দ্য আলটিমেট হেফাজত
লিখেছেন লিখেছেন আবদুহু ১৩ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:৩৩:৩৩ সকাল
হেফাজতে ইসলাম প্রসঙ্গে অনেক কথা হয়েছে। আরো কিছু কথা যোগ না করলেই হচ্ছেনা। রাজনীতি এবং অরাজনীতি; দুইটা ভিন্ন জিনিস। হেফাজত নিজেকে অরাজনৈতিক সংগঠন দাবী করে। কিন্তু তাদের আন্দোলনের পদ্ধতি রাজনৈতিক, তাদের ইস্যুগুলো বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে জড়িত। শাহবাগ একটা রাজনীতিসংশ্লিষ্ট আন্দোলন ছিলো। সে আন্দোলনের উদ্যোক্তাদের বড় একটা অংশ ইসলাম-বিদ্বেষী। তাদের ঘৃণ্য কাজকর্মের প্রতিবাদ জানানোটা একজন মুসলিমের দায়িত্ব। সে দায়িত্বটা অরাজনৈতিকভাবে পালন করতে হলে সিভিল পদ্ধতিতেই দেশের সরকারের কাছে জানাতে পারতো হেফাজত।
কিন্তু তা না করে তারা রাজনৈতিক দলের মতো মহাসমাবেশ, মিছিল, বিবৃতি, বিক্ষোভের পথে গিয়েছে। আবার একই সাথে নিজেদের অরাজনৈতিকতার পরিচয়ও দাবী করে গিয়েছে। এটা ভন্ডামী। এই ভন্ডামীর কারণে কিছুটা সুফল পেয়েছে রাজনৈতিক আরেকটা পক্ষ জামায়াতে ইসলামী। সুফল কিছুটা পেয়েছে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। একই সাথে তারা স্বভাবসুলভ রাজনৈতিক আচরণ করেছে। তাদের অভিজ্ঞতা ও কৌশল বেশি। কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে হেফাজত।
হেফাজত যেহেতু ইসলামকে ধারণ করে, তাদের কর্তব্য ছিলো অরাজনৈতিকতার ইসলামী পন্থার দিকে তাকানো। ইসলামী উলামাদের সামাজিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টার ঐতিহ্যের দিকে তাকানো। ইসলামের সালাফ সালেহীন স্কলাররা ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সংশ্লিষ্ট হয়েছেন। কিন্তু মূলধারায় তারা থেকেছেন পুরোপুরি অরাজনৈতিক উপায়ে। এটাই ইসলামী স্কলারদের ঐতিহ্যগত পন্থা। তারা শাসকদের কাছে গিয়েছেন। প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু জনগণকে মোবিলাইজ করেন নাই। নিজেদের কাজের জায়গাতে জ্ঞানচর্চা করে গিয়েছেন। ইসলামী জ্ঞানের ধারাবাহিকতা রক্ষা ও উন্নয়ন করে গিয়েছেন। ঐটা ছিলো তাদের মৌলিক কাজ।
হেফাজতের আলেমরা অন্য নামে রাজনীতিও করেন। ইসলামী ঐক্যজোট তথা শাসনতন্ত্র, নেজামে ইসলাম ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেকগুলো দল উপদল। আওয়ামী লীগের সাথে স্বাক্ষর দিয়ে মৈত্রী চুক্তি করেন। কিন্তু এখন কেন তারা অরাজনৈতিকতার নামে এই ভন্ডামী করতে গেলেন? কারণ, এখন নিজেদের অরাজনৈতিক ঘোষণা দিয়ে মাঠে দৌড়াদৌড়ি করলে তার কিছু না কিছু সুবিধা তারা নির্বাচনের সময় পাবেন। হয়তো ভেবেছিলেন, রাজনৈতিক পরিচয়ে মাঠে নামলে যুদ্ধাপরাধী বিচার ট্রাইবুনাল ইস্যুতে জড়িয়ে যেতে হবে। হয়তো এসবের সাথে ভালো কোন উদ্দেশ্যও ছিলো। ইসলামের প্রতি আলেম উলামাদের ভালোবাসা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি, তা নিয়ে প্রশ্ন করাও বোকামী। কিন্তু এখানে হেফাজত স্বাভাবিক রাজনৈতিক নীতিহীনতাটা করে বসেছে। এবং সেই নীতিহীনতার বড় একটা প্রকাশ দেখা গেলো বৃদ্ধ ও সর্বজনশ্রদ্ধেয় আলেম মাওলানা শফি (আল্লাহ তাকে রহম করুন) কতৃক আওয়ামী লীগকে বন্ধু ঘোষণার কথায়।
আলেম উলামারা আমাদের সমাজেরই মানুষ। তারা খেজুর গাছ বা মিনার মার্কায় ভোট পেয়ে এমপি মন্ত্রী হতে চাইতেই পারেন। তারা তুলনামূলকভাবে সৎ ও ভালো মানুষ। সুতরাং সমাজের সেবা তারা করতেই পারেন। আর মানুষ যদি ভোট দেয় তাহলে আমার আপত্তি করার কি অধিকার আছে? কিন্তু একদিকে ভোটের সময় মিনার মার্কায় দাঁড়াবেন, অন্যদিকে রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে অরাজনৈতিক আন্দোলন করবেন, বিষয়টা একটু কেমন যেন ইয়ে হয়ে গেলো না?
তারা যদি নিজেদের অবস্থানে থেকে নিখাদ ইসলামের জন্য কিছু করার উদ্দেশ্য নিয়ে এ প্রতিবাদ করতেন, তাহলে দেশের সাধারণ মুসলমান নাগরিকদের ইসলামী জ্ঞান বৃদ্ধিতেই তাদের অবদান বেশি দেখা যেতো। নাস্তিকদের বদমায়েশি প্রসঙ্গে তারা নিজ নিজ এলাকার মানুষের জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতেন। প্রশাসনের কাছে যেতেন। সরকারের কাছে যেতেন। কিন্তু তা না করে তারা প্রটেস্ট করেছেন। প্রটেস্ট করার পরও হয়তো একে সোশাল মুভমেন্ট বলা যেতো, যদি না নির্বাচনের সময় একই আন্দোলনের লোকজন, মাদ্রাসার আলেমরা বিভিন্ন মার্কা নিয়ে ভোটযুদ্ধে না নামতেন। বিভিন্ন নাম নিয়ে আওয়ামী লীগ বা বিএনপির সাথে জোট না করতেন।
ধর্ম আর রাজনীতিও কিছুটা ভিন্ন প্রকৃতির বিষয়। দুইটার মাঝে যোগাযোগ প্রচুর, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে গিয়ে পৃথক বিবেচনার প্রয়োজন হয়। ধর্মে নীতিহীনতার কোন স্থান নেই। আর রাজনীতিতে উদ্দেশ্যসাধনের কোন বিকল্প নাই। এ নিয়ে বিস্তারিত তর্ক করা যাবে, কিন্তু এখন না। এখন যেই জিনিসটা দেখা যাচ্ছে তা হলো, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সা. কে নিয়ে শাহবাগিদের শয়তানির প্রতিবাদে হেফাজত অরাজনৈতিকতা দাবী করে রাজনীতির মাঠে দৌড়াদৌড়ি করছে। আর যখন রাজনীতির নীতিহীনতা তাদেরকে স্পর্শ করছে তখন পেছন থেকে ধর্মের শিল্ডটা বের করে এনে সামনে ধরে বসছেন। তারা কর্দমাক্ত মাঠে ফুটবল খেলতে নেমেছেন, কিন্তু সাদা পাঞ্জাবীতে একটা দাগ পড়লে গোস্বা করেন।
তাদের কেউ কেউ মাওলানা শফির বক্তব্যকে ইলহাম/সুডো-ঐশীজ্ঞান ও বানিয়ে দিচ্ছে। এখন শেষপর্যন্ত আর না পেরে জামায়াতের হেকমতে ভাগ বসিয়েছেন। একদিন তারা এও দাবী করবেন যে তাদের মিনার মার্কায় ভোট না দিলে কাফের হয়ে যেতে হবে। অথবা খেজুর গাছে না দিলে আধা কাফের। কিংবা রিক্সায় না দিয়ে কোয়ার্টার। হয়তো ঈমানও চলে যাবে। এইটা হলো একটা ইগো-ইস্যু। রাজনীতি করতে আসলে অনেক কিছু সহ্য করতে হবে। কিন্তু তাদের নিয়ে স্যাটায়ার করলে উম্মত থেকে বের করে দেবেন। ওয়ারাসাতুল আনবিয়া!! হাস্যকর।
আরেকটা ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো, এই ধরণের দ্বিমুখীতা দিয়ে বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনীতিতে এগিয়ে যেতে পারার কথা ছিলো। কিন্তু তা হেফাজত পারবে না, কারণ প্রমাণিত বাস্তবতা হলো তারা ভন্ডামীটা দক্ষভাবে করার যোগ্যতা রাখেনা। তারা তুলনামূলক ভালো মানুষ। বরং খেলার ঘুটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আবার অন্যদিকে এইসব করতে গিয়ে তাদের নিজেদের ধর্মীয় যে পবিত্রতা তাও তারা নষ্ট করছে। উল্টা আরও বৃটিশদের বিরুদ্ধে কওমী আলেমদের এই অবদান সেই অবদান ইতিহাস টেনে টেনে নিজেদের যথার্থতা প্রমাণের চেষ্টা করছেন এখন। খাঁটি বাংলাদেশী পশ্চাতপদ রাজনৈতিক অভ্যাস। চল্লিশ পঞ্চাশ বছর পেছনে পরে থাকা। আর তা নিয়ে বাগাড়ম্বর করে যাওয়া। বর্তমানে অবদান কি আছে তার কোন খবর নাই।
নিজেদের নীতি ও উদ্দেশ্য পরিস্কারভাবে না বুঝে এরকম চালাতে থাকলে এখন যেমন রাজনীতিতে অগুরুত্বপূর্ণ একটা ফেউমার্কা শক্তি, তেমনই থাকতে হবে। কোন উন্নতি হবে না। ইফেকটিভ ভাবে নিজেদের ভালো কোন দাবী আদায়ও সম্ভব হবে না। আবার বলা যায় না, যদিও ধর্মশিক্ষার ইনষ্টিটিউশনের মতো স্থায়ী একটা ভিত্তি আছে তারপরও রাজনৈতিক মাঠে হয়তো তাদেরকে একসময় আম ছালা দুটাই হারিয়ে উদ্দেশ্যহীন অগস্ত্যযাত্রায় রওনা দিতে হতে পারে। পৃথিবীতে অনেক বড় বড় আন্দোলন অর্থহীনভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
এইসব ঘটনা সাদাচোখে দেখা যায়, কিন্তু এসবের পেছনে অন্য কিছু থাকার কথা। হেফাজত এবং শাহবাগ, দুইটা আন্দোলনই বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিছু গ্রেটার পারপাস সার্ভ করছে। হেফাজত তার নিজ সত্ত্বাতে স্থায়ীভাবে এমন কোন বড় রাজনৈতিক শক্তি না যে আওয়ামী লীগের তাকে খুব একটা পাত্তা দিতে হবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি-জামায়াত, দুই পক্ষের কাছেই হেফাজত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। এবং দড়ি টানাটানিতে সম্ভবত আবারও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হতে যাচ্ছে।
হেফাজত নিয়ে এই মাথাব্যাথার কারণ হলো, এসব ঘটনা ঘটার সময়কাল। মাওলানা সাঈদীর ফাঁসির চুড়ান্ত রায় শীঘ্রই হতে যাচ্ছে। আওয়ামী সরকার যখন পরিস্থিতি সুবিধা মনে করবে, এক সপ্তাহ থেকে এক বা দুই মাসের ভেতর যে কোন সময় এ রায় হবে। সরকার যে রায় সুবিধা মনে করবে, ফাঁসি বা যাবজ্জীবন তাই হবে এ আপিলের রায়। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের প্ল্যান বি, সি, এমনকি ডি ও প্রস্তুত রাখার কথা। প্ল্যানের অংশ হিসেবে এই বড় ঘটনাটার আগে আরো কিছু ইস্যু আসবে নিঃসন্দেহে। এইসব একটার পর একটা ইস্যু নিয়ে বিরোধীপক্ষ চরম ব্যস্ততায় দিন কাটাবে। তারপর যখন ঘটনাটা ঘটবে, তখন সারা বাংলাদেশে কওমী মাদ্রাসার ধর্মপরায়ণ জনগণের নেটওয়ার্কটা সরকারের সমর্থনে থাকা প্রয়োজনীয়। প্রথম রায়ের পর পুরো দেশে কি ঘটেছিলো, তা আওয়ামী লীগ কখনো ভুলে যায়নি।
যেহেতু মাওলানা সাঈদীর ইসলাম-সংশ্লিষ্ট পরিচয় তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের চেয়ে বড়, তাই এখন শাহবাগের বিদায়ের সময় হয়ে গেছে। সময় এসেছে হেফাজতের সাথে ঘর করার, যদি পর্দার আড়ালে হয় তবুও। হেফাজত যদি নেগোসিয়েশনে দক্ষ হতো, কিছু শাহবাগি নাস্তিকের ভালো একটা বিচারিক শাস্তি তারা এই সময়ে আদায় করে নিতে পারতো। এখন দেখার অপেক্ষা, কি হতে যাচ্ছে। এবং দোয়া করি, অনুমান ভুল হোক। ভালো কিছু হোক বাংলাদেশে।
বিষয়: বিবিধ
৪২৮৬ বার পঠিত, ৭৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তার এত নিক
