মেয়েটি হতবাক হয়ে গেল!

লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ০৯ জুলাই, ২০১৫, ০২:০৭:১৭ দুপুর

এক ছাত্র পড়ত দিল্লীর এক মাদ্রাসায়। কিন্তু রাত কাটাত পাশে এক মসজিদে। একবার মসজিদের নিকটবর্তী মহল্লার এক মেয়ে তার কোনো আত্তিয়ের কাছে কোন কারণে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে শুরু হল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, শুরু হল মারামারি।

পরিস্থিতি বেসামাল দেখে মেয়েটি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নিল। মসজিদে তখন ইশার নামাজ হয়ে গেছে। ছাত্রটি এমতাবস্থায় মেয়েটিকে দেখে ঘাবড়ে গেল এবং তাকে বিনয়ের সাথে বলল, আপনার এখানে থাকা ঠিক হবেনা। মানুষ দেখলে আমাকে লজ্জায় পড়তে হবে। তারা আমাকে মসজিদ থেকে বের করে দিতে পারে। তখন আমার লেখাপড়ায় সমস্যা হবে।

মেয়েটি তাকে বলল, বাইরে দাঙ্গা হচ্ছে সেকথা আপনি জানেন? বাইরে বের হলে আমার জীবন ও সম্ভ্রম দুটোই হারাতে পারি। এটা আল্লাহর ঘর। যদি এখানে নিরাপত্তা না পাই, তাহলে যাব কোথায়?

এ কথা শুনার পর ছাত্রটি লা জওয়াব হয়ে গেল। মসজিদের এক কোণে মেয়েটি বসে আছে। অপর কোণে ছাত্রটি বসে আছে। সে তার পড়ার ফাঁকে ফাঁকে জ্বলন্ত চেরাগের ওপর তার আংগুলটি তুলে ধরছে এবং একটু পর পর সে এই কান্ড করছে। এভাবে পুরোটা রাত কেটে যায়। অপর প্রান্তে বসে মেয়েটি বিস্ময়ের সাথে এ ঘটনা দেখছে।

যখন প্রভাত হল, তখন ছেলেটি মেয়েটিকে বলল, এখন দাংগা থেমে গেছে। লোকজন যার যার ঘরে পৌছে গেছে। পথঘাট ফাকাঁ। চলুন, আপনাকে আপনার ঘরে পৌছে দিয়ে আসি। মেয়েটি বলল, যাবো, তবে তার আগে রাতে প্রদীপের অগ্নিতে আপনি বার বার আপনার অংগুলি পুড়াচ্ছিলেন কেন, সে কথা বলতে হবে। ছাত্রটি বলল, এটা একান্তই আমার বিষয়। এটা আপনার জানার কোন প্রয়োজন নেই। মেয়েটি বলল, যতক্ষন পর্যন্ত আপনি এর কারণ না বলছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এখান থেকে বের হচ্ছি না। অবশেষে ছেলেটি বাধ্য হয়ে বলল, দেখুন, শয়তান বার বার আমার মনে প্ররোচনা দিচ্ছিল এবং রিপু ও কামনাকে পাপ কাজের প্রতি উৎসাহিত করে তুলছিল। যখনই আমি পাপকাজের প্রতি উৎসাহ অনুভব করছিলাম তখনই আমার আঙ্গুলটি চেরাগের অগ্নিতে ধরে আমার রিপুকে বলছিলাম পার্থিব জগতের এই সামান্য অগ্নিদহন যখন বরদাশত করতে পারছনা তখন জাহান্নামের ভয়ঙ্কর শাস্তি কিভাবে বরদাশত করবে? একথা শুনে মেয়টি হতবাক হয়ে গেল। তারপর সে ঘরে চলে গেল।

বাড়িতে গিয়ে মা বাবাকে পুরো ঘটনা খুলে বলল। মেয়েটির বাবা ছিল ধনী ও দীনদার। মেয়েও সুন্দরী। ফলে বড় বড় ধনাঢ্য পরিবার থেকে প্রস্তাব আসছিল রীতিমত। কিন্তু এ ঘটনার পর মেয়েটি সাফ বলে দিল, যদি আমাকে এই ছেলের কাছে বিয়ে দেন, তাহলে আমি সারাজীবন এমন পরহেজ্জগার ব্যক্তির সেবা করার সৌভাগ্য লাভ করবো। অবশেষে তার মা বাবা তাই করলেন। আসলে আমার ভাইও বোনেরা, এখানে গল্প বলা উদ্দেশ্য নয় বরং এথেকে শিক্ষা অর্জন করাই উদ্দেশ্য। আশাকরি এথেকে শিক্ষা লাভ করবেন।

সংগ্রহীত

বিষয়: বিবিধ

১৯৭১ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

329315
০৯ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:১১
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : ভাল লেগেছে আপনার সংগৃহিত লেখাটি, আশা করি আরো লিখবেন । ধন্যবাদ আপনাকে
০৯ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:১২
271597
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আপনাদের উৎসাহ পেলে চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ।
329320
০৯ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:২০
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : গল্পটি ফেসবুকে একবার পড়েছিলাম। এটাকে নিছক গল্প হিসেবে নিলাম কারণ ইতিহাসভিত্তিক কোন দালিলিক প্রমাণ যেহেতু নেই, কিন্তু গল্পের মর্মকথা এককথায় চমৎকার।
০৯ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৮
271630
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আমিতো বলেছি ভাইয়া, লিখাটি সংগৃহীত, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
329325
০৯ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:৩২
হতভাগা লিখেছেন :
অবশেষে তার মা বাবা তাই করলেন।


০ ধনীর দুলালী এক ঘটনাতেই এক গরীব ছেলেকে পছন্দ করে ফেললো !!!!

পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় যে ধাতু যত দ্রুত গরম হয় সেটা তত তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয় । আর যে ধাতু যত দেরীতে গরম হয় তা তত দেরীতে ঠান্ডা হয় ।

তাই দ্রুত ঘটে যাওয়া এই ক্ষনিকের ভাল লাগা টেকসই হবার সম্ভাবনা কেমন তা আল্লাহই ভাল জানেন।

কারণ : অভাব যখন দুয়ারে আসবে , এখনকার এই ভাল লাগা /ভালবাসা জানালা দিয়ে পালাবে ।
০৯ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৮
271631
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
329330
০৯ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:৩৮
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
০৯ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৯
271632
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আপনাকেও জানাই মুবারকবাদ!
329334
০৯ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:৪৩
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : যখনই আমি পাপকাজের প্রতি উৎসাহ অনুভব করছিলাম তখনই আমার আঙ্গুলটি চেরাগের অগ্নিতে ধরে আমার রিপুকে বলছিলাম পার্থিব জগতের এই সামান্য অগ্নিদহন যখন বরদাশত করতে পারছনা তখন জাহান্নামের ভয়ঙ্কর শাস্তি কিভাবে বরদাশত করবে?

এটি জদিও মানুষকে বোঝানোর জন্য খুবই সুন্দর উদাহরন তবে এটা ইসলাম সম্মত বলে আমার মনেহয় না। কেননা রসুল (সা) বলেছেন, শয়তান থেকে বাঁচতে "আউজুবিল্লাহ হিমিনাশ শাইতনির রাজিম" ই যথেষ্ট। আগুনে হাত দেয়ার দরকার নাই।
০৯ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:৫০
271633
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আপনার সাথে সহমত, তবে এখান থেকে সামান্য কিছু হলে অমুসলিমরা যদি শিখতে পারতো!
329335
০৯ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:৪৫
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : পোস্টটি গল্প না বাস্তব সূত্র উল্লেখ করলে আরো গ্রহণযোগ্যতা পেত। অনেক ধন্যবাদ..
০৯ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:৫০
271634
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
329338
০৯ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:০২
শাহমুন নাকীব ফারাবী লিখেছেন : ভালো লাগলো
০৯ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:৫১
271635
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আমার ব্লগ বাড়িতে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
329346
০৯ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:৪০
আবু জান্নাত লিখেছেন : ভালো লাগলো
০৯ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:৫১
271636
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আপনাদের কাছে ভাল লাগলেই আমার পোস্ট স্বার্থক।
329383
০৯ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪২
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : আলহামদুল্লিলাহ। ভাল লাগলো।
১১ জুলাই ২০১৫ সকাল ১১:৫০
271835
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১০
329396
০৯ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:৪১
শেখের পোলা লিখেছেন : ভাতিজা, সংগ্রহ পুরানো হলেও ভাল৷ জাজাকাল্লাহু খাইরান৷
১১ জুলাই ২০১৫ সকাল ১১:৫১
271836
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আপনাদের মত মানুষের নজরে পড়লেই আমার পোস্ট স্বার্থক!
১১
329475
১০ জুলাই ২০১৫ রাত ০৯:৫১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১১ জুলাই ২০১৫ সকাল ১১:৫২
271837
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
১২
329716
১২ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
নাহিদ নোমান লিখেছেন : ভালো লাগলো..জাঝাকাল্লাহু খাইরান
৩০ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৫:২৭
274939
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আপনাদের কাছে ভাল লাগলেই আমার পোস্ট স্বার্থক।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File