খালেদা জিয়ার ঐতিহাসিক সেই ৫ মিনিটের জ্বালাময়ী বক্তব্যঃ
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৭:৫৭:৩২ সন্ধ্যা
-- ‘আপনার পিতাও ৩০ হাজার মানুষ হত্যা করেছিল। তার পরিণতি ভালো হয়নি। এবারও পরিণতি ভালো হবে না। এসবের পরিণতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ ও কঠিন।’
-- ‘দেখি কতদিন আটকিয়ে রাখতে পারেন। যতদিন এরকম করবেন ততদিন কর্মসূচি চলবে।’
-- ‘শেখ হাসিনা রক্তের গঙ্গা বইয়ে দিচ্ছেন। এই রক্তের গঙ্গার ওপর দিয়ে তিনি তার নৌকা দিয়ে ক্ষমতায় যাবেন। এই ক্ষমতা দুরাশা। সেটা ভুলে যেতে বলেন। ক্ষমতা। দেখবো কতোদিন আটকে রাখতে পারেন।’
-- ‘ভুলে যাননি সেই দিনগুলোর কথা। আজকে সারা দেশকে কি অবস্থা করে রেখেছেন। সাহস থাকলে ছেড়ে দিতেন। দেখতেন যে কিভাবে জনগণ রাস্তায় নেমে আসে। মা-বোন, ভাই, কৃষক শ্রমিক মেহনতি জনতা রাস্তায় নামতো।’
-- ‘আপনারা জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন। দেশের প্রতিটি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছেন। আমাকে রাজপথে নামতে বলেছেন, আজকে আমি রাজপথে যেতে চাই। কিন্তু কেন বাধা দেন।’
-- ‘তাদেরতো রাজপথে নামার সাহস নেই। দুনিয়ার সিকিউরিটি নিয়ে চলেন, আর মানুষ মারেন। মানুষ গুম করেন। মানুষ খুন করেন। সারা দুনিয়া জেনে গেছে যে হাসিনা কতো মানুষ খুন করেছে।’
-- ‘আপনারা আইনজীবীদের ওপর আক্রমন করেন, গ্রেপ্তার করেন, সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছেন। মা-বোনদের ওপর নির্যাতন করছেন। আপনাদের মহিলাদের প্রতি এতোটুকু সম্মান নেই।’
-- দেশ কোথায়? গোপালে (গোপালগঞ্জ)? গোপালগঞ্জ জেলার নামই বদলে যাবে। গোপালগঞ্জের নামই মুছে যাবে, আর থাকবে না। আপনারা যা শুরু করে দিয়েছেন, তাতে আল্লাহ গজব পড়বে। কতগুলো আলেমকে-এতিমকে হত্যা করেছেন?
-- বিডিআরের কতগুলো সেনা অফিসারকে হত্যা করছেন? সেদিন কোথায় ছিলেন শেখ হাসিনা? ৫৭ জন সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল, সেদিন কোথায় ছিল শেখ হাসিনার এই ফোর্স?
-- কেন সে (শেখ হাসিনা) ফোর্স পাঠায়নি। আসলে সে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। আজকে তো অনেকের চেহারা দেখা যায়, আসলে তারা বাংলাদেশি কিনা?
-- আজকে আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় মার্চ ফর ডেমোক্রেসি ছিল। দেশ এবং গণতন্ত্রকে ভালোবাসলে কর্মসূচি পালন করতে দিতো। গণতন্ত্র চাইবেন না, দেশ রক্ষাও চাইবেন না গোলামী করবেন? দালালি করবেন?
-- এই গোলামী তো রাখবে না। লেন্দুপ দর্জির (সিকিমের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী) ইতিহাসটা পড়ে দেখেন। সেও কিন্তু টেকে নাই বেশি দিন। তাকেও বিদায় দিয়েছে। কাজেই দেশ বিক্রি চলবে না, দেশ রক্ষা হবে ইনশা’আল্লাহ।
-- হাসিনার দালালি করে লাভ নেই। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে থাকেন, জনগণের সঙ্গে থাকেন। আজকে সবার দায়িত্ব হলো দেশ বাঁচানো, দেশের মানুষ বাচানো। আর আপনারা এখন ঘরে ঘরে ঢুকে মানুষ হত্যা করছেন। মনে করেন, এগুলোর হিসেবে নেই।
-- এ মা-বোনের কান্না, আলেমদের কান্না, এতিমদের কান্না, বিডিআরের অফিসারদের স্ত্রীদের কান্না- এগুলো কি বৃথা যাবে? এগুলো কোনোদিনও বৃথা যাবে না। আজকে যারা এই জুলুম নির্যাতন করছেন, তাদেরও একদিন চোখের পানি ফেলতে আর মুছতে, তাদের চোখ অন্ধ হয়ে যাবে।
-- ধাক্কা-ধাক্কি বন্ধ করেন, আমরা কেউ ধাক্কা-ধাক্কি করতে আসিনি। আপনারা চাকরি করছেন, করুন; তবে গায়ের ওপর উঠে পড়বেন না। আপনাদের তো বাইরে থাকার কথা, বাড়ির ভেতরে আসলেন কেন?
শাবাস নেত্রী!!! চালিয়ে যান। সঙ্গে আমরাও আছি।।
হাসিনা এমন একটা বক্তব্য দিতে হলে তাকে রেন্ডিয়া থেকে আরও ৪৫ টা ডিগ্রী নিয়ে আসতে হবে।।
বিষয়: বিবিধ
১৫৩৫ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন