পীর বাবা গেরামত উল্লাহ মুক্তিকামী আহলে ভন্ডামী
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ১৭ নভেম্বর, ২০১৪, ১২:৩২:৩০ রাত
সে অনেকদিন আগের কথা
একদিন পীর বাবা গেরামত উল্লাহ মুক্তিকামী ভন্ডামী সাহেবের এক ভক্তের খুব ইচ্ছে হলো পীর বাবার সাথে অন্য ভক্তদের বাড়ি সফরে যাবার ।
" কিন্তু পীর বাবা তাকে নেন না । কারণ; পীরের এই ভক্তটি একটু ফাজিল টাইপের । লোকের সামনে কখন কি বেফাস বলে ঠিক নাই। তারপরও ভক্ত বলে কথা। অবশেষে একদিন তাকে সাথে নিয়েই পীর সাহেব চললেন ভক্তদের বাড়ি হিজরতে । কিন্তু তাকে সাবধান করে দিলেন যাতে কোথাও কোন লোকের সামনে বেফাস কিছু বলে না বসে। জি হুজুর, জি হুজুর বলে বাবা নিশ্চিন্ত করল ভক্তটি ।
চলার পথে ছোট একটি নদী পার হয়ে পীর বাবন- এক বিশ্রাম দরকার । অতঃপর, তারা একটি গাছের ছায়ায় বসলেন । পীর সাহেব বলেলন- আজ কেমন একটু শীত লাগছে গায়ে । সাথে সাথে ভক্ত তার গায়ের চাদরটি খুলে পীর ক দিয়ে ভক্তটি বললেনঃ
" বাবা হুজুর, এইটা জড়িয়ে নেন, শীত লাগবে না । একটু পরে সেখানে বেশ ক`জন স্থানীয় লোক জমা হলো । ভক্ত তাদের বিনয়ে বর্ণনা করলো- এই যে উনাকে দেখছেন, তিনি কিন্তু যেনতেন লোক নন ! উনি চাইলে কড়া রোদ্রের মধ্যেও ঝমাঝম বৃষ্টি নামাতে পারেন । আর উনার কথাটথা বেশ ফলে যায় । উনি আমার পীর সাহেব, বাবাজান ! আর একটা কথা, উনার গায়ে যে চাদরটা দেখছেন- ওইটা কিন্তু উনার নিজের না, আমার গায়ের চাদর উনারে দিছি !
এম সত্য কথায় অপমানিত হয়ে পীর সাহেব রেগে একাকার । ফাজিলের ফাজিল, বেত্তমিজ, এইটা বললি কেন? এই জন্যেই তোরে আমি কোথাও নিতে চাইতাম নাই । এইটা যে আমার চাদর না, এই কথা আমি তোরে বলতে বলছি? আমার সাথে তোর যাবার দরকার নাই। আমি একাই যাবো ।
ভক্ত কোনমতে পায়ে পড়ে প্রথম বারের মত সামলে নিল । আর হবে না বাবাজান, বিরাট ভুল হয়ে গেছে......./
২য় বার তারা থামলেন একটা চা দোকানে ।
সেখানে উপস্থিত লোকদের এবার ভক্ত বললেন- এই যে উনাকে দেখছেন, তিনি কিন্তু যেনতেন লোক নন ! আমার পীর সাহেব, বাবাজান ! তিনি কিন্তু যেনতেন লোক নন ! উনি চাইলে কড়া রোদ্রের মধ্যেও ঝমাঝম বৃষ্টি নামাতে পারেন । আর উনার কথাটথা বেশ ফলে যায় । আর উনার গায়ে যে চাদরটা দেখছেন- ওইটা কিন্তু আমার না, উনার নিজেরই !
এবার আর যায় কোথায়- মহা ক্ষীপ্ত হলেন পীর সাহেব ।
আমার মান ইজ্জত সব শেষ । চাদরটা যে আমারই, এইটা তোরে বলতে বলছি?
আগে সত্য কথাটা বলছিলাম তাতেও আপনে রাগ করলেন, আর এখন মিথ্যাটা বললাম তাতেও রাগ করছেন । তাইলে আমি কোনটা বলব- বাবাজান ?
তোর সত্য- মিথ্যা কোনটাই বলার দরকার নাই ।
জি বাবাজান, আপনে যেমন বলছেন তেমনি হবে ।
তারা হাটছেন ।
হাটতে হাটতে শহরে ঢুকে পড়েছেন । একটা পাকা দালানের গেটের সামনে বেশ লোকের সমাগম। ২/৩ জন পুলিশও আছে ।
তোমরা কারা ? জানতে চাইলো পুলিশ ।।
"এবার ভক্তের তাৎক্ষনিক জবাব- আমি উনার ভক্ত। এই যে উনাকে দেখছেন, তিনি কিন্তু যেনতেন লোক নন ! আমার পীর সাহেব, বাবাজান ! তিনি কিন্তু যেনতেন লোক নন ! উনি চাইলে কড়া রোদ্রের মধ্যেও ঝমাঝম বৃষ্টি নামাতে পারেন । আর উনার কথাটথা বেশ ফলে যায়। আর উনার গায়ে যে চাদরটা দেখছেন- ওইটা কিন্তু আমারও না, উনার নিজেরও না !
চাদরটা তাইলে কার ?
" ঝট করে একজন পুলিশ পীর বাবা সাহেবের কোর্তা চেপে ধরে বললেন- বুঝছি, সোজা থানায় চলো চান্দু !
আইজ সারাদিন কোন মুরগা পাই নাই । যাউক দিন শেষে খোদা আমগো দিকে একটু ফিরা তাকাইছে !
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৩ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পীর নামধারী এই সব ভন্ডরা সাধারণ জনতার ঈমান নিয়ে খেলে যায় সব সময়!ওদের কে ধরে'ডিম থেরাপী' দেয়া দরকার!
চমৎকার রম্যাকরে শিক্ষণীয় বিষয় তুলে ধরায় অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহ জানাই!!!
Your server does not support the GD function required to process this type of image.
মন্তব্য করতে লগইন করুন