শিক্ষানীয় পোস্ট....

লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৬:৩৯:৩২ সন্ধ্যা

বাগদাদ শহরের এক মসজিদের ইমামের স্ত্রী ছিল অত্যন্ত সুন্দরী, রূপসী এবং সুনয়না। স্থানীয় এক মাস্তান যুবক হঠাত একদিন ইমাম সাহেবের স্ত্রীকে দেখে তার প্রতি ভীষণ আসক্ত হয়ে পড়ে এবং এরপর রীতিমত তাকে বিরক্ত করতে থাকে ।

একদিন ইমাম সাহেবের বাড়িতে প্রবেশ করে যুবক বলল, হে সুন্দরী মহিলা!! আমি ইতিমধ্যে তোমার প্রতি খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছি। তাই আমার কামনা চরিতার্থ করার জন্য প্রস্তাব দিচ্ছি। তুমি কি আমার প্রস্তাবে রাজি?? মাস্তান যুবকের প্রস্তাব শুনে মহিলা ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে গেলেন।

রাতে ইমাম সাহেব ঘরে ফিরলে তিনি তার কাছে যুবকের কথা বর্ণনা করলেন। ইমাম সাহেব বললেন, তুমি রাজি হয়ে যাও!! তবে একটা শর্তে, শর্তটা হলঃ “যদি যুবক একটানা চল্লিশ দিন প্রথম তাকবীরের সহিত জামায়াতের সাথে আমার মসজিদে সালাত আদায় করতে পারে তবেই তুমি রাজি হবে”।

পরের দিন যুবক এসে মহিলাকে জিজ্ঞেস করল, আমার প্রস্তাবের ব্যাপারে তোমার মত কি??

মহিলা বললেন একটি শর্ত আছেঃ যদি তুমি শর্ত পূরণ করতে পার তবে আমি রাজি। তখন যুবক বলল কি শর্ত?? মহিলা বলল শর্তটি হচ্ছেঃ “বিরতি না দিয়ে একটানা চল্লিশ দিন প্রথম তাকবীরের সহিত জামায়াতে সালাত আদায় করতে হবে”। যুবক বলল, এটাতো সহজ শর্ত এরচেয়ে কঠিন শর্ত দিলেও আমি রাজি হতাম।

যুবক পরদিন ওযু করে সুন্দর পোশাক পড়ে সালাত আদায় করতে আসলো। ইমাম সাহেব সালাতের পর মুনাজাত করে বললেন, “হে আল্লাহ! এক পথহারা যুবককে তোমার দরবারে এনেছি, এখন পথ প্রদর্শনের মালিক তুমি “।

যুবক শর্ত মোতাবেক জামায়াতের সাথে সালাত আদায় করে যাচ্ছে, ফজরের পর জোহরের জন্য অপেক্ষা করে, জোহরের পর আছর, এরপর মাগরিব, এরপর এশা। কোন বিরতি নেই।

অতঃপর এভাবে যেদিন একটানা চল্লিশ দিন পার হলো সেদিন যুবক ইমাম সাহেবকে জড়িয়ে কেঁদে ওঠলো এবং বলল, আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমি অন্ধকারে ছিলাম আল্লাহপাক আমাকে আলোর পথ দান করেছেন, আল্লাহ আমাকে হেদায়েত দান করেছেন।

আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে ক্ষমা করে দিন। তখন ইমাম সাহেব যুবককে সাথে নিয়ে আল্লাহর কাছে হাত তুলে দোয়া করলেন, “হে আমাদের পালনকর্তা, সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে আর কঠিন করে দিওনা এবং তুমি আমাদের করুনা দান কর, তুমিই মহাদাতা অসীম করুনার আধাঁর”। সূরাঃ আল-ইমরান , আয়াতঃ ৮

“যথাযথ ভাবে সালাত আদায় কর, নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরনই সর্বশেষ্ঠ। তোমরা যা কর তা আল্লাহ অবগত”। সূরাঃ আনকাবুত, আয়াতঃ ৪৫।

বিষয়: বিবিধ

১২০০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

380797
২০ ডিসেম্বর ২০১৬ রাত ০৮:২৩
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : এই গল্পটার কোনো রেফারেন্স আপনার কাছে থাকলে প্লিজ জানাবেন|এই গল্পগুলো না বলে কি মানুষকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করানো যায় না?
380801
২০ ডিসেম্বর ২০১৬ রাত ১০:১৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : প্রথম কমেন্ট টির সাথে একমত।
380805
২১ ডিসেম্বর ২০১৬ দুপুর ০১:২৩
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! ঘটনা সুন্দর। তবে সাধারন মানুষের উপমার চেয়ে সাহাবা (রাযিঃ) আনহুমগণের উপমা মানুষের জন্যে বেশী কার্যকর। তাই সাহাবাগণের জীবনী পড়ে সে অনুযায়ী আমল করে তা প্রচার করলে মানুষেরা সবচেয়ে বেশী উপকৃত হবে। আশা করি বুঝাতে পেরেছি। জাযাকুমুল্লাহ্

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File