বাংলাদেশের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাঃ অনিয়ম ও প্রতিকার (দ্বিতীয় পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন নির্বোধ১২৩ ০৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০৯:৩৮:১৭ রাত
বাংলাদেশের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাঃ অনিয়ম ও প্রতিকার (দ্বিতীয় পর্ব)
পাঠকবৃন্দের নিশ্চয় মনে আছে ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ‘বাংলাদেশের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাঃ অনিয়ম ও প্রতিকার’ শির্ষক প্রবন্ধের প্রথম পর্বে কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলাম। সহৃদয় পাঠকের ধৈর্যচ্যূতি ঘটতে পারে বিবেচনা করে তখন বিস্তারিত আলোচনায় যাইনি। তাই সেদিন যে বিষয়গুলো পরিস্কার করতে পারিনি আজ সেগুলো একটু বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরতে চেষ্টা করছি। আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে সড়ক ব্যবস্থাপনা বা রোড ট্রাফিকিং এর অন্তরায়সমূহকে চিহ্নিত করণ ও তার সমাধানের বিষয়ে এবার বিস্তৃত আলোচনাটি পড়ৃনঃ
অপরিকল্পিত নগরায়্নঃ উন্নত বিশ্ব এমনকি সমাজতান্ত্রিক প্রাচীন চীনের নগর ও রাস্তাঘাটগুলো দেখলেও বুঝা যায় যে তারা শত শত বছর আগে কত দূরদশী চিন্তা করেই না ওই সব নগর ও রাস্তাঘাটের বিন্যাস করেছেন। আজ আধুনিকতার প্রয়োজনে সেই সবে হাত দিলে খুব সামান্যই আঁচড় কাটা যায়, খুব সামান্যই রদবদল করতে হয়। আমার দেখা চার পাঁচশ’ বছরের পুরনো সাংহাই নগরী, পাঁচ থেকে সাতশ’ বছরের পুরনো প্যারিস নগরী, ইটালীর রোম, মিলান বা ভেনিশ নগরী কিংবা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। (ভেনিশ পানির উপর ভাসমান এক নগরী যেখানে রাস্তাঘাটের চেয়ে খালের সংখ্যাই বেশী। সাতশ’ বছরের পুরনো এ শহর বছরে দুই/তিন মাস পানিতে নিমজ্জিত থাকে কিন্তু জীবনযাত্রায় কিছু বিঘ্ন ঘটেনা) অথচ আমাদের ছোট শহরের কথা বাদই দিলাম; আধুনিকতার এই যুগে খোদ রাজধানী শহরই অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠছে। ফলে জনসংখ্যার ঘনত্ব, জনস্বাস্থ্য, জীবন মান ও ট্রাফিক মুভমেন্ট সহ সকল কিছুই আজ বিপর্যস্ত। অপরিকল্পিত নগরায়্নই তার জন্য শতভাগ দায়ী। নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন, অহেতুক সম্পদ ও জীবনহানীর হাত থেকে বাঁচতে আর্থিক অপচয় রোধ করতে আদর্শ নগর পরিকল্পনা ও যথাসম্ভব সংস্কারের মাধ্যমেই সেই জটিলতা নিরসনে ব্রতী হতে হবে।
অপরিকল্পিত শিল্প-কারখানা স্থাপনঃ আধুনিকতার এই যুগে এসে আমাদের দেশে কোথাও কোথাও শিল্প নগরী তৈরী হচ্ছে বটে। বাস্তবতা হল এর খুব কমই স্বার্থকতার দাবী রাখে। আজো এখানে যত্রতত্র শিল্প-কারখানা স্থাপন করা যায়। যেখানে সেখানে বসবাসের জন্য বাড়িও করা যায়। কোন সংস্থার অনুমতির প্রয়োজন হয়না। উন্নত বিশ্ব তো বটেই বহুকাল ধরে সমাজতান্ত্রে ধারক বাহক চীন বা রাশিযাতেও নিভৃত পল্লীর যেখানে সেখানে চাইলেই কেউ শিল্প তো স্থাপন করতে পারবেই না এমন কি বসবাসের জন্য বাড়ি বানাতেও্ ‘আরবান কাউন্সিলে’র অনুমতি লাগবে। ‘আরবান কাউন্সিলে’র পরিকল্পনার বাইরে গ্রামেও ইচ্ছামত বসবাসের জন্য বাড়ি করা যাবে না। কিন্তু আমাদের দেশে গ্রামের কথা বাদই দিলাম, ছোট শহরে তো বটেই এমনকি যে কোন বড় শহরেও অনায়াসে যত্রতত্র শিল্পকারখানা ও বাড়িঘর তৈরী করা যায়। আধুনিক নগর সভ্যতার এইযুগে এই অবস্থাকে আর চলতে দেয়া উচিৎ নয়। সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমুহকে অবিলম্বে এবিষয়ে আরো বাস্তবমূখী পদক্ষেপ নিতে হবে।
অপরিকল্পিত বাসস্থান ও রাস্তাঘাটঃ গ্রামের ভীটামাটি ছেড়ে ভাগ্যান্বেষনে ভেসে আসা অভিবাসীরা মাথা গোঁজার জন্য সামান্য একটু জায়গা নিয়ে যেমন বাড়ি বানায় তেমনি নিজেদের প্রয়োজনে চলাফেরার জন্য যেনতেন ভাবে কিছু রাস্তাঘাটের ব্যবস্থাও করেন যা এককালে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা মিউনিপালটি অধিগ্রহণও করে বটে। কিন্তু পরবর্তীতে সেসবের উন্নয়ন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংস্কারের তেমন সুযোগ আর থাকেনা ফলে সেসব স্থানে গতিশীল ট্রাফিক ব্যবস্থাও মুখ থুবড়ে পড়ে। এসব স্থানে জনসংখ্যার ঘনত্ব থাকে অস্বাভাবিক ভাবেই বেশী। ফলে ব্যপক কোন মাস্টার প্লানে না ঢোকা পর্যন্ত এইসব বস্তি বিষফোঁড়ার মতই জেগে থাকে। একমাত্র সরকারের সঠিক পরিকল্পনাই এ জাতীয় বস্তি বৃদ্ধি রোধ করতে পারে। তার জন্য সরকারী সংস্থাসমূহের সমন্বিত উদ্যাগের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে।
রাস্তা ও ফুটপাথ দখল করে অপরিকল্পিত হাটবাজারঃ আগে বলা হত ‘বাঙালী ব্যবসায়ীর জাত নয়’। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে দারিদ্রতা ও বেকারত্ব ঘুচাতে বাঙালী জাতি হুড়মুড়িয়ে ব্যবসায় নেমে সেই অপবাদ ঘুচিয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক বিকাশের সাথে সাথে মানুষ এখন আর কেবল চাকরীর মূখাপেক্ষী না থেকে ছেলে বুড়ো যে যেমন করে পারছে কোন না কোন ছোটখাট ব্যবসায় হলেও নিজেকে ব্যপৃত রাখছে। ফলে কম সামর্থের লোকজনও যেখানে সেখানে খুপড়ি উঠিয়ে ফুটপাথ দখল করে ছোটখাট ব্যবসা ফেঁদে বসছে। এই প্রবনতা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। আর এজাতীয় ব্যবসাগুলো তিন বা চার রাস্তার মোড়ে কিংবা ফুটপাত দখল করে জনবহুল স্থানেই গড়ে উঠে থাকে। কখনো বা দেখা যায় হাইওয়ে বা রেলাইন পর্যন্ত দখল করে এসব বাজার গড়ে উঠেছে। তাই দেখতে দেখতে পরিকল্পনাহীন ভাবেই কোথাও কোথাও স্থায়ী স্থাপনায় হাট-বাজার পর্যন্ত গড়ে উঠেছে। মানবিক কারণে হোক কিংবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের অনৈতিক অর্থোপার্জনের স্বার্থেই হোক সেসব দোকানপাট দিনকে দিন বেড়ে স্থায়ী বাজারে পরিনত হচ্ছে। এক পর্যায়ে সেসব স্থায়ী বাজার রূপে প্রতিষ্ঠাও পেয়ে যাচ্ছে যা পরবর্তীতে সরকারের বৃহত্তর উন্নয়ন পরিকল্পনায় এক বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এই অবস্থা নিরসনে সরকার ও সংস্থাসমূহের যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহন ও নজরদারী বাড়াতে হবে।
অপরিকল্পিত ও অনিরাপদ লেভেল ক্রসিং: আর্থিক দৈন্যতার অজুহাতে অথবা সঠিক পরিকল্পনার অভাবে আমাদের দেশের রেলপথের লেভেল ক্রসিংগুলোতে তেমন একটা আন্ডারপাস বা ওভারপাস নেই। অনেক লেভেলক্রসিং এ প্রায়শঃই কোন ‘বার’ দূরে থাক ‘গেটম্যান’ পর্যন্ত থাকে না। যানবাহনসমূহকে নিজ দায়িত্বে সেসব লেভেল ক্রসিংগুলো পাড় হতে হয় তাতে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটে থাকে। আবার যেখানে ‘বার’ এবং ‘গেটম্যান’ রয়েছে সেখানে ট্রেন আসার সময় হলে দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যাম লেগে যায় যার রেশ অন্যান্য রাস্তায়ও ছড়িয়ে পড়ে এবং তা অনেকক্ষণ ধরে চলতে থাকে।
একই রাস্তায় বিভিন্ন গতির যানবাহনের চলাচলঃ চাকাযুক্ত ভ্যানে সাজানো পসরায় ঠেলে চালানো দোকান সহ একই রাস্তায় ঠেলাগাড়ি রিকশা থেকে শুরু করে দ্রুতগতির যানবাহনের যথেচ্ছ চলাফেরায় রাস্তার গতি মারাত্নক ভাবে ব্যহত হয়। তাতে প্রতিনিয়ত নানান দূর্ঘটনা ঘটা এখানে নিত্য ঘটনা। ফলে হঠাৎই জটলা বেধে যায় যা উক্ত রাস্তায় চলাচল করা সব রকম যানবাহনের উপর তো প্রভাব পড়েই এমন কি আশপাশের রাস্তাঘাটেও সে ঢেউ পৌঁছাতে সময় লাগেনা। মূহুর্তেই আশপাশের এলাকা পর্যন্ত যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে। বড় শহরে বেশ কয়েকবার স্লথগতির যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করলেও উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার অভাবে তা কখনোই কার্যকরী রূপ পায়নি, তাই কোন সুফলও বয়ে আনতে পারেনি। ওই সব স্লথগতির যানবাহন ও দোকান যে হারে রাস্তা দখল করে চলেছে তাতে অনুমান করা যায় যে, অচীরেই রাস্তার বৃহদাংশ ওইসব যানবাহনের দখলে চলে যাবে। বিষয়টিকে আর অবহেলার কোন সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারি ও সমন্বিত কর্ম পরিকল্পনাই এই অবস্থাকে রোধ করার একমাত্র সমাধান।
যানবাহন চলাচলের রাস্তায় হাটবাজার সহ মানুষ ও গবাদি পশুর অবাধ বিচরণঃ উন্নত বিশ্বের কোন দেশেই রাস্তা পারাপরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া অন্য কোথাও যানবাহন চলাচলের রাস্তায় এমন অবাধে মানুষ ও নামতে পারেনা। অথচ আমাদের দেশে যানবাহন চলাচলের রাস্তায় কেবল মানুষই হাঁটাচলা করেনা, এখানে অবাধে গবাদি পশুও চলাচল করতে পারে। যানবাহন চলাচলের রাস্তার একটা বৃহৎ অংশ দখল করে দোকান পসরা সাজিয়ে কেনাবেচাও করা যায়। ফলে ওটা কি রাস্তা, না কি হাটবাজার তা নিরূপন করা কঠিন। আধূনিকতার এই যুগে এসে কোন সভ্য জাতিই এমন নৈরাজ্যকর রাস্তাঘাট কল্পনাও করতে পারেনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজেদের দায় এড়াতে মানবিকতার দোহাই দিয়ে অমন অমানবিক কাজকে সমর্থন করে যাচ্ছেন। বাস্তবতার আলোকে বিষয়টি ভেবে দেখার সময় এসেছে। আশা করি সংশ্লিষ্ট মহল তাদের দায় এড়াতে পারবেন না? অচীরেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হবেন।
দোকানপাট, নির্মাণসামগ্রী অথবা যাত্রীসেবা দানকারী যানবাহন কর্তৃক ফুটপাথ এবং রাস্তার বৃহদাংশ দখলে রাখাঃ আগেই বলেছি; স্বাধীনতার পর দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থায় এক যুগান্তরী পরিবর্তন এসেছে। বেকারত্ব ও দারিদ্রতা ঘুচাতে এক বিশাল জনগোষ্ঠী হুড়মুড়িয়ে ব্যবসায় নেমেছে। স্বল্পপূঁজির অথবা পূঁজিহীন এসব ব্যবসায়ীরা জীবিকার তাগিদে ফড়িয়া দালাল ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের হাত করে জনবহুল রাজপথ ও ফুটপাথ দখল করে অনায়াসে তাদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই ওসব ঘটে চলেছে অথচ বাধা দেয়ার কেউ নেই। বরং মানবিকতার দোহাই মুখে ওদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে তারা নিজেদের পকেট ভারি করছেন। তাদের সামনেই যানবাহনগুলো রাস্তা দখল করে যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করছে অথচ তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন। পথচারীর নির্ভীগ্ন হাঁটাচলার জন্য ফুটপাথ তৈরী হলেও তার বৃহদাংশই হকার ভিখারীর দখলে, দোকানপাটের মালামাল সাজিয়ে ও নির্মান সামগ্রী রেখে জন চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো এখানকার জনজীবনে মজ্জাগত হয়ে গেছে। ফলে পথচারী হাঁটাচলার জন্য বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। আমাদের মত দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া পৃথিবীর কোন সভ্য দেশই এমনটা মেনে নিবেনা।
