নিরাশার দ্বন্দ্ব বাঁধি আশার শেকলেতে - যুগপৎ হেঁটে চলা আলো আঁধারীতে

লিখেছেন লিখেছেন নির্বোধ১২৩ ১৪ জুলাই, ২০১৩, ০১:৫২:২৭ রাত

আজ তিনটি সংবাদই ছিল ‘টক অব দ্য ডে’

এক. হেফজতের আমীরের “তেতুল” তত্বঃ - এ নিয়ে হেফাজতের ভিতরই চলছে স্ব-বিরোধী বক্তব্য। বিষয়টা আজ জাতীয় আলচেনায় স্থান পেয়েছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সংগঠন ও বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন।

দুই. বিরোধী দলের ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগ যোগ দিতে যাচ্ছেঃ

সকালের আশা জাগানীয়া খবরটি ছিল এমন –

“রাজনৈতিক মত পার্থক্য থাকলেও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ইফতারে অংশ নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিরোধী দলের ইফতার মাহফিলে যোগ দেবে। দেশের রাজনীতিতে যখন কাঁদাছোড়াছুড়ি চলছে ঠিক সেই মুহুর্তে ‘ইফতার রাজনীতি’তে গণতন্ত্রের জন্য নতুন সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। দীর্ঘ দিন ধরে দুই দলের নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করলেও এবার রমজানের ইফতার দাওয়াত দিতে ভুল করেনি শীর্ষ দলগুলো।

দলীয় সুত্র জানায়, ১৩ জুলাই জাতীয় সংসদের এলডি-২ হলে অনুষ্ঠেয় এই ইফতার মাহফিলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যোগ দেবেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শেই বিএনপির ইফতারে যোগদানের বিষয়টি সিদ্ধান্ত হয় বলে দলীয় নিশ্চিত সুত্র নিশ্চিত করেছে।“


শেষমেষ সকল আশার গুড়ে বালি মিশিয়ে বিকালে খবর হলঃ

“রাজনীতিবিদদের সম্মানে বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার দেওয়া ইফতার পার্টিতে যোগ দিচ্ছে না আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল। আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্র আজ দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতার আজকের ইফতার অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে দলের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের যোগ দেওয়ার কথা ছিল।

সরকারের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফকে বিরোধীদলীয় নেতার ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার দেওয়া ইফতারে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।“


জনগনের প্রশ্ন; দিনের পর দিন রাজনীতিকরা কি এভাবেই আমাদের হতাশ করবেন? এমনি আশা নিরাশার দ্বন্দ্বে আমরা আর কতকাল চলব? আমাদের রাজনীতিকরা আর কবে শিষ্ঠাচার শিখবেন।

তিন. ঈদের পর লোডশেডিংয়ের ‘প্র্যাকটিস’

“বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলেও এ নিয়ে সমালোচনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য ঈদুল ফিতরের পর বিদ্যুৎ উৎপাদন ছয় বছর আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, “আমি যদি এখন সিদ্ধান্ত নিই, যারা সমালোচনা করে এবং মানুষকে বোঝানোর জন্য ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট রেখে বাকি ৫৪/৫৫টা যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছি- সেটা বন্ধ করে রাখি দু’চার দিন। তখন অবস্থাটা কী হবে? রোজার পরে এরকম একটা প্র্যাকটিস করতে হবে। মানুষকে বোঝানোর জন্য- কী ছিল, আর এখন কী আছে? না হলে এই সমালোচনা চলতেই থাকবে। ঈদের পর এই ধরনের ‘প্র্যাকটিস’ ঘোষণা দিয়েই করা হবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।“


তাহলে কি সমালোচনা বন্ধ হবে না কি জনগনকে সমালোচনার জবাবে উপযুক্ত শায়েস্তার ব্যবস্থা করবেন?

জনগনের প্রশ্ন একটাই; মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি বিরোধী দলের মত জনগনকেও প্রতিপক্ষ ভাবেন?

বিষয়: বিবিধ

১০৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File