‘কুত্তার বাচ্চা’ ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন

লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ০৪ নভেম্বর, ২০১৩, ০৪:৪৯:৩০ বিকাল



জাবি ভিসিকে ‘কুত্তার বাচ্চা’

বলে শিক্ষকদের গালি


জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ট্রাইবুনালে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ‘কুত্তার বাচ্চা’ বলে গালি দেয়ার কিছু দিন যেতে না যেতেই এবার তাকে ‘কুত্তার বাচ্চা’ বলে গালি দিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। গতকাল-০৩/১১/২০১৩, রোববার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষক সমিতির চলমান ধর্মঘট চাকরি বিধির লঙ্ঘন উল্লেখ করে সমিতির সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও দুই হল প্রাধ্যক্ষকে অব্যাহিত দেয়ার প্রতিবাদে রাত ১০টা দিকে এ বিষয়ে ভিসির কাছে জানতে চান আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তবে ভিসি কোনো মন্তব্য করতে জানি না হলে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে তার বদানুবাদ হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষকরা ভিসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “কুত্তার বাচ্চা তুই যা, তোকে যেতেই হবে।”

জাবির কুলাঙ্গার ভিসি আনোয়ার হোসেন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাথে আদালত প্রাঙ্গনে চরম বেয়াদবী করেছিল। আল্লাহর এই প্রিয় গোলামের সাথে পশুসূলভ আচরণ করে ক্যাম্পাসে ফেরার সাথে সাথেই এই মানুষরূপী জানোয়ারটা হাজার হাজার ছাত্রদের দ্বারা চরমভাবে নাজেহাল হয়। শিক্ষক নামধারী এ লোকটি আল্লামা সাঈদীকে এই ভাষায় গালি দিয়েছিলো। লোকটির অধস্তন শিক্ষকরা তাকে সে গালি ফিরিয়ে দিয়েছে ।তবে লোকটির আচরন কুকুরের মতো হলেও তার পিতা সম্পর্কে আমার কোন ধারনা নেই। হযরত নূহ আঃ-এর পুত্র ছিলো কেনান। সে সত্যের প্রতি নূহের আহবানকে প্রত্যাখ্যান করে ধ্বংস হয়ে গেছে। এ কারণে আমি কোন পুত্রকে দিয়ে পিতাকে বিচার করি না।

সুপ্রিমকোর্টে ও অপদস্থ জাবি ভিসি আনোয়ার : ‘বিচিগিরি জাহাঙ্গীরনগরে, এখানে কী?’

বিচিগিরি (ভিসির দায়িত্ব পালন) জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে করেন, এখানে (সুপ্রিমকোর্টের বার ভবনে) কী? আপনি বের হয়ে যান। আপনার লজ্জা-শরম থাকা দরকার। আপিল বিভাগের দেয়া কাদের মোল্লার রায়ের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. আনোয়ার হোসেনকে উদ্দেশ করে এই মন্তব্য করেন সুপ্রিমকোর্টের এক আইনজীবী। রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে ভিসি আনোয়ার হোসেন টিভি ক্যামেরার সামনে তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গেলে সুপ্রিমকোর্টের এক আইনজীবী তাকে প্রশ্ন করেন, আপনি কে? জবাবে পাশ থেকে অন্য এক ব্যক্তি বলেন, তিনি জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির ভিসি। এ সময় ওই আইনজীবী বলেন, বিচিগিরি জাহাঙ্গীরনগরে, এখানে নয়। আইনজীবী সমিতির ভবনে আপনার কী কাজ? বের হয়ে যান এখান থেকে। শরম-লজ্জা নেই আপনার? একপর্যায়ে ওই আইনজীবী ড. আনোয়ারকে ধাক্কা দিয়ে বলেন, বিচিগিরি সুপ্রিমকোর্টের আদালত চত্বরে নয়, জাহাঙ্গীরনগরে গিয়ে করেন। এ সময় একাধিক আইনজীবী আনোয়ার হোসেনের সমালোচনা করেন। তারা বলেন, জাবির ভিসি ট্রাইব্যুনালের মামলাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি না হয়েও রায়ের দিন আদালতে প্রতিক্রিয়া জানানোর নামে বিভিন্ন চ্যানেলে মুখ দেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

আনোয়ার হোসেন আওয়ামী লীগের একান্ত কর্মী হওয়ায় আদালতে তিনি নির্দ্বিধায় প্রবেশ করতে পারেন বলেও অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। যেখানে ঢাকার অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ট্রাইব্যুনাল কিংবা সুপ্রিমকোর্টে এসে কোনো মন্তব্য করেন না, সেখানে আনোয়ার হোসেন বেফাঁস মন্তব্য করে থাকেন। এটা তার দলকে খুশি করার জন্যই করেন বলেও মন্তব্য করেন আইনজীবীদের কেউ কেউ।

উল্লেখ্য, এর আগে আনোয়ার হোসেন ট্রাইব্যুনালের কয়েকটি রায়ের দিন উপস্থিত হয়ে টিভির ক্যামেরার সামনে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিষয়ে অনেক কুরুচিকর মন্তব্য করেন।

বিষয়: বিবিধ

২৭০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File