রিক্সা চালিয়ে তিন ছেলেকে ঢা.বি চ.বি ও সলিমুল্লাহ মেডিকেলে পড়াচ্ছেন হতদরিদ্র পিতা!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ১৩ নভেম্বর, ২০১৪, ০৬:৩২:৪৬ সন্ধ্যা
সুদূর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া থেকে এসে চাটখিল উপজেলায় গত এক যুগ ধরে রিক্সা চালিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করে তিন ছেলেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এক বাবা জাকির হোসেন (৫৫) রিক্সাচালক বাবার অদম্য মেধাবী এই ৩ ছেলে এখন দেশের সর্বচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় , চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়াশোনা করছে। জাকির হোসেনের বাড়ি হাতিয়া উপজেলার বাইশ নং দাসের হাটে। অতি দরিদ্র পরিবারে তার জন্ম। নিজেদের ছোট্ট একটা বসত ভিটা ছাড়া নেই কোন জায়গা জমিন। নিজে কোন পড়াশোনা না জানলেও তার দৃঢ় ইচ্ছা শক্তি ছিল সন্তান্দের সে পড়াশোনা করাবেনই সেই ইচ্ছে শক্তিকে বাস্তবে রুপ দিতে পাশে পান তার সহধর্মিণী আলেয়া বেগমকে। জাকির নিজ এলাকায় অন্নের জমিন বর্গা নিয়ে আবার কখনো কামলা খেটে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ছেলেদের পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন। এক পর্যায়ে আরও বেশী অর্থ উপার্জনের জন্য সে চাটখিলে এসে রিক্সা চালনা শুরু করেন।এখানে নিজে একা থেকে আয়ের সামান্য অংশ নিজে খরচ করে বাকী টাকা সংসার আর ছেলেদের পড়াশোনার পেছনেব্যয় করছেন জাকির। তিনি জানান, তার মোট ৫ ছেলে। তার মধ্যে বড় ছেলে রাসেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজীতে অনার্স করছেন, আরেক ছেলে আজাদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনে অনার্স করছে, আরেক ছেলে ফরিদ সদ্য সুযোগ পেয়েছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে। বাকী এক ছেলে পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত আছে এবং বাকী অপর ছেলে চাটখিল বাজারে ব্যবসা শুরু করেছে জাকির হোসেন জানান, ছেলেরা তাকে রিক্সা চালানো ছেড়ে দিতে চাপ দিচ্ছেন। তিনিও তা শীঘ্রই ছেড়ে দেবেন বলে,ভাবছেন। এই কথা গুলো যখন তিনি বলছিলেন এবং তার সফলতার কথা গুলো পত্রিকার পাতায় চাপা হওয়ার কথা জানলেন তখন অন্য রকম এক আভা ও তৃপ্তি ফুটে ওঠে রিকশাচালক সফল এই বাবার মুখ মণ্ডলে।
সংগৃহীত : Click this link
বিষয়: বিবিধ
১৩২১ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বড় হয়ে ছেলেরা উনার অবদানের কথা যেন ভুলে যান, এই প্রত্যাশাই ছেলেদের কাছে আর বাবার জন্য দোয়া, আল্লাহ উনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন