটে। পল্লীর দুলালীরা আলপথে হেঁটে যায়। ফুলের উপর প্রজাপতি পাখা নাড়ে। এমন দেশ কী পৃথিবীতে আর একটা আছে? এদেশের রয়েছে হাজারো আন্দোলন সংগ্রাম আর গৌরবোজ্জলের সমৃদ্ধ ইতিহাস। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, একানব্বই’য়ের অনেক বাঁক পেরিয়ে বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছি। এই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এত বছর পরে এসে যখন আমি বায়ান্ন’র আতœত্যাগের কথা স্বরণ করি তখন সত্যিই গর্বে আমাদের বুকটা ভরে যায়। একাত্তর’য়ের কথা উঠলে চোখের সামনে ভেসে উঠে লাখো লাখো মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি লিখছি। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে।
আমার বুকের ভেতর একটা নদী বইছে নিরবধি। ক্ষোভের আগুণে দগ্ধিভূত হচ্ছে আমার শরীরের রক্ত মাংশ। ঘৃণায় লজ্জায়, অপমানে, অভিমানে মাথা হেট হয়ে যায় যখন দেখি এই দেশকে নিয়ে সরকারী দল কামড়াকামড়ি করছে। খাবলে-ছিবড়ে খাচ্ছে তার সবুজ শরীর। অন্যদিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে আমাদের বিরোধীদলের চেলাচামুন্ডারা। একবার এক সরকার আসে তো অন্যবার আরেক সরকার আসে। তারা দুই দলই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও হচ্ছে। তারা দু’দলই হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিতে সেয়ানে সেয়ানে। মানে সমানে সমান। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সাধারণ জনগণ। বর্তমানে রাজনৈতিকদলগুলোর রাজনীতি দেখে একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, তারা দেশপ্রেম ও উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তবে তাদের মধ্যে দু’চারজন এমন মহৎ ব্যক্তি আছেন যে তাদের দেশপ্রেম, মানবসেবা, মানবিকা দেখে অভিভূত হয়ে যেতে হয়। তাদের পবিত্র চরণে কদমবুচি করতে মনে স্বাদ জাগে। বর্তমানে আমাদের দেশে কত সমস্যা! স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পরও এখনো শতকরা চল্লিশ পার্সেন্ট লোক দরিদ্রসীমার নীচে বাস করে। এছাড়া প্রতি বছর বন্যা, খরা, ঘূণিঝড়ে লাখো লাখো কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি তুপানে উড়ে যায়। নদীর বুকে বিলীন হয় হাজার হাজার মানুষের বসত ভিটা। এসব সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পারলেও দেয়নি কারণ, তারা সাধারণ হত দরিদ্র মানুষদেরকে নিয়ে রাজনীতি করে। তাদেরকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়। এভাবে যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক আমাদের দেশের আশানুরূপ উন্নয়ণ ঘটেনি। অপরদিকে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়ে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর ধর্ষণের খবর। আমরা তো এমন দেশ চাইনি! যে দেশে ২৮ অক্টোবর দেখতে হবে। লগি-বৈঠার আঘাতে জীবন্ত মানুষকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হবে! যে দেশে বিশ্বজিতের মত নিরীহ শ্রমিককে চাপাতির আঘাতে খুন হতে হবে। যে দেশে ময়না নামের একজন মেয়েকে দশদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হবে! যে দেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেড় হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশূণ্যে করার ফায়তারা করা হবে। গুড়িয়ে দেয়া হবে রাজনৈতিক মঞ্চ। যে দেশের শ্রমিকদের দু’বেলা খাবার জুটবে না। যে দেশে দাঁড়ি টুপি ইসলাম মুহাম্মাদ (স), সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে অশ্লীল কদর্য ভাষায় যেমন খুশি তেমন লিখা হবে! আবার মুখ বড় করে বলা হবে এটা নাকি হচ্ছে মুক্তবুদ্ধি-মুক্তচিন্তার প্রকাশ। যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ীতে পতাকা উড়বে! সত্যি আমরা এমন দেশ চাইনি। আপনারা কি চেয়েছেন? আমরা চেয়েছিলাম সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ। যে দেশে সকল ধর্মের সকল মতের সকল বর্ণের মানুষেরা শান্তিতে সৌহাদ্রপূর্ণ পরিবেশে বাস করবে। বাংলাদেশ নাম লেখাবে উন্নত দেশের তালিকায়। সে জন্য দেশপ্রেমিক, সৎ, যোগ্য, মেধাবী তরুণদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আর শিক্ষিত সমাজকে গা বাঁচিয়ে চলার নীতি পরিত্যাগ করতে হবে। সবকিছুর উপরে দেশকে ভালবাসতে হবে। ভাবতে হবে সাধারণ মানুষের কল্যানের কথা। দেশের উন্নয়নের কথা। দেশকে নিয়েই আবর্তিত হোক আমাদের সকল কর্মকান্ড।
কী সুন্দর আমাদের দেশ! চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। নদীর চ্ছলাৎ চ্ছলাৎ ঢেউ। মাঝির কন্ঠে পল্লীগীতি-ভাটিয়ালী গানের সুর। উদাস দুপুরে রাখালের বাঁশির সুর। লাল-সবুজের পতাকা! যে দেশে পাটিপাতার বনে সাপ আর বেজী খেলা করে। পুকুরে শাপলা ফোটে। পল্লীর দুলালীরা আলপথে হেঁটে যায়। ফুলের উপর প্রজাপতি পাখা নাড়ে। এমন দেশ কী পৃথিবীতে আর একটা আছে? এদেশের রয়েছে হাজারো আন্দোলন সংগ্রাম আর গৌরবোজ্জলের সমৃদ্ধ ইতিহাস। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, একানব্বই’য়ের অনেক বাঁক পেরিয়ে বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছি। এই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এত বছর পরে এসে যখন আমি বায়ান্ন’র আতœত্যাগের কথা স্বরণ করি তখন সত্যিই গর্বে আমাদের বুকটা ভরে যায়। একাত্তর’য়ের কথা উঠলে চোখের সামনে ভেসে উঠে লাখো লাখো মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি লিখছি। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে।
আমার বুকের ভেতর একটা নদী বইছে নিরবধি। ক্ষোভের আগুণে দগ্ধিভূত হচ্ছে আমার শরীরের রক্ত মাংশ। ঘৃণায় লজ্জায়, অপমানে, অভিমানে মাথা হেট হয়ে যায় যখন দেখি এই দেশকে নিয়ে সরকারী দল কামড়াকামড়ি করছে। খাবলে-ছিবড়ে খাচ্ছে তার সবুজ শরীর। অন্যদিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে আমাদের বিরোধীদলের চেলাচামুন্ডারা। একবার এক সরকার আসে তো অন্যবার আরেক সরকার আসে। তারা দুই দলই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও হচ্ছে। তারা দু’দলই হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিতে সেয়ানে সেয়ানে। মানে সমানে সমান। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সাধারণ জনগণ। বর্তমানে রাজনৈতিকদলগুলোর রাজনীতি দেখে একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, তারা দেশপ্রেম ও উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তবে তাদের মধ্যে দু’চারজন এমন মহৎ ব্যক্তি আছেন যে তাদের দেশপ্রেম, মানবসেবা, মানবিকা দেখে অভিভূত হয়ে যেতে হয়। তাদের পবিত্র চরণে কদমবুচি করতে মনে স্বাদ জাগে। বর্তমানে আমাদের দেশে কত সমস্যা! স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পরও এখনো শতকরা চল্লিশ পার্সেন্ট লোক দরিদ্রসীমার নীচে বাস করে। এছাড়া প্রতি বছর বন্যা, খরা, ঘূণিঝড়ে লাখো লাখো কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি তুপানে উড়ে যায়। নদীর বুকে বিলীন হয় হাজার হাজার মানুষের বসত ভিটা। এসব সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পারলেও দেয়নি কারণ, তারা সাধারণ হত দরিদ্র মানুষদেরকে নিয়ে রাজনীতি করে। তাদেরকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়। এভাবে যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক আমাদের দেশের আশানুরূপ উন্নয়ণ ঘটেনি। অপরদিকে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়ে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর ধর্ষণের খবর। আমরা তো এমন দেশ চাইনি! যে দেশে ২৮ অক্টোবর দেখতে হবে। লগি-বৈঠার আঘাতে জীবন্ত মানুষকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হবে! যে দেশে বিশ্বজিতের মত নিরীহ শ্রমিককে চাপাতির আঘাতে খুন হতে হবে। যে দেশে ময়না নামের একজন মেয়েকে দশদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হবে! যে দেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেড় হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশূণ্যে করার ফায়তারা করা হবে। গুড়িয়ে দেয়া হবে রাজনৈতিক মঞ্চ। যে দেশের শ্রমিকদের দু’বেলা খাবার জুটবে না। যে দেশে দাঁড়ি টুপি ইসলাম মুহাম্মাদ (স), সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে অশ্লীল কদর্য ভাষায় যেমন খুশি তেমন লিখা হবে! আবার মুখ বড় করে বলা হবে এটা নাকি হচ্ছে মুক্তবুদ্ধি-মুক্তচিন্তার প্রকাশ। যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ীতে পতাকা উড়বে! সত্যি আমরা এমন দেশ চাইনি। আপনারা কি চেয়েছেন? আমরা চেয়েছিলাম সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ। যে দেশে সকল ধর্মের সকল মতের সকল বর্ণের মানুষেরা শান্তিতে সৌহাদ্রপূর্ণ পরিবেশে বাস করবে। বাংলাদেশ নাম লেখাবে উন্নত দেশের তালিকায়। সে জন্য দেশপ্রেমিক, সৎ, যোগ্য, মেধাবী তরুণদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আর শিক্ষিত সমাজকে গা বাঁচিয়ে চলার নীতি পরিত্যাগ করতে হবে। সবকিছুর উপরে দেশকে ভালবাসতে হবে। ভাবতে হবে সাধারণ মানুষের কল্যানের কথা। দেশের উন্নয়নের কথা। দেশকে নিয়েই আবর্তিত হোক আমাদের সকল কর্মকান্ড।
কী সুন্দর আমাদের দেশ! চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। নদীর চ্ছলাৎ চ্ছলাৎ ঢেউ। মাঝির কন্ঠে পল্লীগীতি-ভাটিয়ালী গানের সুর। উদাস দুপুরে রাখালের বাঁশির সুর। লাল-সবুজের পতাকা! যে দেশে পাটিপাতার বনে সাপ আর বেজী খেলা করে। পুকুরে শাপলা ফোটে। পল্লীর দুলালীরা আলপথে হেঁটে যায়। ফুলের উপর প্রজাপতি পাখা নাড়ে। এমন দেশ কী পৃথিবীতে আর একটা আছে? এদেশের রয়েছে হাজারো আন্দোলন সংগ্রাম আর গৌরবোজ্জলের সমৃদ্ধ ইতিহাস। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, একানব্বই’য়ের অনেক বাঁক পেরিয়ে বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছি। এই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এত বছর পরে এসে যখন আমি বায়ান্ন’র আতœত্যাগের কথা স্বরণ করি তখন সত্যিই গর্বে আমাদের বুকটা ভরে যায়। একাত্তর’য়ের কথা উঠলে চোখের সামনে ভেসে উঠে লাখো লাখো মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি লিখছি। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে।
আমার বুকের ভেতর একটা নদী বইছে নিরবধি। ক্ষোভের আগুণে দগ্ধিভূত হচ্ছে আমার শরীরের রক্ত মাংশ। ঘৃণায় লজ্জায়, অপমানে, অভিমানে মাথা হেট হয়ে যায় যখন দেখি এই দেশকে নিয়ে সরকারী দল কামড়াকামড়ি করছে। খাবলে-ছিবড়ে খাচ্ছে তার সবুজ শরীর। অন্যদিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে আমাদের বিরোধীদলের চেলাচামুন্ডারা। একবার এক সরকার আসে তো অন্যবার আরেক সরকার আসে। তারা দুই দলই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও হচ্ছে। তারা দু’দলই হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিতে সেয়ানে সেয়ানে। মানে সমানে সমান। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সাধারণ জনগণ। বর্তমানে রাজনৈতিকদলগুলোর রাজনীতি দেখে একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, তারা দেশপ্রেম ও উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তবে তাদের মধ্যে দু’চারজন এমন মহৎ ব্যক্তি আছেন যে তাদের দেশপ্রেম, মানবসেবা, মানবিকা দেখে অভিভূত হয়ে যেতে হয়। তাদের পবিত্র চরণে কদমবুচি করতে মনে স্বাদ জাগে। বর্তমানে আমাদের দেশে কত সমস্যা! স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পরও এখনো শতকরা চল্লিশ পার্সেন্ট লোক দরিদ্রসীমার নীচে বাস করে। এছাড়া প্রতি বছর বন্যা, খরা, ঘূণিঝড়ে লাখো লাখো কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি তুপানে উড়ে যায়। নদীর বুকে বিলীন হয় হাজার হাজার মানুষের বসত ভিটা। এসব সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পারলেও দেয়নি কারণ, তারা সাধারণ হত দরিদ্র মানুষদেরকে নিয়ে রাজনীতি করে। তাদেরকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়। এভাবে যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক আমাদের দেশের আশানুরূপ উন্নয়ণ ঘটেনি। অপরদিকে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়ে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর ধর্ষণের খবর। আমরা তো এমন দেশ চাইনি! যে দেশে ২৮ অক্টোবর দেখতে হবে। লগি-বৈঠার আঘাতে জীবন্ত মানুষকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হবে! যে দেশে বিশ্বজিতের মত নিরীহ শ্রমিককে চাপাতির আঘাতে খুন হতে হবে। যে দেশে ময়না নামের একজন মেয়েকে দশদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হবে! যে দেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেড় হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশূণ্যে করার ফায়তারা করা হবে। গুড়িয়ে দেয়া হবে রাজনৈতিক মঞ্চ। যে দেশের শ্রমিকদের দু’বেলা খাবার জুটবে না। যে দেশে দাঁড়ি টুপি ইসলাম মুহাম্মাদ (স), সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে অশ্লীল কদর্য ভাষায় যেমন খুশি তেমন লিখা হবে! আবার মুখ বড় করে বলা হবে এটা নাকি হচ্ছে মুক্তবুদ্ধি-মুক্তচিন্তার প্রকাশ। যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ীতে পতাকা উড়বে! সত্যি আমরা এমন দেশ চাইনি। আপনারা কি চেয়েছেন? আমরা চেয়েছিলাম সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ। যে দেশে সকল ধর্মের সকল মতের সকল বর্ণের মানুষেরা শান্তিতে সৌহাদ্রপূর্ণ পরিবেশে বাস করবে। বাংলাদেশ নাম লেখাবে উন্নত দেশের তালিকায়। সে জন্য দেশপ্রেমিক, সৎ, যোগ্য, মেধাবী তরুণদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আর শিক্ষিত সমাজকে গা বাঁচিয়ে চলার নীতি পরিত্যাগ করতে হবে। সবকিছুর উপরে দেশকে ভালবাসতে হবে। ভাবতে হবে সাধারণ মানুষের কল্যানের কথা। দেশের উন্নয়নের কথা। দেশকে নিয়েই আবর্তিত হোক আমাদের সকল কর্মকান্ড।
কী সুন্দর আমাদের দেশ! চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। নদীর চ্ছলাৎ চ্ছলাৎ ঢেউ। মাঝির কন্ঠে পল্লীগীতি-ভাটিয়ালী গানের সুর। উদাস দুপুরে রাখালের বাঁশির সুর। লাল-সবুজের পতাকা! যে দেশে পাটিপাতার বনে সাপ আর বেজী খেলা করে। পুকুরে শাপলা ফোটে। পল্লীর দুলালীরা আলপথে হেঁটে যায়। ফুলের উপর প্রজাপতি পাখা নাড়ে। এমন দেশ কী পৃথিবীতে আর একটা আছে? এদেশের রয়েছে হাজারো আন্দোলন সংগ্রাম আর গৌরবোজ্জলের সমৃদ্ধ ইতিহাস। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, একানব্বই’য়ের অনেক বাঁক পেরিয়ে বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছি। এই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এত বছর পরে এসে যখন আমি বায়ান্ন’র আতœত্যাগের কথা স্বরণ করি তখন সত্যিই গর্বে আমাদের বুকটা ভরে যায়। একাত্তর’য়ের কথা উঠলে চোখের সামনে ভেসে উঠে লাখো লাখো মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি লিখছি। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে।
আমার বুকের ভেতর একটা নদী বইছে নিরবধি। ক্ষোভের আগুণে দগ্ধিভূত হচ্ছে আমার শরীরের রক্ত মাংশ। ঘৃণায় লজ্জায়, অপমানে, অভিমানে মাথা হেট হয়ে যায় যখন দেখি এই দেশকে নিয়ে সরকারী দল কামড়াকামড়ি করছে। খাবলে-ছিবড়ে খাচ্ছে তার সবুজ শরীর। অন্যদিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে আমাদের বিরোধীদলের চেলাচামুন্ডারা। একবার এক সরকার আসে তো অন্যবার আরেক সরকার আসে। তারা দুই দলই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও হচ্ছে। তারা দু’দলই হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিতে সেয়ানে সেয়ানে। মানে সমানে সমান। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সাধারণ জনগণ। বর্তমানে রাজনৈতিকদলগুলোর রাজনীতি দেখে একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, তারা দেশপ্রেম ও উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তবে তাদের মধ্যে দু’চারজন এমন মহৎ ব্যক্তি আছেন যে তাদের দেশপ্রেম, মানবসেবা, মানবিকা দেখে অভিভূত হয়ে যেতে হয়। তাদের পবিত্র চরণে কদমবুচি করতে মনে স্বাদ জাগে। বর্তমানে আমাদের দেশে কত সমস্যা! স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পরও এখনো শতকরা চল্লিশ পার্সেন্ট লোক দরিদ্রসীমার নীচে বাস করে। এছাড়া প্রতি বছর বন্যা, খরা, ঘূণিঝড়ে লাখো লাখো কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি তুপানে উড়ে যায়। নদীর বুকে বিলীন হয় হাজার হাজার মানুষের বসত ভিটা। এসব সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পারলেও দেয়নি কারণ, তারা সাধারণ হত দরিদ্র মানুষদেরকে নিয়ে রাজনীতি করে। তাদেরকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়। এভাবে যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক আমাদের দেশের আশানুরূপ উন্নয়ণ ঘটেনি। অপরদিকে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়ে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর ধর্ষণের খবর। আমরা তো এমন দেশ চাইনি! যে দেশে ২৮ অক্টোবর দেখতে হবে। লগি-বৈঠার আঘাতে জীবন্ত মানুষকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হবে! যে দেশে বিশ্বজিতের মত নিরীহ শ্রমিককে চাপাতির আঘাতে খুন হতে হবে। যে দেশে ময়না নামের একজন মেয়েকে দশদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হবে! যে দেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেড় হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশূণ্যে করার ফায়তারা করা হবে। গুড়িয়ে দেয়া হবে রাজনৈতিক মঞ্চ। যে দেশের শ্রমিকদের দু’বেলা খাবার জুটবে না। যে দেশে দাঁড়ি টুপি ইসলাম মুহাম্মাদ (স), সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে অশ্লীল কদর্য ভাষায় যেমন খুশি তেমন লিখা হবে! আবার মুখ বড় করে বলা হবে এটা নাকি হচ্ছে মুক্তবুদ্ধি-মুক্তচিন্তার প্রকাশ। যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ীতে পতাকা উড়বে! সত্যি আমরা এমন দেশ চাইনি। আপনারা কি চেয়েছেন? আমরা চেয়েছিলাম সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ। যে দেশে সকল ধর্মের সকল মতের সকল বর্ণের মানুষেরা শান্তিতে সৌহাদ্রপূর্ণ পরিবেশে বাস করবে। বাংলাদেশ নাম লেখাবে উন্নত দেশের তালিকায়। সে জন্য দেশপ্রেমিক, সৎ, যোগ্য, মেধাবী তরুণদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আর শিক্ষিত সমাজকে গা বাঁচিয়ে চলার নীতি পরিত্যাগ করতে হবে। সবকিছুর উপরে দেশকে ভালবাসতে হবে। ভাবতে হবে সাধারণ মানুষের কল্যানের কথা। দেশের উন্নয়নের কথা। দেশকে নিয়েই আবর্তিত হোক আমাদের সকল কর্মকান্ড।
কী সুন্দর আমাদের দেশ! চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। নদীর চ্ছলাৎ চ্ছলাৎ ঢেউ। মাঝির কন্ঠে পল্লীগীতি-ভাটিয়ালী গানের সুর। উদাস দুপুরে রাখালের বাঁশির সুর। লাল-সবুজের পতাকা! যে দেশে পাটিপাতার বনে সাপ আর বেজী খেলা করে। পুকুরে শাপলা ফোটে। পল্লীর দুলালীরা আলপথে হেঁটে যায়। ফুলের উপর প্রজাপতি পাখা নাড়ে। এমন দেশ কী পৃথিবীতে আর একটা আছে? এদেশের রয়েছে হাজারো আন্দোলন সংগ্রাম আর গৌরবোজ্জলের সমৃদ্ধ ইতিহাস। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, একানব্বই’য়ের অনেক বাঁক পেরিয়ে বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছি। এই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এত বছর পরে এসে যখন আমি বায়ান্ন’র আতœত্যাগের কথা স্বরণ করি তখন সত্যিই গর্বে আমাদের বুকটা ভরে যায়। একাত্তর’য়ের কথা উঠলে চোখের সামনে ভেসে উঠে লাখো লাখো মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি লিখছি। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে।
আমার বুকের ভেতর একটা নদী বইছে নিরবধি। ক্ষোভের আগুণে দগ্ধিভূত হচ্ছে আমার শরীরের রক্ত মাংশ। ঘৃণায় লজ্জায়, অপমানে, অভিমানে মাথা হেট হয়ে যায় যখন দেখি এই দেশকে নিয়ে সরকারী দল কামড়াকামড়ি করছে। খাবলে-ছিবড়ে খাচ্ছে তার সবুজ শরীর। অন্যদিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে আমাদের বিরোধীদলের চেলাচামুন্ডারা। একবার এক সরকার আসে তো অন্যবার আরেক সরকার আসে। তারা দুই দলই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও হচ্ছে। তারা দু’দলই হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিতে সেয়ানে সেয়ানে। মানে সমানে সমান। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সাধারণ জনগণ। বর্তমানে রাজনৈতিকদলগুলোর রাজনীতি দেখে একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, তারা দেশপ্রেম ও উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তবে তাদের মধ্যে দু’চারজন এমন মহৎ ব্যক্তি আছেন যে তাদের দেশপ্রেম, মানবসেবা, মানবিকা দেখে অভিভূত হয়ে যেতে হয়। তাদের পবিত্র চরণে কদমবুচি করতে মনে স্বাদ জাগে। বর্তমানে আমাদের দেশে কত সমস্যা! স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পরও এখনো শতকরা চল্লিশ পার্সেন্ট লোক দরিদ্রসীমার নীচে বাস করে। এছাড়া প্রতি বছর বন্যা, খরা, ঘূণিঝড়ে লাখো লাখো কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি তুপানে উড়ে যায়। নদীর বুকে বিলীন হয় হাজার হাজার মানুষের বসত ভিটা। এসব সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পারলেও দেয়নি কারণ, তারা সাধারণ হত দরিদ্র মানুষদেরকে নিয়ে রাজনীতি করে। তাদেরকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়। এভাবে যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক আমাদের দেশের আশানুরূপ উন্নয়ণ ঘটেনি। অপরদিকে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়ে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর ধর্ষণের খবর। আমরা তো এমন দেশ চাইনি! যে দেশে ২৮ অক্টোবর দেখতে হবে। লগি-বৈঠার আঘাতে জীবন্ত মানুষকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হবে! যে দেশে বিশ্বজিতের মত নিরীহ শ্রমিককে চাপাতির আঘাতে খুন হতে হবে। যে দেশে ময়না নামের একজন মেয়েকে দশদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হবে! যে দেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেড় হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশূণ্যে করার ফায়তারা করা হবে। গুড়িয়ে দেয়া হবে রাজনৈতিক মঞ্চ। যে দেশের শ্রমিকদের দু’বেলা খাবার জুটবে না। যে দেশে দাঁড়ি টুপি ইসলাম মুহাম্মাদ (স), সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে অশ্লীল কদর্য ভাষায় যেমন খুশি তেমন লিখা হবে! আবার মুখ বড় করে বলা হবে এটা নাকি হচ্ছে মুক্তবুদ্ধি-মুক্তচিন্তার প্রকাশ। যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ীতে পতাকা উড়বে! সত্যি আমরা এমন দেশ চাইনি। আপনারা কি চেয়েছেন? আমরা চেয়েছিলাম সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ। যে দেশে সকল ধর্মের সকল মতের সকল বর্ণের মানুষেরা শান্তিতে সৌহাদ্রপূর্ণ পরিবেশে বাস করবে। বাংলাদেশ নাম লেখাবে উন্নত দেশের তালিকায়। সে জন্য দেশপ্রেমিক, সৎ, যোগ্য, মেধাবী তরুণদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আর শিক্ষিত সমাজকে গা বাঁচিয়ে চলার নীতি পরিত্যাগ করতে হবে। সবকিছুর উপরে দেশকে ভালবাসতে হবে। ভাবতে হবে সাধারণ মানুষের কল্যানের কথা। দেশের উন্নয়নের কথা। দেশকে নিয়েই আবর্তিত হোক আমাদের সকল কর্মকান্ড।
কী সুন্দর আমাদের দেশ! চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। নদীর চ্ছলাৎ চ্ছলাৎ ঢেউ। মাঝির কন্ঠে পল্লীগীতি-ভাটিয়ালী গানের সুর। উদাস দুপুরে রাখালের বাঁশির সুর। লাল-সবুজের পতাকা! যে দেশে পাটিপাতার বনে সাপ আর বেজী খেলা করে। পুকুরে শাপলা ফোটে। পল্লীর দুলালীরা আলপথে হেঁটে যায়। ফুলের উপর প্রজাপতি পাখা নাড়ে। এমন দেশ কী পৃথিবীতে আর একটা আছে? এদেশের রয়েছে হাজারো আন্দোলন সংগ্রাম আর গৌরবোজ্জলের সমৃদ্ধ ইতিহাস। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, একানব্বই’য়ের অনেক বাঁক পেরিয়ে বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছি। এই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এত বছর পরে এসে যখন আমি বায়ান্ন’র আতœত্যাগের কথা স্বরণ করি তখন সত্যিই গর্বে আমাদের বুকটা ভরে যায়। একাত্তর’য়ের কথা উঠলে চোখের সামনে ভেসে উঠে লাখো লাখো মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি লিখছি। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে।
