মাইক ও পোস্টার নিয়ে প্রচারণায় প্রার্থী নিজেই!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০২:৫৩:৩৩ দুপুর
পটিয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস এম এফ আইয়ুব নিজেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। ছবিটি ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তোলামাত্র তিনজন কর্মী নিয়ে দোয়াত-কলম প্রতীক হাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বসে মাইকে প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থী নিজে। পোস্টার সাঁটানোর সঙ্গে সঙ্গে গণসংযোগও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। অন্য চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের কর্মী-সমর্থক নিয়ে জমজমাট প্রচারণার মধ্যে একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর এমন ব্যতিক্রমী প্রচারণা দারুণ উপভোগ্য হয়ে উঠেছে ভোটারদের মধ্যে। ২৭ ফেব্রুয়ারি পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে এমন কৌতূহলোদ্দীপক প্রচারণা চালানো চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ব্যক্তিটি হলেন উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের আলমদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এস এম এফ আইয়ুব। পেশায় হোমিও চিকিৎসক। উচ্চশিক্ষিত (এমএসসি, বিএড) আইয়ুব একসময় ঢাকার লালমাটিয়া একাডেমিয়া কলেজের উপাধ্যক্ষ ছিলেন। পরে ডিএইচএমএস ডিগ্রি নিয়ে ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় জার্মান হোমিও ফার্মেসি প্রতিষ্ঠা করে তাতে চিকিৎসা পেশা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী দুজনই হোমিও চিকিৎসক। ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বসে পটিয়া আদালত এলাকায় মাইকে প্রচার চালাচ্ছিলেন প্রার্থী আইয়ুব। একপর্যায়ে আইনজীবীদের কাছে ভোট চাইতে যাওয়ার সময় কথা হয় তাঁর সঙ্গে। নিজেই মাইকিং করা এবং পোস্টার লাগানোর বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কাউকে বিশ্বাস করা যায় না। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি পোস্টার না লাগিয়ে কোথাও ফেলে দিতে পারে। কিংবা যেখানে লাগানোর দরকার সেখানে না লাগিয়ে ফাঁকি দিতে পারে। মাইকিংয়ের বেলায়ও দেখা যাবে ঠিকমতো প্রচার না করে কোথাও গিয়ে বসে থেকে ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। তাই নিজের প্রচার নিজেই করছি।’ এস এম এফ আইয়ুব ভোট চাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। জানা গেছে, পরিবার বা স্বজনেরা তাঁর হঠাৎ করে ঢাকা থেকে এসে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি। তাই তাঁর সঙ্গে প্রচারণায়ও নেই তাঁরা। এ অবস্থায় কেন নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী হলেন জানতে চাইলে আইয়ুব বলেন, এলাকায় মারামারি, হানাহানি ও মামলা-হামলার হয়রানি বন্ধ, অপরের হক পরিশোধ এবং মা-বাবাসহ নারী-পুরুষ পরস্পরের প্রতি নির্যাতন রোধ করার লক্ষ্যে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ইমাম ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করা হবে। পটিয়াকে একটি মডেল উপজেলায় রূপান্তরের অঙ্গীকারও করেন তিনি। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। বললেন, ‘ভোটারদের কাছে গিয়ে যেভাবে সাড়া পাচ্ছি এতে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। রাজনৈতিক দলের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় ভোটাররা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমাকেই চাচ্ছেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিজয়ী হলে ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে এলাকায় চলে আসবেন।
কর্মী হিসেবে আইয়ুবের সঙ্গে থাকা প্রতিবেশী মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রার্থীর অনুরোধে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি প্রার্থীর সঙ্গে কাজ করছেন। খরচের টাকাপয়সাও কিছু পাচ্ছেন। প্রার্থী তাঁর স্ত্রী ও বোনের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে প্রচারণার খরচ চালাচ্ছেন বলে জানান মো. জাহাঙ্গীর।
তথ্যসূত্রঃ ফেসবুক-Facebook
বিষয়: বিবিধ
১৭৪০ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মজার কাণ্ড দেহি নাই
হাসতে হাসতে পেট...
যাদের জেতার সম্ভাবনা আছে তারা লোক লাগায় প্রচারের জন্য । এবং জয়ী হলে খরচের কমপক্ষে ১০০০ গুন তুলে আনার নিশ্চয়তা তো আছেই ।
কর্মী হিসেবে আইয়ুবের সঙ্গে থাকা প্রতিবেশী মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রার্থীর অনুরোধে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি প্রার্থীর সঙ্গে কাজ করছেন। খরচের টাকাপয়সাও কিছু পাচ্ছেন। প্রার্থী তাঁর স্ত্রী ও বোনের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে প্রচারণার খরচ চালাচ্ছেন বলে জানান মো. জাহাঙ্গীর।
কিছু বললাম না।
কিন্তু যে মানুষ অন্যকে কাজের ব্যাপারে বিশ্বাস করতে পারেন না, তথা অন্যকে কিভাবে কাজ করাতে হয় তা জানেন না - তিনি কিভাবে একটি প্রশাসন চালাবেন? - জনগনের মনের মধ্যে উদ্ভুত এমন প্রশ্নের উনি কি গ্রহনযোগ্য উত্তর দেবেন - তাই ভাবছি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন