আশেকে রাসুল দাবিদার ভন্ড পীর ও মাজার পূজারিরা আসলে কতটুকু আশেকে রাসুল?
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ০৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০৯:০২:৪০ সকাল
নবীর প্রেমের মালার গান গেয়ে এরা নবীর আশেক দাবী করে। খুব গভীর ভাবে খেয়াল করলে আপনি দেখতে পাবেন, এসব আসেকে রসুল নামধারীরা নবীর গুনগান গাইতে গাইতে আল্লাহর থেকেও অনেক মর্যাদাশালী ক্ষমতাবান বানিয়ে ফেলে। এদের কাছে নবীর থেকে বড় কিছু নাই। স্বয়ং আল্লাহও নবীর কাছে অসহায়, তুচ্ছ। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)আপনি আরেক শ্রেনীর আশেকে রসুল দেখবেন, এরা নবীর প্রেমে মগ্ন সাথে সাথে তাদের গাউস কুতুবের প্রেমেও অন্ধ। গাউস কুতুবকে এরা উপরে তুলতে তুলতে নবীর থেকেও বড় বানিয়ে ফেলে, কখনও বা আল্লাহর থেকেও শক্তিশালি বানিয়ে ফেলে। এক দল আছে, তারা নবীর শানে দুরুদের নামে পড়ে “ইয়া নবী সালামু আলাইকা, ইয়া রাসুল সালামু আলাই কা, ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা, ইয়া মাইজভান্ডারি/ খাজা সালামু আলাইকা।“কত্তবড় বেয়াদব এরা, তারা মাইজভান্ডারি আর খাজাকে নবীর সমতুল্য বানিয়ে ফেলেছে। আরেকদল আছে, তারা সমতুল্য নয়, বরং নবী থেকেও উপরে তুলে ফেলে। তারা দাবী করে, তাদের গাউস কুতুব সরাসরি আল্লাহর সাথে কথা বলে। আরেক গ্রুপ বলে তাদের এলেমসরাসরি আল্লাহ শিক্ষা দেয়, তাই তাদের এলেম নবী থেকেও বেশি।আর কিছু গ্রুপ আছে, তাদের কুতুবকে তারা আল্লাহর থেকেও ক্ষমতাবান দাবী করে। গান বাজনার জন্য আল্লাহ নাকি শাম দেশকে উল্টিয়ে দিচ্ছিলো, কোন কুতুব নাকি তা ফিরিয়েছে,, এরকম আরো অনেক কথা।আরেক দল আছে, এরা কোরআন আর হাদীস ছারা কিছু মানে না। হাদীস তাও আবার সিহাহ সিত্তা। সিহাসিত্তার বাহিরেও যে হাদীস আছে, যেমন মুয়াত্তা, মেশকাত এসব কিছু মানে না। ইজমা আর কিয়াসও যে ইসলামের অবিচ্ছেদ অংশ, তাও তারা মানবে না। এরা বিস্বাস করে, এদের কোন ভুল নেই বরং নবীর ভুল হতে পারে। এরা আবার মডার্ন ইসলামে বিস্বাসী। নিত্তনতুন তথ্য উদ্ভাবন করে। সুদ খাওয়া হারাম, তা এরা বলবে, তবে তারাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সুদের উপর ধর্মের মোড়ক লাগিয়ে এরা সুদ খাবে। হারাম কাজ নিজেরা করলে তা জায়েজ। ক্ষেত্র বিশেষে নবী ও নাকি করেছে, এমন ঔদার্যপুর্ন কথা বলতেও এরা দ্বীধা করে না।নিজেরাইসলাম মানে না, এরা আবার ইসলামি হুকুমত, নবীর শাষনব্যাবস্থা কায়েম করতে চায়।উপরে যাদের কথা বললাম, এরা আবার পরষ্পর শত্রু। তবে সবার মাঝে একটা আশ্চর্যজনক মিল আছে, তা হলো এরা সবাই নবী প্রেমি দাবী করলেও একটারও গায়ে নবীর সুন্নাত নেই। দাড়ি নেই, টুপি নেই, বিজাতীয় সভ্যতার পোষাক পরিধান করে। এরা কোরআনের সেই আয়াত মানুষকে শোনায় কুল ইনতুম তুহিব্বুনাল্লাহ,,,,,,, হে নবী আপনি বলে দিন, যারা আমাকে ভালবাসে, তারা যেন আপনাকে ভালবাসে। এতটুকুই বলবে,,,, কিন্তু নবীকে ভালবাসতে হলে কি করতে হবে তা বলে না। তারা ঐ হাদীস কোন দিন ভুলেও বলে না, “যারা আমাকে ভালবাসে তারা যেন আমার সুন্নাত অনুসরন করে, যারা আমার সুন্নাত অনুসরন করে না তারা আমাকে অস্বীকার করে।“ অথবা এ হাদীসও কোনদিন বলে না “যারা আমার সুন্নাত মানে, তারা আমাকেই মানে।“ অতএব বুঝা গেল, যার ভিতর নবীর সুন্নাত আছে, তার ভিতর নবীর মহব্বত আছে, যার ভিতর নবীর মহব্বত আছে, তার ভিতর আল্লাহর ভালবাসা আছে। এবার আপনারাই বলুন আশেকে রসুল কে? যার মুখে দাড়িনাই সে আশেকে রসুল? যারা সুদের ব্যাবসা করে তারা আশেকে রসুল? নিজ পীর বা নেতার অবমাননা হলে হরতাল দেয় আর নবীর অবমাননায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় তারাই আশেকে রাসুল?
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
স্বীয় ধান্ধা ও স্বার্থের প্রয়োজনেই ওরা আশেকে রাসুল-মাজারপুজা ইত্যাদির আশ্রয় নেয়। নিজেদের ভন্ডামী কে আড়াল করতেই ধর্মের ছায়ায় মাথা নুয়াতে চায়,এতে করে যদিও ওদের ভন্ডামী আরো প্রকট ভাবে ধরা পড়ে।
এর পরেও কিছু আক্কেলহীন মুসলিম কিভাবে ওদের খপ্পরে পড়ে তা ভাবতেও আশ্চর্য্য হতে হয়।
আল্লাহ সকল মুসলিম কে এই ফেতনা থেকে বাচার রাস্তা চিনিয়ে দিন, আমিন।
উপস্হাপনার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহ আপনাকে....
মন্তব্য করতে লগইন করুন