ইসলামের পরিভাষায় জিহাদ মানে কি?
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ০২ এপ্রিল, ২০১৪, ১০:২০:২৪ সকাল
সুরা বাকারাহ, আয়াতঃ ২১৮.)
বিপরীত পক্ষে যারা ঈমান এনেছে এবং আল্লাহর পথে বাড়ি-ঘর ত্যাগ করেছে ও জিহাদ করেছে তারা সঙ্গতভাবেই আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী। আর আল্লাহ তাদের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে দেবেন এবং তাদের প্রতি নিজের করুণাধারা বর্ষণ করবেন।
--------------- ---------------- ---------------- ---------------- -
জিহাদ অর্থ হচ্ছে, কোন উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জনে নিজের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। এটি নিছক যুদ্ধের সমার্থক কোন শব্দ নয়। যুদ্ধের জন্য আরবীতে ‘কিতাল’ (রক্তপাত) শব্দ ব্যবহার করা হয়। জিহাদের অর্থ তার চাইতে ব্যাপক। সব রকমের প্রচেষ্টা ও সাধনা এর অন্তর্ভুক্ত। মুজাহিদ এমন এক ব্যক্তিকে বলা হয়, যে সর্বক্ষণ নিজের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সাধনে নিমগ্ন, যার মস্তিষ্ক সবসময় ঐ উদ্দেশ্য সম্পাদনের উপায় ও কৌশল উদ্ভাবনে ব্যস্ত।
যার কণ্ঠ ও লেখনি নিজের উদ্দেশ্যের প্রচারণায় নিয়োজিত। মুজাহিদের হাত, পা ও শরীরের প্রতিটি অংগ প্রত্যংগ জিহাদের উদ্দেশ্য সম্পাদনের জন্য সারাক্ষন প্রচেষ্টা, সাধনা ও পরিশ্রম করে চলছে। জিহাদের উদ্দেশ্য পূর্ণ করার জন্য সে নিজের সম্ভাব্য সমস্ত উপায়-উপকরণ নিয়োগ করে, পূর্ণ শক্তি দিয়ে এই পথের সমস্ত বাঁধার মোকাবিলা করে, এমনকি শেষ পর্যন্ত যখন প্রাণ উৎসর্গ করার প্রয়োজন দেখা দেয় তখন নির্দ্বিধায় এগিয়ে যায়। এর নাম ‘জিহাদ।’
আর আল্লাহর পথে জিহাদ হচ্ছেঃ এ সবকিছু একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করতে হবে। এই দুনিয়ায় একমাত্র আল্লাহর দ্বীন তথা আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধান প্রতিষ্ঠিত হবে এবং আল্লাহর বাণী ও বিধান দুনিয়ার সমস্ত মতবাদ, চিন্তা ও বিধানের ওপর বিজয় লাভ করবে। মুজাহিদের সামনে এছাড়া আর দ্বিতীয় কোন উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য থাকবে না।
জামাত শিবির ছাড়া এই বাংলাদেশে আর কোন কোন ইসলামী দল এই কাজে সরাসরি প্রকাশ্যে নিয়জিত আছে আমাকে কেউ জানাতে পারেন???
বিষয়: বিবিধ
৩৫৫৪ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
==============================
সালফে সালেহীনদের অধিকাংশই, জিহাদ শব্দটির অর্থ ব্যবহার করে ক্বিতাল ফি সাবিল্লিল্লাহর অর্থে।
আপনার প্রতি অনুরোধ, আপনি যখন ইসলামের কোন পরিভাষা নিয়ে আলোচনা করবেন তখন খেয়াল রাখা উচিত আলোচনাটি যেন পূর্ণাঙ্গ হয়।
তারপরও কথা থেকে যাচ্ছে, প্রতিষ্ঠিত দল বলতে কি বুঝাতে চাচ্ছেন এটাও ক্লিয়ার হওয়া দরকার। আপনি যে দলকে পছন্দ করেন সেটাই কি প্রতিষ্ঠিত দল?
উদাহরণ স্বরুপ বলি, জেএমবি যখন জোট সরকার সমর্থনে সফলভাবে সর্বহারাদের দমন করার পর যখন তারা বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা করতে লাগল তখন কিন্তু জামাআতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত আলেম মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী (আল্লাহ তার মুক্তির ব্যবস্থা করে দিন)জেএমবির তরুন সদ্যসদের হেন ভাষা নাই যার দ্বারা তিনি আক্রমন করেন নি। কিন্তু কিছু দিন আগে জামাআত শিবির সরকার দলের সাথে পাল্লা দিয়ে যে বোমা হামলা এবং হরতালের নামে যে জ্বালাও পোড়াও করল এটা নিয়ে কিন্তু আল্লামা সাঈদী সাহেবের কোন বয়ান পেলাম না। ব্যাপার এই রকম যে, হরকাতুল জিহাদের বোমা হামলা হারাম কিন্তু জামাত শিবিরের ককটেল. পেট্রোল বোমা, জ্বালাও পোড়াও জায়েজ!!!
==========================
চোরা গোপ্তা হামলা করা যাবে না এটা কিন্তু মানতে পারলাম না। প্রয়োজনের জন্য এটা যে উত্তম প্রমাণিত হতে পারে সিরাত সম্পর্কে একটু জানা শুনা ব্যক্তি মাত্রই এটা জানে।
কিন্তু ইসলামি আইন শাসন চলেনা, গনতন্ত্রের দেশ তাই জিহাদ হবে সম্পূর্ণ মনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা,
যেমন এখন ইন্টারনেট যুগ-আপনি ক্লিক করলে দুই ধরনের জিনিষ দেখতে পাবেন-
০১ ভাল জিনিষ
০২ খারাপ জিনিষ , খারাপ জিনিষ বলতে অশ্নীল সাইট,
আপনি যদি খারাপ সাইটে আল্লাহকে ভয় করে ক্লিক না করে এড়িয় যান তাহলে সেটা হবে মনের বিরুদ্ধে জিহাদ
কিংবা আমরা রাস্তাঘাটে যে আজেবাজে পোষাকে মেয়েদের দেখি তা থেকে না দেখে নিজের মন ও চোখকে বিরত রাখার নামই জিহাদ
আমাদের অনেক বন্ধু মেয়ে নিয়ে ফুর্তি নষ্টি করে, মদ গাজা ইত্যাদি খায়, তাদের এহেন কর্মকান্ড দেখে আমারো যেতে ইচ্ছে করে কিন্তু আমি আল্লাহকে ভয় করে যাইনা,
এইটাই হলো জিহাদ
তরবারীর জিহাদের হুকুম এখন রহিত,
এখন সর্বত্র ইসলাম প্রচারিত হয়েছে,
ইসলামকে যথাযত পালন করছেনা বিদায় মুসলিমদের এই অবস্থা
মন্তব্য করতে লগইন করুন