সর্বনাশ!!! শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি যদি হয় এতবড় সন্ত্রাসী!!!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ১৩ মে, ২০১৪, ১০:৩৩:৫৪ সকাল
সর্বনাশ!!! শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি যদি হয় এতবড় সন্ত্রাসী!!! তাইলে শিবির বিশ্বে তিন নম্বর নয় বরং এক নম্বর সন্ত্রাসী দল হওয়া উচিত!!!
সময়টা আওয়ামীলীগের আগের আমলের।
শিবিরের এক কেন্দ্রীয় সভাপতির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হল। এই খবর শুনে তৎকালীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাগুলীগসহ বামরামের দলরা সিদ্ধান্ত নিল যে কোরেই হোক শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে ঠেকাতে হবে । তারা তাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল! কিন্তু ঘটনা উল্টো হয়ে গেল। শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি বামরামের প্রায় ৩০/৪০ জনকে মেরে! সেই ক্যাম্পাসে গেলেনই !!! শুনুন সেই কাহিনী।
বামরামরাছাগুলীগের প্রায় ৫০/৬০ জনের দুটি গ্রুপ রাজশাহী শহরে প্রবেশের মুখেই পাহাড়া বসাল। প্রতিটি গাড়ি চেইক করে ছাড়তে লাগলো। প্রথম গ্রুপটি থেকে ২য় গ্রুপটি একটু দূরে ছিল। কেন্দ্রীয় সভাপতির গাড়ি যখন প্রথম গ্রুপটির কাছাকাছি এসে পড়ল সেই হঠাৎ করেই একটু গাড়ির জটলা লেগে গেল। এইকারনে কেন্দ্রীয় সভাপতি জানালা দিয়ে মুখ বাড়ালেন। ওখানেই একটি দোকানে গিয়েছিল ওদের গ্রুপের একজন সিগারেট না যেন কি কিনতে। সে দেখে ফেললো কেন্দ্রীয় সভাপতিকে। দেখামাত্রই সে রাগের চোট নিজেই খুন করতে গেল সিপিকে। সিপি তাকে মেরে ফেললেন। এরপর এগিয়ে চললেন গাড়ি বাদ দিয়ে হেটে হেটে সামনের দিকে। গ্রুপটি যেখানে দাড়িয়েছিল সেখানে কিছুটা অন্ধকার ছিল। হালকা শীত ছিল বলে সিপির গায়ে একটি চাদর ছিল-চাদর দিয়ে মুখটা ঢেকে নিলেন তিনি। গ্রুপ্টি অতিক্রম করার সাথে সাথে ওখানে দাঁড়ানো সবাই মরে রাস্তার পাশে পড়ে গেল!! কি অবাক হচ্ছেন? সন্ত্রাসী দলের সভাপতি বলে কথা!! সাথে ছিলেন রাশিয়ার কেজিবি থেকে ধার করা পাওয়ারফুল বোমা। যা সিগারেটের আকারের মত। তিনি সেটা ব্যবহার করেছিলেন!! অবাক লাগছে নাকি!!
আসল কাহিনী ছিল- যে ছেলেটি প্রথম কেন্দ্রিয় সভাপতিকে দেখতে পেয়েছিল সে ছিল কেন্দ্রিয় সভাপতির একান্ত কাছের একজন। যদিও শিবির করতো না কিন্তু সম্পর্ক ছিল অনেক ভাল। রাবিতে ভর্তি থেকে শুরু করে সব ব্যাপারে সভাপতি তাকে সাহায্য করেছিলেন। সে সভাপতিকে বিপদ সম্পর্কে বলে দিয়েছিল। সভাপতি তখন গাড়ি ছেড়ে দিয়ে হাটতে শুরু করলেন। চাদর মুড়ি দিয়ে রাখায় কেউ চিনতে পারলো না। মুখে ছিল সিগারেটের ধোয়া। ওরা কল্পনাও করতে পারেনি যে ওদের মাঝখান দিয়েই তিনি হেঁটে যাবেন আর সিগারেটের ধোয়া ওদের ধোঁকায় ফেলে দিয়েছিল।
কিন্তু প্রথম গ্রুপ পার হলেও ২য় গ্রুপ কে অতিক্রম করতে পারলেন না। কারন তার অস্ত্র সিগারেট তখন শেষ হয়ে গেছে। আর ঐ গ্রুপটা অনেক আলোতে দাঁড়ানো ছিল। তিনি রাস্তার পাশে ক্ষেতে নেমে গেলেন তার মাঝ দিয়ে হেঁটে গ্রামের মধ্যে চলে গেলেন। নদীর পাশে গিয়ে দেখলেন একটি নৌকা বাধা। অবশেষে নৌকায় রাত কাটিয়ে দিলেন প্রভুর সাথে কথা বলতে বলতে..........। পরের দিন ঠিক সময়ে পৌছে গেলেন ক্যাম্পাসে।
এটা ছিল সন্ত্রাসী দলের সভাপতি মতিউর রহমান আকন্দ ভাই এর জীবন এর একটি ঘটনা। আসুন সবাই ভাইটির জন্য প্রান উজার করে দোয়া করি।
বিষয়: বিবিধ
২১০৪ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এত বার পড়তে এসেও কেউই মন্তব্য করতে সাহস পায় নাই !
গ্রেট লিডারের ছবি কেন!! মাঝ মধ্যৈ এই
গ্রেট লিডারের পলোয়াদের আমেরিকায় দেখা
যায়।
ভাইজান , ব্লগে আমরা কেউ লেখক বলে মনে করি না । লিখকরা গল্প-কবিতার বই লিখে , তবে পাঠকের সমালোচনা তাদের তেমন সইতে হয়না যেটা ব্লগে কোন পোস্টদাতার ফেস করতে হয় ।
সমালোচনা ফেস করতে হয় না বা বিরুদ্ধ মতের সন্মুখীন হতে হয় না বলেই লেখকরা নিজেদের ''আমি কি হনুরে'' মনে করে ।
আছে , এই ব্লগে কিছু কিছু লোক আছে এরকম লেখক টাইপের ।
লিখুন, আরও লিখুন। সুন্দর করে লিখুন। বাতিলের বিরুদ্ধে কলমকে সচল রাখুন যতক্ষণ টেবিলের সামনে আছেন।
ধন্যবাদ।
১০০০ বার পঠিত যেটা দেখানো হয় সেটাতে তো একজনই ১০০০ বার পোস্টে ঢুকতে পারে । কে কে পড়তে ঢুকেছে তা কি এই পঠিত সংখ্যা দেখে বোঝা যায় ?
একজন পোস্টদাতা পোস্ট লিখেই তার পোস্টে কোন মন্তব্য আসবে এই আশায় । মন্তব্য আসলেই তা কোন নিক থেকে আসলো বোঝা যায় । তার কথার সাথে কে কে একমত বা দ্বিমত তাও বোঝা যায় ।
''স্পষ্টভাষী শত্রু নির্বাক মিত্র অপেক্ষা অনেক ভাল ''
এটাতো অনেক পরীক্ষাতেই ভাব-সম্প্রসারণ হিসেবে পড়েছেন । পড়েছেন কি শুধু পরীক্ষায় নম্বর পাবার জন্যই ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন