বর্তমান যুগে এক অনন্য বিচারের দৃষ্টান্ত!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ২৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:৪৬:৫৭ বিকাল
মারযুকি নামের একজন ইন্দোনেশিয়ান বিচারক এমন এক বৃদ্ধা মহিলার বিচার কার্য পরিচালনা করছিলেন যে, মহিলাটি একটি বাগান থেকে ‘ট্যাপিওকা’ নামক এক গাছের মূল যা সবজি হিসেবে খাওয়া হয়ে থাকে তা চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন।
বৃদ্ধা মহিলাটি তার স্বপক্ষে বিচারককে বলেন যে, তিনি চুরির দায়ে দোষী ঠিকই কিন্তু তিনি খুবই গরীব এবং তার একমাত্র ছেলে খুব অসুস্থ ছিলেন, যার ফলে তখন তার নাতি ছিল খুবই ক্ষুধার্ত।
বাগানের ম্যানেজার বৃদ্ধা মহিলাটির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন জানান।
বিচারক সকল সাক্ষ্য প্রমাণগুলো দেখলেন এবং বৃদ্ধাকে বললেন, “আমি দুঃখিত কিন্তু আমি আইনের ব্যতিক্রম কিছুই করতে পারব না ফলে আপনাকে তো শাস্তি পেতেই হবে।”
আইন অনুযায়ী বৃদ্ধা মহিলাটির শাস্তি নির্ধারিত হল ১০০ ডলার (প্রায় ৮০০০ টাকা) জরিমানা। আর যদি তিনি এই জরিমানা দিতে ব্যর্থ হোন তবে তাকে আড়াই বছর কারাভোগ করতে হবে।
বৃদ্ধা মহিলাটি ডুকরে কেঁদে উঠলেন কারণ এত টাকা দিতে তিনি অক্ষম।
বিচারক তখন উঠে দাঁড়ালেন এবং তার মাথার টুপিটা খুলে তাতে ১০০ ডলার রাখলেন, আর বললেন, “ন্যায়বিচারের স্বার্থে এই কোর্টে যারা উপস্থিত আছেন, তাদের সকলের ৫.৫ ডলার জরিমানা ধার্য্য করলাম এই অপরাধে যে, আপনারা এই শহরের বাসিন্দা হয়ে এক শিশুকে অভুক্ত রেখেছেন এবং তার দাদীকে চুরি করে সেই শিশুর আহার জোগাড়ে বাধ্য করেছেন। এখন রেজিস্টার উপস্থিত সবার কাছ থেকে জরিমানা সংগ্রহ করবেন।”
এর ফলে কোর্ট ৩৫০ ডলার জমা করে, এবং এর থেকে ঐ বৃদ্ধার জরিমানা আদায় করে বাকি টাকা তাকে দিয়ে দেয়া হয় যার মধ্যে ঐ বাগানের ম্যানেজারের দেয়া জরিমানার টাকাও ছিল।
ইন্দোনেশিয়ার ঐ বিচারক ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী ঠিক তেমনটিই করলেন যেমনটি হযরত আলী (রাঃ) করেছিলেন। তা হচ্ছে, “যদি কোন ক্ষুধার্ত ব্যক্তি চুরি করে তবে তার চুরির অপরাধে কোন শাস্তি হবে না এবং এই অপরাধ গিয়ে পড়বে সমাজের সকল বিত্তবানদের উপর যারা শাস্তি স্বরূপ অসহায়, ক্ষুধার্ত ব্যক্তিটিকে খাবার ব্যাবস্থা করে দেবে।”
তথ্যসূত্র: কুরআনের আলো ডটকম।
বিষয়: বিবিধ
১৯৯১ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন