নামাজে মনোযোগী হবার একটি পদ্ধতি।

লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৯:৩৯:৩২ রাত



আমরা যখন নামাজে দাড়াই তখন শয়তান আমাদের অন্তরে নানারকম প্ররোচনা দিয়ে নামাজে অমনোযোগী করে তুলা চেষ্টা করে, এতে অনেকের বেলায় শয়তান সফল হয় আবার অনেকের বেলায় শয়তান সফল হতে পারেনা। এর থেকে বাঁচতে হলে ও নামাজ শুদ্ধভাবে পড়তে হলে আমরা যদি নামাযে যাহা পড়ি মেশিনের মতো না পড়ে বুঝে পড়ার চেষ্টা করতাম তাহলে ইন

শা আল্লাহ্ শয়তান আমাদের নামাজকে নষ্ট করতে সফল হতে পারবে না ….

নামাযে সূরা ফতিহা পড়ার সময় এ হাদীসটির কথা খেয়ালে রাখলে এক একটি আয়াত পড়ার পর আল্লাহর প্রেমময় জওয়াবটা মনের কানে শুনবার জন্য বান্দাহকে থামতেই হবে। আল্লাহর জওয়াবে যে তৃপ্তি ও শান্তি তা তারাই বোধ করতে পারে, যারা আয়াতগুলো ধীরে ধীরে মজা নিয়ে পড়ে। এ হাদীসে মহব্বতের এমন অগ্নিকণা রয়েছে যে, বান্দার দিলে ঈমানের

বারুদ থাকলে এবং নামাযে সূরা ফাতিহা পড়ার সময় আল্লাহর আবেগময় কথার দিকে খেয়াল করলে আল্লাহর প্রতি ভালবাসার এমন আগুন জ্বলে উঠবে যে, জযবায় বান্দাহ নিজেকে মনিবের অতি কাছে বলে অনুভব করবে। আউযুবিল্লাহ ও

বিসমিল্লাহ… পড়ে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করতে হবে।

হাদীসে আছে যে সূরা ফাতিহার এক এক অংশ তিলাওয়াত করার সাথে সাথে আল্লাহ এর জওয়াব দেন। এ হাদীসের কথাগুলো এমন আবেগময় ভাষায় বলা হয়েছে যা বান্দাহর মনে গভীর দোলা দেয়।

হাদীসটি নিম্নরূপ :

হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেলন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি নামাযকে আমার ও আমার বান্দাহর মধ্যে দুভাগে ভাগ করেছি। আর আমার বান্দাহ আমার নিকট যা চায় তাই পাবে। বান্দাহ যখন বলে, ‘‘আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।” অর্থ :যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। তখন আল্লাহ বলেন , “ আমার বান্দাহ আমার প্রশংসা করল।” যখন বান্দাহ বলে “আর রাহমানির রাহীম”। অর্থ :যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। তখন আল্লাহ বলেন আমার বান্দাহ আমার গুণ গাইল”

যখন বান্দাহ বলে “মালিকি ইয়াওমিদ্দীন ” অর্থ :যিনি বিচার দিনের মালিক। তখন আল্লাহ বলেন “আমার বান্দাহ আমার গৌরব বর্ণনা করল” যখন বান্দাহ বলে, “ইয়্যাকা না বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাঈন অর্থ :আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। তখন আল্লাহ বলেন “এ বিষয়টা আমার ও আমার বান্দাহর মাঝেই রইল । আর আমার বান্দাহর জন্য তাই যা সে চাইল (অর্থাৎ আমার ও আমার বান্দাহর মধ্যে এ চুক্তি হলো যে সে আমার কাছে চাইবে, আর আমি তাকে দেব)। যখন বান্দাহ বলে “ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম সিরাতাল্লাযীনা আন আমতা আলাইহিম গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওয়ালাদ দোয়াললীন” অর্থ :আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।” তখন আল্লাহ বলেন এটা আমার বান্দাহর জন্যই রইল আর আমার বান্দাহর জন্য তা ই যা সে চাইল।”

বিষয়: বিবিধ

১৫৯১ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

174751
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৫০
বিন হারুন লিখেছেন : মহান রব আমাদেরকে শয়তানের কুওয়াসওয়াসা থেকে হেফাজত করুন. এবং কোরআন বুঝে তেলাওয়াত করার তাওফীক দান করুন. আ-মীন. Rose Rose Rose
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৫২
127955
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : ছুম্মা আমিন।
174753
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৫৪
বুড়া মিয়া লিখেছেন : সুন্দর বিষয় উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৫৭
127956
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
174756
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:০১
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : অনেক ভালো লগেছে ধন্যবাদ
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৫৪
128181
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
174776
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৫৬
নীল জোছনা লিখেছেন : ভালো লাগল কত কিছুই না জানলাম কিন্তু মানতে পারি খুব অল্প। আল্লাহ তুমি আমাদের হেদায়েত দাও।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:২২
128456
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাইয়া
174781
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:১৫
egypt12 লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের এভাবেই জেনে পড়ার তৌফিক দিন...আমিন
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৫৪
128182
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আমিন
174785
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:২৪
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৫৫
128183
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আপনাদের প্রোগামে যাওয়ার অনেক ইচ্ছা ছিল, কিন্তু হঠাত একটি জরুরী কাজ এস পড়াতে আর যেতে পারি নাই।
174792
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৯
egypt12 লিখেছেন : আমি লিখা পড়ার আগে-পরে ও মন্তব্য করার আগে আপনার ব্লগ নেম খেয়াল করিনি...আপনি আমাকে দীর্ঘদিন ব্লক রেখেছিলেন কেন ভাই!?
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৫৭
128185
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : দুঃখিত আসলে ভাইয়া, একদিন ভুলবসত হয়েগিয়েছিল, কিন্তু আর কিছুতেই ফিরে আনতে পারি নাই, মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় অবশেষে পেরেছি।
174841
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:২৫
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আল্লাহ, তুমি এই সুন্দর পোস্টটি অনুসরণে সমস্ত ব্লগার ভাইবোনদেরকে তৌফিক দাও, হে মহান প্রভূ.......
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৫৭
128186
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আমীন
174918
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৩৪
আইমান হামিদ লিখেছেন : বেশ ভালো লিখেছেন ভাই।
এমনিতে নামাযের দুনিয়ার সব চিন্তা মাথার মধ্যে কিলবিল করে
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৫৭
128187
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লিখাটি পড়ার জন্য।
১০
175014
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৪৪
ইমরান ভাই লিখেছেন : এই হাদিসটির অন্য রিওয়াতে শুরুতে কিছু বেশি বর্ণনা আছে আমি তা দিয়ে দিলাম।

মাহমুদ.....আবু হুরায়রা (রাযি) হতে বর্ণিত। তিনি নবী (সা) হতে বর্ণনা করেন, নবী (সা) বলেছেন: যে ব্যাক্তি সালাত আদায় করল এবং তাতে উম্মুল কুরআন পাঠ করল না উক্ত সালাত ত্রুটিপূর্ন। তিনি এ কথা তিন বার বললেন, অর্থাৎ অসম্পূর্ন। রাবী বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রাযি) কে বললাম হে আবু হুরায়রাহ (রাযি)আমি তো ইমামের পিছনে থাকি?
অতঃপর আবু হুরায়রাহ (রাযি) বললেন: হে ইবু ফারেসী! তুমি মনে মনে পড়।

তার পর হাদিসটি আপনার অনুরুপ।

(দেখুন:ইমাম বুখারী, যুযুল কিরাত, হা/১১)

ইমাম বুখারী (রহ) অধ্যায় রচনা করেছন:

সব সালাতেই ইমাম ও মুক্তাদীর কিরাআত পড়া জরুরী, মুকীম অবস্থায় হোক বা সফরে, সশব্ধে কিরাআতের সালাত হোক বা নিঃশব্ধে সব সালাতেই ইমাম ও মুক্তাদীর কিরাআত পড়া জরুরী।
(ইমাম বুখারী,সহিহ আল বুখারী, ১০ পর্ব ৯৫ অধ্যায়, ১ম খন্ড)

আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার তাওফিক দিন। আমিন।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:২১
128455
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাইয়া
১১
175123
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪২
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাইয়া
১২
175135
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৫
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো। জাযাকাল্লাহ।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:২১
128454
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাইয়া
১৩
178223
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২৪
অজানা পথিক লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File