ইসরাইল ফেরত কে এই সুজিত ঘোষ?
লিখেছেন লিখেছেন আবদুহু ১৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৭:১১:৫২ সন্ধ্যা
বাংলাদেশের ভেতরে ইন্ডিয়ান বাহিনী এসে অপারেট করার ঘটনার ফ্যাক্সে অন্যতম নাম সুজিত ঘোষ। একমাত্র ভারতীয় নাম।
অনেকের মতে বাংলাদেশে র এর ষ্টেশন চীফ, কেতাবের হিসাবে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের পলিটিকাল কাউন্সেলর।
সুজিতকে চিনতে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন পেজে দেখুন,
(Counsellor, Political & Information, Sujit Ghosh)
click here
সুজিত ঘোষ দাদাকে সম্মান করতেই হয়। অনেক উঁচু তবকার লোক। আমাকে বা আপনাকে খুঁজে বের করে নিঃশব্দে খুন করে ফেলা তার জন্য ডালভাত। বাংলাদেশে বসে রাজনীতির কলকাঠি নেড়ে যাচ্ছেন বর্তমানে। প্রতি বছর ইয়থ ডেলিগেশনের নামে এক দেড়শ বাংলাদেশী যুবক যুবতীকে ভারত নিয়ে গিয়ে মগজধোলাই এবং ভবিষ্যত ব্ল্যাকমেইলের মালমশল্লা জমা করেন।
এদেরকে বিশ ত্রিশ বছর পর বাংলাদেশের বড় পদে পৌছানো হবে, এবং দুইহাজার দশের ছবি বা ভিডিও দিয়ে চাকর বানানো হবে। এতো লংটার্ম প্ল্যান মানুষ তার নিজের জন্যও করেনা, এখানেই ভারতের সফলতা। আর ভারত এইসব শিখেছে ইজরায়েলের কাছ থেকে।
সেই ভারত ইসরায়েল সম্পর্কেরও একজন খেলোয়াড় এই ভদ্রলোক। সুতরাং ঘোষদা কোন পর্যায়ের লোক তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০১১ এর আগষ্টে তেল আবিবে আয়োজিত চতুর্থ ভারত-ইজরায়েল ফোরামের সিলেক্টেড পার্টিসিপেন্টদের মাঝে অন্যতম একজন। ভারতের পক্ষ থেকে র এর অন্যতম ফ্রন্ট এসপেন ইনষ্টিটিউট ইন্ডিয়া ছিলো এর যৌথ আয়োজক, তেল আবিব ভার্সিটির সাথে।
ঐ ফোরামে শুধুমাত্র ভারত আর ইজরায়েলের সরকারী কর্মকর্তা, সামরিক কর্মকর্তা, সরকারী একাডেমিশিয়ান, ডিপ্লোম্যাট আর ইন্টেলিজেন্স পিপল যোগ দেয়। ঐসময় সুজিত ঘোষ ছিলো ইজরায়েলে ইন্ডিয়ান দুতাবাসের পলিটিকাল এন্ড ইনফরমেশন সেক্রেটারী।
ইজরায়েলের মতো হাই প্রোফাইল দেশ, সারা দুনিয়ার ইন্টেলিজেন্স কাজকর্মের অন্যতম একটা হাব, এমন একটা জায়গায় কাজ করার পর তাকে ঢাকায় আনা হয়। বুঝা যাচ্ছে ভারত এখন বাংলাদেশকে কতটা প্রায়োরিটি দিয়ে দেখছে। এর আগে সুজিত ঘোষ বেইজিং এ কাজ করেছে, এবং দিল্লীতে গালফ ও আমেরিকান ডেস্কেও কাজ করেছে। ইংলিশ, হিন্দী, বাংলা আর চাইনিজ বলতে পারে ভারতের এই ইন্টেলিজেন্স অ্যাসেট।
ঘোষদার সফলতাই বলতে হবে, শাহবাগিরা এখন ইজরায়েলকে সমর্থন করে লেখার দুঃসাহস অর্জন করে ফেলেছে। মনে আছে পাকিস্তান বর্জন প্রসঙ্গে শাহবাগিদের চিৎকার?
শাহবাগির দল বাংলাদেশী পাসপোর্টে ইজরায়েলের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার জন্য একদফা হল্লাচিল্লা করেছিলো। ইজরায়েলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলো। একাত্তরে ইজরায়েল বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছে বলে ইজরায়েলের সাথে কোলাকুলিও শুরু দরকার বলে লাফানো শুরু করেছিলো। কোইনসিডেন্স মনে হয়?
সাইমন ভ্যানবয় এজন্য বলেছিলেন “Coincidences mean you're on the right path.”
বিষয়: বিবিধ
২৬৮১ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ
জয় বাংলা। জয় হিন্দ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন