নিজেই হয়ে উঠুন নিজের অনুপ্রেরণা............

লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ০৭ জুলাই, ২০১৪, ০৪:০১:০৪ বিকাল



প্রতিটি মানুষের জীবনেই কখনো না কখনো খারাপ সময় আসে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দাঁড়ায় তখনই, যখন মানুষ ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়, দোষ না করেও হতে হয় দোষী। তখন না যায় কাউকে বোঝানো, না যায় নিজের অবস্থান ঠিকমতো পরিষ্কার করা। মোটকথা জীবন লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে তার পথ থেকে। এমন পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন অনেকেই। এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। যখন ভুল না করেও ভুলের শাস্তি পেতে হয়, দোষ না করেও দোষী হতে হয়, তখন ভেঙে পড়াটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। এমনটা যদি ঘটে আপনার সাথে, কী করবেন তখন?

কেন এমন হচ্ছে? : আপনাকেই সবাই দোষ দিচ্ছে কেন, তা খুঁজে করুন। আসলেই কি আপনি কোনো দোষ করেছেন, নাকি সকলে আপনাকে ভুল বুঝছে তা বোঝার চেষ্টা করুন। যে কাজের জন্য আপনাকে বারবার দোষী বলা হচ্ছে, সেটা নিয়ে গোড়া থেকে আবার ভাবুন। সমস্যাটি ঠিক আসলে কোথায়, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। কারণ এমনও হতে পারে যে ভুলটা হয়তো আপনারই, কিন্তু তা আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে। এমনটা হলে ক্ষমা চেয়ে নিন। আর যদি আপনার কোনো দোষই না থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার নেয়ার রয়েছে বেশ ক'টি পদক্ষেপ।

নিজেকে সামলান : প্রথমেই নিজেকে সামলাম। অযথা ভেঙে পড়বেন না। ঝোঁকে মাথায় এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না বা কাজ করবেন না যাতে আপনাকে পরে পস্তাতে হয়। অনেকে দোষী না হয়েও পরিস্থিতির চাপে পড়ে নিজেকে দোষী ভাবতে শুরু করেন। নিজেকে অহেতুক দোষারোপ করবেন না। যা হবার তা হয়ে গেছে। বেশি আক্ষেপ করলে তা আপনাকে মানসিকভাবে আরো ক্ষতিগ্রস্ত করবে। মাথা ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করুন। নিজের মধ্যে যে ঝড় বয়ে যাচ্ছে তা শান্ত হবার জন্য নিজেকে সময় দিন।

প্রমাণ করতে বলুন : যে বা যাঁরা আপনাকে ভুল বুঝে দোষী সাব্যস্ত করছেন, সম্ভব হলে তাঁর বা তাঁদের সাথে খোলাখুলি আলোচনা করুন। কথা বলে কোনো সমাধান না হলে বলুন আপনার দোষ প্রমাণ করতে। আপনি যদি আদতেই দোষী না হয়ে থাকেন তাহলে আর আপনার ভয় কী? তবে হ্যা, মিথ্যা প্রমাণাদি দিয়ে যদি আপনাকে ফাঁসানো হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে প্রমাণ করার কথা বলার চেয়ে না বলাই ভালো।

আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনুন : আপনি দোষী হন আর না হন, মিথ্যা অপবাদে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে যে কেউ। নিজের প্রতি নিজের হারানো বিশ্বাস ফিরিয়ে আনুন। এটা আপনার জন্য খুবই জরুরি। কারণ নিজের উপর ভরসা না থাকলে একজন মানুষের বেঁচে থাকাটা দায় হয়ে পড়ে। আপনি যে দোষী নন, নিজেই নিজেকে বারবার সেটা বোঝাতে থাকুন। নিজের ভালো দিকগুলোর কথা ভাবুন। লোকজনের কাছ থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখবেন না। বরং মানুষজনের সাথে মিশুন এবং মন খুলে কথা বলুন। নির্ভয় হয়ে কোনো নতুন কাজ শুরু করুন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস দ্রুত ফিরে আসবে।

আত্মোন্নয়ন করুন : নিজেক একজন সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আত্মোন্নয়ন করা সবচেয়ে জরুরি। আপনার সাথে যেটাই ঘটে থাকুক না কেন, নিজের আত্মিক উন্নয়ন করুন। নিজের দোষ-গুণ নিয়ে ভাবুন, নিজের আত্মসমালোচনা করুন। নিজের গুণাবলিকে বিকশিত করতে সচেষ্ট হোন। নিজের ভুলগুলো শুধরে নিন। নিজেকে নিয়ে কখনোই নেতিবাচক কিছু ভাববেন না। বরং নিজের প্রতি এবং নিজের কাজের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখুন।

লোকের কথায় কান দেবেন না : যারা আপনাকে বিনা করাণেই দোষী হিসেবে চিহ্নিত করছে, তারা স্বভাবতই আপনাকে বোঝে না। যারা আপনাকে বোঝে না, বিপদে আপনার পাশে দাঁড়ায় না, তাদের কথায় কান দেয়া কি উচিত হবে? মোটেও না! আপনার নামে তারা কুত্‍সা রটাবে, কটু কথা বলবে, এসব আমলে নিলে আপনি নিজেই কষ্ট পাবেন। তাই এসব মানুষদের কাছ থেকে দূরে থাকুন এবং তাদের কথা কানে তুলবেন না মোটেও!

হয়ে উঠুন সুদক্ষ : আপনি যে ক্ষেত্রেই কাজ করুন না কেন, কাজে নিজের দক্ষতা আরো বাড়ান। একজন দক্ষ মানুষের প্রয়োজন থাকে সব জায়গাতেই। তাই আপনার কাছের অভাব হবে না মোটেও। আর একজন দক্ষ মানুষের কাজ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না সহজে। ফলে তাঁকে হঠাত্‍ করে দোষী বলতেও দ্বিধা করবে লোকে। তাই নিজেকে কাজ-কর্মে করে তুলুন সুদক্ষ। এর পাশাপাশি আপনার কাজে লাগবে এমন বাড়তি কিছু বিষয়েও নিজের স্কিল বাড়ান। এতে বাড়তি সুবিধা পাবেন আপনি নিজেই।

নিজেই হয়ে উঠুন নিজের অনুপ্রেরণা : নতুন কাজ করতে, নতুন দায়িত্ব নিতে নিজেকে উত্‍সাহিত করুন। যা হবে তা ভালোর জন্যেই হবে - এমনটা ভাবলে দেখবেন সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধাবোধ করছেন না। আনন্দ বোধ করেন এমন কাজের সাথে জড়িত থাকুন। মহান ব্যক্তিদের জীবন সম্পর্কে জানুন, এতে আপনি অনুপ্রেরিত হবেন। আপনার পাশে যদি কেউ নাও থাকে, নিজের ওপর আস্থা রাখুন যে আপনি একাই সব সামলে নিতে পারবেন।

বিষয়: বিবিধ

১৯১০ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

242562
০৭ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৪:২৬
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০৭ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৪:২৯
188364
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
242566
০৭ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৪:৩০
প্রবাসী আশরাফ লিখেছেন : অসাধারন কিছু মেডিটেশনাল টিপস। ভাল লাগা রেখে গেলাম। Rose
০৭ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৬
188365
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : ধন্যবাদ।
242568
০৭ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৬
আল সাঈদ লিখেছেন : এমনটাই হয়েছে আমার বেলায়। এবং ভুলও করেছি। অবশ্য এখন কিছুটা সতর্ক।
০৭ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৭
188366
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
242614
০৭ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৫
আফরা লিখেছেন : অনেক কিছু শিখলাম ।ধন্যবাদ ।
০৭ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২১
188397
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
242625
০৭ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩০
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : বাহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট দিয়েছেন ভাই ,,ধন্যবাদ
০৭ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২১
188398
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
242638
০৭ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৫
শেখের পোলা লিখেছেন : জ্ঞানের কথা৷ ভাল লাগল৷ ভাতিজার খবর কি?
০৭ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২২
188399
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। আলহামদুল্লিাহ ভাল আপনার খবর কি?
242653
০৭ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:১৯
রাইয়ান লিখেছেন : ভালো লিখেছেন .... শুভেচ্ছা ...
০৭ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:৪৮
188415
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
242962
০৮ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৩
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : শুকরিয়া সুন্দর একটি প্রেরনাদায়ক পোস্টের জন্য।
১১ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০২:১৬
189347
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
252573
০৯ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:৫০
প্রবাসী ব্লগার লিখেছেন : শোকরান
১০
252810
১০ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:২৫
কাহাফ লিখেছেন : এক মুঠো ভালো লাগা ..............।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File