তথাকথিত হকের ডিলার বলে পীর ধরলেই নাকি বেহেশত পাওয়া যায়???
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ০৪ জুন, ২০১৪, ০২:৩২:২৭ দুপুর
তথাকথিত হকের ডিলার বলে পীর ধরলেই নাকি বেহেশত পাওয়া যায়???
অথচ পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, "তোমরা কি মনে করেছ তোমরা এমনি এমনি বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে ? অথচ এখনও তোমাদের উপর ঐসব অবস্থা আসেনি যা তোমাদের আগে যারা ঈমান এনেছিল তাদের উপর এসেছিল ।তাদের উপর দিয়ে কঠিন অবস্থা গেছে ,বিপদ আপদ এসেছে ,তাদেরকে কাপিয়ে তুলেছে ,এমনকি শেষ পর্যন্ত রাসূল নিজে এবং যারা তার সাথে ঈমান এনেছিল তারা চিত্কার করে বলে উঠেছেন যে ,আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে ? তখন তাঁদেরকে সাত্ত্বনা দেয়া হয়েছে যে .আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটেই । (সুরা বাকারা ২১৪) এছাড়াও অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, "নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয় ভীতি (ভীতিপ্রদ পরিস্থিতি) ক্ষুধা এবং মাল,জান ও ফল-ফসলের ক্ষতির দ্বারা। আর ধৈর্য অবলম্বনকারীদেরকে সুসংবাদ দাও। (সূরা : বাকারা : ১৫৫)"আর হ্যা ।সবশেষে একটি কথা !"মানুষেরা কি মনে করেছে যে, আমরা ঈমান এনেছি একথা বললেই তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে, আর তাদের কোন পরীক্ষা হবে না? অথচ আমি তাদের পূর্ববর্তীদেরকে পরীক্ষা করেছি। শেষ পর্যন্ত তোমাদের সকলকে আমাদের দিকেই আসতে হবে। (সূরা আম্বিয়া : ৩৫) সুতরাং কারা হকের পথে আছে তা চিনতে হলে আগে বাতিলকে চিনতে হবে ,কারন আমরা হক চিনতে ভুল করলেও,বাতিল কখনো হক চিনতে ভুল করেনা- যুগে যুগে তেমনটিই ঘটে আসছে,বর্তমানে ঘটছে এবং ভবিষ্যত্তেও ঘটবে-আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদেরকে পরীক্ষার মাধ্যমে পুরস্কার হিসেবে বেহেশত দান করবেন-কারন আল্লাহ তায়ালা খাতসহ সোনা চাননা,আর তাইতো তিনি তার প্রিয় বান্দাকে জুলুম নির্যাতনের আগুনে পুরে খাটি সোনার বান্দা হিসেবে জান্নাতুল ফেরদৌসে দেখতে চান-তাইতো সারা পৃথিবীতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হক ও বাতিলের পার্থক্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন এবং হকের পথের পথিকদের কঠিন বিপদাপদ দিয়ে পরীক্ষা করছেন-যাতে করে কঠিন বিপদে ধৈর্য্য ধারন করে আল্লাহকে স্বরন করি-আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে-ইনশা'আল্লাহ আল্লাহ তার মুমিন বান্দাদেরকে নিরাশ করবেন না-
¤¤ইসলামের আকিদা ধ্বংসকারী মাজার ব্যবসা সম্পর্কে সতর্ক হোন¤¤
আমার ধারণামতে সারাবিশ্বের মধ্যে চট্টগ্রামেই সবচেয়ে বেশী মাজার রয়েছে।হু হু করে মাজারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে নিত্যদিন।আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন এ মাজারের সংখ্যা বাড়ার কারণ কি???একাগ্রচিত্তে ভেবে দেখলেই আপনি এর উত্তর পেয়ে যাবেন।যাক এবার মূল কথায় আসা যাক।
“খাজা তোমার দরবারেতে,
কেউ ফিরেনা খালি হাতে!!!”
