প্রিয় নবীর প্রিয় কিছু বাণী.....

লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ০৫ জুলাই, ২০১৪, ০৫:০৫:৫৩ বিকাল

* প্রকৃত বীরপুরুষ সে নয় যে কুস্তিতে অপরকে হারিযে দেয়। বরং বীর তো সেই যে রাগের মাথায় নিজেকে সামলাতে পারে ।

* তোমরা হিংসা করনা, কেননা হিংসা নেক আমলকে এমনভাবে খেয়ে ফেলে যেমন আগুন কাঠকে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়।

* তোমরা ভাইয়ের বিপদে আনন্দিত হয়োনা, কেননা এতে আল্লাহ তার উপর রহম করবেন আর তোমাকে ঐ বিপদে ফেলাবেন।

* যে ব্যাক্তির আমানতদারী নেই তার ঈমান নাই, আর যে ব্যাক্তি চুক্তি রক্ষা করে না তার দ্বীন নাই।

* যখন তোমরা কোন ব্যাক্তিকে নিয়মিত মসজিদে যেতে দেখ তখন তার মুমিন হওয়ার ব্যপারে সাক্ষ্য দাও।

* যে ব্যাক্তি আযান শুনে ওজর ছাড়া মসজিদে না গিয়ে একাকি নামাজ আদায় করলো তার এ নামাজ কবুল হবে না। লোকেরা বলল, ওজর কি? মুহম্মদ(সা.) বললেন, ভয় ও রোগ। (এছাড়া ক্ষুধার্ত ব্যাক্তির সামনে খাবার আসলে ও প্রসাব-পায়খানার বেগ হলে ওজর হিসেবে ধরা হবে)

* কোন ব্যাক্তিকে ফজর ও এশার নামাজে (জামায়াতে) না পেলে তার সম্পর্কে আমরা খারাপ ধারনা করতাম। (উমর)

* সবচাইতে নিকৃষ্ট চোর হচ্ছে যে তার নামাজে চুরি করে। নামাজে চুরি হল রুকু ও সিজদা ঠিক মত না করা।

* সঠিক সময়ে নামাজ পড়লে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন, কিন্তু শেষ সময়ে নামাজ পড়লে আল্লাহ মাফ করে দেন।

* তুমি যখন নামাজে দাড়াবে তখন এমন ব্যাক্তির ন্যায় নামাজ পড়বে, যে ব্যাক্তি দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছে।

* এক বেদুঈন মুহম্মদ(সা.) এর কাছে এসে বলল, আপনারা শিশুদের চুমু দেন, কিন্তু আমরা তো দিয়না। তিনি বললেন, আল্লাহ তোমার অন্তর থেকে দয়া মায়া উঠিয়ে নিলে আমি তার কি করতে পারি?

* পিতা সন্তানকে যা দান করেন তন্মধ্যে সর্বোত্তম হল উত্তম শিক্ষা ও (নৈতিকতার) প্রশিক্ষণ।

* যে লোক পেট পুরে খায় কিন্তু তার প্রতিবেশি না খেয়ে থাকে সে লোক মুমিন নয়।

* দুজনের খাবার তিনজনের জন্য যথেষ্ট এবং তিনজনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট।

* আল্লাহ তোমার জন্য যা নির্ধারিত করে রেখেছেন তাতে সন্তুষ্ট থাক; তাহলে মানুষের মধ্যে তুমিই হবে সবচেয়ে ধনী।

* প্রতিবেশির সাথে উত্তম ব্যবহার কর; তাহলে তুমি নিরাপত্তা প্রাপ্ত হবে।

* ইসলামে সবচেয়ে ভাল কাজ হচ্ছে অভূক্তদের আহার করানো এবং সালাম দেয়া চেনা অচেনা সবাইকে।

* যে লোক অন্যায়ভাবে কারো জমি দখল করে নিবে, হাশরের দিন উক্ত জমির সব মাটি তার মাথায় চাপানো হবে।

* তোমরা মানত করনা। প্রকৃতপে মানত কোন কিছুর পরিবর্তন করতে পারে না বরং কৃপনের কাছ থেকে কিছু বের করে নেয়।

* তুমি যা ইচ্ছা কর তা খাও, যা ইচ্ছা কর তা পরিধান কর, তবে অহংকার ও অপব্যয় করবে না। আল্লাহর বান্দারা বিলাসীদের অন্তরভূক্ত হয় না।

* আল্লাহ নিজে সুন্দর, তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। অহংকার হল সত্যকে অবহেলা করা এবং মানুষকে তুচ্ছজ্ঞান করা।

* মুহম্মদ (সা.) কখনও কোন খাবারকে খারাপ বলেননি। তবে খাবার পছন্দ হলে খেয়েছেন, অপছন্দ হলে খাননি।

* তোমরা ঘুমানোর সময় বাতিগুলি নিভিয়ে দিও। ঘরের দরজাগুলি আটকিয়ে দিও। পানপাত্রের মুখগুলি বন্ধ করে দিও। খাবার ও পানির পাত্রগুলি ঢেকে রেখ। ঢাকনা না পেলে অন্তত একটি কাঠি দিয়ে হলেও আড়াআড়ি রেখে দিও।

* অন্তরের কাঠিন্য দূর করতে চাইলে এতিমের মাথায় হাত বুলাও ও মিসকিনকে খেতে দাও।

* যে ব্যাক্তি কিয়ামতের দিন কষ্ট থেকে বাচতে চায় সে যেন গরীব ঋনগ্রহীতাকে মাফ করে দেয়।

* পরিশোধের ক্ষেত্রে সক্ষম ব্যাক্তির টালবাহানা করা অত্যাচারের শামিল।

* পাওনাদারের কড়া কথা বলার অধিকার রয়েছে।

* একটি বিড়ালের কারনে একজন মহিলাকে আযাব দেয়া হয়েছিল। সে বিড়ালকে বেধে রেখেছিল। ফলে বিড়ালটি মারা যায়। এ জন্যই সে জাহান্নামে গেল। বিড়ালটিকে বাধার পর সে বিড়ালটিকে খেতেও দেয়নি, পানও করায়নি আবার ছেড়েও দেয়নি। ছেড়ে দিলে বিড়ালটি জমিনের পোকামাকড় খেতে পারতো।

* আমি মিরাজের রাতে দেখতে পেলাম কিছু লোকের দুঠোট আগুনের কাচি দিয়ে কাটা হচ্ছে। জিবরিলকে জিজ্ঞাসা করলে সে উত্তর দিল, এরা সেই সব বক্তা যারা অপরকে ন্যায় কাজের আদেশ দিত কিন্তু নিজে তা করত না।

* এক ব্যাক্তি মুহম্মদ(সা.) এর ঘরে উকি দিল। তিনি সাথে সাথে তীর হাতে করে তার দিকে ছুটে গেলেন। তিনি যেভাবে ঐ ব্যাক্তিকে খুজছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল এখনই তার চোখ ফুটো করে দিবেন।

* হারাম খাদ্য দ্বারা বর্ধিত গোশত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না বরং তা জাহান্নামের উপযুক্ত।

* পরিধানের কাপড় দুই টাখনুর নীচে যতটুকু জায়গা ঢেকে থাকবে ততটুকু জাহান্নামের আগুনে যাবে।

* মিরাজে গিয়ে আমি দেখতে পেলাম কিছু লোকের নখগুলি তামার। তারা তাদের মুখ ও বুক খামচাচ্ছিল। এরা মানুষের গোশত খেত (গীবত করত) এবং তাদের মান-ইজ্জত নিয়ে খেল তামাশা করত।

* নিশ্চয় গীবতের ক্ষতিপুরণ হল, তুমি যার গীবত করেছ তার জন্য মাগফেরাত চাইবে। আর দোয়া করবে, হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে ও তাকে মাফ করে দাও।

* কোন ব্যাক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে সে যা শুনে তাই বলে বেড়ায়।

* যে ব্যাক্তি কারও দোষ দেখল তারপর সে তা গোপন রাখলো, তবে সে ঐ ব্যক্তির মত যে জীবন্ত প্রথিত মেয়েকে বাচালো।

* নেকী হল উত্তম চরিত্র। গুনাহ হল ঐ কাজ যা করতে গেলে তোমার মনে খটকা লাগে, কোন মানুষ জেনে ফেলুক তা তুমি চাইবে না ।

* স্বামীর আত্বীয়রা মৃত্যু সদৃশ। (তাদের সাথে পর্দা করা কতটা জরুরি তা বুঝানো হয়েছে)

* দুনিয়া সম্পদে পরিপূর্ন এবং এর মধ্যে উত্তম সম্পদ হল চরিত্রবান নেককার স্ত্রী।

* যে লোক জাহেলী (আইন-কানুনের) দিকে মানুষকে ডাকে সে জাহান্নামের লাকড়ী হবে; যদিও সে নামাজ আদায় করে, রোযা রাখে এবং নিজকে মুসলিম বলে পরিচয় দেয়।

বিষয়: বিবিধ

১৩০০ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

241960
০৫ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:২১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৫ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৭
187857
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
241980
০৫ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৩
হতভাগা লিখেছেন : অনেকগুলো ভাল ভাল উপদেশ শেয়ার করলেন , ধন্যবাদ ।

'' স্বামীর আত্বীয়রা মৃত্যু সদৃশ। (তাদের সাথে পর্দা করা কতটা জরুরি তা বুঝানো হয়েছে)''

০ স্ত্রীর আত্মীয়রা কি সদৃশ ?
০৫ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪০
187873
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : ধন্যবাদ, পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
241986
০৫ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১১
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : যাযাকুমুল্লাহ।
০৫ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪১
187874
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : ধন্যবাদ।
242020
০৫ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:০২
০৫ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:৩৭
187892
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : ধন্যবাদ।
242060
০৫ জুলাই ২০১৪ রাত ০৯:২৮
সন্ধাতারা লিখেছেন : It is a beautiful post for learning and practising. Jajakalla khairan.
০৬ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:২৬
188048
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : ধন্যবাদ।
242093
০৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৪৭
মাটিরলাঠি লিখেছেন :
Rose Rose Rose Rose
জাজাকাল্লাহু খাইরান। Good Luck Good Luck
০৬ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:২৬
188049
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : বারাকাল্লাহুফি । ভালো থাকুন । আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুক ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File