আপনার কমেন্ট এর ধরন বলছে - লিখকের মত আপনি নিজেও শকড। মূলতঃ প্রতিটি ট্রু মুসলিমই - তার ব্যাক্তিগত অবস্থান ও লিমিটেশানের উপরে উঠে - সামর্থ্য ও বুদ্ধিঅনুযায়ী নাস্তিক ও তাদের পেট্রোনাইজারদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, হেফাজতের সাফল্যের জন্য অন্তরের অন্তঃস্থল হতে আকুতি মিনতি জানিয়েছে আল্লাহর দরবারে এবং কেউ কেউ সশরীরে উপস্থিত থেকেছে।
লিখক এখানে যে বিশ্লেষন করেছে - তা পরিবর্তিত অবস্থার প্রেক্ষিতে একটি বিশ্লেষন মাত্র একটা রিপ্লেকশান স্বরূপ।
লিখকের বেশ কয়েকটি পয়েন্টের সাথে আমি নিজে একমত নই - কিন্তু আমার মনে হয় আমরা মুসলিমরা আমাদের ভুল চিহ্নিত করার নিমিত্তে আলোচনা পর্যালোচনা করতেই পারি।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার ও ধৈর্য ধরার তৌফিক দিন।
আবদুহু লিখেছেন ******একই সাথে নিজেদের অরাজনৈতিকতার পরিচয়ও দাবী করে গিয়েছে। এটা ভন্ডামী
এখন কেন তারা অরাজনৈতিকতার নামে এই ভন্ডামী করতে গেলেন?**********
ভাই আবদুহু , হেফাজত ভণ্ডামি করেনাই,
ভণ্ডামি করেছেন আপনারা আর আপনাদের জঙ্গিবাদী--আওয়ামীলীগ
এত প্যাচাইতেছন কেন ?????
সজা বলুন আপনারা ইসলাম ধর্ম চান না,
কোন ভয় নাই, জঙ্গি--লীগ যতক্ষণ আছে, আপনাদের বাচাইয়া রাখবে,
কারন আপনারা তো আবার আল্লাহর উপর ভরসা করতে পারেন না,
আল্লাহ্ আমাদের কুরআন পড়া ও বুঝার তোফিক দান করুক,
আমিন,
আপনি বুঝতে না পারলেও লেখাটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ।
কথাটা একটা তাত্পর্য আছে
আপনার মত আমিও কামনা করি-এবং দোয়া করি, অনুমান ভুল হোক। ভালো কিছু হোক বাংলাদেশে।
১। শফি সাহেব আওয়ামীলীগের বন্ধু, এটা কোন নতুন কথা নয়। বিনা ঘোষনায় তিন বছর আগ পর্যন্ত তিনি আওয়ামলীগের অকৃত্রিম বন্ধুই ছিলেন। ঘোষনা দেবার পরও তিনি আওয়ামীলীগের বন্ধু, তবে আওয়ামীলীগ কিছু ভোট হারিয়েছে শতভাগ সত্যি।
- আওয়ামীলীগ বলে, রাজনীতিতে ধর্মের কোন অনুপ্রবেশ নাই, এসব আলাদা জিনিষ।
- হেফাজত বলে, ধর্মের মধ্যে কোন রাজনীতি নাই, আমরা ক্ষমতালোভী নই।
২। উপরের সরল সমীকরণে আওয়ামীলীগ আর হেফাজতের লক্ষ্য উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। কদাচিত হেফাজত নির্বাচনে দাড়ায় এবং চরম মার খায়। কেননা আচানত ভোটে দাড়িয়ে ভোটের মাঠ গরম করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়না। কেনানা জীবন ভর রাজনীতিকে অবজ্ঞা করে ভোটের সময় পছন্দ করলে তড়িৎ পতন হবেই।
৩। আওয়ামীলীগ ভোটের রাজনীতি করে। তাদের কোন নেতা পাচ বছর পরে ভোটে দাড়াবে এটা মাথায় থাকে বলে, হেফাজতের হুজুরদের হাতে রাখতে, কিছু ফিক্সড ভোট রর্ক্ষাথে বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল, মসজিদ নির্মানে সহযোগীতা অব্যাহত রাখে। ফলে আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতাদের সাথে একটা সেতুবন্ধন থাকে।
৪। বিএনপির নেতাদের কোন আদর্শ নাই, শতভাগ লাভ নিশ্চিত না হলে, কোথাও দান খয়রাতের রিক্স নিতে চায় না। ফলে আওয়ামীলীগের চেয়ে বেশী গ্রহনযোগ্যতা থাকা সত্বেও স্বার্থের বিচারে পিছনে থেকে যায়।
৫। হেফাজত জামায়াতকে মরনতুল্য মনে করে। শিবিরের ছেলেরা খুব সহজে অতি অল্প সময়ে কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের মন জয় করতে পারে এবং সহসা শিবিরে যোগদান করে। তাছাড়া জামায়াত কোন সহযোগীতা দিলেও সেটা তারা নিজেদের তদারকিতে রাখে। এই জাতীয় তদারকীপূর্ন সহযোগীতায় তারা অভ্যস্থ নয়। রাবেতার অনুদান নিতে গিয়ে এসমস্যায় তাদের বারবার পড়তে হয়েছিল।
৬। হেফাজতের নেতাদের কাছে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নাই, সমস্যা মোকাবেলায় ন্যুনতম দূরদর্শীতা দেখাতে পারে না। তাই সমস্যা দেখলে মুখ বন্ধ করে চেপে থাকে। সমাজের মানুষের সাথে ন্যূনতম যোগাযোগ থাকেনা। এখানকার ছাত্ররা মাদ্রাসার গন্ডির মধ্যে বেড়ে উঠে। মাদ্রাসায় প্রাপ্ত সুনামকে জগতজোড়া সুনাম মনে করে ভূল করে।
৭। ছাত্ররা যখন বাহির হয়, তখন তাদের সাথে সমাজের মানুষের সাথে কোন কিছুরই মিল থাকেনা। তারা যা বলে, তা শোনার মানুষ কম থাকে, জনগণ যা জানতে চায়, তা তারা বুঝাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে বুঝতে শিখে সমাজটা ফাসেক দ্বারা নষ্ট হয়েছে, ফলে আরো দূরত্ব বাড়তে থাকে।
পোষ্টের চেয়ে মন্তব্য লম্বা হওয়ার পথে, আপাতত এতটুকু। সবাইকে ধন্যবাদ।
এ সব নিয়ে নজরুল ভাইয়ের আলাদা একটি পোস্ট আশা করছি।
তাই বলে হেফাজত ভন্ডামী করেনি, হয়ত যথাযত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, এই কারণে পর্যালোচনা করা যেতে পারে।
এসব সমাবেশে বক্তাদের বক্তব্যের বিষয় নির্ধারিত থাকেনা। একজনকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়, তিনি নিজের পছন্দমত একটি বিষয় বাছাই করে বক্তব্য দিতে থাকেন। যার কারণে জাতি প্যাকেজ হিসেবে কোন দিক নির্দেশনা পায়না।
ভারতের আন্না হাজারে'র আন্দোলন এবং হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে আমার মনে হয় হেফাজত চরিত্রের গতি প্রকৃতি বুঝা সহজ হতে পরে। ভারতের আন্না হাজারের আন্দোলনের মধ্যে মুখে ছিল শান্তির জয়গান। কিন্তু কাজে ছিল চরম সাম্প্রদায়িক ইসলাম ও মুসিলম বিদ্বেষ। এবং তার পেছনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হলো বিজেপি, সিবনেসা আরএসএস। কিন্তু হেফাজতের পেছনে রাজনৈতিক ফিলোসফীর কোন গোষ্টীর সাথে আতাত ছিল না। কিন্তু আমাদের দেশের প্রধান প্রধান প্রতিটি রাজনৈতিক গোষ্টী নিজেদের স্বার্থে কাছে টেনে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। এটা হেফাজতের একটি বড় ধরনের ব্যর্থতা।
হেফাজত অরাজনৈতিক এতে ভণ্ডামির কি আছে? কোনো ব্যাক্তি একটি রাজনৈতিক দল করেও অন্য অরাজনৈতিক সংগঠন করতে পারেন। সেটা প্রত্যকে দলেই দেখা যায়। আলেম ওলামারা করলে তাকে ভণ্ডামী বলতে হবে কেন?
হেফাজতের দাবীর সাথে সব মুসলমান একমত হতেই হবে। কারণ হেফাজতের দাবীগুলো ঈমানের দাবী। লীগেরা যেহেতু নিজেদেরকে মুসলমান দাবী করে তাই লীগেরা হেফাজতের বন্ধু হতেই পারে। তবে লীগের মধ্যে যারা নাস্তিক আছে তাদের সাথে আপোষ নাই। এইসব কথা শুনেও যারা না শুনার ভাল করে আসলে তারাই ভণ্ড। আর এইসব ভণ্ডের পোষ্ট যারা স্টিকি করে তারাও ভণ্ডের সহযোগি। টুডে ব্লগ নিরপেক্ষতা হারাবে এইসব ভণ্ডদের পোষ্ট স্টীকি করতে থাকলে। রাসুল স এর কার্টুন যখন প্রথম আলোতে আসে তখন এই জামাতিরা আন্দোলন না করার পরামর্শ দিয়েছিল সেটা মাহমুদুরর হমানের কলাম থেকে জানা গিয়েছে। কবি নরুলের ভাষায় রাসুলের অপমানে যদি কাঁদে না তোর মন, মুসলিম নয় মোনাফেক তুই রাসুলের দুশমন। সেই মোনাফেক জামাতের ব্লগ এই টুডে। আজ এক নাস্তিক রাসুলকে অপমান করে পোষ্ট দিয়েছে সকালে। আমি তা ডিলেট করতে বললাম। কিন্তু তা এখনো আছে। তাহলে বুঝাই যাচ্ছে এই টুডে আর তাদের দল জামাত আসলেই মুনাফেক। এরা লীগের চেয়েও খারাপ। ছি।
১। আল্লাহর রসুল বলেছেন, ওনার উন্মত ৭৩ ভাগে ভাগ হবে। অন্যত্র বলেছেন ওনার উন্মত একটা শরীরের মত - একজনের ব্যাথ্যায় অন্যজন ও ব্যাথা পাবেন। সো আমাদের মধ্যে মত ও পথের পার্থক্য থাকবে তাই বলে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মোহাম্মদুর রাসুল্লাল্লাহ' বলিয়েকে ঘৃনা করা যেমন যাবেনা তেমনি তথাকথিত কবি নজরুল এর মাধ্যমে কাউকে খেতাব ও দেওয়া যাবেনা। আপনি নিশ্চয়ই কবি নজরুলকে ধর্মের কোন টার্ম এর জনক হিসাবে নিবেন না।
আশা করি আপনি আমার উপর রাগ করবেন না। আসালামুআলাইকুম।
তবে, 'ধর্মে নীতিহীনতার কোন স্থান নেই! আর রাজনীতিতে উদ্দেশ্যসাধনের কোন বিকল্প নাই!' - কথাটি ঠিক - তাহলে ইসলামী রাজনীতি কি জিনিস? কিভাবে হবে/চলবে - নেক্সড প্রবন্ধে বলবেন একটু কাইণ্ডলি! ধন্যবাদ!
হেফাজত এখন আ:লীগের বন্ধু ....
নাস্তিকরা সাগরে ঝাপ দেন - আর রাস্তা নাই...।
আর যারা "খেলাঘর বাধঁতে আইছেন" তারা
নিজেরাই বুঝার চেস্টা করেন কি হইতাছে এইসব
আর বাকিটা নিজের ইচ্ছা ও স্বভাবমত কইরেন
এসব সমাবেশে বক্তাদের বক্তব্যের বিষয় নির্ধারিত থাকেনা। একজনকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়, তিনি নিজের পছন্দমত একটি বিষয় বাছাই করে বক্তব্য দিতে থাকেন। যার কারণে জাতি প্যাকেজ হিসেবে কোন দিক নির্দেশনা পায়না।
আহলে হাদিস জঙ্গিদের দোসর, এদের নিষিদ্ধ করা হোক - বাবুনগরী
তিনি দাবি করলেন, ‘গত বছর যারা মাদরাসা ছাত্রদের ওপর গুলি করার জন্য পুলিশকে উসকানি ও নির্দেশ দিয়েছিল, যারা শাপলা চত্বরে নবীপ্রেমিক জনতার ওপর হামলা করেছিল, বায়তুল মোকাররমে কুরআন পোড়ানোর জঘন্য কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিল তারা একেকজন একটি করুণ অপঘাতে প্রাণ দিয়েছে।’
‘কেউ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়েছে, কাউকে জীবন দিতে হয়েছে আপন সন্তানের হাতে; কেউ নিজ দলীয় প্রতিপক্ষ কিংবা র্যা ব-পুলিশের গুলিতে মরেছে। আমরা কারো ওপর প্রতিশোধ নেইনি আমাদের এটা করতে হয় না। আল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে মোক্ষম ফায়সালা করেছেন।’
আহলে হাদিস জঙ্গিদের দোসর, এদের নিষিদ্ধ করা হোক - বাবুনগরী
আল্লাহ সব মুসলিমকে রখ্যা করুন।
আহলে হাদিস জঙ্গিদের দোসর, এদের নিষিদ্ধ করা হোক - বাবুনগরী
আমাদের টিপু ভাইর মন্তব্যের সাথে একমত।
খামাখা নয় বরং ইচ্ছা করেই আহলে হাদিস নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন।
হেফাজরেত ঢাকা আমীর কাসেমী সাহেব যেদিন এইচ টি ইমামের কাছ থেকে জিপ উপহার নিয়েছেন ঠিক ঐ দিন ই সব ড্রিল হয়েছে।
http://nuraldeen.com/2014/04/13/the-ultimate-hefazot/
আর লেখকের অন্য লেখার মাধ্যমে বুঝা যায় উনি নিজেকে ইসলামপন্থী বলে মনে করেন , অন্য ব্লগ থেকে চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়াটা কি ইসলাম ?
আপনার সচেতনতা ও দুঃখুপ্রকাশ প্রসংশনিয় ।
কওমি আলেমদের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে তারা ধর্ম ও রাজনিতি আলাদা মনে করেন। এই দৃষ্টিভঙ্গি মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানির থেকেই এসেছে। যদিও মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরি সহ অনেকেই এর থেকে কিছুটা ভিন্নমত প্রদর্শন করতেন কিন্তু পুরাপুরি রাজনিতিতে জড়াননি। ধর্মিয় বিষয়ে কিন্তু জামায়ত ই ইসলামি এবং কওমি আলেমদের মধ্যেই বেশি মিল রয়েছে। আহলে হাদিসদের বিরুদ্ধে তাদের বক্তব্য দেখে মনে হচ্ছে তাদের মধ্যে "ডিভাইড এন্ড রুল" এর সঠিক প্রয়োগ হয়েছে।
আওয়ামিলিগকে বন্ধু বলার উদ্দেশ্য তাদের দাওয়াত দেওয়া ও বুঝানো। হেফাজত অরাজনৈতিক সঙ্ঘঠক তা ঠিক, কিন্তু হেফাজত আগ থেকেই বলে আস্তেছে এই আন্দোলনে সবাই দলমত নির্বিশেষ শরীক হতে তাই মিনার মার্কা, খেজুর মার্কা, হাতপাখা মার্কা সবাই এক হয়েছে, তারমেনে এটা নয় যে রাজনৈতিক ফায়দা হাসেল করতে এক হয়েছে। আরেকটি কথা মনে রাখবেন, হেফাজত বা ওলামায়ে দেওবন্দ প্রায় ৬০ বছর আগ থেকেই মউদুদি জামাতের চরম বিরুধিতা করে আসতেছে, আজো করতেছে। সুতরাং কোন দিন বিএনপি আওয়ামীলীগ বন্ধু হতে পারে কিন্তু জামাত আর হেফাজত কখনো বন্ধু হতে পারবে না যতদিন জামাতের ভ্রান্ত মউদুদি আকিদা জামাত প্রত্যাখ্যান না করবে। আহমেদ শফী আওয়ামীলীগ কে শুধু বন্ধুই বলেন নাই, বরং তৌবা করার জন্যও অনুরোধ করেছে। সুতরাং আওয়ামিলিগকে বন্ধু বলেছে এই জন্যই যেন তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে তৌবা করানো যায়, আর ১৩ দফা দাবী মানানো যায়, যদিও নাস্তিক্কবাদী এই সরকারের তা আশা করা যায় না। একটা কথা মনে রাখবেন, যুক্তি শয়তানও দিতে পারে, তবে সবার যুক্তি গ্রহন যোগ্য নয়। তাই আপনার ব্যখ্যা টি মানতে পারলাম না।
আহলে হাদীস নিষিদ্ধ করবার ইস্যু তুলবার কারণ কি?
