একমাত্র হুজুরদের পক্ষেই সম্ভব নারীর সম্মান রক্ষা করা দেখুন তার একটি প্রমাণ।
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৮:০৫:৩৬ রাত
আমার লিখাটা পড়ে কে কি বুঝলেন একটু মন্তব্য করে জানাবেন দয়াকরে, নারীদেরকে কারা সম্মান দেয় হুজুররা নাকি তথাকথিত নারী স্বাধীনতার দাবীদার ছুছিলরা?
আজ সন্ধ্যা ৬.০০টা
বনানী টু গুলিস্থান
বেলাল এন্টার প্রাইজ।
অফিসের কাজে গিয়েছিলাম বনানী আমেরিকান ইউনিভার্সিটির পাশের বিল্ডিং এ, কাজ শেষ করে আমার অফিসে ফেরার পথে বেলাল এন্টার প্রাইজ নামক একটি বাসে উঠলাম, এবং আমেরিকান ইউনিভার্সিটির প্রায় ২ ডজন ছাত্র-ছাত্রী ও বাসটিতে উঠলো আমি এবং আরো অনেকেই বাসটিতে উঠলো, বাসটিতে যতগুলো সিট ছিল যাত্রী ছিল তার দ্বিগুন, আমি সহ প্রায় ১০জনের মত সিটে বসতে পারলাম, আমার সাথে ছিল অপরিচিত এক হুজুর তিনিও সিটে বসলেন, এক পর্যায়ে একটি ছেলে এবং একটি মেয়েও বাসটিতে উঠলো কিন্তু বাসটিতে সিট খালি ছিল মাত্র একটি, সেই খালি সিটে বসলে ছেলেটি কিন্তু ছেলেটির বান্ধবীর জন্য একটি সিটও খালি ছিল না, উচিত ছিল ছেলেটি না বসে মেয়টিকে সিটে বসতে দেওয়া কিন্তু ছেলেটি তা করলো না এবং একই প্রতিষ্ঠানের আরো অনেক ছাত্র ছিল তারাও মেয়েটিকে সিটে বসতে দিল না তো দিল না বরং মেয়েটিকে নিয়ে রীতিমত হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠল, মেয়েটি শুধু নিচের দিকে তাকিয়ে দাড়িয়ে ছিল, হঠাৎ আমার পাশের হুজুরটি সিট থেকে উঠে গিয়ে মেয়েটিকে বসতে দিল, আমার তখন নিজেকে ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করছিল আমিও তো মেয়েটিকে আমার সিটে বসতে দিতে পারতাম, কিন্তু কেন দিলাম না, দিলাম না এই জন্য যে সকল নারীরা সারাদিন তোমার বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারো কিন্তু আজ দেখ তোমার বন্ধুরা সিটে বসে তোমাকে দাড় করিয়ে হাসতেছে, দেখ তোমার বন্ধুরা তোমায় কেমন সম্মান করে। আমি তখন দেখলাম মনে হয় মেয়েটি মনে মনে খুশি হয়ে হুজুরটিকে ধন্যবাদ দিল।
আমিও স্যালুট জানাই যে হুজুরটি মেয়েটিকে বসতে দিল, আর ধিক্কার জানাই তাদের যে বন্ধুদের সাথে বাসে উঠেছিল তাদের যারা নারীকে সম্মান দিতে পারে না।
বিষয়: বিবিধ
১৬০১ বার পঠিত, ৩৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হুজুর মানেইত জংগী (?) । জংগীরা এত ভাল হয় কেমনে ?
বাসের মালিক গুলা মহিলারে আর প্রতিবন্ধি একসাথে করে দিল দিল ???
এতে তো সুশিলেরা কিছু বলনা???
ছেলেটা মনেহয় এই আইন ফলো করছে নারি পুরূষ সমান অধীকার
আর এজন্য আমাদের সবার ই দায়ীত্ত রয়েছে
সব সময়ই কেন ছেলেদেরকে এগিয়ে আসতে হবে মেয়েদেরকে বসতে দেবার জন্য ? বাসে তো ঐ মেয়ের স্বজাতি সহপাঠি বা সাধারণ মহিলা যাত্রীও ছিল ? তারা কেন এগিয়ে আসলো না ?
আমরা তো প্রায়ই গান শুনি যে , একজন নারীর ব্যথা আরেকজন নারীই বুঝতে পারে । তো এখানে তারা কি বুঝেছে ?
নারীরা কখনই নিজেদের কাছে নিজেরা কিছু চায়না , তাদের চাওয়া সবসময়ই পুরুষের কাছে । অথচ এই পুরুষদেরকেই তারা যে কোন বিষয়ে দোষী করতে কসুর করে না ।
আজ ২০-২৫ বছর হল বাংলাদেশ নারীদের দ্বারা শাসিত । নারীরা যদি তাদের স্বজাতির প্রতি দরদী হত তাহলে ঢাকার ভিতরের সড়ক পথের প্রতিটি রুটে মহিলাদের জন্য অন্তত ৫ টি করে আলাদা বাস থাকতো । তাহলে তাদেরকে পুরুষদের সাথে ধাক্কাধাক্কি করে বাসে চড়তে হত না ।
বাস্তবতা হল : নারীর শত্রূ কোন কালেই পুরুষরা ছিল না । নারীরাই নারীদের শত্রু ।
যদি তাদের বুনিয়াদি শিক্ষাটা ইসলামী নীতিমালার আলোকে পেয়ে থাকতো তবে তাদের মধ্যে এমন অশিক্ষাসূলভ আচরণ কম দেখা যেত।
মন্তব্য করতে লগইন করুন