শ্লোগান হোক পজেটিভ বাংলাদেশ
লিখেছেন লিখেছেন কামরুল হাসান জনি ২৫ মার্চ, ২০১৩, ১০:০১:৫৯ রাত
বর্তমানে বিশ্বের উন্নত দেশ ইউ.এস.এ., ইউ. কে. ও সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব এর মত দেশ ছাড়াও বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে এখন বাংলাদেশের শ্রমিকদের ভিসা বন্ধ। যার অন্যতম কারণ আমাদের দেশের রাজনীতির নেতিবাচক প্রভাব, পূর্ববর্তী শ্রমিকদের নেতিবাচক কর্মকান্ড, কাজ কর্মে হরিলুট পদ্ধতি অবলম্বন, সেক্সসুয়াল ইস্যু, হত্যা-খুন সহ বিভিন্ন জঘণ্য অপরাধ। অবশ্য মায়নমার মুসলমানেদের বাংলাদেশের সীমান্তে জায়গা না দেয়ার ইস্যুতেও আরবের রাষ্ট্রীয় প্রধানরা অসন্তুষ্ট বাংলাদেশের উপর।
এ ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের পর আমাদের এমপি মন্ত্রীদের বক্তব্যের রেশ ধরে বলছি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা বন্ধ কিনা সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে সরকারী এক কর্মকর্তা বলেন ‘ আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হয়নি’। দাওয়াত করে তো আর কেউ অপমান করেনা। সৌদি আরব এর ভিসা যখন বন্ধ হয়েছিল তখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হয়নি। যদিও সাময়িক বন্ধ বলে চালিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তিতে সম্পূর্ন বন্ধ। ঠিক এখনকার পরিস্থিতি। বুঝে নেয়া প্রয়োজন আমাদের রাজনৈতিক মান কোথায়? রাজনৈতিক সেসব ব্যক্তিদের বলছি, বড় বড় কথা ছেড়ে বাস্তবতাকে দেখুন। প্রবাসী শ্রমিকরা কেন আপনাদের পাপের শাস্তি পাবে?
শুধু খেয়ে দেয়ে বেঁচে থাকার ভিতরে কোন আনন্দ নেই। তেমনি অস্থির উন্মাদ রাজনীতির অধীনে জীবন পরিচালনা করায়ও কোন স্বার্থকতা নেই। গণতন্ত্র নামের সাইবোর্ডের বুলি মুখে ফুটিয়ে জনতার মুখেই তালা লাগিয়ে পিতলের চাবিটি নিজেদের হাতে রেখে উঁচু ময়দান থেকে বড় বড় কথা বলে যাচ্ছেন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। দেশপ্রেমিক অসহায় মানুষদের দুই একটি দেশপ্রেম মূলক কথা বার্তা বলেই নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে প্রস্তুতি গ্রহণ করে তারা। গোবর দিয়ে পাপ ঢাকাঢাকির ব্যর্থ চেষ্টা করে লাভ কি?
অন্যদিকে এখন রাস্তায় দাঁড়ালেই সাংবাদিক। মিডিয়া ও অনলাইনগুলো এত এত সাংবাদিক জন্ম দিচ্ছে কোন মিছিল কিংবা মানব বন্ধনের জন্য যত মানুষ জড় হয় না তার তুলনায় বেশি হয় সাংবাদিক। কাগজ আর টেলিভিশনের শিরোনাম হয় নেতিবাচক ঘটনাগুলো। জানতে হয় নেতিবাচক বক্তৃতা। কেন এমন হয়? ইতিবাচক যেসব ঘটনা আমাদের মান বাড়াচ্ছে সেসব ঘটনা প্রচারে উন্নত বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু থাকতো বাংলাদেশের। সাংবাদিকতা পেশাটাকে এখন ব্যবসা হিসেবে দাঁড় করিয়ে নিজেদের ফায়দা নিয়ে ব্যস্ত কিছু মহল। সাংবাদিক শুনলে মানুষের মাঝে একটি বিরূপ অনুভূতির সৃষ্টি হচ্ছে রীতিমত। আগের মত আগ্রহ নিয়ে সামনে এগিয়ে এসে অন্যয় অবিচারের কথা তুলে ধরে না তারা। কারণ তারা বুঝে গেছে সাংবাদিকের কাছে সঠিক তথ্য দিলেও অর্থের কাছে বিক্রি হওয়া সাংবাদিকরা নিজেদের মত করে প্রচার করে যাচ্ছে খবর। যাতে কারে প্রকৃত সাংবাদিকদের উপর থেকেও আত্মবিশ্বাস উঠে যাচ্ছে জনতা।
মজার বিষয় হচ্ছে সাংবাদিতকা করতে হলে ভবিষ্যতে অবশ্যই একটি হেল্কিপটার আর সাথে কয়েকটি বি এম ডব্লিও বা মার্সিডিস গাড়ি থাকতে হবে। সমতলে গাড়ি গুলো অপেক্ষা করবে কখন হেলিকপ্টার সাংবাদিক আকাশ থেকে নিচে নেমে আসবে? অন্যদিকে হেলিকপ্টারে ভিতর সাংবাদিকের মনোযোগ থাকবে সত্য ও বাস্তব ঘটনার উৎঘাটনে। প্রতিনিয়ত দেশে জন্ম নেয়া অঘটন গুলোকে প্রচার করতে করতে বিরক্ত হওয়া হেলিকপ্টার সাংবাদিক নিজে নিজে চিন্তা করবে, সমতল ভূ-খণ্ডে শুধু হত্যা, খুন, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি, লুট-পাট আর কিছু বাচাল বক্তৃতার অদ্ভুত কিছু বক্তব্যের খবর পাওয়া যায়। কিন্তু আকাশের সংবাদ ক’জন পাবে! আকাশে কখন মেঘ হবে বৃষ্টি হবে আর কখন ঘূর্ণিঝড় কখন কালবৈশাখী এগুলো জানা যাবে। দেশের মানুষকে ঘূর্ণিঝড় আর কালবৈশাখীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য হেলিকপ্টার সাংবাদিক আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবে। আর বাস্তবতার কাছে বার বার হার মানবে।
আসুন নেতিবাচক প্রচার প্রচরণা ও বক্তৃতা থেকে দূরে থাকি। নিজেদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিকে কাজে লাগাই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করি সোনার বাংলাদেশের। প্রচার করি দেশ-বিদেশের আমাদের সাফল্যের খবর। চারদিকে ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের সুনামের বার্তা। শ্লোগান ধরি পজেটিভ বাংলাদেশ গড়ে তুলার। হৃদয় থেকে ধ্বনি প্রকাশ করি নেতিবাচক কর্মকান্ডে আর নয় ইতিবাচক সর্বত্রই হবে আমাদেরই জয় নিশ্চয়ই।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১৭২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন