আসুন জেনে নিই 3G কি?
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ০১ নভেম্বর, ২০১৩, ০৭:৩৪:৩২ সন্ধ্যা
♦ প্রশ্নঃ 3G কি ?
উত্তরঃ থার্ড জেনারেশন অথবা থ্রি জি(3G-Third generation) শব্দটি দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মোবাইল যোগাযোগের পদ্ধতিকে বুঝানো হয়। 3G-র মাধ্যমে উচ্চ গতির মাল্টিমিডিয়া সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। আপনার হ্যান্ডসেট দিয়ে উচ্চ গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে ভিডিও দেখতে পারবেন। 3G ফোন এবং 3G নেটওয়ার্কের মধ্যে থেকে আপনি ভিডিও কল, লাইভ টিভি,হাই স্পিড ইন্টারনেট উপভোগ করতে পারবেন।
♦ প্রশ্নঃ 3G কি 2G থেকে ভিন্ন ?
উত্তরঃ হ্যাঁ, 3G-তে হাই স্পিড প্যাকেট এ্যাক্সেস (HSPA) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, ফলে 3G নেটওয়ার্ক 2G নেটওয়ার্ক থেকে অনেক দ্রুত তথ্য প্রেরন করতে পারে। যার মানে হচ্ছে অডিও, ভিডিও, গ্রাফিক্স এবং টেক্সট। 3G কাস্টমারেরা 3G নেটওয়ার্কিং এরিয়ায় থেকে লাইভ ভিডিও আদান-প্রদান করতে পারবে।
♦ প্রশ্নঃ 2G থেকে 3G তে কি কি সুবিধা আছে?
উত্তরঃ 3G-তে হাই স্পিড ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়, ভিডিও কল করা যায় এবং আরো অনেক মাল্টিমিডিয়া সেবা 3G-তে পাওয়া যায় যা 2G-তে নেই।
♦ প্রশ্নঃ 3G ব্যবহার করতে কোন বিষয়গুলো অপরিহার্য ?
উত্তরঃ ১. 3G কানেকশন থাকতে হবে,
২. 3G সম্বলিত মোবাইল সেট এবং
৩. আপনার এলাকা 3G নেটওয়ার্কের আওতাধীন হতে হবে।
♦ প্রশ্নঃ 3G দিয়ে আমি আর কি কি করতে পারব?
উত্তরঃ → পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে সরাসরি ভিডিও কল করে যোগাযোগ করতে পারবেন।
→ উচ্চ গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
→ বড় ফাইল হাই স্পীডে ডাউনলোড এবং আপলোড করতে পারবেন।
→ বড় ফাইল এ্যাটাচমেন্ট করে মেইল করতে পারবেন।
→ স্ট্রীমিং ভিডিও দেখতে পারবেন।
→ HD গেমস খেলতে এবং ডাউনলোড পারবেন।
♦ প্রশ্নঃ যখন 3G এরিয়ার বাইরে চলে যাব তখন কি হবে?
উত্তরঃ যখন আপনি এরিয়ার বাইরে চলে যাবেন তখন আপনার মোবাইল 2G/2.5G নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে চলবে। তবে আপানর মোবাইলে ডুয়াল মুড সচল আছে কিনা সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন।
♦ প্রশ্নঃ কিভাবে বুঝব আমি 3G কানেকশন পেয়েছি কিনা?
উত্তরঃ যখন আপনার মোবাইল 3G সেবা জন্য চালু হবে, তখন আপনি আপনার মোবাইলে একটি কনফার্মেশন ম্যাসেজ পেয়ে যাবেন। আর আপনি 3G সেবা উপভোগ করতে পারবেন।
♦ প্রশ্নঃ কোন বিষয়গুলোর উপর 3G-এর স্পীড নির্ভর করে?
উত্তরঃ → হ্যান্ডসেটের উপর
→ নেটওয়ার্ক এরিয়া
→ নেটওয়ার্ক ট্রাফিক, কতজন ব্যবহারকারী ওই মুহূর্তে ৩জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে।
♦ প্রশ্নঃ আমি কি মোবাইলে ভিডিও ডাউনলোড এবং আপলোড করতে পারব?
উত্তরঃ হ্যাঁ, পারবেন। 3G দিয়ে আপানি আপানরা মোবাইলে ভিডিও দেখতে এবং ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়া ভিডিও রেকর্ড করে ইন্টারনেটে আপলোড করে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।
♦ প্রশ্নঃ মোবাইল ব্রডব্যান্ডের সুবিধা কি?
উত্তরঃ মোবাইল ব্রডব্যান্ড আপনাকে যেকোন অবস্থায় হাই স্পীড ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা দিবে। মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা পেতে হলে 3G সাপোর্টেড এবং 3G সেবা সম্বলিত মোবাইল হ্যান্ডসেট থাকতে হবে। যদি কখনো যানবাহনে চলাচলের সময় আপনি ল্যাপটপে 3G ব্যাবহার করতে চান, তাহলে আপানার 3G সম্বলিত হ্যান্ডসেটটিকে ডাটা ক্যাবল, ইনফ্রারেড অথবা ব্লুটুথ দিয়ে কম্পিউটারের সাথে সংযোগ করে 3G ব্যবহার করতে পারবেন।
♦ প্রশ্নঃ 3G ফোন কেনার সময় কোন বিশেষ বিশিষ্ট্যগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে?
উত্তরঃ বাজারের সব মোবাইল সেট 3G সাপোর্ট করে না। দুই ধরনের 3G ফোন পাওয়া যায়ঃ HSPA এবং WCDMA enabled। গবেষকদের পরামর্শ অনুযায়ী হাই স্পীড এবং ভালভাবে 3G ব্যবহারের জন্য HSPA সম্বলিত হ্যান্ডসেট ব্যবহার করা ভাল।
♦ প্রশ্নঃ HSPA and WCDMA enabled কি?
উত্তরঃ HSPA (High Speed Packet Access) হচ্ছে একটি new generation communication protocol, যা দিয়ে ব্যবহারকারি ভাল এরিয়া এবং অবস্থাতে ২১ Mbps স্পীডেও পর্যন্ত ডাটা আদান-প্রদান করতে পারবে। আজকাল মোবাইল ফোন এবং USB Data Card এ HSPA থাকে। WCDMA (Wideband Code Division Multiple Access) হচ্ছে 3G প্রযুক্তির একটি ভার্শন, যা দিয়ে ভাল এরিয়া এবং অবস্থাতে 384 Kbps স্পীডে ডাটা আদান-প্রদান করা যায়।
বিষয়: বিবিধ
১৫৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন