শিবির করার দরকার নেই তোমার, তাদের জন্য অন্তর থেকে দোয়া করো।
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৯:৪৮:৪১ সকাল
আমার এক ভাতিজা কতিথ এক হক্কানীর কট্টর মুরিদ ছিলো। এখন অবশ্য নামও শুনতে পারে না। হেফাজত পরবর্তি ঘটনায় দারুন নাখোশ বেচারা। সেদিনও মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে আসলে বিভিন্ন জনের কিতাবের হাওলা দিয়ে আমাকে প্রশ্ন করতো। আমিও উত্তর দিতাম। কখনো মানতে চাইতো না। কিন্ত এবার সে পরাস্ত হয়েছে। একটি বিষয়ে যখন তার ঘরে রক্ষিত আশ্রাফ আলী থানবীর (রহ) কিতাব থেকে হাওলা দিলাম, তখন বুঝলে যে, কুফরীর ফতোয়া এখন সেদিকেও ঘুরে গেছে। গত পরশু আমাদের মসজিদে জুমার নামাজের সময় তাকে দেখে ডাক দিয়ে বললাম, সাবধানে চলাফেরা করো, রাস্তায় কারো সাথে রাজনৈতিক বিতর্ক করতে যেওনা। দেশের অব্স্থা মোটেও ভালো নয়। ভাতিজা উত্তর দিলো, চাচু কোন সমস্যা নাই, আমরা ....হুজুরের দল করি। আমি বললাম, তোমাদের কিছু করবে না সেটা তো সবাই জানে কিন্তু বাছাধন তুমি .....হুজুরের দল করো সেটা পড়ে জানা যাবে, তার আগে তোমাকে শিবির মনে করে ধোলাই দিয়ে দেওয়া হবে। তাগুত এখন শিবির আতংকে ভুগছে, তোমাদের জন্য কোন ভয় তাদের অন্তরে নেই। তোমরা যত চিল্লা ফাল্লা করো, লোকজন তোমাদের কে দেখলে শিবিরের লোকই মনে করে। কোন কোন দলের নামও অনেকে ঠিক মতো বলতে পারে না।
সত্য কথা হচ্ছে , আজে গ্রামের মানুষ বিভিন্ন নামের কোল্ড ড্রিংকস খায় অথচ মুখে বলে সেভেন আপ খেলাম, কারন কোল্ড ড্রিংকসের প্রচলন এই নামেই হয়েছে। যতই অন্য দল করোনা কেন, লোকজন কিন্তু তোমাদের শিবির নামেই চেনে। কারণ তারা জানে যে, এদেশে ইসলামী রাজনীতির যে জোয়ার এখন বইছে তার ক্রেডিট কিন্তু জামায়াত শিবিরের। কারণ তোমাদের নেতরাই এক সময় রাজনীতি হারাম ফতোয়া দিয়ে বহু বনী আদম কে বি এন পি নামক হিজরা দলে প্রবেশ করার সুযোগ দিয়েছে। সেদিন যদি বলতো রাজনীতি ফরজ, তাহলে হয়তো বহু লোক ইসলামী রাজনীতি করে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতেন। অতএব তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে যতই ফতোয়া দাও আমরা তোমাদের কে দোয়া করার কথাই বলবো কারণ তোমাদের কাজের একটি অংশের প্রতিদান দুনিয়াতে যেমন পাচ্ছি, আখেরাতেও পাবো। কারণ আন্দোলন করার পরিবেশ রক্ত দিয়ে আমরাই তৈরি করেছি। আর সেই পথে আরামে মিছিল করে ঘরে ফিরে যাচ্ছো। শয়তানের ভয়তো যত শিবির কে নিয়ে, তোমার পাগরী আর আলখেল্লা তাকে ভীত সন্ত্রস্ত করতে পারেনি। শিবিরের কারনেই তোমরা এতটা শান্তিতে আছো। এর প্রতিদান তো আল্লাহ পাক আমাদের কে দিবেনই।
অবশেষে ভাতিজা স্বিকার করলো, চাচু আসলে ইচ্ছে থাকলেও শিবির করার উপায় নেই। কারণ আমাদের মাদ্রসায় শিবির নিষিদ্ধ। আমি বললাম, শিবির করার দরকার নেই তোমার, তাদের জন্য অন্তর থেকে দোয়া করো।
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
বিষয়: বিবিধ
১৯৬৫ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কারা দেশটাকে মানছে না? কথিত রাজাকাররা, নাকি কথিত স্বাধীনতার পক্ষের লোকেরা?
মন্তব্য করতে লগইন করুন