জাহান্নামের ভয়ে সাহাবীদের কান্না!!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০২:০৪:২১ দুপুর
কয়েকটি ছোট ঘটনা পড়ুন, অবাক হওয়ার মত!
আমরা কী করছি??
দুনিয়াতে জান্নাতের সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ব্যক্তি উসমান (রা) এর যখনই কবরের কথা স্মরণ হত তখন তিনি এত বেশী কাঁদতেন যে তাঁর দাড়ি ভিজে যেত!
আবদুল্লাহ বিন উমার (রা) সূরা মুতাফফিফীন তিলাওয়াত করছিলেন। যখনই এই আয়াতটি পর্যন্ত পৌঁছলেন, তিনি খুব বেশী কাঁদলেন যে, নিজেকে সংবরণ করতে পারছিলেন না, তিনি পড়ে গেলেন!!
আয়াতটি এই "যেদিন সমস্ত মানুষ বিশ্বজগতের রবের সামনে দাঁড়াবে!" [৬ নং আয়াত]
আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রা) সূরা ক্বাফ পড়ছিলেন। এই আয়াতটি পর্যন্ত আসলে তিনি অত্যধিক কাঁদতে লাগলেন ও তাঁর নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গেল।
আয়াতটি এই "মৃত্যু যন্ত্রণা সত্যই আসবে! এ থেকেই তোমরা অব্যাহতি চেয়েছিলে।"
[১৯ নং আয়াত]
সাদ্দাদ বিন আউস যখনই বিছানায় শুইতেন তখন এপাশ-ওপাশ হতেন, ঘুম আসত না, আর বলতেন- "হে আল্লাহ! জাহান্নামের ভয় আমার ঘুম হারাম করে দিয়েছে!" এরপর উঠে গিয়ে সকাল পর্যন্ত কান্নাকাটি করতেন!
এই আয়াতটি নাযিল হওয়ার পর রাসূল (সা) ও সাহাবারা খুব বেশী কাঁদতেন। আয়াতটি এই
"তোমরা কি এ কথায় বিস্ময়বোধ করছ? এবং হাসি ঠাট্টা করছ! ক্রন্দন করছ না?"
[সূরা নাজম ৫৯-৬০]
উমার (রা) জুমুআর খুতবায় সূরা তাকভীর তিলাওয়াত করছিলেন। এই আয়াতটি পড়ার পর তিনি এত ভীত সন্ত্রস্ত হলেন যে, তাঁর আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেল! আয়াতটি এই "তখন প্রত্যেক ব্যক্তিই জানতে পারবে যে, সে কি নিয়ে এসেছে!" [১৪ নং আয়াত]
[রাসূল (সা) জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা দিলেন যেভাবেঃ ইকবাল কিলানী ২০২-২০৩ পৃষ্ঠা]
আল্লাহু আকবার!!
আমার জন্য দুআ করবেন যাতে ২৪ ঘন্টা আল্লাহর ভয়ে ভীত থাকতে পারি। চোখের পানি ফেলে যাতে আল্লাহর কাছে বেশী বেশী মাফ চাইতে পারি! ১ মিনিটের বিশ্বাস নেই। কখন চিরদিনের জন্য চলে যেতে হয় জানিনা।
বিষয়: বিবিধ
২৭৪৮ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ব্যস্ততা সত্বেও লগ-ইন করতে বাধ্য হলাম প্রথম মন্তব্যটি করার জন্য
[হয়তো অন্যরা আমার চেয়েও বেশী ব্যস্ত বলে মন্তব্য করার সুযোগ হয়নি]
১৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন