পর্দা এবং রাজনৈতিক বাস্তবতা।

লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ২৫ এপ্রিল, ২০১৮, ০৫:৫৪:১১ বিকাল





সেই বৃটিশ পরবর্তি সময় থেকেই উপমহাদেশের আলেম ওলামারা একটি বিপদ মাথায় নিয়ে পথ চলেছেন, দ্বীনের খেদমত করেছেন। বৃটিশ পরবর্তি ভারত পাকিস্তানের আলেমদের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ যারা ছিলেন, ক্ষমতার স্বাধ যারা নিয়েছেন তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য অংশ নারী ছিলেন।

স্বভাবতই রাষ্ট্রের প্রয়োজনে, নিজের প্রতিষ্টানের প্রয়োজনে ওলামাদেরকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মহলে থাকা নারীদের সামনে দাড়াতে হয়েছে, রাজনৈতিক প্রোগ্রামে তাদের শরীক করতে হয়েছে। যেসব দলের প্রধান নারীরা রয়েছেন, তাদের সহযোগী হওয়ার ক্ষেত্রে উপমহাদেশের স্বনামধন্য বিদ্যাপিঠ দারুল উলুম দেওবন্দের আকাবারদের নামও রয়েছে।

পাকিস্তানেও সামরিক সরকার হটাতে ফাতেমা জিন্নাহর নেতৃত্বে জোটবদ্ধ নির্বাচন করা হয়েছে এবং তাকে প্রধান করেই আন্দোলন, সংগ্রাম এবং নির্বাচন হয়েছে যেখানে সর্ব শ্রেনীর আকাবারগন শামিল ছিলেন। পাকিস্তান পরবর্তি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশেও দুটি বৃহত্তর দলে নারীদের নেতৃত্ব চলে আসছে। ক্ষমতার পালাবদলে দুই নেত্রীই পাবলিকের প্রথম চয়েজ।

এই হিসেবে এদেশের হক্কানী ওলামাদের অনেকেই দুই নেত্রীর সাথে রাজনৈতিক বৈঠক, চুক্তিপত্র, যুগপদ আন্দোলন কর্মসূচী পালন সহ ক্ষমতার কেন্দ্রেও গিয়েছেন। নিজের রাজনৈতিক প্রোগ্রামে দলের সভানেত্রীকে দাওয়াত দেওয়া, তাদের প্রোগ্রামে সন্তুষ্ট চিত্তে হাজির হওয়ার ক্ষেত্রে সর্ব মহলের আকাবার, বুজুর্গ নেতাদের নাম রয়েছে। তাছাড়া সময় সময় নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়েও তারা দুই নেত্রীর দারস্থ হয়েছেন বহু বার।

এত কিছুর ভিতরেও নারী নেত্রীত্ব জায়েজ ফরামানোর ঠুনকোন অপবাদ কেবল জামায়াত নেতাদের ঘারে চাপানো হয়েছে। বিভিন্ন দলের নারী নেত্রীর সামনে পর্দা করা হচ্ছে না বলে জামায়াতের সিনিয়র নেতাদের যাচ্ছেতাই ভাবে সমালোচনা করা হয়েছে। যারা করেছেন তাদের মুরব্বিদের এরকম বেপর্দা হওয়ার ইতিহাস তো আর পরিস্কার ছিলো।

তথাপীও তারা প্রায়সই বলতেন, এরা ক্ষমতার জন্য নারীর আচলে ঢুকেছে। এরকম নোংরা ভাষার সমালোচনা আপনি যাদের থেকে শুনেছেন দির্ঘদিন ধরে তাদের অন্যতম শায়েখ ফরিদ উদ্দিন মাসউদ সাহেব কে চরমোনাইর অনলাইন পত্রিকা আওয়ার ইসলাম প্রশ্ন করে, মহিলা নেত্রীর সামনে বসে থাকায় পর্দার ব্যত্যয় হয়েছে কিনা ? তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা।

এতদিন পরেই কি এটা রাজনৈতিক বাস্তবতা হলো ? জামায়াত নেতারা বেগম জিয়ার সামনে বসলে যাদের কিবোর্ড উচ্চকিত হয়ে উঠতো, তারা আজকে বেপর্দা হওয়াকে বাস্তবতা বলছেন। এটা কিন্তু দারুন এক ব্যাপার। নিজের বেলায় ফতোয়া বদলে দেওয়া দারুন ক্ষমতা অর্জন না করলে শায়েখ হওয়া যায় নাকি ? তারা এটা পারেন বলেই জামায়াতের ঘারে বেপর্দা, নারী নেতৃত্ব মানার বিষয়ে একক দায় চাপাতে পারেন।সেই বৃটিশ পরবর্তি সময় থেকেই উপমহাদেশের আলেম ওলামারা একটি বিপদ মাথায় নিয়ে পথ চলেছেন, দ্বীনের খেদমত করেছেন। বৃটিশ পরবর্তি ভারত পাকিস্তানের আলেমদের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ যারা ছিলেন, ক্ষমতার স্বাধ যারা নিয়েছেন তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য অংশ নারী ছিলেন।