আমার বুকের ভেতর একটা নদী বইছে নিরবধি। ক্ষোভের আগুণে দগ্ধিভূত হচ্ছে আমার শরীরের রক্ত মাংশ। ঘৃণায় লজ্জায়, অপমানে, অভিমানে মাথা হেট হয়ে যায় যখন দেখি এই দেশকে নিয়ে সরকারী দল কামড়াকামড়ি করছে। খাবলে-ছিবড়ে খাচ্ছে তার সবুজ শরীর। অন্যদিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে আমাদের বিরোধীদলের চেলাচামুন্ডারা। একবার এক সরকার আসে তো অন্যবার আরেক সরকার আসে। তারা দুই দলই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও হচ্ছে। তারা দু’দলই হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিতে সেয়ানে সেয়ানে। মানে সমানে সমান। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সাধারণ জনগণ। বর্তমানে রাজনৈতিকদলগুলোর রাজনীতি দেখে একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, তারা দেশপ্রেম ও উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তবে তাদের মধ্যে দু’চারজন এমন মহৎ ব্যক্তি আছেন যে তাদের দেশপ্রেম, মানবসেবা, মানবিকা দেখে অভিভূত হয়ে যেতে হয়। তাদের পবিত্র চরণে কদমবুচি করতে মনে স্বাদ জাগে। বর্তমানে আমাদের দেশে কত সমস্যা! স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পরও এখনো শতকরা চল্লিশ পার্সেন্ট লোক দরিদ্রসীমার নীচে বাস করে। এছাড়া প্রতি বছর বন্যা, খরা, ঘূণিঝড়ে লাখো লাখো কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি তুপানে উড়ে যায়। নদীর বুকে বিলীন হয় হাজার হাজার মানুষের বসত ভিটা। এসব সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পারলেও দেয়নি কারণ, তারা সাধারণ হত দরিদ্র মানুষদেরকে নিয়ে রাজনীতি করে। তাদেরকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়। এভাবে যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক আমাদের দেশের আশানুরূপ উন্নয়ণ ঘটেনি। অপরদিকে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়ে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর ধর্ষণের খবর। আমরা তো এমন দেশ চাইনি! যে দেশে ২৮ অক্টোবর দেখতে হবে। লগি-বৈঠার আঘাতে জীবন্ত মানুষকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হবে! যে দেশে বিশ্বজিতের মত নিরীহ শ্রমিককে চাপাতির আঘাতে খুন হতে হবে। যে দেশে ময়না নামের একজন মেয়েকে দশদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হবে! যে দেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেড় হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশূণ্যে করার ফায়তারা করা হবে। গুড়িয়ে দেয়া হবে রাজনৈতিক মঞ্চ। যে দেশের শ্রমিকদের দু’বেলা খাবার জুটবে না। যে দেশে দাঁড়ি টুপি ইসলাম মুহাম্মাদ (স), সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে অশ্লীল কদর্য ভাষায় যেমন খুশি তেমন লিখা হবে! আবার মুখ বড় করে বলা হবে এটা নাকি হচ্ছে মুক্তবুদ্ধি-মুক্তচিন্তার প্রকাশ। যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ীতে পতাকা উড়বে! সত্যি আমরা এমন দেশ চাইনি। আপনারা কি চেয়েছেন? আমরা চেয়েছিলাম সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ। যে দেশে সকল ধর্মের সকল মতের সকল বর্ণের মানুষেরা শান্তিতে সৌহাদ্রপূর্ণ পরিবেশে বাস করবে। বাংলাদেশ নাম লেখাবে উন্নত দেশের তালিকায়। সে জন্য দেশপ্রেমিক, সৎ, যোগ্য, মেধাবী তরুণদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আর শিক্ষিত সমাজকে গা বাঁচিয়ে চলার নীতি পরিত্যাগ করতে হবে। সবকিছুর উপরে দেশকে ভালবাসতে হবে। ভাবতে হবে সাধারণ মানুষের কল্যানের কথা। দেশের উন্নয়নের কথা। দেশকে নিয়েই আবর্তিত হোক আমাদের সকল কর্মকান্ড।
কী সুন্দর আমাদের দেশ! চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। নদীর চ্ছলাৎ চ্ছলাৎ ঢেউ। মাঝির কন্ঠে পল্লীগীতি-ভাটিয়ালী গানের সুর। উদাস দুপুরে রাখালের বাঁশির সুর। লাল-সবুজের পতাকা! যে দেশে পাটিপাতার বনে সাপ আর বেজী খেলা করে। পুকুরে শাপলা ফোটে। পল্লীর দুলালীরা আলপথে হেঁটে যায়। ফুলের উপর প্রজাপতি পাখা নাড়ে। এমন দেশ কী পৃথিবীতে আর একটা আছে? এদেশের রয়েছে হাজারো আন্দোলন সংগ্রাম আর গৌরবোজ্জলের সমৃদ্ধ ইতিহাস। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, একানব্বই’য়ের অনেক বাঁক পেরিয়ে বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছি। এই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এত বছর পরে এসে যখন আমি বায়ান্ন’র আতœত্যাগের কথা স্বরণ করি তখন সত্যিই গর্বে আমাদের বুকটা ভরে যায়। একাত্তর’য়ের কথা উঠলে চোখের সামনে ভেসে উঠে লাখো লাখো মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি লিখছি। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে।
আমার বুকের ভেতর একটা নদী বইছে নিরবধি। ক্ষোভের আগুণে দগ্ধিভূত হচ্ছে আমার শরীরের রক্ত মাংশ। ঘৃণায় লজ্জায়, অপমানে, অভিমানে মাথা হেট হয়ে যায় যখন দেখি এই দেশকে নিয়ে সরকারী দল কামড়াকামড়ি করছে। খাবলে-ছিবড়ে খাচ্ছে তার সবুজ শরীর। অন্যদিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে আমাদের বিরোধীদলের চেলাচামুন্ডারা। একবার এক সরকার আসে তো অন্যবার আরেক সরকার আসে। তারা দুই দলই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানেও হচ্ছে। তারা দু’দলই হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতিতে সেয়ানে সেয়ানে। মানে সমানে সমান। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সাধারণ জনগণ। বর্তমানে রাজনৈতিকদলগুলোর রাজনীতি দেখে একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, তারা দেশপ্রেম ও উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তবে তাদের মধ্যে দু’চারজন এমন মহৎ ব্যক্তি আছেন যে তাদের দেশপ্রেম, মানবসেবা, মানবিকা দেখে অভিভূত হয়ে যেতে হয়। তাদের পবিত্র চরণে কদমবুচি করতে মনে স্বাদ জাগে। বর্তমানে আমাদের দেশে কত সমস্যা! স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পরও এখনো শতকরা চল্লিশ পার্সেন্ট লোক দরিদ্রসীমার নীচে বাস করে। এছাড়া প্রতি বছর বন্যা, খরা, ঘূণিঝড়ে লাখো লাখো কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি তুপানে উড়ে যায়। নদীর বুকে বিলীন হয় হাজার হাজার মানুষের বসত ভিটা। এসব সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। পারলেও দেয়নি কারণ, তারা সাধারণ হত দরিদ্র মানুষদেরকে নিয়ে রাজনীতি করে। তাদেরকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চায়। এভাবে যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক আমাদের দেশের আশানুরূপ উন্নয়ণ ঘটেনি। অপরদিকে প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়ে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর ধর্ষণের খবর। আমরা তো এমন দেশ চাইনি! যে দেশে ২৮ অক্টোবর দেখতে হবে। লগি-বৈঠার আঘাতে জীবন্ত মানুষকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হবে! যে দেশে বিশ্বজিতের মত নিরীহ শ্রমিককে চাপাতির আঘাতে খুন হতে হবে। যে দেশে ময়না নামের একজন মেয়েকে দশদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হবে! যে দেশে ২১ আগস্টে গ্রেনেড় হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্বশূণ্যে করার ফায়তারা করা হবে। গুড়িয়ে দেয়া হবে রাজনৈতিক মঞ্চ। যে দেশের শ্রমিকদের দু’বেলা খাবার জুটবে না। যে দেশে দাঁড়ি টুপি ইসলাম মুহাম্মাদ (স), সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে অশ্লীল কদর্য ভাষায় যেমন খুশি তেমন লিখা হবে! আবার মুখ বড় করে বলা হবে এটা নাকি হচ্ছে মুক্তবুদ্ধি-মুক্তচিন্তার প্রকাশ। যে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ীতে পতাকা উড়বে! সত্যি আমরা এমন দেশ চাইনি। আপনারা কি চেয়েছেন? আমরা চেয়েছিলাম সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ। যে দেশে সকল ধর্মের সকল মতের সকল বর্ণের মানুষেরা শান্তিতে সৌহাদ্রপূর্ণ পরিবেশে বাস করবে। বাংলাদেশ নাম লেখাবে উন্নত দেশের তালিকায়। সে জন্য দেশপ্রেমিক, সৎ, যোগ্য, মেধাবী তরুণদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। আর শিক্ষিত সমাজকে গা বাঁচিয়ে চলার নীতি পরিত্যাগ করতে হবে। সবকিছুর উপরে দেশকে ভালবাসতে হবে। ভাবতে হবে সাধারণ মানুষের কল্যানের কথা। দেশের উন্নয়নের কথা। দেশকে নিয়েই আবর্তিত হোক আমাদের সকল কর্মকান্ড।
বিষয়: বিবিধ
১০৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন