এক কক্ষচ্ছ্যূত তারকার নাম

লিখেছেন লিখেছেন নির্বোধ১২৩ ২৩ জুলাই, ২০১৩, ০১:৫৯:১৫ রাত

গোলাম মাওলা রনি; সহসাই হিরো থেকে জিরো, নায়ক থেকে খলনায়ক। যেন এক কক্ষচ্ছ্যূত তারকার নাম

রনি সাহেব, আপনি সৎ ও নির্দোষ হলে আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। তবে বুঝতে পেরেছেন তো আপনি এই এক ঘটনায় হঠাৎ করেই হিরো থেকে জিরো হয়ে গেছেন? সংবাদ মাধ্যমে দেখলাম রাতারাতি আপনাকে নতুন পরিচয়ে তুলে ধরা হয়েছে - "গলাচিপার খলনায়ক হিসেবে পরিচিত এমপি"। পর্যবেক্ষকদের ধারণা; এখানে দু’য়ে দু’য়ে চার নয়, তিনে তিনে নয় হয়েছে, আপনার কপাল পুড়েছে। আপনি নিজেও ধোয়া তুলসী নন, দরবেশ বাবার শাপই বলুন আর সরকারের অভিশাপই বলুন, সব একাকার হয়ে ঘটনা চক্রে সকল কেঁচোই আজ সাপে রুপান্তর হয়েছে! সংবাদ মাধ্যমে দেখলাম আপনার দল আপনার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, সাংবাদিকরা আপনার সংসদ সদস্যপদ বাতিলেন দাবীতে সোচ্চার হয়েছেন।

বিধি বাম তাই এই এক ঘটনায় আপনার এতকালের অর্জনের ৯০ ভাগ খোয়া গেছে। তা হতে পারে আপনার দলীয় রোষ (কারণ আপনি সরকারি দলের এমপি হয়েও টক শো অনুষ্ঠানে গিয়ে নানা ভাষায় সরকারের তির্যক সমালোচনা করেছেন, নিজ দল ও নেতাদের বিরুদ্ধে এন্তার বলেছেন ফলে দল ও নেতৃবৃন্দ আপনাকে কোন এক সুযোগে পঁচাতে চাইবেই) আবার হতে পারে দরবেশজী'র শাপ (কেননা আপনি বরাবরই তার বিরুদ্ধে বলে আসছেন) কিংবা আপনার ব্যক্তিগত অসততা। যা ই হোক না কেন ৯০ ভাগ পচেঁ গেলেও এখনো আপনার ব্যক্তিগত মেধা ও প্রজ্ঞার ১০ ভাগ অবশিষ্ঠ আছে। এখন আপনাকে এই ১০ ভাগের উপর ভর করেই পূনরায় সংগ্রাম করে নিজের সুন্দর ইমেজেটিকে পূনরুদ্ধার করতে হবে।

আপনাকে জড়িয়ে ইতোমধ্যে যে সব তথ্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তারমধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে;

(ক) কয়েক বছর আগে রণগোপাণদি নদী দখল করে মার্কেট বানানোকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনায় ৫০ জন সাংবাদিক আপনার ক্যাডার বাহিনী কর্তৃক নিগৃহীত হয়েছিলেন।

(খ) হতদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচির অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

(গ) দলীয় প্র্রভাব খাটিয়ে গত তিন বছরে দশমিনার তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তারমধ্যে আপনার প্রধান ক্যাডার ইকবাল মাহমুদ লিটনের বাবা আবদুল বাকী মিয়ার নামে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়েও সরকারের কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা অনুদান নিয়েছেন।

(ঘ) আপনার প্রধান ক্যাডার ইকবাল মাহমুদ লিটনের বাহিনী এলাকায় সব ধরনের টেন্ডার দখল, গাছ কাটা, উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাৎ সহ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ সব ধরনের অপকর্ম করছে। আপনি প্রায়ই এলাকায় গিয়ে ইকবালকে সহযোগিতা করার জন্য প্রশাসনসহ এলাকার সবাইকে নির্দেশ দিতেন।

(ঙ) আপনার শ্যালক মকবুল শাহ’র নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে যা মূলত ভাইয়া বাহিনী হিসেবে পরিচিত।

(চ) আপনার নিবন্ধ – “এটা দূর্নীতি না হলে ক্যামন সুনীতি” তে সাংসদদের জন্য বরাদ্দকৃত বাসা প্রসঙ্গে যা লিখেছেন, এখন দেখছি আপনি ও সেই দূর্নীতিবাজদেরই একজন?

আপনি জানেন নিশ্চয়ই; পঁচে যাওয়া আমাদের এই নষ্ট রাজনীতির দেশে আপনার মত দু’চারজনের মধ্যে জনগন আশার আলো দেখতো। সৃষ্ট ও বর্ণীত ঘটনাবলীতে জনগত মর্মাহত হয়েছে। সূতরাং উল্লেখিত বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনার ভক্তরা আপনার কাছ যথার্থ ব্যাখ্যা দাবী করতেই পারে। আপনার উচিৎ; অবিলম্বে সমূহ অভিযোগ খন্ডন করে এর যথার্থ ব্যাখ্যা জন সমক্ষে তুলে ধরে আপনার চরিত্র ও কর্মকান্ড সম্পর্কে সৃষ্ট সকল বিভ্রান্তির অবসার ঘটানো। নয়তো জনগন আপনাকে আর বিশ্বাস করবে না।

বিষয়: বিবিধ

১১৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File