হে আল্লাহ, আর কত নির্যাতিত হলে তোমার পক্ষ থেকে সাহায্য আসবে!

লিখেছেন লিখেছেন সুহৃদ আকবর ২৪ মার্চ, ২০১৩, ০৯:৪১:১৪ রাত

বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার বিরোধী দলের প্রতি এত বেশি নির্যাতন চালাচ্ছে যে, যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। বিশেষ করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের উপর যে নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হচ্ছে তার সাথে বর্তমান বিশ্বের কোনো দেশের কোনো রাজনৈতিক সরকারেরই তুলনা হতে পারে না। এ নির্যাতনের সাথে শুধুমাত্র মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেই তুলনা করা যেতে পারে। অনেকাংশেই মধ্যযুগীয় বর্বরতাও হার মেনে যায় এ নির্যাতনের কাছে। এত বেশি নির্যাতন এত নিষ্ঠুর নির্যাতন এত নির্মম প্রতিশোধ আর কোন সরকার কি নিয়েছিল বিরোধী দলের উপর? স্বাধীনতার পর মাত্র একবার এর পূণরাবৃত্তি হয়েছিল তা হল বাকাশালের সময়। তখন রক্ষীবাহীনীর নির্মম নির্যাতনে মাধ্যমে ৪০ হাজার নেতাকর্মীর জীবন কেড়ে নেয়া হয়েছিল। এর পর জাতীয়পার্টি সরকার। বিএনপি সরকার কেউ বিরোধী দলের উপর এত নির্মম নির্যাতন করেনি। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার জনগণের কথা বলার অধিকার, প্রতিবাদ করার অধিকার, মিছিল করার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। কেউ যদি তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করতে রাজপথে নামে তাহলে সাথে সাথেই পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে তাদের উপর বৃষ্টির মতো গুলি করেছে। যা কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক দেশের চিত্র হতে পারেনা। কোনো বিবেকবান মানুষেরই তা কাম্য নয়। অথচ বাংলাদেশ এখনো কাগজে কলমে উদার গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু কাছের বেলায় স্বৈরতান্ত্রিক বললেই উপযুক্ত বলা হবে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশের তৌহীদি জনতার হৃদয়ের স্পন্দন কোটি কোটি মানুষের নয়নের মণি আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেবকে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রদান করে। উত্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের তৌহিদী জনতা রাজপথে নেমে আসে। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া রূপসা থেকে পাথুরিয়া সর্বত্র শুধু মানুষ আর মানুষ! এত মানুষ বাংলাদেশ আর কখনো দেখেনি! নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী, কৃষাণ-কৃষাণী আবাল বৃদ্ধ বণিতা সবাই রাজপথে এসেছে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে। সবার মুখে একটি মাত্র স্লোগান এই রায় মানিনা। সাঈদী সাহেবের মুক্তি চাই। প্রহসনের এই রায় মানিনা। ব্যস সাথে সাথেই সরকারের পেটুয়া বাহিনী পুলিশ তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। তাদের উপর বৃষ্টির মতো কাঁদানো গ্যাস, টিয়ারশ্যাল, গুলি বর্ষণ করলো। কাউকে হাতকড়া পরিয়ে আচ্ছামত লাঠিপেটা করলো এরপর গুলি করলো। এক দিনেই ঝরে পড়লো ৬৭টি তাজা প্রাণ। যা অতীতের সকল রেকর্ড় ভঙ্গ করেছে। কি নির্মমতা! এটা কি স্বাধীন কোনো দেশ। এ জন্যই কি মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়ে এ দেশটাকে স্বাধীন করেছিল। একটা কবিতার লাইন মনে পড়ে গেল: ‘ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা, রক্ত দিয়ে পেলাম শালার আজব স্বাধীনতা!’ আসলেই বর্তমান আমাদের দেশের অবস্থাও তাই। এখানে আজ মানুষের জীবন বিপন্ন। মৌলিক অধিকারগুলো পাওয়াতো দূরের কথা শুধুমাত্র বাঁচার অধিকারটুকু নিয়ে এদেশে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

আজ রবিবার। ২৪ মার্চ ২০১৩। সকালে ঘুম থেকে উঠে পত্রিকার পাতা উল্টাতে আরম্ভ করলাম। নয়াদিগন্ত পত্রিকা পড়তে পড়তে একটা একটা নিউজে চোখ আঁটকে গেল: ‘দুগ্ধপোষ্য শিশুর মা আটক: জামায়াত নেতাকে ধরতে র‌্যাবের নিষ্ঠুর কৌশল’ নিউজটি পড়ে জানলাম: ’শিশুটির বাসায় রেখে তার চিকিৎসক মা গতকাল গিয়েছিলেন কাশিমপুর কারাগারে। আটক তার অসুস্থ পিতাকে দেখতে। পিতা রাজশাহীর জনপ্রিয় জামায়াত নেতা আতাউর রহমান। তার সাথে সাক্ষাৎ শেষে ডা: জাকিয়া ফারহানা যখন বাসায় ফিরছিলেন তখন পথ থেকেই তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা। গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞাত স্থানে। সেখানেই র‌্যাবের সদস্যরা ডা: ফারহানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। একটি দুগ্ধপোষ্য শিশুর জীবন বিপন্ন করে তার মাকে আটক করার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, শিশুটির পিতা জামায়াতের আরেক নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ একজন পলাতক আসামি। আর তাকে ধরতেই এ অমানবিক ও নিষ্ঠুর পন্থা গ্রহণ করেছে তারা। এ ঘটনায় মানবাধিকার সংস্থা ও সংশ্লিষ্টদের মধ্য তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।’ এভাবে প্রতিদিন জামায়াত নেতাকর্মীদের উপর বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার নির্যাতনের ষ্ট্রীম রোলার চালানো হচ্ছে। কেউ হারাচ্ছে তার ভাইকে। কেউ হারাচ্ছে তার স্বামীকে। কেউবা হারাচ্ছে তার সন্তানকে। এভাবে জামায়াতের নেতাকর্মীদের রক্তে সিক্ত হচ্ছে বাংলার রাজপথ। তাদের কান্না আর আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় দেশের মানবাধিকার সন্থাগুলো বুদ্ধিজীবীরা মুখে কুলূপ এঁটে বসে আছে। কেউ এ অমানবিক আচরণের প্রতিবাদ করছে না। কেউ কেউ করলেও তাতে সরকারের কানে মোটেও পানি যাচ্ছে না।

এমতাবস্থা মহাপরাক্রমশালী আল্লাহই আমাদের একমাত্র ভরাসা। তাঁর কাছে আমাদেরকে সাহায্য প্রর্থনা করতে হবে। তিনি ছাড়া যে আর কেউ আমাদের সাহায্যকারী নেই। তিনি হলেন আমাদের শেষ এবং উত্তম আশ্রয়স্থল। আমাদেরকে তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে। তার পথে আমাদেরকে লড়াই করতে হবে। মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র কালামে পাকের সূরা নিসার ৭৫ নস্বর আয়াতে ইরশাদ করেন-‘আর তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর, এখানকার অধিবাসীরা যে অত্যাচারী। আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।’

জিহাদই বর্তমান জালিম সরকারের জন্য উপযুক্ত জবাব হবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে জিহাদ বলতে এখানে আমি শুধুমাত্র সশস্ত্র লড়াইয়ের কথা বলছিনা। এই লড়াই হবে সাংস্কৃতিক লড়াই। মিডিয়ার লড়াই। যোগ্যতার লড়াই। লেখালেখির লড়াই। জনমত গঠনের লড়াই। এভাবে লড়াই করতে থাকলে আল্লাহ একদিন নিশ্চয়ই আমাদেরকে সাহয্য করবেন। সঠিক পথ দেখাবেন। দেখবেন সময়ের ব্যবধানে আওয়ামীলীগের সকল শক্তি এক সময় নিঃশেষ হয়ে যাবে। মানবতারই জয় হবে। মহান আল্লাহ তাঁয়ালারই শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা হবে এই সবুজ বাংলায়। কলেমা খচিত পতাকা উড়বে আকাশে। আসুন, আপনিও এই যুদ্ধে শরিক হয়ে মহান আল্লাহর সন্তোষ অর্জনের চেষ্টা করুন।

হে প্রভু, আমাদেরকে আপনার দ্বীনের জন্য কবুল করে নিন। আমাদের সকল অপরাধ ক্ষমা করে দিন। আমাদের কদমকে মজবুত করে দিন। বাতিলের মোকাবেলায় আমাদের ধৈর্য্য, সাহস আর যোগ্যতাকে আরো বাড়িয়ে দিন। কেননা আপনিই হলেন সকল সফলতার উৎসমূল।

বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার বিরোধী দলের প্রতি এত বেশি নির্যাতন চালাচ্ছে যে, যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। বিশেষ করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের উপর যে নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হচ্ছে তার সাথে বর্তমান বিশ্বের কোনো দেশের কোনো রাজনৈতিক সরকারেরই তুলনা হতে পারে না। এ নির্যাতনের সাথে শুধুমাত্র মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেই তুলনা করা যেতে পারে। অনেকাংশেই মধ্যযুগীয় বর্বরতাও হার মেনে যায় এ নির্যাতনের কাছে। এত বেশি নির্যাতন এত নিষ্ঠুর নির্যাতন এত নির্মম প্রতিশোধ আর কোন সরকার কি নিয়েছিল বিরোধী দলের উপর? স্বাধীনতার পর মাত্র একবার এর পূণরাবৃত্তি হয়েছিল তা হল বাকাশালের সময়। তখন রক্ষীবাহীনীর নির্মম নির্যাতনে মাধ্যমে ৪০ হাজার নেতাকর্মীর জীবন কেড়ে নেয়া হয়েছিল। এর পর জাতীয়পার্টি সরকার। বিএনপি সরকার কেউ বিরোধী দলের উপর এত নির্মম নির্যাতন করেনি। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার জনগণের কথা বলার অধিকার, প্রতিবাদ করার অধিকার, মিছিল করার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। কেউ যদি তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করতে রাজপথে নামে তাহলে সাথে সাথেই পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে তাদের উপর বৃষ্টির মতো গুলি করেছে। যা কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক দেশের চিত্র হতে পারেনা। কোনো বিবেকবান মানুষেরই তা কাম্য নয়। অথচ বাংলাদেশ এখনো কাগজে কলমে উদার গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু কাছের বেলায় স্বৈরতান্ত্রিক বললেই উপযুক্ত বলা হবে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশের তৌহীদি জনতার হৃদয়ের স্পন্দন কোটি কোটি মানুষের নয়নের মণি আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেবকে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রদান করে। উত্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের তৌহিদী জনতা রাজপথে নেমে আসে। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া রূপসা থেকে পাথুরিয়া সর্বত্র শুধু মানুষ আর মানুষ! এত মানুষ বাংলাদেশ আর কখনো দেখেনি! নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী, কৃষাণ-কৃষাণী আবাল বৃদ্ধ বণিতা সবাই রাজপথে এসেছে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে। সবার মুখে একটি মাত্র স্লোগান এই রায় মানিনা। সাঈদী সাহেবের মুক্তি চাই। প্রহসনের এই রায় মানিনা। ব্যস সাথে সাথেই সরকারের পেটুয়া বাহিনী পুলিশ তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। তাদের উপর বৃষ্টির মতো কাঁদানো গ্যাস, টিয়ারশ্যাল, গুলি বর্ষণ করলো। কাউকে হাতকড়া পরিয়ে আচ্ছামত লাঠিপেটা করলো এরপর গুলি করলো। এক দিনেই ঝরে পড়লো ৬৭টি তাজা প্রাণ। যা অতীতের সকল রেকর্ড় ভঙ্গ করেছে। কি নির্মমতা! এটা কি স্বাধীন কোনো দেশ। এ জন্যই কি মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়ে এ দেশটাকে স্বাধীন করেছিল। একটা কবিতার লাইন মনে পড়ে গেল: ‘ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা, রক্ত দিয়ে পেলাম শালার আজব স্বাধীনতা!’ আসলেই বর্তমান আমাদের দেশের অবস্থাও তাই। এখানে আজ মানুষের জীবন বিপন্ন। মৌলিক অধিকারগুলো পাওয়াতো দূরের কথা শুধুমাত্র বাঁচার অধিকারটুকু নিয়ে এদেশে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

আজ রবিবার। ২৪ মার্চ ২০১৩। সকালে ঘুম থেকে উঠে পত্রিকার পাতা উল্টাতে আরম্ভ করলাম। নয়াদিগন্ত পত্রিকা পড়তে পড়তে একটা একটা নিউজে চোখ আঁটকে গেল: ‘দুগ্ধপোষ্য শিশুর মা আটক: জামায়াত নেতাকে ধরতে র‌্যাবের নিষ্ঠুর কৌশল’ নিউজটি পড়ে জানলাম: ’শিশুটির বাসায় রেখে তার চিকিৎসক মা গতকাল গিয়েছিলেন কাশিমপুর কারাগারে। আটক তার অসুস্থ পিতাকে দেখতে। পিতা রাজশাহীর জনপ্রিয় জামায়াত নেতা আতাউর রহমান। তার সাথে সাক্ষাৎ শেষে ডা: জাকিয়া ফারহানা যখন বাসায় ফিরছিলেন তখন পথ থেকেই তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা। গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞাত স্থানে। সেখানেই র‌্যাবের সদস্যরা ডা: ফারহানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। একটি দুগ্ধপোষ্য শিশুর জীবন বিপন্ন করে তার মাকে আটক করার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, শিশুটির পিতা জামায়াতের আরেক নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ একজন পলাতক আসামি। আর তাকে ধরতেই এ অমানবিক ও নিষ্ঠুর পন্থা গ্রহণ করেছে তারা। এ ঘটনায় মানবাধিকার সংস্থা ও সংশ্লিষ্টদের মধ্য তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।’ এভাবে প্রতিদিন জামায়াত নেতাকর্মীদের উপর বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার নির্যাতনের ষ্ট্রীম রোলার চালানো হচ্ছে। কেউ হারাচ্ছে তার ভাইকে। কেউ হারাচ্ছে তার স্বামীকে। কেউবা হারাচ্ছে তার সন্তানকে। এভাবে জামায়াতের নেতাকর্মীদের রক্তে সিক্ত হচ্ছে বাংলার রাজপথ। তাদের কান্না আর আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় দেশের মানবাধিকার সন্থাগুলো বুদ্ধিজীবীরা মুখে কুলূপ এঁটে বসে আছে। কেউ এ অমানবিক আচরণের প্রতিবাদ করছে না। কেউ কেউ করলেও তাতে সরকারের কানে মোটেও পানি যাচ্ছে না।

এমতাবস্থা মহাপরাক্রমশালী আল্লাহই আমাদের একমাত্র ভরাসা। তাঁর কাছে আমাদেরকে সাহায্য প্রর্থনা করতে হবে। তিনি ছাড়া যে আর কেউ আমাদের সাহায্যকারী নেই। তিনি হলেন আমাদের শেষ এবং উত্তম আশ্রয়স্থল। আমাদেরকে তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে। তার পথে আমাদেরকে লড়াই করতে হবে। মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র কালামে পাকের সূরা নিসার ৭৫ নস্বর আয়াতে ইরশাদ করেন-‘আর তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর, এখানকার অধিবাসীরা যে অত্যাচারী। আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।’

জিহাদই বর্তমান জালিম সরকারের জন্য উপযুক্ত জবাব হবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে জিহাদ বলতে এখানে আমি শুধুমাত্র সশস্ত্র লড়াইয়ের কথা বলছিনা। এই লড়াই হবে সাংস্কৃতিক লড়াই। মিডিয়ার লড়াই। যোগ্যতার লড়াই। লেখালেখির লড়াই। জনমত গঠনের লড়াই। এভাবে লড়াই করতে থাকলে আল্লাহ একদিন নিশ্চয়ই আমাদেরকে সাহয্য করবেন। সঠিক পথ দেখাবেন। দেখবেন সময়ের ব্যবধানে আওয়ামীলীগের সকল শক্তি এক সময় নিঃশেষ হয়ে যাবে। মানবতারই জয় হবে। মহান আল্লাহ তাঁয়ালারই শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা হবে এই সবুজ বাংলায়। কলেমা খচিত পতাকা উড়বে আকাশে। আসুন, আপনিও এই যুদ্ধে শরিক হয়ে মহান আল্লাহর সন্তোষ অর্জনের চেষ্টা করুন।

হে প্রভু, আমাদেরকে আপনার দ্বীনের জন্য কবুল করে নিন। আমাদের সকল অপরাধ ক্ষমা করে দিন। আমাদের কদমকে মজবুত করে দিন। বাতিলের মোকাবেলায় আমাদের ধৈর্য্য, সাহস আর যোগ্যতাকে আরো বাড়িয়ে দিন। কেননা আপনিই হলেন সকল সফলতার উৎসমূল।

বিষয়: বিবিধ

১২২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File