স্বভাবতই রাষ্ট্রের প্রয়োজনে, নিজের প্রতিষ্টানের প্রয়োজনে ওলামাদেরকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মহলে থাকা নারীদের সামনে দাড়াতে হয়েছে, রাজনৈতিক প্রোগ্রামে তাদের শরীক করতে হয়েছে। যেসব দলের প্রধান নারীরা রয়েছেন, তাদের সহযোগী হওয়ার ক্ষেত্রে উপমহাদেশের স্বনামধন্য বিদ্যাপিঠ দারুল উলুম দেওবন্দের আকাবারদের নামও রয়েছে।

পাকিস্তানেও সামরিক সরকার হটাতে ফাতেমা জিন্নাহর নেতৃত্বে জোটবদ্ধ নির্বাচন করা হয়েছে এবং তাকে প্রধান করেই আন্দোলন, সংগ্রাম এবং নির্বাচন হয়েছে যেখানে সর্ব শ্রেনীর আকাবারগন শামিল ছিলেন। পাকিস্তান পরবর্তি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশেও দুটি বৃহত্তর দলে নারীদের নেতৃত্ব চলে আসছে। ক্ষমতার পালাবদলে দুই নেত্রীই পাবলিকের প্রথম চয়েজ।

এই হিসেবে এদেশের হক্কানী ওলামাদের অনেকেই দুই নেত্রীর সাথে রাজনৈতিক বৈঠক, চুক্তিপত্র, যুগপদ আন্দোলন কর্মসূচী পালন সহ ক্ষমতার কেন্দ্রেও গিয়েছেন। নিজের রাজনৈতিক প্রোগ্রামে দলের সভানেত্রীকে দাওয়াত দেওয়া, তাদের প্রোগ্রামে সন্তুষ্ট চিত্তে হাজির হওয়ার ক্ষেত্রে সর্ব মহলের আকাবার, বুজুর্গ নেতাদের নাম রয়েছে। তাছাড়া সময় সময় নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়েও তারা দুই নেত্রীর দারস্থ হয়েছেন বহু বার।

এত কিছুর ভিতরেও নারী নেত্রীত্ব জায়েজ ফরামানোর ঠুনকোন অপবাদ কেবল জামায়াত নেতাদের ঘারে চাপানো হয়েছে। বিভিন্ন দলের নারী নেত্রীর সামনে পর্দা করা হচ্ছে না বলে জামায়াতের সিনিয়র নেতাদের যাচ্ছেতাই ভাবে সমালোচনা করা হয়েছে। যারা করেছেন তাদের মুরব্বিদের এরকম বেপর্দা হওয়ার ইতিহাস তো আর পরিস্কার ছিলো।

তথাপীও তারা প্রায়সই বলতেন, এরা ক্ষমতার জন্য নারীর আচলে ঢুকেছে। এরকম নোংরা ভাষার সমালোচনা আপনি যাদের থেকে শুনেছেন দির্ঘদিন ধরে তাদের অন্যতম শায়েখ ফরিদ উদ্দিন মাসউদ সাহেব কে চরমোনাইর অনলাইন পত্রিকা আওয়ার ইসলাম প্রশ্ন করে, মহিলা নেত্রীর সামনে বসে থাকায় পর্দার ব্যত্যয় হয়েছে কিনা ? তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা।

এতদিন পরেই কি এটা রাজনৈতিক বাস্তবতা হলো ? জামায়াত নেতারা বেগম জিয়ার সামনে বসলে যাদের কিবোর্ড উচ্চকিত হয়ে উঠতো, তারা আজকে বেপর্দা হওয়াকে বাস্তবতা বলছেন। এটা কিন্তু দারুন এক ব্যাপার। নিজের বেলায় ফতোয়া বদলে দেওয়া দারুন ক্ষমতা অর্জন না করলে শায়েখ হওয়া যায় নাকি ? তারা এটা পারেন বলেই জামায়াতের ঘারে বেপর্দা, নারী নেতৃত্ব মানার বিষয়ে একক দায় চাপাতে পারেন।

কপিপেস্টঃ Apu Ahmed

বিষয়: বিবিধ

৮৭২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

385171
২৬ এপ্রিল ২০১৮ সকাল ০৮:২৪
শেখের পোলা লিখেছেন : ভালো লাগল। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File