গুম হওয়ার ৫০ দিন পর সাবেক শিবির নেতা মহিদুলের লাশের সন্ধান মিলেছে!!!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ০৪ মার্চ, ২০১৪, ০৯:০৫:১৯ রাত
গুম হওয়ার ৫০ দিন পর সাবেক শিবির নেতা মহিদুল ইসলামের লাশের সন্ধান পাওয়া গেছে। বগুড়ায় গত ১ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাত লাশ হিসেবে তাঁকে দাফন করা হয়েছিল। নীলফামারী সদর থানায় পাঠানো মহিদুলের লাশের ছবি দেখে আজ পরিবারের সদস্যরা তাঁকে সনাক্ত করেছে।
মহিদুল ২০১৩ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের সদস্য হিসেবে দায়িত্বপালন করে করেন। তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের সুখধন গ্রামের ক্বারী আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন। এ বছরের ১৩ জানুয়ারি রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টাঙ্গাইল থেকে মহিদুল ও ছাত্রদল কর্মী আতিককে গ্রেফতার করে। এর পর থেকে এ দু’জনই নিখোঁজ ছিলেন। গত ২০ জানুয়ারি আতিকের রক্তাক্ত লাশ নীলফামারীর সৈয়দপুরে পাওয়া গেলেও এতদিন মহিদুলের কোনো সন্ধান মিলেনি। নিখোঁজের ৫০ দিন পর আজ জানা গেছে যে, মহিদুলকে হত্যা করার পর তার লাশ অজ্ঞাত হিসেবে বগুড়ার শিবগঞ্জে দাফন করা হয়।
বর্তমান সরকারের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলা মামলায় মহিদুলকেও আসামী করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত এ মামলার তিন আসামির লাশ পাওয়া গেছে। ইতোপূর্বে এক নম্বর আসামি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রাব্বানির লাশ পাওয়া গিয়েছিল ১৮ জানুয়ারি। এরপর ছাত্রদল নেতা ৪ নম্বর আসামি আতিকুল ইসলাম আতিকের লাশ পাওয়া যায় ২০ জানুয়ারি। ছবি দেখে সনাক্ত করার পর নীলফামারী সদর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আজ মুহিদুলের পরিবারকে তাঁর লাশ দাফনের খবর জানানো হয়।
এদিকে শিবির নেতা মহিদুল ইসলামকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারের পর হত্যা ও এই হত্যাকান্ডকে আড়াল করতে নাটক সাজানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। এক প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতায় মানবাধিকার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মহিদুল ইসলামের হত্যাকান্ড- এই সত্যকেই আবারো তুলে ধরেছে। সরকার ছাত্রজনতার চলমান আন্দোলন দমনে কতটা নৃশংস হয়ে উঠেছে তা ধারাবাহিক বিচার বহির্ভূত হত্যকান্ডের মাধ্যমে প্রমানিত হয়ে গেছে। মহিদুলসহ নীলফামারীর ঘটনায় তালিকাভূক্ত আসামি তিনজনকে এ পর্যন্ত বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শুধু মহিদুলকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, নিজেদের অপরাধকে ঢাকতে তারা নাটক সাজিয়েছে। যার ফলে তার পরিবার লাশ দাফনেরও সুযোগ পায়নি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত মহিদুলকে গ্রেফতার ও পরবর্তীতে তাঁকে হত্যার বিষয়টি সচেতন প্রত্যেক দেশবাসীর কাছে পরিস্কার। অবৈধ সরকারের বর্তমান সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর যে এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছেন, তাও পরিস্কার। পর্দার খলনায়ক থেকে তিনি বাস্তবের খলচরিত্রে আবির্ভূত হয়েছেন বলেই নিলফামারীবাসীসহ সারাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনসহ শান্তিপ্রিয় সকল মানুষই সোচ্চার হবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে দলমত নির্বিশেষে এখনই খুনী এ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। অন্যথায় দেশে আইনের শাসনেরই বিলুপ্তি ঘটবে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মহিদুলসহ বর্তমান সরকারের আমলে সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিষয়: বিবিধ
১৪৪৪ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নাম মহীদুল ..!
বাড়ি নীলফামারী ..!
পড়াশুনা রাজশাহী ইউনিভার্সিটি..!
লাশ পাওয়া গেছে বগুড়ায় ..!
কারন আসাদুজ্জামান নুরের গাড়ি বহরে হামলা কেসের তথাকথিত আসামি।
ঘটনা ... মামলার পর থেকে এক আত্মীয়র বাড়িতে ছিলেন। সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির পরিচয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর বগুড়ার মোকামতলাতে পাওয়া যায় তার রক্তাক্ত দেহ বেওয়ারীশ লাশ হিসেবে।
এভাবে আর কত?
আর কত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হবে বাংলাদেশের জনগণ?
আর কত হাহাকারের ধ্বনিতে ভরবে উঠবে বাংলার আকাশ?
আর কত স্বজনহারার অশ্রুসিক্ত আর্তানাদে ভারী হবে এদেশের বাতাস?
কেমনে করি বাস
বাংলা আমার জন্মভূমি
বাংলায় করি বাস।
-ইকু
মন্তব্য করতে লগইন করুন