সেবাখাতের সংস্থাসমূহের সমন্বয়ের অভাবঃ যেমন বলেছি; আমাদের সেবাখাতসমূহের মধ্যে কোন সমন্বয় নেই বিধায় যে যার প্রয়োজনে যথেচ্ছ রাস্তাঘাট কেটে-খুঁড়ে জনজীবনে বিঘ্ন ঘটিয়ে রাস্তা মেরামত না করেই বা যেনতেন ভাবে করে রেখেই চলে যায়। তার অব্যবহিত পরেই হয়ত অপর কোন সংস্থা এসে তাদের প্রয়োজনে আবার শুরু করে কাটা-ছেঁড়া। এভাবেই উন্নয়ন ও সংস্কারের নামে চক্রকারে বিভিন্ন সংস্থার কাটা-ছেঁড়া চলতে থাকে, ফলে জনদূর্ভোগ আমাদের নিত্য সাথী। অথচ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে সুসমন্বয় থাকলে সব কাজ পরিকল্পনা মাফিক হত ও জনদূর্ভোগ কম হতে পারত। সূতরাং নগর পরিকল্পনাবিদ সহ রাস্তাঘাট স্থাপন, উন্নয়ন ও সংস্কারে নিয়োজিত সংস্থাসমূহ যদি ট্রাফিক পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটা সুসমন্বিত ওয়ার্কিং কমিটি বা সংস্থা গঠন করে উন্নয়নের রুপরেখা প্রনয়ন করেন তাহলে অবস্থার উন্নতি ঘটানো সম্ভব বলে মনে করি।
অবৈধ/ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, অযোগ্য/অদক্ষ চালক ও তাদের গাফিলতিঃ অযোগ্য ড্রাইভার ও অবৈধ ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন আমাদের রাস্তাঘাটের জন্য এক মারাত্নক হুমকি। রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ি ও চালকদের অবশ্যই কাগজপত্র থাকতে হয়। সাবারই থাকে তবে বেশীরভাগ গাড়ি ও চালকদেরই রয়েছে অবৈধ কাগজ। কথিত আছে যে, রাস্তাঘাটে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অসৎ সদস্যদের কাছে অবৈধ কাগজধারীদের তূলনায় বৈধ কাগজধারীকে বেশী নাজেহাল হতে হয়। তাদের কাছে অবৈধ কাগজধারীদের আলাদা কদর, তারা নিয়মিত ভেট দেয় বলে তাদের কদর বেশী। ফলে রাস্তায় অবৈধ কাজগধারীদের দাপটও বেশী। অবৈধ অদক্ষ ও শিক্ষানবীস ড্রাইভারদের খামখেয়ালীর পাশাপাশি ক্রুটিপূর্ণ যানবাহনের দরুণ রাস্তাঘাটে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা লেগেই আছে। যার ফলশ্রুতিতে মূল্যবান জানমালের ক্ষতি তো হয়ই উপরন্তু গন্ডগোল হাঙ্গামা বাধিয়ে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি করা হয়। অথচ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আন্তরীক হলে; তাদের সামান্য সততা ও নিষ্ঠাই এই সমস্ত অনাকাংখিত দূর্ঘটনা ও যানজট অনেকাংশে কমাতে পারে।
পাঠকবৃন্দের কাছে বিনীত ক্ষমা প্রার্থনা করছি যে আমার আলোচনাটি একটু বিশদ বয়ানে লেখা। তাতে কোন ব্যক্তি বা সংস্থা নাখোশ ও হতে পারেন। কিন্তু এর বাস্তবতা অস্বীকার করতে পারবেন না। আলোচনাটি পাঠকদের ধৈর্যচ্যূতি ঘটাতে পারে বা একঘেয়ে লাগতে পারে বিবেচনা করে আজ এখানেই শেষ করতে চাই। আশা রাখি তৃতীয় পর্বে আমার এই আলোচনা শেষ করতে পরব। সবাইকে ধন্যবাদ। প্রথম পর্বের আলোচনা পড়তেএখানে ক্লিক করুনঃ
বিষয়: বিবিধ
১১৫২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পাশে পেলাম; এ আমার পরম পাওয়া।
মন্তব্য করতে লগইন করুন