নেই সেই রক্তমাভ সূর্য। অথচ একসময় মুসলমানগণ বিশ্বের বুকে শির উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল।
দিকে দিকে ঘোষিত হয়েছিল তাদের বিজয় মহিমা। মুসলমানদের সোনালী যুগ আজ অতীত।
‘সত্যবাণী’প্রবন্ধে নজরুলের ভাষায়-
‘তোমার সে মহাগৌরবের কথা বিশ্বে চির মমিান্বিত। মনে পড়ে কি, তোমার সেই রক্ত পতাকা, যাহা বিশ্বের সিংহদ্বারে উড়িয়া ছিল। তোমার সেই শক্তি যাহা দুনিয়া মথিত আলোড়িত করেছিলো। বল বীর, বল আজ তোমার সেই শক্তি কোথায়?
মন্ত্রী যেহেতু ইনকাম টেকশ বলেছে, তাই প্রতিমন্ত্রী বুঝেছে ভ্যাট তিন কম তিনশ দিতে হবে। আর অমনিতেই প্রতিমন্ত্রী সাহেব সংবাদ বিফ্রিং করে জানিয়ে দিলেন অমুক সেক্টরে রাজস্ব ভ্যাট তিন কম তিনশ দিতে হবে।
ঐ অমনোযোগি মন্ত্রীর আজো কিছু অমনোযোগি ও সুবিদাবাদী আল্লামা আহমেদ শফী সাহবের যুক্তিক ও হেক্মতি কথাকে বিকৃতি করে তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। বিভ্রান্তি চড়াচ্ছে জনমনে। জনগন ও তউহিদি জনতা থেকে দূরে সরাতে চাচ্ছে হেফাজতে ইসলাম কে। ইংশাআল্লাহ তাদের সেই বদ উদ্দেশ্য কখনো পূরণ হবে না।
মন্ত্রী যেহেতু ইনকাম টেকশ বলেছে, তাই প্রতিমন্ত্রী বুঝেছে ভ্যাট তিন কম তিনশ দিতে হবে। আর অমনিতেই প্রতিমন্ত্রী সাহেব সংবাদ বিফ্রিং করে জানিয়ে দিলেন অমুক সেক্টরে রাজস্ব ভ্যাট তিন কম তিনশ দিতে হবে।
ঐ অমনোযোগি মন্ত্রীর আজো কিছু অমনোযোগি ও সুবিদাবাদী আল্লামা আহমেদ শফী সাহবের যুক্তিক ও হেক্মতি কথাকে বিকৃতি করে তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। বিভ্রান্তি চড়াচ্ছে জনমনে। জনগন ও তউহিদি জনতা থেকে দূরে সরাতে চাচ্ছে হেফাজতে ইসলাম কে। ইংশাআল্লাহ তাদের সেই বদ উদ্দেশ্য কখনো পূরণ হবে না।
এক মত আপনার সাথে
তবে কিছু বিষয়ে তথ্য বিভ্রাটও আছে।
তথ্য আছে বলে ধুম্রজাল সৃষ্টির হেতু কি? আপনার দৃষ্টিতে তথ্য বিভ্রাট থাকলে সেগুলো বলে দিলেই তো হয়।
তবে শেষের এ অংশটুকুর সাথে সহমত বারে বারে
মন্তব্য করতে লগইন করুন