এটা তাবলীগ নয় যে, অনন্ত জলিল টাইপের অভিনেতা তৈরি করবে যারা ফাজায়েল আমল বগলদাবা করে সিনেমা, পার্লার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে নসিহত পেশ করবেন!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ১৭ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০৫:৪৩ রাত
এটা তাবলীগ নয় যে, অনন্ত জলিল টাইপের অভিনেতা তৈরি করবে যারা ফাজায়েল আমল বগলদাবা করে সিনেমা, পার্লার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে নসিহত পেশ করবেন!
এটা জামায়াত ইসলামী ! বিপ্লবী দাওয়াতের পদ্ধতি অনুশরন করে মানুষ কে গোমরাহীর সূত্র মুখস্ত করিয়ে দেয়া সংগঠন ! মানুষের মন রাজ্যে ব্যপক পরিবর্তন করতে শক্তিশালী সাহিত্য পেশকারী এবং পরীক্ষিত কর্মপদ্ধতির সাথে সাথে ময়দানে পরীক্ষা নেওয়ার মতো সংগঠন!
ভালো করে পড়ুন; বলছি মন রাজ্যের কথা, লেবাস সর্বস্ব পরিবর্তন নয়! এ থেকে সহজেই অনুমান করা যায় কোন ধরনের স্কীম জামায়াতের ভিতরে সক্রিয় আছে! যে কারনে দেখা যায় যে, লেবাস সর্বস্ব তাকওয়ায় বিশ্বাসী ভাইরা জামায়াতের নাম শুনলেই আৎকে উঠেন!
বলতে শুরু করেন, আরে ওদের সারে তিন হাত শরীরে ইসলাম নেই, ওরা কিসের ইসলামী দল! এই কারনে দুজনের ছবি কমেন্টে দিলাম এবং মরহুম আবুল কাশেম ভাইর ভিডিও শেয়ার করলাম যাতে লেববাস প্রিয় ভাইরা বুঝতে পারেন ইসলাম কোথায় থাকে, ঈমান, তাকওয়ার মি'য়ার কি কি!
কেউ একজন জানতে চাইলো, তাবলীগ জামায়াত আর জামায়াত ইসলামীর দাওয়াতের পার্থক্য কি? আমি বলি, গভির দৃষ্টি দিয়ে চিন্তা করলে আকাশ পাতাল! ধরুন কোন একটি কুপের ভিতরে মরা কুকুর পরে গেল! এই অবস্থায় কুপের পানি পাক করার উপায় কি?
তাবলীগের ফরমুলা হবে সহজ, সর্টকাটে! অর্থাৎ ফিকহের ভাষায় বলে দেবে এত বালতি পরিমাণ পানি কুপ থেকে ফেলে দিলেই সব পানি পাক হয়ে যাবে! এর বেশি কিছু দরকার নেই!
অন্যদিকে জামায়াত ইসলামী বলবে, কুপের পানি পাক করতে হলে প্রথমে মরা কুকুরটিই কুপ থেকে সরাতে হবে! মরা কুকুর ভিতরে রেখে বালতি গুনে লাভ কি? এরপরেই প্রত্যেক ব্যক্তি তার বিশ্বাস অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমান বালতি পানি তুলে ফেলবেন!
কত বালতি তুলবেন এটা নিয়ে বিতর্ক করা জামায়াত পছন্দ করে না, গুরুত্বপূর্ণ মনে করে না! কিন্ত তাবলীগের ভাবনাতে বালতির পরিমাণ মুখ্য! তাবলীগ আর জামায়াতের পার্থক্য এখানেই!
তাবলীগ চার চিল্লা লাগিয়ে লেবাসে, সুরতে কামেল বুজুর্গের ভাব ধরা এরতেজা হাসানদের তৈরি করে যাদের কলবে মরা কুকুর পচে গলে আছে কিন্ত বাইরের কয়েক বালতি ফেলা হয়েছে! !
মুরব্বি, মুবাল্লীগদের তাশকিলে কয়েক বালতি পানি কমেছে মাত্র! এ কারনেই তাগুতের সাথে তাদের সম্প্রৃক্ততা ওদের দ্বীনদারীতে সমস্যার সৃষ্টি করে না! বলতে পারেন কুয়োর ভিতের মরা কুকুর রেখে পানি পাক করার মতো!
অন্য দিকে সিনেমার প্রতিষ্টিত নায়ক আবুল কাশেম মিঠুন ভাই আ'বুল আ'লার একটি বই পড়েই বুঝতে পারেন তার ভিতরে জাহেলীয়াতের মরা কুকুর পরে আছে!
নিজের ভিতরের জাহেলীয়াত কে ছেটে ফেললেন! পরবর্তী কাহিনী সবার জানা! কোন দিন সিনেমার জন্য ক্যামেরার সামনে দাড়ানোর প্রয়োজন মনে করেননি! ভিতরের জাহেলিয়াত কে ছেটে ফেলার ভিতরে কত বড় আত্নত্যাগ থাকে সেটা কি লেবাস দেখে উপলব্ধি করা সম্ভব?
যখন দেখবেন আপনার স্কীমে লেবাস সর্বস্ব মুসলিম তৈরি হচ্ছে যারা সমকালীন জাহেলী মতবাদ কে বুকের ভিতরে আগলে রেখেছে, তখন বুঝে নিবেন আপনি মরা কুকুর রেখেই কুপের পানি পাক করার বেহুদা তাশকিল করছেন! এসব লোকের জাহেলীয়াত মিশ্রিত ঈমান আমলের এক আনা মুল্য আল্লাহ্ পাকের কাছে নেই! বুঝার চেষ্টা করুন!
বি দ্র : আমি জামায়াত সমর্থক বলেই উদাহরণে জামায়াত ইসলামীর নাম লিখেছি! ইক্বামাতে দ্বীনের কাজে সক্রিয় ভাইরা নিজ দলের নাম পড়ে নিয়েন নিজ জিম্মায়!
(কপিপেস্টঃ মুহতারাম অপু আহমেদ ভাইয়ের ফেসবুক ওয়াল)
বিষয়: বিবিধ
১৩১৫ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভিডাওটা দেখেন এবং মন্তব্য করুন।
বি দ্র : আমি জামায়াত সমর্থক বলেই উদাহরণে জামায়াত ইসলামীর নাম লিখেছি! ইক্বামাতে দ্বীনের কাজে সক্রিয় ভাইরা নিজ দলের নাম পড়ে নিয়েন নিজ জিম্মায়!
অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন