ভাঙ্গা ভাঙ্গা ভাবনাঃ ১

লিখেছেন লিখেছেন আবদুহু ১৮ এপ্রিল, ২০১৩, ০৬:৪৪:৫২ সন্ধ্যা

১.

বাংলাদেশের ইতিহাসের আশ্চর্য এক সময়ের স্বাক্ষী হিসেবে আমরা এখন বেঁচে আছি। এইদেশে মসজিদের মাইক নিয়ন্ত্রণ করা হবে, বন্ধ করা হবে এমন কি দশ বছর আগেও কেউ ভেবেছিলো?

রাশিয়া এবং চীনে কমিউনিজম কায়েম হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মসজিদের মাইক বন্ধ হয়েছিলো, মিনার ভাঙ্গা হয়েছিলো। তারপর একসময় মসজিদও বন্ধ হয়েছিলো। বন্ধ হয়েছিলো দাড়ি টুপি বোরকা।

একসময় কৌশিক, সবাক সহ বাম ও আওয়ামী ব্লগাররা মাইকে আযানের শব্দ নিয়ে ব্লগে বিরক্তিনামা লিখতো। বেশিদিন দরকার হয়নি, তাদের আশা পূরণ হচ্ছে এখন। দাড়ি টুপির জন্য বয়োবৃদ্ধদের এদেশে নির্যাতিত হতে হয়, বোরকার কারণে গ্রেফতার হতে হয়। আওয়ামী লীগ আরেক দফায় আসলে মিনারা ভাঙ্গা আর মসজিদকে শিশা লাউঞ্জ বানানোও সম্পন্ন হবে। এখন শুনতে যতটা আশ্চর্য লাগছে তখন ঠিক ততটাই গা-সহা স্বাভাবিক মনে হবে। যেমন এখন নাস্তিক ও আওয়ামীদের মসজিদের মাইক নিয়ে উল্লম্ফন, মসজিদের ইমামদেরকে পিটিয়ে চাকরী থেকে বিতাড়ন এসব স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। তাই বলছি, বাংলাদেশের ইতিহাসের আশ্চর্য এক সময়ের স্বাক্ষী হিসেবে আমরা এখন বেঁচে আছি।

২.

ইসলামপন্থীদের আপনি 'জঘন্য ডাবল ষ্ট্যান্ডার্ড' বলছেন। মূল যুক্তি কি? তারা মাহমুদুর রহমানের বিপক্ষে দাড়ায় নাই। মাহমুদুর রহমান জঘন্য লোক, নাস্তিকদের খবর ছাপিয়ে দিয়েসে। কেন খারাপ? কারণ তার উদ্দেশ্য খারাপ, সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানো।

ওয়াটারগেট কেলেংকারী যে ছাপাইসে তার উদ্দেশ্য ছিলো রিগান সরকারের পতন ঘটানো। রিমা মুনীর মামলার খবর যে সাংবাদিক হাইলাইট করসে তার উদ্দেশ্য ছিলো মুনীরের ফাসি ত্বরান্বিত করা। এরশাদ শিকদারের হত্যাকান্ডের খবর যে সাংবাদিক ছাপাইসে তার উদ্দেশ্য ছিলো এরশাদ শিকদারের পতন ঘটানো। আসলে সব সাংবাদিকের উচিত ছিলো মুন্নী সাহা আর জ.ই.মামুন এর মতো আদর্শ প্রচারে এক্টিভিষ্ট জার্নালিজম করা।

মাহুমুদুর রহমানরে কেন্দ্র কইরা ডাবল ষ্ট্যান্ডার্ডের যুক্তি সাজান, আবার মন্তব্যে আইসা বলেন: "সংবাদপত্র আর আইনকানুন সম্পর্কে ভালো জানা নাই ।"

আপ্লুত হয়া গেলাম। এক চোখ খোলা রাইখা ডাবল ষ্ট্যান্ডার্ড সম্পর্কে যুগান্তকারী থিওরী দিয়া দিসেন।

আর যখন বলসেন: "আইনে যা বলা আছে তা হয়েছে । আমি এইব্যাপারে কোন পক্ষ নিতে রাজি না" তখনই বুঝা গেসে আপনে চরম নিরপেক্ষ। বাংলাদেশের মতো দেশে আওয়ামী লীগের মতো সরকারের হাতে আইনের প্রয়োগের পর "আইনে যা বলা আছে তা হয়েছে" এতো সুন্দর মর্মবাণী ছেড়ে দেয়া সবার পক্ষে সম্ভব না। আপনি আস্তে আস্তে ফকির ইলিয়াস থেকে ধাপে ধাপে শাহরিয়ার কবির অথবা আবেদ খানও হয়া যাইতে পারেন লাইগা থাকলে।

ডাবল ষ্ট্যান্ডার্ড বাংলাদেশ।

৩.

ভুদাইগো বানান দেখে কষ্টই লাগে, মেজাজও খারাপ হয়।

লিখসে: Karagara Mahabub Rohomanar

hamoron honnoson

যা দাড়াইসে: কারাগারা মাহাবুব রহমানার হামরণ হন্নসন

বলতে চাইসে: কারাগারে মাহমুদুর রহমানের আমরণ অনশন

বাংলিশে লেখলে লেখা উচিত: karagar e Mahmudur

Rahman er amoron onoshon

বিষয়: বিবিধ

১০৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File