এপ্রিল ফুল! (মুসলিম নিধনের দিন)
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ৩১ মার্চ, ২০১৯, ১২:০০:৩৬ দুপুর
আল্লাহর মনোনীত, রাসূল সাঃ প্রদর্শিত শান্তির ও সৌন্দর্যের ধর্ম ইসলাম। শান্তি ও সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যখন সারা বিশ্বে দলে দলে মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আসতে শুরু করলো, এবং দেশে দেশে ইসালামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম হওয়ার রব উঠে, ঠিক সেই সময়ে সারা বিশ্বের ন্যায় ইউরোপের মাটিতেও ৮ম শতাব্দীতে ইউরোপের দেশ স্পেনেও কায়েম হয় ইসলামী শাসন ব্যবস্থা। মুসলমানদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগের বিনিময়ে, জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সভ্যতার সকল ক্ষেত্রে বিস্ময়কর উন্নতি লাভ করে, ৮০০ বছর একটানা অব্যাহত থাকে এ উন্নতির ধারা ও শাসন ব্যবস্থা ৷ স্পেনে মুসলমানদের ৮০০ বছরের গৌরবময় শাসনের ফলে দেশটিতে তখন অর্থসম্পদ, বিত্ত-বৈভবের কোন অভাব নেই ৷ ঠিক সেই সময় মুসলমানরা ভোগ-বিলাসে মত্ত হয়ে ভুলে যায় কুরআন ও সুন্নাহর নৈতিক শিক্ষা ৷ চরিত্রের নৈতিক অবক্ষয় ও মুসলমানদের একতা একটু একটু করে পুরো ইউরোপকে গ্রাস করে ফেলে ৷ আর চতুর খ্রিস্টানরা মুসলমানদের এ দুর্বলতার সুযোগ লুফে নেয় ৷ তারা মেতে উঠে ঠান্ডা ষড়যন্ত্রে৷ সকল খ্রিস্টান ইহুদী চক্র গোপনে সিদ্ধান্ত নেয়, 'স্পেনের মাটি থেকে মুসলমানদের উচ্ছেদ করতে হবে ৷' এ চিন্তা নিয়েই পর্তুগীজ রাণী ইসাবেলা চরম মুসলিম-বিদ্বেষী পার্শ্ববর্তী খ্রিষ্টান সম্রাট ফার্দিনান্দকে বিয়ে করে ৷ বিয়ের পর দু'জন মিলে নেতৃত্ব দেয় মুসলিম নিধনের ৷ খ্রিষ্টানদের সম্মিলিত বাহিনী হাজার হাজার নারী-পুরুষকে হত্যা করে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে উল্লাস করতে করতে ছুটে আসে রাজধানী গ্রানাডায় ৷
এতদিনে টনক নড়ে মুসলিম বাহিনীর ৷ কখনো সম্মুখ যুদ্ধে মুসলমানদের পরাজিত করতে পারেনি বলে চতুর ফার্দিনান্দ পা বাড়ায় ভিন্ন পথে ৷ তার নির্দেশে আশপাশের সব ফসলের জমিন জ্বালিয়ে দেয়া হয় ৷ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় শহরের খাদ্য সরবরাহের প্রধান প্রধান সব কেন্দ্র৷ দ্রুতই দুর্ভিক্ষ নেমে আসে স্পেনের শহরে ৷ দুর্ভিক্ষ যখন মহামারী আকারে রুপ নিলো, তখন প্রতারক ফার্দিনান্দ ঘোষণা করলো, মুসলমানরা যদি শহরের প্রধান ফটক খুলে দেয় এবং নিরস্ত্র অবস্থায় মসজিদে আশ্রয় নেয় তবে তাদের বিনা রক্তপাতে মুক্তি দেয়া হবে ৷
দিনটি ছিল ১৪৯২ সালের ১ এপ্রিল ৷ দুর্ভাগ্য তাড়িত গ্রানাডাবাসী অসহায় নারী ও মাসুম বাচ্চাদের করুণ মুখের দিয়ে তাকিয়ে খ্রিষ্টানদের আশ্বাসে বিশ্বাস করে খুলে দেয় শহরের প্রধান ফটক ৷ সবাইকে নিয়ে আশ্রয় নেয় আল্লাহর ঘর পবিত্র মসজিদে ৷ শহরে প্রবেশ করে খ্রিষ্টান বাহিনী মুসলমানদেরকে মসজিদের ভেতর আটকে রেখে প্রতিটি মসজিদে তালা লাগিয়ে দেয় ৷ এরপর একযোগে শহরের সমস্ত মসজিদে আগুন লাগিয়ে বর্বর উল্লাসে মেতে ওঠে হায়েনারা ৷ লক্ষ লক্ষ নারী-পুরুষ-শিশু অসহায় আর্তনাদ করতে করতে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারায় মসজিদের ভেতর ৷ প্রজ্জ্বলিত অগ্নিশিখায় দগ্ধ অসহায় মুসলমানদের আর্তচিত্কার যখন গ্রানাডার আকাশ-বাতাস ভারী ও শোকাতুর করে তুলল তখন রাণী ইসাবেলা হেসে বলতে লাগলো, 'হায় এপ্রিল ফুল (মানে এপ্রিলের বোকা)! শত্রুর আশ্বাস কেউ বিশ্বাস করে?' সেই থেকে খ্রিষ্টান জগত্ প্রতি বছর ১লা এপ্রিল আড়ম্বরের সাথে পালন করে আসছে- April Fool মানে 'এপ্রিলের বোকা' উৎসব।
অথচ আমারা মুসলিম নামধারীরা এপ্রিল ফুলের ইতিহাস না যেনে ইহুদি খ্রিস্টানদের সাথে তাল মিলিয়ে ঘটা করে পালন করি মুসলিম নিধনের করুন দিনটিকে!
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে ১লা এপ্রিলের সঠিক ইতিহাস জানার তওফিক দান করুক।
বিষয়: বিবিধ
৯৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন