দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের চূড়ান্ত রায় আগামীকাল।
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:৪১:৫৯ দুপুর
তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের চূড়ান্ত রায় আগামীকাল বুধবার ঘোষণা করা হতে পারে।
কারণ বুধবারের কার্যতালিকার এক নম্বরে এই মামলাটি রেখেছেন আপিল বিভাগ। এতে ধারণা করা হচ্ছে, আগামীকালই রায় দিবেন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল উভয়পক্ষের করা আপিল শুনানি শেষে যেকোনো দিন রায় দেয়া হবে মর্মে মামলাটি অপেক্ষমান রাখেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
দীর্ঘ আট মাসে ৪৯ কার্যদিবস শুনানি শেষে মামলাটির আপিল শুনানি শেষ হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত ছয়জনের ব্যাপারে করা আপিলের মধ্যে সাঈদীর মামলাটি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। এর আগে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার আপিল নিষ্পত্তি করে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ট্রাইব্যুনাল ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন। এর এক মাস পর ২৮ মার্চ আপিল করে উভয়পক্ষ।
গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে এ মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন- এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এমকে রহমান। তাদের সহযোগিতা করেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন- খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এডভোকেট এসএম শাহজাহান। তাদের সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমীন।
সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে ট্রাইব্যুনাল রায়ে উল্লেখ করেন। এর মধ্যে দুটি অভিযোগে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়, আর ছয়টিতে কোনো দণ্ড দেয়া হয়নি।
২০১১ সালের ৩ অক্টোবর প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সাঈদীর বিচার শুরু হয় ট্রাইব্যুনালে। প্রসিকিউশনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ওই বছরের ৭ ডিসেম্বর। সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিপক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন ১৭ জন।
এর আগে ২০১১ সালের ১১ জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। ১৪ জুলাই সাঈদীর বিরুদ্ধে সে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেপ্তার হন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ওই বছরের ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাকে আটক দেখানো হয়।
আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, কোন অন্যায় রায় এই জাতি মেনে নেবেনা ।।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৬ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যারা নিরপরাধ মানুষকে আইনের নামে হত্যা করতে চায় আল্লাহ তাদের চুড়ান্ত বিচার করবেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন