নাৎসিবাদ থেকে শাহবাগঃ পল্টনে কোরআন পুড়ে যাওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে

লিখেছেন লিখেছেন আবদুহু ০৫ মে, ২০১৩, ০৯:৪২:০৯ রাত



বাম-ধর্মবিদ্বেষী আর আওয়ামী লীগ ডুয়ো বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে। এই ফ্যাসিজম বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তারা শুধু গায়ের জোরকেই কাজে লাগাচ্ছে না। বরং ফ্যাসিজমের যত নোংরা কৌশল আছে, এরা তার কোনটাই কাজে লাগাতে বাকি রাখছে না। আধুনিক যুগে ফ্যাসিজমের গুরু হিটলারের অনুসারীদের কাজের দিকে তাকালে তাদের সাথে হাসিনার অনুসারীদের অদ্ভুত কিছু মিল দেখা যায়। আমি শুধু অবাক হয়ে যাই, পৃথিবীর সম্পূর্ণ দুই ধরণের জাতির হাজার হাজার মাইল দূরের দুই জায়গাতে চিন্তা আর কাজের এতো মিল কিভাবে হয়!



হিটলারের নাৎসি বাহিনী বিপক্ষ মতের বই পুড়িয়েছিলো। সেই ঐতিহাসিক নাৎসি বুক বার্ণিং ইভেন্টের পুনরাবৃত্তি আমরা দেখেছি শাহবাগে পত্রিকা পুড়ানোর ঘটনায়। এরা পুড়িয়ে ভিন্নমত দমন করে নিজেদের বিশুদ্ধ বানানোর অলীক স্বপ্ন দেখেছে যুগে যুগে। হিটলারের নাৎসি দলে জাতিগত আর্য-শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য মগজধোলাই করতে আবেগপুর্ণ গনশপথ পড়ানো হতো। আমরা শাহবাগে দেখেছি চাদরবাবা আর বামপন্থীদের অদ্ভুত সব শপথ গ্রহণ। ছোট একটা দেশের মাঝে বিভেদ ও হানাহানি শুরু করেছে এই শাহবাগ, বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কলংক।

জার্মানিতে হিটলারের নাৎসি দলের উত্থানের ইতিহাসে বড় একটা ঘটনা ছিলো জার্মান পার্লামেন্টে আগুন লাগানোর ঘটনা। তেত্রিশ সালে বার্লিনের রাইখষ্ট্যাগ বিল্ডিং এ রাতের বেলা আগুন ধরিয়ে দেয় হিটলারের দলের লোকজন। এরপর এটাকে কমিউনিষ্ট পার্টির কাজ দাবী করে হিটলার সেই কমিউনিষ্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করে। হিটলারের সেই কাজ থেকে বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি এবং বাকশালী আওয়ামী লীগরা খুব ভালো ট্রেনিং নিয়েছে, আজকের এক ঘটনা থেকে পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে।



আজকে ৭১ টিভি, প্রজন্ম পেজ সহ শাহবাগী সমস্ত ফেসবুক পেজ এবং শাহবাগী লোকদের ক্রমাগত প্রচারণা দেখছি, হেফাজত না কি আজকে পল্টনে কোরআন পুড়িয়ে দিয়েছে। গুড। আমি শুধু একটা জিনিস সৎভাবে চিন্তা করার জন্য আপনাকে অনুরোধ জানাই। যে হুজুররা মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে, যারা কেবলমাত্র ইসলামের জন্যই সব কিছু তুচ্ছ করে রাষ্ট্রশক্তির মোকাবেলায় রাস্তায় নেমে এসেছে, জীবন দিয়ে দিচ্ছে, কোরআনের সম্মান যাদের কাছে পৃথিবীর অন্য যে কোন কিছুর চেয়ে বেশি, তাদের পক্ষে কি সম্ভব কোরআন শরীফে আগুন লাগানো? আপনি শুধু একবার চিন্তা করুন, আপনার এলাকার মসজিদের ইমাম বা মুয়াজ্জিনের পক্ষে কি সম্ভব কোরআন শরীফ পুড়ানো?

না কি আপনার এলাকায় গাঞ্জাখোর চান্দাবাজ বখাটে ইয়াবাসেবী যে লীগের পোলাপান আছে তাদের পক্ষে সম্ভব?

ঠিক সেটাই। এরা মনে করছে হিটলারের পথ ধরে নিজেরা আগুন লাগিয়ে তার দোষ বিপক্ষ দলের ঘাড়ে চাপিয়ে সাধারণ মানুষের আবেগকে নিজেদের পক্ষে নিতে পারবে। কিন্তু অলীক আশা। মিথ্যা আশা কুহকিনী। হাতে অস্ত্র আর পিছনে পুলিশের ব্যাকিং থাকলে অন্ধ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। এরা কল্পনারও করতে পারছে না দেশের আশি শতাংশ সাধারণ মানুষ আজ এদের কতটা ঘৃণা করছে। যে বিভেদ আর ঘৃণা এরা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো, তার শিকার এখন তারা নিজেরাই।

বিষয়: বিবিধ

১৩৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File