(নাউজুবিল্লাহ)
বোকা কিছু মানুষ আছে যারা জীবনে কোনোদিন নামাজ পড়ে না, রোজা রাখেনা, কোনো সমস্যায় পড়লেই খাজা তথা গাঁজা বাবাদের দরবারে দৌড় দেয়। এই আবালরা মনে করে সমাধান সব গাঁজা বাবাদের কাছেই!! কোটি টাকার মালিক, অথচ যাকাত দেয় না। গরীবদের সাহায্য করে না। রাষ্ট্রকে ইনকাম টেক্স দেয় না। কিন্তু সব টাকা খাজার দরবারে দিয়ে আসে। ভন্ডের দল খাজারাই কোটিপতি হয়। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে এসব ভন্ড পীরদের আস্তানা অত্যধিক বেশি। একই উপজেলায় কয়েকটা থেকে কয়েকশত মাজার আছে। এই ভন্ডরা তাদের রবদের কবরগুলোকে ‘কবর’ বলে না; বলে কিনা ‘মাজার’। আর মূর্খ পাবলিকও বোঝে না যে যেটাই ‘নূন’ সেটাই ‘লবণ’। এসব ভন্ড গাঁজা বাবা, বদনা পীরদের ধর্ম ব্যবসা বন্ধ করতে ইসলামের মৌলিক জ্ঞান তাদের নিকট পৌঁছানো প্রয়োজন। প্রথমত মানুষের আকিদাহ পরিবর্তন করা গেলে এই গাঁজাবাবাদের ধর্ম ব্যবসায় এমনিতেই লালবাত্তি জ্বলবে। আহ্! মানুষ যদি অন্তত সূরা ফাতিহার ৪ নং আয়াতের অর্থটুকুন বুঝত!!!অর্থাত্- যিনি দেয়ার মালিক, তাঁর কাছেই চাইতে হবে। তাহলে হয়তবা কথিত বদনা পীর ও গাঁজা বাবাদের ধ্বস পড়লেও পড়তে পারত!!! আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভন্ডপীরদের রাহু থেকে মুক্ত করে পরিপূর্ণ ইসলামীক অনুশাসনে চলার তাওফীক দান করুক।।।
বিষয়: বিবিধ
৩০৪২ বার পঠিত, ৪৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পিলাচ
অনেক ধন্যবাদ
ভালো লাগলো
এ বিদয়াতী/শিরকপন্থীরা মুরীদদের সহ জাহান্নামের আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে।
(সূরা বনী-ইসরাঈল, আয়াত-৫৬)
"আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা সবাই তোমাদের মতই বান্দা। অতএব, তোমরা যাদেরকে ডাক, তখন তাদের পক্ষেও তো তোমাদের সে ডাক কবুল করা উচিত যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক?"
(সূরা আল আ'রাফ, আয়াত-১৯৪)
(সূরা আল আ'রাফ, আয়াত-১৯৭)
"এবং যারা আল্লাহকে ছেড়ে অন্যদেরকে ডাকে, ওরা তো কোন বস্তুই সৃষ্টি করে না; বরং ওরা নিজেরাই সৃজিত। তারা মৃত-প্রাণহীন এবং কবে পুনরুথ্থিত হবে জানে না।"
(সূরা আন-নাহল, আয়াত-২০-২১)
আল্লাহু আকবার
(সূরা আন-নাহল, আয়াত-৫১)
"তারা আল্লাহ ব্যাতীত অন্যান্য ইলাহ গ্রহণ করেছে, যাতে তারা তাদের জন্যে সাহায্যকারী হয়।"
(সূরা মারইয়াম, আয়াত-৮১)
আল্লাহু আকবার
দু'দিনের এ দুনিয়াতে বসিছে এক পীরের মেলা
রঙ বিরঙের ব্যবসা ফেদে করছে প্রতারণার খেলা
“আল্লাহ ভিন্ন কোন মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরিক নেই। রাজত্ব তাঁর আর সকল হামদ তথা প্রশংসাও তাঁরই। তিনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ভিন্ন কোন মাবুদ নেই, তিনি এক তাঁর কোনো শরিক নেই, তিনি তাঁর ওয়াদা পালন করেছেন, আপন বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং সমস্ত দল ও উপদলকে একা পর্যুদস্ত করেছেন”।
যায় হোক,লেখাটা ভাল লেগেছে।
তবে এ মাজারগুলো জিইয়ে থাকার জন্যে সব রাজনৈতিক দলের দায় আছে । আপনি জামাতের বিরুদ্ধে ধর্ম ব্যবসার শত শত অভিযোগ পাবেন মাথামোটা বুদ্ধজীবী ও রাজনৈতিক নেতাদের থেকে।কিন্তু এসব মাজার পুজারীদের তারা ধর্ম ব্যবসায়ী বলে না।ধন্যবাদ । ভাল লাগল।
ধন্যবাদ আপনাকে
মসজিদ থাকে খালি,
দরগাতে যায় কোর্মা পোলাও
মসজিদ গেছে ভুলি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন