জামায়াতের ইসলামীর চমক চলছেই, অস্তিত্বের সংকটে জাতীয় পাটি।
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১০:১০:১৫ সকাল
উপজেলা নির্বাচনে সরকারি চাপে কোণঠাসা জামায়াতে ইসলামীর চমক চলছেই। প্রথম দফার মত দ্বিতীয় দফাতেও
তারা তাদের সাফল্য ধরে রেখেছে। কোনো ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকেও ছাড়িয়ে গেছে জামায়াত।
অন্যদিকে চরম অস্তিত্বের সংকটে পড়তে চলেছে বর্তমান সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মাদ এরশাদ এবং তার সহধর্মিনী বেগম রওশন।
জামায়াতের নেতারা হয় যুদ্ধাপরাধ মামলায় দণ্ডিত নতুবা চার দেয়ালের মাঝে বন্দি। গত ৫ বছর যাবৎ রাষ্ট্রশক্তি প্রতি মুহূর্তে দলটির নেতাকর্মীদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে। দল হিসেবেও জামায়াত এখন কার্যত নিষিদ্ধ।এ অবস্থায় এককভাবে নির্বাচন করে জামায়াতের প্রার্থীরা জিততে পারবে তা হয়তো অনেকে বিশ্বাস করতে চাননি। কেউ একটু বেশি উদারপন্থি হলে বড়জোর বিচ্ছিন্ন দু-একটি জায়গায় তাদের জয়ের সম্ভাবনা দেখছিলেন। প্রথম দফায় ১৩টি উপজেলা চেয়ারম্যানের পর দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেল বিচ্ছিন্ন দু- একটি জয় নয়, জামায়াত ৮টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মত দেশের দুটো বড় দলের সঙ্গে লড়াই করেই দলটি এ জয় পেয়েছে।মোট ১১৫টি উপজেলার মধ্যে ১১০টির পূর্ণাঙ্গ বেসরকারি ফলাফলে বিএনপি ৫১, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা ৪৫, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৫ উপজলোয় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পার্টির ভাগ্যে জুটেছে মাত্র ১টি আসন।
জামায়াতের এই জয় অন্য একটি দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ এই
কারণে যে বেশিরভাগ উপজেলাতেই জামায়াতের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিল না। জামায়াত দ্বিতীয় ধাপে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের শরিক বিএনপিকেও ছাড়িয়ে গেছে। এবার পুরুষ পদে তাদের ৩০ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। যেখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা ২৮টি করে উপজেলায় জয় পেয়েছে। আর জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র দুটিতে। অন্যান্য ৫ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।এর আগে প্রথম দফায় ভাইস
চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে জামায়াতের ২৩ জন জয়ী হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ ২৪ এবং বিএনপি জয় পেয়েছিল ৩২টি স্থানে।
জামায়াতে ইসলামকে অনেকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বা মৌলবাদী বললেও দ্বিতীয় ধাপেও অন্তত ৯টিতে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলটির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। নারী ভাইস চেয়ারম্যান
পদে বিএনপি ৪৪, আওয়ামী লীগ ২৬, জাতীয় পার্টি ২ এবং অন্যরা ৪টিতে জয়ী হয়েছে।প্রথম দফায় নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াত জিতেছিল ১০টি উপজেলায়। এক্ষেত্রে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ জিতেছিল ৩৪টি করে উপজেলায়। তবে নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত পতন ঘটেছে এরশাদের জাতীয় পার্টির। একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসালেও কার্যত জাতীয় পার্টি এখন রাজনীতিতে যে ‘ডেড হর্স’ -তা দ্বিতীয় দফাতেও প্রমাণিত হয়েছে।একটি মাত্র উপজেলায়
চেয়ারম্যান পদে জয় নিয়েই দলটিকে অনিশ্চিত গন্তব্যে যাত্রা শুরু করতে হবে। অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন করে নারী-পুরুষসহ ৪টি জয় পেয়েছে ঝড়ের গতির মতই দ্রুত দিক পরিবর্তনকারী এই দলটি।
বিষয়: বিবিধ
১৫৩৭ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দ্বিতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ-বিএনপির চেয়ে এগিয়ে রয়েছে জামায়াত!
১১০ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে
জামায়াত ৩০,
আওয়ামী লীগ ২৮,
বিএনপি ২৮
জাপা ২
অন্যান্য ৫ জন
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
মাতা নাসরুল্লাহ...??? ইন্না নাসরুল্লাহি ক্বারীব!
তবে এধরনের অবস্হায় এখনই জামায়াত না যাওয়াই ভালো। জামায়াতকে এখন চিন্তা করতে হবে আওয়ামী লীগ নয় ভারতীয় ষড়যন্ত্রের মুখে কিভাবে দ্বীন প্রতিষ্টার কাজ আগানো যায় । সমস্যা আওয়ামী লীগ নয়- ভারত
এই তথ্যটা সম্ভবত ভুল আছে।
সব মিলে সুন্দর বিশ্লেষন
মন্তব্য করতে লগইন করুন