পৃথিবীর একমাত্র জারজ রাষ্ট্র ইসরাইল এর জন্ম কাহিনীঃ
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ১৯ জুলাই, ২০১৪, ০৩:৫০:০৬ দুপুর
পৃথিবীর একমাত্র জারজ রাষ্ট্র ইসরাইল এর জন্ম কাহিনীঃ নিজের ঘরে পরবাসী ফিলিস্তিনবাসী
১. মধ্যপ্রাচ্যের কথিত সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ইসরাইল ভূমধ্য সাগরের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। ইসরাইলের রাজধানীর নাম জেরুজালেম। ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিব্রু ও আরবি। ২০ বর্গ কিলোমিটারের এই রাষ্ট্রটির অধিকাংশ জনগোষ্ঠীই ইহুদী ধর্মাবলম্বী।
২. ১৯১৪ সালে শুরু হওয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্রের কারণে তুরস্কে মুসলিম খিলাফত ভেঙ্গে যায়। ব্রিটিশ বাহিনী ১৯১৭ সালে ইরাক, সিনাই উপত্যকা, ফিলিস্তিন ও পবিত্র জেরুজালেম দখল করে নেয়। ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস বালফোর ইহুদীবাদীদেরকে লেখা এক পত্রে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে একটি ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন। কিন্তু ব্রিটিশরা চাইনি ইহুদীদের ইউরোপে জায়গা দিয়ে জঞ্জাল সৃষ্টি করতে। কারণ তারা জানতো ইহুদীরা ঐতিহ্যগতভাবেই শয়তান।
৩.ইহুদীদের জন্য আলাদা একটি রাষ্ট্রের চিন্তা শুরু হলে পৃথিবীর কোন দেশ তাদের ভূখণ্ডে ইহুদীদের বসাতে রাজী হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত বেলফোর ঘোষণা অনুযায়ী ফিলিস্তিন এলাকায় ইহুদিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রে গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইহুদীদের আলাদা রাষ্ট্রের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হওয়ার পর বিপুল সংখ্যক ইহুদি ইউরোপ থেকে ফিলিস্তিনে এসে বসতি স্থাপন করতে শুরু করে। দুর্বল শক্তির কারণে প্রথম পর্যায় থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমান রাষ্ট্র সমূহ ফিলিস্তিনে ইহুদীদের আগমনকে বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়।
৪. ইহুদীরা ফিলিস্তিন আসা শুরু করলে ১৯০৫ থেকে ১৯১৪ সালের মধ্যে ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা কয়েক হাজারে উন্নীত হয়। কিন্তু ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশদের সহযোগিতায় ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০ হাজারে উন্নীত হয়। ১৯১৯ থেকে ১৯২৩ সাল নাগাদ ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫ হাজারে পৌঁছে যায়। ধীরে ধীরে ইসরাইল ইহুদীদের জন্য নিরপরাধ ও স্বাধীন এলাকা হিসেবে গড়ে উঠার ফলে সেখানে ইহুদীর সংখ্যা দ্রুতই বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯৩১ সালে ইহুদীদের সংখ্যা প্রায় ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৮০ হাজারে পৌঁছায় এবং ১৯৪৮ সালে সেখানে ইহুদীদের সংখ্যা ৬ লাখে উন্নীত হয়।
৫. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনী ভূখণ্ডকে দ্বিখণ্ডিত করা সংক্রান্ত ১৮১ নম্বর প্রস্তাব গৃহীত হয়। এই প্রস্তাব অনুসারে জাতিসংঘ মুসলমানদের প্রাণের মাতৃভূমির মাত্র ৪৫ শতাংশ ফিলিস্তিনীদের প্রদান করে এবং বাকি ৫৫ শতাংশ ভূমি জোর করে ইহুদীবাদীদের হাতে ছেড়ে দেয়। এভাবে ফিলিস্তিনের ভূমিকে জোর পূর্বক দখল করে গঠন করা হয় নতুন ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল। ১৯৪৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ছোট রাষ্ট্রগুলোকে চাপ দিতে থাকে জাতিসংঘে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য। মার্কিনদের প্রবল চাপ ও মুসলমানদের দুর্বলতার সুযোগে আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরায়েলকে জাতিসংঘ ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা প্রদান করে।
৬. স্বাধীনতা লাভ করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সাহায্যে ইসরাইল অস্ত্র-শস্ত্র ও শক্তিতে পরাক্রমশালী হয়ে উঠে। অনেক মুসলিম রাষ্ট্র ইসরাইলকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতিও দেয়। ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রটি ছিল মিশর। সারা বিশ্বের দেড়শ কোটি মুসলিম আজ মাত্র দুটিকোটি ইহুদীর হাতে মার খাচ্ছে। ও মুসলিম! কবে তোমার ঘুম ভাঙবে? শুধু হাত তুলে দোয়াই করতে পারি, আল্লাহ ! ঐ নিস্পাপ মানুষগুলোকে তুমি নিজ হাতে রক্ষা কর। আর অভিশপ্ত ইহুদীদের নিজ হাতে শাস্তির ব্যবস্থা কর।
বিষয়: বিবিধ
২৩৩৭ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ মধ্যপ্রাচ্যে তথা পৃথিবীতে অশান্তির মূল কারণ হল এই ইসরায়েল । আর এই ইসরায়েলকে স্টাবলিশ করিয়েছে জাতিসংঘ ।
১ম বিশ্বযুদ্ধের লীগ অব নেশন ভেঙ্গে জাতিসংঘ গঠিত হলেও জন্মের পর থেকেই তারা পরাশক্তি গুলোর সহায়ক হিসেবে সবসময় কাজ করে গেছে । কোন কোন ক্ষেত্রে পরাশক্তিগুলো জাতিসংঘের তোয়াক্কা না করেই ইচ্ছেমত দূর্বল দেশগুলোর উপর আক্রমন চালিয়েছে বা চালানোকে সমর্থন দিয়েছে ।
জাতিসংঘ কখনই পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের দৃষ্টান্ত আনতে পারে নি । উল্টো কোন কোন ক্ষেত্রে যুদ্ধ লাগিয়ে অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং খনিজ সম্পদ ও প্রত্নতত্ত্ব চোরদের লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে ।
ডঃ মাহাথির মুহাম্মাদের মত মুসলমানদের আলাদা একটা জাতিসংঘ চাওয়া এখন সময়ের দাবী।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 9368
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
২। ঠিক একই ভাবে কোরআন ও হাদীস সমূহের আলোকে এবং একই সাথে ইতিহাস, ফ্যাক্টস ও ফিগার বিশ্লেষন করে যতক্ষন না মুসলিম আলেম ওলামা, চিন্তাশীল, প্রজ্ঞাসম্পন্ন শায়খ রা এক মত হতে না পারবেন নবী মোহাম্মদ সঃ এর সময়েই ইয়াজুজ মাজুজ ছাড়া পেয়েছে (এ সংক্রান্ত ৮টি পরিষ্কার সহী হাদীস আছে - যা যুক্তি দিয়ে চিন্তা করলেই এটা পরিষ্কার হয়) এবং কোরআনের সুরা আম্বিয়ার ৯৫ ও ৯৬ নং আয়াতের আলোকে সহজেই উপসংহার না টানা যায় যে ইয়াজুজ মাজুজ ছাড়া হয়েছে এবং তার ফলশ্রুতিতে অভিশপ্ত ইয়াহুদীরা সারা পৃথিবী হতে আবার পবিত্র ভূমিতে এসে জড়ো হয়েছে এবং আবার ফ্যাসাদ করছে - ঠিক যাতে আল্লাহর প্রমিজ অনুযায়ী তাদের উপর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা যায় এবং মোহাম্মদ সঃ এর হাদীস অনুযায়ী আমরা তাদের সাথে ফাইট করি এবং পরিনতিতে গাছ ও পাথরের আহ্বান অনুযায়ী তাদের হত্যা করি।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন