অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটে মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়ার।
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ২২ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৪:২৯:৫৮ বিকাল
মালঞ্চী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া খাতুনের বাড়িটি যেন দুরবস্থা আর দুর্দশার প্রতিচ্ছবি। জরাজীর্ণ ঘরে দুমড়ানো-মুচড়ানো টিনের ছাউনি। যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা সদর থেকে পাকা রাস্তা ধরে পাঁচ কিলোমিটার উত্তরে গেলে রোকেয়ার সেই বাড়ি চোখে পড়বে। বাড়ি বলতে কোনো রকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই। কিন্তু এমনটি তো হওয়ার কথা ছিল না। রোকেয়া খাতুন একজন মুক্তিযোদ্ধা। শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে একদিন বিজয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু জীবন যুদ্ধে এখন তিনি পরাজিত, পর্যুদস্ত। পেটে ভাত নেই, পরনের কাপড়টি শত ছিন্ন না হলে আরেকটি জোটে না। রোগব্যাধিতে বিনা চিকিৎসায় ৫৮ বছর বয়সে মনে হয় বয়সটা আরো বেশি গড়িয়েছে তার। স্বামী, বিধবা এক মেয়ে আর দুই নাতি-নাতনী নিয়ে পাঁচটি প্রাণীর দিন পার হচ্ছে জ্যান্ত মরার মতো। রোকেয়া খাতুন জানান, ১৯৭১ সালে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। এ যুদ্ধ করতে গিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ধরা পড়ে সহ্য করেছেন অসহনীয় নির্যাতন। এ নির্যাতনের প্রতিবাদ করলে বেয়নেটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করেছে তারা। স্বাধীনতার ৪৩ বছর আজ দেশের অবস্থা দেখে তাকে যেন সেই বেয়নেটের আঘাত আর পাকিস্তানি সেনাদের নির্যাতনের মতো তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। তিনি জানান, জীবন-যৌবনের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হলেও তার ভাগ্যে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ছাড়া আর কিছুই জোটেনি। কিন্তু তাতে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো সংসারের প্রয়োজনীয় কিছুই পুরো মেটে না।
তথ্যসূত্রঃ ফেসবুক থেকে Click this link
বিষয়: বিবিধ
১০১৮ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন