একটি আন্দোলনের জন্মও এবং একটি সম্ভাবনার অকাল মিত্যু।-------(দুই)
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মাদ বিন কাশেম ২৬ মার্চ, ২০১৩, ০৯:৪৭:২৭ সকাল
সাধারন ভাবে তরুণ তাদের বলা হয়, যাদের বয়স ১৮ পার হয়েছে। আমাদের দেশে দুই ধরনের তরুণ আছে। এক তরুণ বয়সে,আরেক তরুণ মনের। এমনও তরুণ আছে যাদের বয়স ৭০ পেরিয়ে গেছে। তারুন্যের ডাকে প্রথম জড় হয়েছে বয়সের তরুণরা।যারা আমন অনেক কাজকরে জার পুঁজি শুধু সপ্ন।কারোকাছে মূল্য থাক বা নাথাক, তার কাছে এটা অমুল্য।সাহাবাগের মড়ে জড়হয়ে প্রকাশ করে তাদের সপ্ন। সকলের মাঝে একই সপ্ন, নতুন একটি ইতিহাস লেখার। সকলের মাঝে একই অনুভুতি তারা স্বাধীন নয়।ইংরেজ সময়ের,পাকিস্তান সময়ের এক তরুণ আর ১৩ সনের এক তরুণের মধ্যে কোন পারথেক্ক নেয়। তাই তারা বুজতে পারে সবর আগে এক হতে হবে।যে বিষয়টি নিয়ে সবচাইতে বেশি বিভাজন তামিটিয়ে ফেলতে হবে।
""আদালত বলছে গনহত্যা হয়েছে এটা সত্য কিন্তু এই কাদের মল্লাযে কসাই কাদের মোল্লা তা প্রমান হয়নি।""
ঘটনা যেহেতু সত্য এর জন্য কসই কাদের মোল্লার ফাঁশি চাই। সরকারকে কসাই কাদের মোল্লার প্রমান কোরে ফাঁশি দিতে হবে।এই দাবিতে সকলে এক হয়ে একে একে সকল সমস্যার সমাধান করবে।তারা জানে এই জাতীর সমস্যা কি? এর সমাধান কি?
তারা কোন গতানুগতিক আন্দোলন কোরছিলো না। যে যেভাবে পারছে তরুণ হিসেবে নিজের অস্তিতের জানান দিচ্ছে।তাদের মাঝে কোন প্রধান ছিলোনা। যার যার সপ্নে সে নিজেই নেতা, তাই নেতা নিয়ে তাদের কোন মাথাবেথা ছিলোনা।
সারা দেশের মানুষ দেখল তারুন্যের গরম তেলে ফুটছে লক্ষ তরুণ।এরা যেপথে ছুটবে সুবকিছু পুড়িয়ে সমান কোরে যাবে। আতদিন যারা মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে,তারা নিজেদের পরিনতির কথা ভেবে ভয়পেল।বুঝতে পারল এই এই আন্দোলন সফল হলে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে করুন পরিনতি। বাচার জন্য তারানিল এক ভয়ংকর পরিকল্পনা। তারা ছুটেগেল কিছু মানুষের কাছে যাদের তারা লালন করছে এইরকম সময়ের জন্য।
মাঠে আসলো দ্বিতীয় তরুণের দল। তারা আসলো ধিরে ধিরে।মিসেগেল তরুণদের মাঝে,করতে থাকে তরুণদের চাইতে জোরে চিৎতার। তরুণরা বিশ্বাস করলো তাদের। বয়সের বড় তাই ছেড়ে দিলো সামনের আসন গুলো। আরপর তারা দিতেসুরু করলো স্লওগান,বিনেপয়সায় বিলি করতে লাগল উপদেশ দিয়ে মোড়ান তাদের চাওয়া গুলো।
উপদেস গুলঃ-
১* তোমাদের একজন নেতা লাগবে।
২* একটা কমিটি করতে হবে।
৩* একটা দাবি পুরন নাহলে অন্যটা বলা যাবেনা।
৪* সকলে এক হয়ে একটি কথা বলতে হবে।
৫* তোমরা কি চায়ও তা সরকারকে জানাতে হবে।
সরল মনে তাদের সকল উপদেস তরুণরা মেনেনিল। আকতার চিহ্ন্য সরুপ তারা ঘোষণা করলো মোমবাতি জ্বালানোর কর্ম সূচী। প্রতিটি তরুণ আনুভব করলো তাদের বিশালতা। মেনেনিল বড়দের সকল উপদেস। তখনি কুচক্রিরা সুরুকরল তাদের কাজ। নেতাহিসেবে দাড় করিয়ে দিলো তাদের একজনকে, কমিটিতে রাখল তাদের ছাত্র নেতাদের, তরুণদের চাহিদার কথা বলে আদালতকে বলল তারা কি চায়। আইন করার সময় নিজেদের সুবিদার জন্য যে ক্ষুদ্র কনাটি মনের অজান্তে বাদ পরেছে তা তুলেনেয়। এভাবে চলতে থাকে কিছুদিন।
একই কথা বলতে বলতে কথা তার ওজন হারায়। সকল উচ্ছাসের ভাটার টান পড়ে। রক্ত যত ঠাণ্ডা হয়,মাথা ততখুলে। নিজেকে প্রশ্ন করে, আমি কেন আসেছি? এখন কি করছি? এরা কারা ? আমার শপ্ন কেন তাদের কথামত চলছে? আমি যে সপ্ন এনেছি তাকাকে যেন দিয়েছি! এ মঞ্চ কথাথেকে এলো? যারা মঞ্চে তাদের তো প্রথম দেখিনি? তাহলে তাদেরকেওত দেইনি। এতো মানুষের মাঝে কারকাছে আমার সপ্ন পিরেচায়? আমার সপ্নকি তবে হারিয়ে গেল!!!!!!!!
মুকুট হারা সম্রাটের মত ছেয়েথাকে মঞ্চের দিকে। দেখতে থাকে সপ্ন খেকো হায়নার দল যারা সবায় মিলে চুরিকরেছে তার সপ্ন। বুজতে পারে আবার একহয়েছে হায়নারদল, চিন্যভিন্য কোরে দিয়েছে তাদের সকলকে। নিজেকে মনে হয় যুদ্ধেপরাজিত বীরাঙ্গনার মত যার কোথায়ও যাবার নায়।
এভাবে ধ্বংস হয়েযায় লক্ষ কোটি তরুণের সপ্ন। তার সাথে ধ্বংস হয় দেশের প্রতি ভালবাসা। সব দেয়ার সময় দেশ যখন কিছুই নেয়নি সপথ করে আরকখন কিছু দিবেনা। এভাবে দেশ হারায় পুরএকটি প্রজন্ম।তবে কি আমাদের সামনে শুধুই ধ্বংস? জাতী হিসেবে আমরা হারিয়ে যাবো? না, আমি এখনও আসাবাদি। কান পেতেরই একটি ডাকশুনার আর আশা করি একদিন শুনব সতের ডাক।
বিষয়: রাজনীতি
১৩১৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন